Beanibazarview24.com
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক হজ যাত্রীকে বিনামূল্যে প্রতীকী কাবা ও মাকামে ইব্রাহিম বানিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লায়ন মোজাম্মেল হক ভুঁইয়ার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আব্দুল আলীম, মারুফ শারমিন স্মৃতি সংস্থার সহসভাপতি হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, আলহাজ জিয়াউল হক, প্রমুখ।এ সময় নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হজে যেতে ইচ্ছুক পাঁচ শতাধিক মানুষকে হজের সব নিয়ম-কানুন শেখানো হয়। আলেমদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এ হজ প্রশিক্ষণ।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা সমালোচনা। হজ প্রশিক্ষণের নামে এবারই প্রথম কোন চিত্র সামনে আসল, যেখানে পবিত্র কাবা শরিফের প্রতীকী বানিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লাম মুফতি আরশাদ রহমানী প্রতীকি কাবা তৈরি ও প্রশিক্ষণ প্রদান স্পষ্ট হারাম বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কাবা শরিফ পৃথিবীতে একটিই। এমন করে প্রতীকী কাবা তৈরি করে প্রশিক্ষণ দেয়া হারাম।
একই কথা বললেন রাজধানীর শাইখ যাকারিয়া রহ. রিসার্স সেন্টারের পরিচালক ও দেশের অন্যতম বিজ্ঞ আলেম মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ। তার মতে, পৃথিবীতে পবিত্র কাবা একটিই। যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, পবিত্র কাবার প্রতীকি বানানো জায়েজ নেই। এমন ঘটনাকে পবিত্র কাবার সাথে একধরণের উপহাস করা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতীকী কাবা বানানো নাজায়েজ কেন এমন প্রশ্নে মুফতি মিযানুর রহমান বলেন, কাবা ঘরের একটি সম্মান রয়েছে। আমরা সেই ঘরের প্রতীকী বানালে কাবা শরিফের প্রতি মানুষের সম্মান কমে যাওয়ার আশঙ্খা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কতিপয় বেদাতিরা প্রতীকী কাবা বানিয়ে তাওয়াফ করে থাকে এবং তারা বলে এভাবে তাদের হজ আদায় হয়ে যাবে। সেদিকে লক্ষ্য করলেও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রতীকী কাবা বানানো ফেতনার সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে তা জায়েজ নেই।
তবে হজ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রতীকী কাবা বানানোতে কোন সমস্যা নেই বলে জানালেন ঢাকা মানিকনগর মাদরাসার শাইখুল হাদিস, জামিয়া শায়েখ জাকারিয়া কাঁচকুড়া উত্তরখান উত্তরার ইফতা বিভাগের প্রধান, মুফতি মোহাম্মদুল্লাহ সাদেকী।
তিনি বলেন, ফিতনার আশংকা না থাকলে শেখার জন্য প্রতীকী কাবাসহ অন্যান্য বিষয়গুরো দেখিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে।
তার মতে, হজের বিধি-বিধান মানুষের বুঝতে একটু কষ্ট হয়। আর এ বিধান অনেকে জীবনে একবারই পালন করার সুযোগ পান। তাই এ বিধান ভালো করে আত্বস্ত করতে এমন কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। হ্যাঁ তবে ফিতনার অশংকা থাকলে, সেটা ভিন্ন বিষয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.