Tuesday, August 26, 2025
Home Blog Page 81

বাংলা‌দে‌শিদের জন্য ১২ ক্যাটাগরির ভিসা চালু কর‌ছে ওমান

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশিদের জন্য ১২ ক্যাটাগরিতে ভিসা চালু কর‌তে যাচ্ছে ওমান।

বুধবার (২৯ মে) টাইমস অব ওমান এক প্রতি‌বেদ‌নে এ তথ্য জা‌নি‌য়ে‌ছে।

বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমানের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে উদ্ধৃতি দি‌য়ে প্রতি‌বেদ‌নে বলা হ‌য়ে‌ছে, ওমান সরকার ১২টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা চালু করবে। ১২টি ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে-ফ্যামিলি ভিসা, জিসিসি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিজিট ভিসা, চি‌কিৎসক ভিসা, প্রকৌশলী ভিসা, নার্স ভিসা, শিক্ষক ভিসা, হিসাবরক্ষক ভিসা, বিনিয়োগকারী ভিসা এবং সব ধরনের অফিসিয়াল ভিসা।

গত বছরের অক্টোবর থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করে ওমান। এরপর থেকেই দেশটিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের আগমন ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। আর তাই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আংশিকভাবে ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওমান।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান স্থগিত করে ওমান। সে সময় রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, সব শ্রেণির বাংলাদেশি নাগরিকদের নতুন ভিসা ইস্যু স্থগিত কার্যকর হয়েছে। ওমানে টুরিস্ট ও ভিজিট ভিসায় আসা প্রবাসীদের ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

তবে কী কারণে ভিসা প্রদান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তখন তা আরওপির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাস তখন এক বিবৃতিতে জা‌নি‌য়ে‌ছিল, ভিসা দান ব‌ন্ধের এই প্রক্রিয়া‌টি ‘অস্থায়ী’।

সিলেটে বৃষ্টির মধ্যে ভূমিকম্প, বন্যায় প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

থেমে থেমে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বন্যার ভয়ের মধ্যেই সিলেটে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। আজ বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এদিকে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত চার উপজেলার নিম্নাঞ্চল।

সিলেট আবহওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।

ভূমিকম্পের সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই অনেকেই টের পাননি। তবে বহুতল ভবনে অবস্থানকারী মানুষের মধ্যে এ সময় আতঙ্ক দেখা দেয়। ভূমিকম্পে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে অব্যাহত বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সিলেটর চার উপজেলায়। অনেক নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে সব নদীর পানি।

বিয়ানীবাজারে কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলে আবুল কাশেম পল্লব বিজয়ী

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। ৮৯টি কেন্দ্রের সবকয়টির কেন্দ্র ভিত্তিক ঘোষিত ফলাফলে আবুল কাশেম পল্লব এর হেলিকপ্টার প্রতীক ২০১৯৩ ভোট পেয়েছেন।

তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শালিক পাখি প্রতীকের গৌছ উদ্দিন পেয়েছেন ১৮৫৬০। এছাড়া মোটর সাইকেল প্রতীকের দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম ১৬০১১ ভোট,
ও টেলিফোন প্রতীকের আতাউর রহমান খান পেয়েছেন ৪৯৫৭ ভোট।

যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফটের মেয়র হলেন সিলেটের নাসিমা

যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফট টাউন হল থেকে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে নাসিমা বেগম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সেখানে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নাসিমা বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল হাশিমের মেয়ে। তাঁর জন্ম যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফট টাউনে। তিনি পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয়।

নাসিমা বেগম পড়ালেখা করেছেন লোয়েস্টওফট টাউনে। তখন থেকেই তিনি সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত হন। তিনি টানা তিনবার লোয়েস্টওফট টাউন হলের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এই খবরে যুক্তরাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাংলা মিরর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল করিম গণি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে আমাদের বাঙালিদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে। নাসিমা বেগম মেয়র নির্বাচিত হয়ে বাঙালি কমিউনিটিতে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমি সব সময় চিন্তা করেছি যে টাউন কাউন্সিলের মতো একটি তৃণমূল সংস্থাকে সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে তা প্রতিফলিত করা প্রয়োজন। তাই সব বয়স ও ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউন্সিলর থাকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন তরুণ কাউন্সিলর হিসেবে, একজন নারী, একজন মা এবং একটি জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু থেকে কেউ—আমি মেয়র হিসেবে আমার সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করব টাউন কাউন্সিলকে সমর্থন করার জন্য, লোয়েস্টওফটের সবার হয়ে কাজ করার জন্য।’

সর্বশেষ গত শুক্রবার নাসিমা বেগম কামারখাল গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি বাবার কবর জিয়ারত ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ওই দিনই তিনি দেশ ত্যাগ করেন।

নাসিমা বেগমের চাচা আবদুল মালিক বলেন, ‘সময়–সুযোগ পেলেই নাসিমা দেশে আসে। সে মেয়র হওয়ায় আমরা গর্বিত।’

কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল হাশিম বলেন, ‘নাসিমা আমাদের গর্ব। তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ভবিষ্যতে দেশে এলে আমরা তাঁকে সংবর্ধনা দেব।’

চমক লাগানো ১২৫ সিসির নতুন বাইক আনছে বাজাজ

বাজারে ১২৫ সিসির নতুন মোটরসাইকেল আনছে বাজাজ। এই বাইকটি টেক্কা দেবে হিরো এক্সট্রিম ১২৫ এবং টিভিএস রেইডারকে।

বাইকের বেশ কিছু স্পাই শটও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে পাওয়া যাবে এলইডি লাইটিং এবং ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল, যা পালসার এন১৬০ ও এন১৫০ বাইকেও রয়েছে। এটি পালসার ১২৫-এর মতোই স্পেসিফিকেশন নিয়ে আসতে চলেছে। তবে ইঞ্জিনের শক্তি ও টিউনিং আলাদা হতে চলেছে।

বাইকটির সামনে থাকবে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে থাকবে ড্রাম ব্রেক। এই বাইকে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) পাওয়া যাবে এবং থাকবে উন্নত সাসপেনশন সিস্টেম। বাইকে মিলবে ডায়মন্ড ফ্রেম চেসিস। যেহেতু হিরো এক্সট্রিমেও সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে তাই সেই ফিচার রাখতে এই বাইকেও পাবেন একই বৈশিষ্ট্য।

বর্তমান বাজাজ পালসার ১২৫ এবং এনএস ১২৫-এর দাম ভারতে ৯০ হাজার ৭৭১ রুপি এবং ১ লাখ রুপি (এক্স-শোরুম)। আশা করা হচ্ছে, দুই দামের মাঝামাঝি থাকতে পারে নতুন বাজাজ পালসার এন১২৫। কারণ হিরো এক্সট্রিম এবং টিভিএস রেইডার দুই বাইকেরই এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ১ লাখ রুপির কম।

সিলেটে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান

সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডের নতুন একটি অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। গ্যাসের প্রেসার ঠিক থাকলে এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে এই গ্যাস হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

খনন কাজ শুরু হওয়ার সাড়ে ৪ মাসের মাথায় শুক্রবার সকাল থেকে ফ্লো শুরু হয়েছে। আগামী দুইদিন এই পরীক্ষা চলমান থাকবে।

কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে গ্যাসের সঙ্গে উপজাত হিসেবে কনডেনসেটও মিলবে, তবে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের সাথে কী পরিমাণ কনডেনসেট মিলবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই তা জানা যাবে।

সারাদেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে নতুন যে সকল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় তার একটি এই কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ। এ কূপের খনন কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি। সাড়ে ৪ মাসে সফলভাবে খনন কাজ শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য গ্যাসের প্রেশারসহ অন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাসের মজুদের পরিমাণ জানাবেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানির এই কূপটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খনন করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। কূপের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বিদ্যমান পাইপলাইন ও আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবহারযোগ্য প্রসেস প্লান্ট রয়েছে। তাই দ্রুত এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।

সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। কূপের তিন হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া গেছে। পাইপলাইন হয়ে গেলে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা সংশ্লিষ্টদের। আর ২০২৫ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারলে শুধু এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।

তারও আগে গত বছরের নভেম্বরে হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খনন কাজ শেষে ওইদিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে এসজিএফএল।

গত বছরের জুনে এই কূপ খনন কাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে এসজিএফএল-এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে।

সেগুলো হলো- হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশীদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

সংসদ সদস্য হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি : মিষ্টি জান্নাত

সংসদ সদস্য হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। সেজন্য বর্তমানে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাসেক্সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। মিষ্টি বলেন, আমি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছি। কারণ ভবিষ্যতে সংসদ সদস্য হতে চাই। এজন্য যতদূর সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডেন্টালের পড়াশোনা শেষ করে এখন আমি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাসেক্সে আইন বিষয়ে পড়ছি।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মিষ্টি জান্নাতকে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী তমা মির্জা। যেখানে মিষ্টি জান্নাতের দুটি বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করব না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং ‘….নায়িকা হয়েছে তমা মির্জা : জান্নাত’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন তমা মির্জার আইনজীবী। এজন্য ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

মিষ্টি জান্নাত
মিষ্টি জান্নাত

তমার সেই নোটিশের জবাবে মিষ্টি জান্নাত বলেছেন, আসলে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কোথায়। আমি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছি। আইন ভালো জানি। তার এই লিগ্যাল নোটিসের কোনো গ্রাউন্ড নেই। কিন্তু আমার গ্রাউন্ড আছে আমিও তাকে লিগ্যাল নোটিস পাঠাব। আমার আইনজীবীর মাধ্যমে উল্টো তাকেই আমি আইনি নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

অভিনয়ের পাশাপাশি চিকিৎসক হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে মিষ্টি জান্নাতের। এখন তাহলে আবার আইন নিয়ে পড়ছেন কেন. প্রশ্নের জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন- সামনে আমি সংসদ সদস্য হতে চাই। রাজনীতিতে সক্রিয় হব। তাই আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছি। নিজেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যোগ্য করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে তমার পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আয়মান সাদিকের সঙ্গে কী সম্পর্ক, জানালেন সাদিয়া আয়মান

জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের নামের শেষে রয়েছে দেশের আরেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আয়মান সাদিকের নাম। বিষয়টি অনেক কাছেই সৃষ্টি করেছে কৌতূহল।

সম্প্রতি এক আড্ডায় প্রসঙ্গটি উঠলে সাদিয়া বলেন, আসলে আয়মান সাদিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। নামটা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে। আমাদের মধ্যে কোনো ভাই-বোন কিংবা আত্মীয়তারও সম্পর্ক নেই।

অভিনেত্রী বলেন, অনেক সময়ই আমি দেখিছি, আমার কোনো কাজ রিলিজ পেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে কমেন্ট করে লেখেন, সাদিয়া আয়মান না লিখে লেখেন, আয়মান সাদিকের কাজ অনেক সুন্দর ছিল। এটা আমার কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং লাগে।

সাদিয়া আরো বলেন, ভাইয়া যেদিন বিয়ে করেন তাদের কাপল ছবি আমাকে ট্যাগ করেন অনেক নেটিজেন। আমাকে এজন্য অনেকে শুভেচ্ছাও জানান। এটা সম্ভবত নামের সঙ্গে মিল থাকায় ভুলে অনেক ভক্তই এমন করেছে হয়তো।

ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যে সিদ্ধান্ত কানাডা সরকারের

কানাডিয়ান সরকার বিদেশী ছাত্রদের উত্সাহিত করতে এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের পথ উন্মুক্ত করতে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ চালু করেছে। অধ্যয়ন-পরবর্তী চাকরির সময়কাল এখন দুই বছর স্থায়ী হবে। এই উন্নয়ন ছাত্র এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য স্বস্তি এনেছে, এবং অভিবাসন নীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন যা কানাডায় বিদেশী প্রতিভাবান ছাত্রদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়।

মন্ত্রী ডেনিকা ফেইথ এবং মার্ক মিলার আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হাজার হাজার বিদেশী শিক্ষার্থীদের আশা এবং উদ্বেগকে বিবেচনায় নিয়েছে যাদের কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।

মিনিস্টার ফেইথ এই খবরটি শেয়ার করতে পেরে খুবই খুশি হয়েছেন এবং কানাডার কর্মীবাহিনীতে দক্ষ কর্মীদের রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মিনিস্টার মিলার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং কানাডায় সফল হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

মিলার বলেন, এই নীতি পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রায় ৬,৭০০ বিদেশী ছাত্রদের জন্য যাদের পারমিটের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। মন্ত্রী মিলার উল্লেখ করেছেন যে, সরকার এই ছাত্রদের স্বাস্থ্যসেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বোঝে।

এই ছাত্রদের মধ্যে অনেকে স্থানীয় সম্প্রদায় এবং অর্থনীতির অপরিহার্য সদস্য হয়ে উঠেছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং প্রদেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশকে উন্নত করে।

এই এক্সটেনশনের জন্য ম্যানিটোবা সরকারের সক্রিয় সমর্থন বিদেশী ছাত্রদের সুবিধাগুলি বাড়িয়েছে। মন্ত্রী মিলার উল্লেখ করেন যে, এই ছাত্ররা প্রদেশের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ম্যানিটোবার দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক এবং সামাজিক লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, সরকার সমৃদ্ধির জন্য প্রতিভা ধরে রাখার গুরুত্ব উপলব্ধি করে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সমর্থন করে।

সম্প্রসারিত নীতি কাঠামোর অধীনে, যোগ্য প্রার্থীরা অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট থেকে স্থায়ী আবাসে স্যুইচ করতে পারেন। এই পরিবর্তনটি প্রতিভাবান ব্যক্তিদের আকৃষ্ট এবং ধরে রাখার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন যারা কানাডার বহুসংস্কৃতির ফ্যাব্রিককে শক্তিশালী করে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যাদের কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে তাদের জন্য স্থানান্তর সহজ করা হয়েছে। কানাডায় তাদের পেশাগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাদের এখন প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা রয়েছে। এটির সুবিধার্থে স্থায়ী বসবাসের জন্য যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা সমন্বয় করা হয়েছে।

এই নীতি সংস্কারটি ম্যানিটোবা এবং তার বাইরের লোকেদের জন্যও উপকারী হবে। যা নিয়োগকর্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলি সরকারের সিদ্ধান্তের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। তারা কর্মশক্তির ধারাবাহিকতা, বৈচিত্র্য এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য এর সুবিধা বুঝবে।

অধ্যয়ন-পরবর্তী কাজের মেয়াদ বাড়ানো কানাডায় আন্তর্জাতিক ছাত্রদের দীর্ঘমেয়াদী একীকরণ এবং সাফল্যকে উৎসাহিত করে। এটি শ্রমবাজারে তাদের তাৎক্ষণিক চাহিদাও পূরণ করবে।

এই পরিবর্তন আন্তর্জাতিক প্রতিভা নিয়োগের মাধ্যমে বৈচিত্র্য, উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রচারে কানাডার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।

আন্তর্জাতিক ছাত্ররা কানাডার সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে এবং অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট থেকে স্থায়ী বসবাসে স্থানান্তরিত হওয়ার সাথে সাথে এর সম্প্রদায়গুলিকে উন্নত করে। তারা দেশের বহুসংস্কৃতিবাদ এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার মূল্যবোধকে অনুকরণ করে। কানাডা একটি বৈচিত্র্যময় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে সফল ক্যারিয়ার এবং সুন্দর জীবন প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছুক প্রতিভাবান ব্যক্তিদের জন্য একটি আমন্ত্রণকারী দেশ হিসাবে তার পরিচয় অব্যাহত রয়েছে।

নিপুণের বিরুদ্ধে মিছিল, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে ফের উত্তেজনা চলছে। বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক ডিপজলের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিপুণের দ্বন্দ্ব এখন চরমে ও দৃশ্যমান। এরই মধ্যে নিপুণের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিপজলের পদে বসা স্থগিত হয়েছে হাইকোর্টে।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ীদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার ২৫ দিন পর উচ্চ আদালতে রিট করেন সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। এই রিটের পর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ডিপজলের ফলাফলের ওপর ৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এসব বিষয় নিয়ে বুধবার বিকালে এক সভার ডাক দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন। সভা শুরুর কিছুক্ষণ আগে এফডিসিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেখানে কয়েকজন শিল্পী নিপুণের বিরুদ্ধে মিছিল করেন। তারা ব্যানার হাতে নিপুণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ অধিকাংশ পদেই জয়লাভ করে মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজল পরিষদ। সবার আগে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলের মালা গলায় দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। কিন্তু এর ২৫ দিন পরই হাইকোর্টে রিট করেন এই চিত্রনায়িকা।

আদালতে রিট করা প্রসঙ্গে নিপুণ জানান, ভোটের রাতের অনিয়মের অনেক প্রমাণই রয়েছে তার কাছে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বাতিল হওয়া ভোটের সংখ্যা সঠিকটি দেননি। আমার জানামতে ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে। কিন্তু তারা ভোট বাতিল দেখিয়েছে ৪১টি। আর এ ব্যাপারে আমার প্যানেলকে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট কিছুই জানায়নি।