Monday, August 25, 2025
Home Blog Page 83

ছবির এই শিশুকে চেনেন, তিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী

রুপালি পর্দার তারকাদের নেই ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। প্রিয় তারকা ছোটবেলায় কোথায় থেকেছেন, কোন স্কুল-কলেজে পড়ালেখা করেছেন, প্রথম প্রেম কীভাবে শুরু হয়েছিল, কীভাবে প্রেমে পড়লেন এবং পারিবারিক জীবনসহ নানা বিষয় জানতে মুখিয়ে থাকেন অনুরাগীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে ভক্তদের জন্য সেসব জানা আরো সহজ হয়েছে। কারণ, তারকারাও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রাখার কারণে সহজেই ভক্তদের এসব জানাতে পারেন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। আর ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার বিয়ের আসরে বসেও বেশ আলোচিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মাত্র ১০ বছর বয়সে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। যদিও তা কোনো কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল না। তবে এর ঠিক ছয় বছর পর ২০০৩ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পর্দায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায় তাকে।

একই বছর বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু সেই সংসার টিকে উঠেনি। ডিভোর্স হয়। এরপর অবশ্য আরো দু’বার বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছেন। কিন্তু প্রতিবারই তার ক্ষেত্রে ডিভোর্স যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকারও হতে হয়েছে বারবার। এবার কি তাহলে চিনতে পেরেছেন ছবির মানুষটিকে?

হ্যাঁ, ছোটবেলার এই ছবিগুলো টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির। তার প্রথম সিনেমা ছিল ‘মায়ার বাঁধন’। ২০০৩ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় তার। একই বছর পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। তার দুটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে এই সংসার টিকেনি। ২০১৬ সালে ডিভোর্স হয় তাদের।
ছবির এই শিশুকে চেনেন, তিনি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী
এরপর মডেল কৃষাণ ব্রিজকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। সেই সংসারও অবশ্য বেশিদিন টিকেনি। এক বছর পরই ডিভোর্স হয়।

এরপর ২০১৯ সালে রোশন সিংকে বিয়ে করেন। কিন্তু এবারও বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই জটিলতা দেখা দেয় তাদের মধ্যে। এখনো আদালতে ডিভোর্সের মামলা চলমান রয়েছে তাদের। ফলে ব্যক্তিজীবনে একাধিকবার বিয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হয়ে থাকেন তিনি। আর‌ এখনো মাঝে মাঝে প্রেম প্রস্তাব পেয়ে থাকেন এ অভিনেত্রী।

এদিকে তারকাদের একাধিক বিয়ে নিয়ে ট্রোলের ব্যাপারে কিছুদিন আগেই অবশ্য বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শ্রাবন্তী। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা খুব সফট টার্গেট। কারণ আমরা পাবলিক ফিগার। যেকোনো ইস্যুতে টানা হয়। এ কী? এটা (একাধিক বিয়ে) কেবলই তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এখানে তো এত কথা বলার কিছু নেই। আমি মনে করি যার সঙ্গে যা হচ্ছে, যে যেখানে ভালো থাকে, সেভাবে থাকুক। কেননা, জীবন তো একটাই। আমার মতে জীবনে ভালো থাকাই গুরুত্বপূর্ণ।’

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনের ফল বাতিল এবং নতুন নির্বাচন দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।

রিটে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।

আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় জানান, কিছু অনিয়ম ও জালজালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন নিপুণ আক্তার। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তিনি ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করেছেন। আবেদনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল, নতুন নির্বাচন, অনিয়মের অনুসন্ধান এবং নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নিপুণের রিট
আবেদনে সমাজ কল্যাণ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, সংস্কৃতি সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভলান্টারী সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এজেন্সি,ঢাকার কর্তৃপক্ষ, শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ড, শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশন, মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর (২৬৫ ভোট)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫ ভোট)। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯ ভোট)।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাশ করলেন পুলিশ কনস্টেবল সামাদ

চাকরির বাকি আর মাত্র দু’বছর দশ মাস। এরইমধ্যে পুলিশের পোশাকে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ৩৭টি বসন্ত। তবে পালক ঝরে পড়ার আগে ফিনিক্স পাখির মতো জ্বলে উঠেছেন বগুড়ার ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আব্দুস সামাদ। ৫৭ বছর বয়সে তিনি কারিগরি শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন৷

রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে পুলিশ সদস্য আব্দুস সামাদের এ সাফল্যের খবর জানা যায়।

পুলিশ কনস্টেবল সামাদ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে বগুড়া সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন।

সামাদ দুই বছর আগে নাটোরের লালপুরের মোহরকয়া নতুনপাড়া মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে এ বছর ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন।

পুলিশ কনস্টেবল সামাদ জানান, দুই মাস আগে বগুড়া পুলিশে যোগদান করেন তিনি। এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীর ট্রাফিক বিভাগে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় ঈশ্বরদী থেকে বিদ্যালয়টি কাছে হওয়ার সুবাদে নাটোরের লালপুরের একটি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। তবে পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার আগেই বগুড়ায় বদলি হয় তার।

তিনি জানান, ১৯৮৭ সালের ১০ অক্টোবর পুলিশ বিভাগে চাকরি পান। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান সামাদের আরও দুই ভাই ও এক বোন আছেন। তাই পরিবারের হাল ধরতে সেই সময় অষ্টম শ্রেণি পাস করেই তিনি পুলিশে যোগদান করেন। পরে কর্মস্থলের ব্যস্ততায় আর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি৷ তবে চাকরির শেষ সময়ে এসে স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফলাফলে বাজিমাত করেন সামাদ৷

আব্দুস সামাদ বলেন, এরইমধ্যে হোমিওপ্যাথির চিকিৎসাশাস্ত্র তিনি পড়াশোনার মাধ্যমে আয়ত্ত করেছেন। তাই বগুড়া হোমিও কলেজে ডিপ্লোমা ভর্তি হয়ে অবসরের পর শেষ জীবনের শেষ সময়টুকু সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে কাটিয়ে দিতে চান৷

আব্দুস সামাদের এসএসসি পাসের খবর জানার পর তার কর্মস্থল ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়ে মিষ্টিমুখ করান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ডিপার্টমেন্ট থেকে সদস্যদের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবসময় ইতিবাচক সহযোগিতা করা হয়। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাদের ৫৭ বছর বয়সে এসে এসএসসি পাস সমাজের সবশ্রেণি পেশার মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। মানুষ চাইলে সব সাধন করতে পারেন, সামাদ তারই প্রতিফলন দেখিয়েছেন।

একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে পরীক্ষা, একই নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫

টাঙ্গাইলের ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল তারা। একসঙ্গেই বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।

এমন সাফল্যে খুশি তাদের মা সুস্মিতা ঘোষ ও বাবা অনুপ কুমার সাহা। বাবা অনুপ কুমার সাহা টাঙ্গাইল ওয়ালটন প্লাজায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যমজ বোনের প্রত্যেকে ১১২৩ নম্বর পেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

অর্পিতা ও অর্না জানায়, আমরা যমজ বোন। একই স্কুলে পড়েছি একইসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি; তাও জিপিএ-৫ পেয়ে। খুবই খুশি লাগছে আমাদের। বাবা-মা সবসময় আমাদের ভালো রেজাল্ট করার জন্য অনুপ্রেরণা দিতেন। ভবিষ্যতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার ইচ্ছা আছে।

বাবা অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমার যমজ মেয়েরা খুবই মেধাবী। তাদের এই ফলাফলে খুশি আমার পরিবার। দুটি মেয়ে সামনের দিকে আরও ভালো ফলাফল করবে সেই প্রত্যাশা করি।

বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ নতুন সিকিউরিটি ফিচার নিয়ে কাজ করছে। নতুন ফিচারের ফলে আর কেউ প্রোফাইল পিকচারের স্ক্রিনশট নিতে পারবে না। যাকে প্রোফাইল ছবির গোপনীয়তা বলা হচ্ছে। যা অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন ব্যবহারকারী উভয়ের জন্য কার্যকর।
অ্যান্ড্রয়েডে হোয়াটসঅ্যাপ বিটার সবশেষ আপডেট ভার্সন 2.24.4.25 এরই মধ্যে প্রোফাইল ছবির সিকিউরিটি ফিচার চালু করেছে। এই ফিচার কার্যকর করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা উন্নত হলো এবং অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার বা পাঠানো সম্ভব হবে না।

এদিকে প্রোফাইল ছবির এই গোপনীতার ফিচার এখনো আইফোন ব্যবহারকারী সবার জন্য কার্যকর হয়নি। তবে আইওএস (iOS) এর জন্য সবশেষ হোয়াটসঅ্যাপ বিটার ভার্সন 24.10.10.70 আভাস দেয় যে, প্রোফাইল ছবির এই গোপনীয়তা কাজ করছে। আর হোয়াটসঅ্যাপও শিগগিরই সব আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য ফিচারটি কার্যকর করতে কাজ করছে।

হোয়াটসঅ্যাপের লক্ষ্য ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়া তাদের প্রোফাইল ছবি নেয়া এবং তা শেয়ার করা থেকে অন্য ব্যবহারকারীকে বিরত রাখা। যদিও ব্যবহারকারীরা অন্য প্রযুক্তি ও ডিভাইসের মাধ্যমে ছবি তোলা, অ্যাপে স্ক্রিনশট নিতে হবে। তবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ফিচার পুরোদমে কার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অন্যের সম্মতি ছাড়া ছবি নেয়া বা স্ক্রিনশট নেয়া কঠিন হবে।

বৃষ্টির শিলা খেলে কী হয় জানেন তো?

এ বছর পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় চলেছে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিলে মাসে দুই থেকে তিনটি তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এ বছর তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হবে বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। হয়েছেও তাই।

তবে শুধু এপ্রিল নয়, এ বছর মে মাসেও তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে বলে আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এমনকি এ বছর বৃষ্টিপাত এবং বজ্রপাতও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে পারে শিলাবৃষ্টিও।

শিলাবৃষ্টির কারণ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিভিয়ার স্টমর্স ল্যাবরেটরির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, শিলাবৃষ্টি সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হলো ভূ-পৃষ্ঠের তীব্র তাপমাত্রা। তীব্র তাপের কারণে ভূ-পৃষ্ঠের জলীয়বাষ্প ঊর্ধ্ব আকাশের দিকে উঠতে থাকে। এই জলীয় বাষ্প অনেক উঁচুতে গিয়ে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ছোট ছোট বরফে পরিণত হয়। আশেপাশের বৃষ্টির ফোঁটা ও অন্য বরফ টুকরো মিলে বরফখণ্ডগুলো বড় ও ভারি হতে থাকে। এভাবে এক সময় যখন বরফ বা শিলাখণ্ডেরওজন বেড়ে যায় তখন এটি বৃষ্টির সঙ্গে নিচের দিকে পড়তে শুরু করে। এভাবে ভূ-পৃষ্ঠে বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বা বরফখণ্ড নেমে আসে।

এ বছর ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার শিলাবৃষ্টি হতে দেখা গেছে। প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে বৃষ্টি সব সময়ই আনন্দের। আর তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি তো পরম স্বস্তির। আর বৃষ্টির সঙ্গে শিলা তো আরও বাড়তি আনন্দের যোগ করে।

তবে গরম থেকে স্বস্তি দিলেও বৃষ্টির শিলাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। আবার অনেকেই আছেন, বৃষ্টির শিলা খেতে খুব পছন্দ করেন। এখন প্রশ্ন হলো, যে শিলা ফসলের ক্ষতি করে, সেই শিলা খেলে কি মানবদেহের কোনো ক্ষতি হয়?

গবেষকরা বলছেন, বৃষ্টির সঙ্গে পড়া এসব শিলা খাওয়া মোটেই নিরাপদ না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বৃষ্টির সঙ্গে পড়া শিলাতে নানা ধরনের দূষিত উপাদান থাকে; যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

সম্প্রতি এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, শিলাতে নাইট্রেটসহ বেশকিছু ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। এই উপদানগুলো পানিতেও থাকে, তবে শিলাতে এসবের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি।

এ বিষয় অধ্যাপক আব্দুস সালাম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, “যখন শিলাবৃষ্টি শুরু হয়, তখন সেটাকে আইস নিউক্লিয়েশন বলা হয়। এই আইস নিউক্লিয়েশনে বাতাসের বিভিন্ন পলিউশন থাকে। এই পলিউশনের কিছু কিছু সাফসটেন্স আইস নিউক্লিয়া হিসেব কাজ করে। অর্থাৎ যে আইস গঠিত হয়, তার সিড হিসেবে কাজ করে। যখন পলিউশনটা সিড হিসেবে কাজ করে তখন আইসটা চারিদিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপর একটা আরেকটার সঙ্গে যুক্ত ওয়াটার কনডেন্সড তৈরি করে। এই ওয়াটার কনডেন্সড শিলায় রুপান্তরিত হয়। শিলাটা যখন বাতাসে হালকা থাকে তখন ভেসে থাকে, যখন এটি ভারি হয় তখন ভুপৃষ্ঠে নেমে আসে।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ যদি এটা খায় তাহলে এর মধ্যে থাকা পলিউশন শরীরে প্রবেশ করে। এজন্য শিলা খাওয়া উচিত না। যেকোনো পানীয় পানযোগ্য হওয়ার জন্য ৪০টি প্যারামিটার রয়েছে। শিলা এই ৪০টি প্যারামিটার ফুলফিল করে না। কারণ, এটার জন্মই হলো পলিউশন সিড থেকে।”

তাই, শিলাবৃষ্টি দেখে যতই স্মৃতিকাতর বা আনন্দিত হোন না কেন বা মনে যতই হিল্লোল বয়ে যাক না কেন; কোনোভাবেই শিলা খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শিশুরা যেন শিলা না খায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ভয়ংকর প্রতারণার অভিযোগ সেই তনির বিরুদ্ধে, শোরুম সিলগালা

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগে রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।

স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

সিদ্দিকুর রাহমান, স্পেন
স্পেনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসী এক যুবক নিহত হয়েছেন। মেহেদী হাসান (২৩) নামের এ যুবকের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

স্থানীয় সময় রোববার (১২ মে) ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেহেদী। এর আগে শনিবার রাতে কাজ শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি।

নিহতের চাচা মুক্তার হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো মেহেদী হাসান রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে জেব্রা ক্রসিংয়ে পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেহেদী।

ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইন স্পেনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম মাসুদুর রহমান জানান, মরদেহ মাদ্রিদের প্লাজা কাস্তিয়ায় সরকারি পর্যবেক্ষণ চলছে। এখন মরদেহ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রবাস এক দীর্ঘশ্বাসের নাম

প্রবাস এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। আমার কাছে প্রবাসের কোনো ক্লাসিফিকেশন নেই। এর মানে যারা নিজ দেশের বাইরে থাকেন তাদের অধিকাংশেরই অনুভূতি এক ও অভিন্ন। এখানে সবাইকে পরিশ্রম করে টিকে থাকতে হয়। সেটা হোক সৌদি-জাপান-সিংগাপুর-সুইজারল্যান্ড-আমেরিকা-ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া।

কিছু মানুষ হয়তো তাদের অসম্ভব মেধা ও পরিশ্রমের কারণে সবাইকে ছাড়িয়ে ভিন্ন উচ্চতায় নিজেদের নিয়ে যান। তাছাড়া সবার গল্প এক। প্রতিদিন রুটিন করে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়া, সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আবার ঘুমানোর প্রস্তুতি। সেই সাথে মাথায় থাকে অসংখ্য দুশ্চিন্তা। প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় দেখি কত মানুষ রাস্তায় শুয়ে আছে। গায়ে জামা নেই, খাবার নেই। মাঝে মাঝে ভাবি, এদের কী কোনো অভিযোগ নেই? রাগ নেই?

ক্ষোভ নেই? রাস্তায় শুয়ে বসে থাকা মানুষগুলো মাইগ্রেটেড আর সাদা অস্ট্রেলিয়ান। দেখে খুব মায়া হয়। আজও একজনকে দেখলাম উদোম শরীরে ফুটপাতের মাঝে মাথায় একটা শার্ট জড়িয়ে শুয়ে আছে। জীর্ণশীর্ণ শরীর, শরীরে অসংখ্য দাগ। এতটা নাজুক মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় কমই দেখেছি।

আমাদের অবস্থা হয়তো এত নাজুক নয়। তবে অবস্থানটা কোথায় সেটাও অনুধাবন করা যায়। ঠিক দিনে এনে দিনে খাওয়ার মতো অবস্থা। এদেশে একা উপার্জন করে টিকে থাকাই দুরূহ। টিকে থাকার জন্য কতই না পরিশ্রম করেছি গত ছয়টা বছর! দেশে যে কাজ কখনও কল্পনাই করিনি সেই কাজও করতে হয়েছে সংসারের স্বার্থে।

এদেশে এটাই কাজের সংস্কৃতি। কাজে লজ্জা নেই। কাজ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেয়। তাই মানুষ কাজ করে। তাছাড়া এখানে কিছু কিছু চাকরি বাদে সবক্ষেত্রেই প্রায় সমান বেতন দেওয়া হয়। বেতন দেওয়া হয় ঘণ্টার ভিত্তিতে।

মাঝে মাঝে ভাবি, আমাদের দেশের মানুষ না খেয়ে মারা যাবে, তাও কাজ করবে না। আবার সেই মানুষগুলোই দেশের বাইরে গেলে সব কাজ করে। আমরা কাজের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারিনি। পারিনি বিধায় আমাদের একটা বড় জনশক্তি অব্যবহৃত। কিংবা একটা দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র একজন নাগরিকের সেবা থেকে বঞ্চিত থাকে।

অস্ট্রেলিয়ায় শিশুরা ১২ বছরের পর থেকেই কাজ শুরু করে। এতে দেখা যায় যে বয়সে আমি আপনি চাকরির পেছনে ঘুরছি সেই বয়সে তারা বাড়ির মালিক হয়।

বাংলাদেশের মানুষ উচ্চ শিক্ষার জন্য উন্নত বিশ্বে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করেন। অথচ তারা যখন দেশে ফিরে যান সেই কাজের অভিজ্ঞতাগুলো কাউকে বলেন না। অর্থ জমিয়ে বাড়ি গাড়ি করে সেই আগের অবস্থাতেই ফিরে যান। এমন একটা ভাব নিয়ে চলাচল করেন যেনও পূর্বের জনমে সবাই রাজা বাদশা ছিলেন। আমাদের এই সংস্কৃতির পরিবর্তন আবশ্যক।

একটা দেশের পাঁচ ভাগের এক ভাগ মানুষের উপার্জন দিয়ে দেশের উন্নতি অনেক কঠিন। আমাদের বাবা-মায়েরা সন্তান চাকরি করার আগ পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব বয়ে বেড়ান। একটা সরকারি চাকরির আশায় জীবন থেকে ৩০-৩৩ বছর চলে যায়। এই অভিশাপ থেকে জাতির মুক্তি দরকার।

আমরা উন্নত বিশ্বের কথা বলি, উন্নত বিশ্বের মতো হতে চাই। কিন্তু উন্নত বিশ্বের উন্নত হওয়ার ম্যাকানিজম ফলো করি না। যার কারণে একজনকেই সংসারের সকল দায়-দায়িত্ব বহন করতে করতে জীবন পার করতে হয়। জীবন পার হয় রাষ্ট্রের।

লন্ডনে ব্যাপক ধরপাকড়ে বাঙালী পাড়ায় আতঙ্ক, ফের ইমিগ্রেশন রেইড

কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার করতে লন্ডনে নিয়মিত চলছে ইমিগ্রেশন রেইড। প্রতিদিনই রাজধানীর কোথাও না কোথাও চলছে ধরপাকড়। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে পূর্ব লন্ডনের শেডওয়েলে মেগা অভিযান চালিয়েছে ইউকে বর্ডার এজেন্সি।

৯ই মে বৃহস্পতিবার চ্যাপম্যান স্ট্রিটের বাংলাদেশি মালিকানাধীন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ হানা দেয়। বিভিন্ন দোকান তল্লাশি করে পাঁচ জনকে আটক করে, এদের সবাই ওভার স্টেয়ার বা অনিয়মিত অভিবাসী। আটককৃত পাঁচ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।

অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজে রাখার দায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তবে এবারের অভিযানটি ছিল একেবারেই ভিন্ন, রেইডের সময় ইমিগ্রেশন পুলিশের কোনো নিয়মিত ইউনিফর্ম ছিল না, প্রথমে ক্রেতা বেশে দুই জন কর্মকর্তা আসেন পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ডজন খানেক সাদা পোশাকধারী ইমিগ্রেশন পুলিশ পুরো স্ট্রিট ব্লক করে দেয়, তারপর একে একে চলে অভিযান। এনিয়ে চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য গত সপ্তাহে পার্শ্ববর্তী এলাকা হোইটচ্যাপেলে ইমিগ্রেশন অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে বেশ করেকজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে কর্তৃপক্ষ।