Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

অবৈধ পথে স্পেনে পাড়ি জমানো বিয়ানীবাজারের মাসুমের অবস্থা গুরুতর, দালালের শাস্তি দাবি







বিশেষ প্রতিনিধি :: বৈধ পথে স্পেন পাঠানোর নামে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার নন্দিরফল গ্রামের জাহিদ আল মাছুম মাসুমের পরিবারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় দালাল নিজামুল। এরপর দালালরা টাকা নিয়ে মাসুমকে ছেড়ে দেয় অবৈধ পথে। শুরু হয় এই মাসুমের কান্না। কিন্তু দালাল নিজামুল রহস্যজনক কারণে আইনের ফাঁকে ছুটে যায়। এই অসহায় পরিবারকে কান্নার সাগরে বেসে দিয়ে দালাল নিজামুল হক আরোও বেপরোয়া। অবৈধ পথে স্পেনে পাড়ি জমানো মাসুমের অবস্থা খুবই গুরুতর। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।



যে ভাবে অবৈধ পথে স্পেন যায় জাহিদ আল মাছুম-
মাসুমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের দালাল নিজামুল হকের সাথে মাসুমকে স্পেন পাঠানোর জন্য আলাপ করেন তারা। পরে মাসুমকে স্পেন পাঠানোর জন্য সবকিছু বিক্রি করে টাকা দেন দালাল নিজামুল হককে। ওই দালাল তার আরেক চাচাতো ভাই দালাল আব্দুল আহাদের মাধ্যমে মাসুমকে অবৈধ পথে পাঠায়।



গত ২০১৮ সালের ৩০ জুন দালাল নাজিমের সাথে আলাপকালে সে মাসুমের পরিবারকে বলে পৌছার পর টাকা এর আগে কোন টাকা লাগবে না। তবে ভিসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এ সময় দালালের সাথে কথা ছিল তাকে প্রথমে ইন্ডিয়া পরে সেখান থেকে ভিসার মাধ্যমে স্পেন পাঠানো হবে। সময় লাগবে মাত্র ১৫ দিন।



দালালের কথা অনুযায়ী মাসুম রাজি হয়। পরে দালালরা তাকে প্রথমে ইন্ডিয়ায় নিয়ে এক সপ্তাহ রাখে। এরপর সেখান আলজেরিয়া নিয়ে যায়। আলজেরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় মাসুমের উপর নির্যাতন। এই নির্যাতনের খবর শুনে মাসুমের পরিবারে শুরু হয় কান্না। যোগাযোগ করেন আব্দুল্লাপুরের দালাল নাজিমের কাছে। নাজিম মাসুমের পরিবারকে জানায় আলজেরিয়ার দালালদের টাকা দেওয়া লাগবে। পরে মাসুমের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে নাজিমের কথামতো দালালদের ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।



টাকা পেয়ে তারপর দালালরা থাকে প্রায় এক মাস আলজেরিয়ায় রাখে এক মরুভুমিতে। মাস থাকার পর দালালের সাথে যোগাযোগ করলে সে বলে এভাবে তারা পাটাতে পারবে না। তারা ভিন্ন পথে থাকে পাঠাবে। এতে পরিবারে শুরু হয় দুশ্চিন্তা।

সেখান থেকে পাল্টে যায় কথা গুলো। সেখান থেকে ফিরে আসার পথ না পেয়ে দালাল রা থাকে নিয়ে যায় মরক্কোর বর্ডারে রাতের আধারে। সেখান থেকে প্রায় ১ দিন তারা জঙ্গলের পথ দিয়ে হেটে নিয়ে যায় মরক্কো। মরক্কোতে তারা প্রায় থাকে ১ মাস রাখে, তখন থেকে তার জীবনে শুরু হয় দুর্ভোগ টিক মত খাবার পেত না একবেলা একটি পাউরুটি দিয়ে খিদা মিটাতো। এরপর আবার দালালদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা চাপ দেয় তাদের সব গুলো টাকা পরিশোধ করতে হবে। তখন দালালদের দেওয়া হয় আরো পাঁচ লক্ষ টাকা।



মরক্কোর পুলিশের ভয়ে তখন সে কোন মতে দৌড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। দালালরা থাকে রেখে পালিয়ে যায়। প্রায় তিন দিন সে না খেয়ে জঙ্গলে অবস্থান করে। সেখান থেকে দালালের সাথে সে যোগাযোগ করতে থাকে দালাল রা থাকে বলে সে যদি পালিয়ে তাদের কাছে আসতে পারে তাহলে তারা থাকে আশ্রয় দিবে। কিন্তু তখন সে পালাতে গিয়ে মরক্কো পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় পুলিশী নির্যাতন। তার মোবাইল সহ সব কিছু নিয়ে যায় মরক্কো পুলিশ। থাকে ৩ দিন একটি রুমে আটকে রাখে।




মরক্কো পুলিশ থাকে জিজ্ঞেসা করে, তখন সে সব কিছু বলতে থাকে। পরে মরক্কো পুলিশ রাতের আধারে থাকে জঙ্গলে নিয়ে ছেড়ে দেয়। মাসুমকে আলজেরিয়ায় ফিরে যেতে বলে। সে রাতের আধারে জঙ্গলে হাটতে থাকে। জানের ভয়ে দৌড়াতে থাকে। ক্ষুধার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। সে আবার আশ্রয় খুঁজতে থাকে। ভোর হতে না হতে মরক্কোর বর্ডার পুলিশ থাকে আবার আটক হয়। ওই খবর শুনে দালালরা পালিয়ে যায়। সেখানে সে প্রায় ২ দিন বর্ডার পুলিশের হাতে বন্দী থাকার পর ছাড়া পায়।




তারপর সে আবার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দালাল আর কোন ফোন রিসিভ করে না। এই খবর শুনে দালাল নিজামুল হকের চাচা প্রধান দালাল আব্দুল আহাদ তাৎক্ষনিক লন্ডন চলে যান। যোগাযোগ ও করেন নি। এরপর সে ৩ দিন জঙ্গলে থাকার পর কিছু আফ্রিকান লোকের দেখা পায়। এমনকি তাদের হাতে পায়ে দরে তাদের সাথে গেইমে যায়। বেলুনে স্পেন এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বেলুনের নৌকাটি সাগরের মধ্যে খানে আগুন লেগে ডুবে যায়। এ অবস্থায় প্রায় ৬ ঘণ্টা সাঁতরাতে থাকে এবং অচেতন হয়ে পরে স্প্যানিশ পুলিশ এসে তাকে হেলিকপ্টার যুগে উদ্ধার করে।




তাৎক্ষনিক হসপিটালে নিয়ে যায়, এবং সেখানে নিয়ে চিকিৎসা করে। তার শরীরের প্রায় বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। তখন ও মাসুমের পরিবার তার কোন খোঁজ পায়নি। হটাৎ একদিন ফোন আসে পরিবারের কাছে মাসুমকে বাঁচাতে হলে প্রায় তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন। টাকার জন্য মাসুমের চিকিৎসা বন্ধ পরে এক আত্মীয় এর মাধ্যমে আরো ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে মাসুমের অবস্থা আরো গুরুতর।



এরপর যখন বিয়ানীবাজারের দালালরা জানতে পারে মাসুম স্পেনে চলে গেছে। তখন দালালরা যোগাযোগ কার শুরু করছে। এর আগে প্রায় তিন মাস মাসুমের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে। পরে মাসুমের বাড়িতে গিয়ে আরো দু লক্ষ টাকা দিতে চাপ সৃষ্টি করে দালাল নিজামুল হজ। এমনকি এই অসহায় পরিবারকে হামলা-মামলার ভয় দেখাচ্ছে।

এই পরিবারটি ঘর-বাড়ি সবকিছু হারিয়ে একদম নিরুপায় হয়ে আতঙ্কে জীবন-যাপন করছে। দালাল নিজামুল হক ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল আহাদের কঠোর শাস্তি দাবি করনে তারা।

You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.