Wednesday, December 3, 2025

Top 5 This Week

Related Posts

সিলেটে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে

সিলেট নগরের বাদামবাগিচা এলাকার ইলাশকান্দিতে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শাহ মাহমুদ হাসান তপু (১৫) কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আর পুলিশ বলছে, কিশোর গ্যাং নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এই হত্যাকান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ছুরিকাঘাতে আহত হয় তপু। আর শুক্রবার সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কিশোরদের বিরোধে ছুরিবাঘাতে এক কিশোর খুন হয়েছে। শুক্রবার সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জাহিদ হাসানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত তপুর বড় ভাই রুবেল আহমদ অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তপুকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে জাহিদসহ কয়েকজন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হলো তা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন রুবেল।

কিশোর গ্যাং নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তপুকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, তপু ও জাহিদ দুজন বন্ধ। দুজনই কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত। কিশোর গ্যাংসের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে এই হত্যাকান্ড।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তপু ও জাহিদসহ দুপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাহিদকে তপু মারধর করে। পরে তপুকে ছুরিকাঘাত করে জাহিদ।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত জাহিদসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- এয়ারপোর্ট থানার খাসদবির এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. জাহিদ হাসান, কোতোয়ালী থানাধীন লোহারপাড়া এলাকার আব্দুল মনিরের ছেলে মো. অনিক মিয়া ও মো. বশিরুল ইসলামের ছেলে মো. জুনেদ আহমদ।

তপু এয়ারপোর্ট থানাধীন ইলাশকান্দি বাদামবাগিচার উদয়ন ৪০/২ আবাসিক এলাকার শাহ এনামুল হকের ছেলে ও খাসদবির উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ৪ ভাই, ২ বোনের মধ্যে সবার ছোট তপু।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জানাযা শেষে তপুর দাফন সম্পন্ন হয়।

আগের রাতের ঘটনার বর্ণণা দিয়ে তপুর এক বন্ধু জানায়, রাতে ঘটনার সময় তপুরা ছিলো তিনজন আর জাহিদরা ছিলো ১৫/২০জন। তবু তারা তপুকে মারতে পারতো না। কিন্তু ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তপু পড়ে যায়। এসময় তার পেটে ছুরিকাঘাত করে জাহিদ।

Popular Articles