Connect with us

প্রবাস

লন্ডনে ব্যাপক ধরপাকড়ে বাঙালী পাড়ায় আতঙ্ক, ফের ইমিগ্রেশন রেইড

লন্ডনে ব্যাপক ধরপাকড়ে বাঙালী পাড়ায় আ ত ঙ্ক, ফের ইমিগ্রেশন রেইড

কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার করতে লন্ডনে নিয়মিত চলছে ইমিগ্রেশন রেইড। প্রতিদিনই রাজধানীর কোথাও না কোথাও চলছে ধরপাকড়। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে পূর্ব লন্ডনের শেডওয়েলে মেগা অভিযান চালিয়েছে ইউকে বর্ডার এজেন্সি।

৯ই মে বৃহস্পতিবার চ্যাপম্যান স্ট্রিটের বাংলাদেশি মালিকানাধীন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ করে ইমিগ্রেশন পুলিশ হানা দেয়। বিভিন্ন দোকান তল্লাশি করে পাঁচ জনকে আটক করে, এদের সবাই ওভার স্টেয়ার বা অনিয়মিত অভিবাসী। আটককৃত পাঁচ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।

অনিয়মিত অভিবাসীদের কাজে রাখার দায়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তবে এবারের অভিযানটি ছিল একেবারেই ভিন্ন, রেইডের সময় ইমিগ্রেশন পুলিশের কোনো নিয়মিত ইউনিফর্ম ছিল না, প্রথমে ক্রেতা বেশে দুই জন কর্মকর্তা আসেন পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ডজন খানেক সাদা পোশাকধারী ইমিগ্রেশন পুলিশ পুরো স্ট্রিট ব্লক করে দেয়, তারপর একে একে চলে অভিযান। এনিয়ে চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য গত সপ্তাহে পার্শ্ববর্তী এলাকা হোইটচ্যাপেলে ইমিগ্রেশন অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে বেশ করেকজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে কর্তৃপক্ষ।

Continue Reading

আলোচিত

কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভবিষ্যত ‘অনিশ্চিত’

কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভবিষ্যত ‘অনিশ্চিত’

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার আসনে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ‘সেকেন্ড কামিং’ নিয়ে চর্চা হচ্ছে অনেক। কারণ, ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প এক বড়সড় ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের অবিলম্বে আমেরিকা থেকে বের করে দেবেন এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার আইনটিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই ঘোষণার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী প্রবাসীরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। বিশেষভাবে, গত বছর কানাডায় ভিজিট ভিসায় গিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করা বাংলাদেশীদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশিদের মধ্যে সিংহভাগই সিলেট বিভাগের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ হলেন অভিবাসী। বিদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির এ হার গত কয়েক বছর থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার তার লাগাম টানতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। যদিও এর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।

তবুও ট্রাম্পের প্রশাসন ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন; ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে তাদের ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে পরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসব অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কানাডা থেকে ভিজিট ভিসায় এসে আমেরিকায় ঢোকা বাংলাদেশীরা, যারা বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। তারা জানেন না, তাদের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, কারণ তারা অবৈধ অবস্থায় আছেন।

আমেরিকায় এই বাংলাদেশী অভিবাসীদের একটি বড় অংশ কাজ করছেন বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, বা অন্যান্য সেক্টরে। এসব মানুষ বহু অর্থ খরচ করে, দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে, ভিজিট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন। এখন, ট্রাম্পের কঠোর নীতির ফলে, তাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বৈধভাবে বসবাস করছেন। তবে, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছেন। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।

এছাড়া, আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর অন্যতম একটি উৎস। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টানা তিন মাস ধরে রেমিট্যান্স পাঠানো দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, যদি আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভিজিট ভিসায় যাওয়া সিলেট নগরীর পীরমহল্লা এলাকার এক যুবক বলেন, অনেক টাকা খরচ করে ভিজিট ভিসায় কানাডায় এসেছিলাম। এসে দেখি কাজ নেই। এক সপ্তাহ পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছি আমেরিকায়। এর জন্য দালালকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। আসার পর কাজ পেয়েছি, ভালোই চলছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কখন গ্রেফতার হতে হয়, সেই ভয়ে দিন কাটে। শুধু তিনি একা নন, আমেরিকায় সম্প্রতি এই পথে পাড়ি জমানো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার পর তারা এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন। দিন কাটছে গ্রেফতার আতঙ্কে। এই অবৈধ অভিবাসীরা কি তাদের জীবিকার জন্য ভবিষ্যতে আইনি সুরক্ষা পাবে, নাকি তাদেরকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে? এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার উত্তর নেই, তবে ট্রাম্প প্রশাসন একেবারে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা এই ধরনের অভিবাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধরপাকড় করবে। এর ফলে, দেশটির পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যাদের কাজ হলো এসব অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।

Continue Reading

আলোচিত

ইতালির জন্য ‘গেম’ দিয়ে নিখোঁজ কুদ্দুস, নিঃস্ব হয়েছে পরিবার

ইতালির জন্য ‘গেম’ দিয়ে নিখোঁজ কুদ্দুস, নিঃস্ব হয়েছে পরিবার

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কুদ্দুস বেপারী (৩২)। বাড়ি থেকে যাত্রা করার আগে দালালকে লিখে দিয়েছেন দুই বিঘা জমি। এখন স্বামী আর জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন কুদ্দুসের স্ত্রী এবং একমাত্রা সন্তান। ইউরোপ যেতে পারলেই স্বপ্ন পূরণ, এমন আশায় বের নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারী। আর দেশে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার।

নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের আতাহার বেপারী ও শান্তি বেগমের ছেলে। তিনি বাংলাদেশে ছিলেন মোবাইল মেকানিক।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের দালাল মনির শেখ (৫০) ২ বিঘা জমি লিখে নেন কুদ্দুস বেপারীর কাছ থেকে। ওই জমির মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। পরে গত চার মাস আগে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন কুদ্দাস। বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় গিয়ে বন্দি থাকেন এক জায়গায় যাকে দালালদের ভাষায় বলা হয় ‘গেম ঘর’। সম্প্রতি লিবিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকে কুদ্দুস বেপারী নিখোঁজ। ওই ঘটনার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই তার। তিনি জীবিত নাকি মৃত, কিছুই জানে না কেউ।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, দালাল মনির শেখ দুই বছর আগেও দর্জির কাজ করতেন। এরপর বিভিন্ন যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধপথে ইতালি নেওয়ার কাজ শুরু করেন। তার মাধ্যমেই ইতালি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন কুদ্দুস বেপারী।

কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী দিনা আক্তার বলেন, তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে আট মাস বয়সের একটি ছেলে আছে। হঠাৎ দালাল মনিরের প্রলোভনে পড়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা দামের ২ বিঘা জমি গোপনে লিখে দেয় আমার স্বামী। আমরা কিছুই জানতাম না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমার স্বামী জানায়, মনির দালালের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে। ৪ মাস লিবিয়ায় ছিল। তখন তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু গত প্রায় ১৪ দিন কোনো কথা হয় না। তার কোনো খোঁজও পাচ্ছি না। এদিকে দালালও পালিয়ে গেছে, তারও ফোন বন্ধ।

দিনা আক্তার বলেন, একপর্যায়ে জানতে পারি গত ২৪ জানুয়ারি নাকি লিবিয়ার বেনগাজি থেকে ৪৩ জনের গেম দিয়েছে, তাতে অনেকেই মারা গেছে। অনেকেই নিখোঁজ। সেদিন থেকেই আমার স্বামীরও কোনো খোঁজ নেই। এখন আমার ছেলেকে নিয়ে আমি কীভাবে বাঁচবো? দালালের কঠোর বিচার চাই।

ইতালির জন্য ‘গেম’ দিয়ে নিখোঁজ কুদ্দুস, নিঃস্ব হয়েছে পরিবার

নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারীর ভাই সোবহান বেপারী বলেন, আমার ভাইকে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২ বিঘা জমি লিখে নিয়েছে মনির দালাল। আমার বাবা ও আমাকে ভাই কিছুই জানায়নি। সর্বশেষ ২২ জানুয়ারি আমার ভাই আমাদের জানিয়েছিল, গেম দেবে তাই তার ফোন নিয়ে যাবে। এরপর থেকে কোনো কথা হয়নি। গেম দেওয়ার কথা ছিল ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু কবে গেম দিয়েছে, আমার ভাই বেঁচে আছে কি না, কিছুই জানি না। আর কোনো যোগাযোগ নেই। দালালও ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা কী করবো, জানি না। দালাল মনিরের বিচার চাই।

নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারীর মা শান্তি বেগম বলেন, আমার ছেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে দালাল মনিরকে ২ বিঘা জমি লিখে দিয়েছে। আমরা এর কিছুই জানতাম না। হঠাৎ একদিন বলে আমি ইতালি যাই। লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবো। আমাদের আর কোনো দুঃখ থাকবে না। কিন্তু আমার ছেলের সঙ্গে বর্তমানে কোনো যোগাযোগ নেই। আমার ছেলে বেঁচে আছে কি না তাও জানি না। আমি মনির দালালের বিচার চাই, ছেলের সন্ধান চাই।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে মামলা করতে পারেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। মানবপাচারকারীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর কেউ যেন না যান, সে বিষয়ে আমরা সচেতনতামূলক সভা করছি।

এ ব্যাপারে দালাল মনির শেখের মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া তার বাড়িও তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।

Continue Reading

আলোচিত

নিউইয়র্কে বাড়ির সামনে বাংলাদেশিকে গু’লি

নিউইয়র্কে বাড়ির সামনে বাংলাদেশিকে গুলি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের ওজোন পার্ক এলাকায় গতকাল রোববার রাতে দুর্বৃত্তের গু’লিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি। ওই দুর্বৃত্ত তাঁর কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি চিৎকার করলে তাঁকে গু’লি করা হয়। আহ’ত বাংলাদেশির নাম মামুনুর রশিদ। তাঁকে নিউইয়র্কের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক নগরের বাংলাদেশি অধ্যুষিত ওজোন পার্ক এলাকার ১০১ অ্যাভিনিউর ৭৪ স্ট্রিটের কাছে মামুনুর রশিদের বাড়ি। বাংলাদেশে তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

রোববার রাত ১১টার দিকে বেশ তুষারপাত হচ্ছিল। এ সময় তিনি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় মুখোশধারী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি এসে তাঁর কাছে থাকা মানিব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চায়। মামুন ভয়ে চিৎকার করলে সেই ছি’নতাইকারী গুলি করে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট অনিক রাজ বলেন, গু’লিবিদ্ধ হয়ে মামুনুর রশিদ রাস্তায় পড়ে থাকলে একই এলাকায় বসবাসকারী বিয়ানীবাজারের একজন মুরব্বি পুলিশে ফোন করেন। খবর পেয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।

মামুনুর রশিদের বন্ধু ফাহাদ হোসাইন বলেন, আহ’ত অবস্থায় পুলিশ মামুনুরকে উদ্ধার করে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন নয় বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত কেউ গ্রে’প্তার হয়নি বলে এনওয়াইপিডি সূত্রে জানা গেছে।

এনওয়াইপিডি তদন্তের স্বার্থে ওই জায়গায় মানুষের চলাচল নি’ষি’দ্ধ করেছে। এনওয়াইপিডি জানিয়েছে, মামুনুর রশিদকে দুটি গু’লি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রে’প্তারের চেষ্টা চলছে।

Continue Reading

আলোচিত

বাংলাদেশিসহ ৩ কোটি আমেরিকানের মাথায় হাত

বাংলাদেশিসহ ৩ কোটি আমেরিকানের মাথায় হাত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির হোমকেয়ার, ফুড স্ট্যাম্প, স্টুডেন্ট লোন, বাড়ি ভাড়ার ভর্তুকিসহ সব অনুদান স্থগিতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে লাখো বাংলাদেশিসহ ৩ কোটি আমেরিকানের মাথায় হাত।

এই সিদ্ধান্তে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন সহায়তা, দুর্যোগ ত্রাণ এবং আরও অনেক কর্মসূচিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই সিনেটে সংখ্যালঘিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট লিডার সিনেটর চাক শ্যুমারসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়া এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

সোমবার প্রকাশিত একটি মেমোতে অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভ্যাথ জানান, ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করা হয়েছে। এই স্থগিতাদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন অনুদান ও ঋণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করবে এবং তা রাষ্ট্রপতির অগ্রাধিকার ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করবে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচি বাতিলের একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন।

ভ্যাথ বলেন, প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নীতিতে ফেডারেল সম্পদ ব্যবহার করাটা করদাতাদের অর্থের অপচয়।

এটি জনগণের দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি ঘটায় না।

মেমোতে বলা হয়েছে, এই স্থগিতাদেশে বিদেশি সাহায্য এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও)-সহ বিভিন্ন খাতের তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সোশ্যাল সিকিউরিটি বা মেডিকেয়ার পেমেন্ট এবং ব্যক্তিগত সাহায্য এই স্থগিতাদেশের আওতায় পড়বে না।

এই মেমো ট্রাম্প প্রশাসনের ফেডারেল সরকার পুনর্গঠনের সর্বশেষ পদক্ষেপ।

গত সপ্তাহে একাধিক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বৈচিত্র্য কর্মসূচি বন্ধ, নিয়োগ স্থগিত, বিদেশি সাহায্য বন্ধ এবং সরকারি চাকরির সুরক্ষা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা। তারা এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। সোমবার রাতে ওএমবি-র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভ্যাথকে লেখা এক চিঠিতে সিনেটর প্যাটি মারে এবং কংগ্রেসওম্যান রোজ ডেলাউরো বলেন, এই আদেশ নজিরবিহীন এবং এর প্রভাব সারা দেশে ধ্বংসাত্মক হবে।

সিনেট ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, কংগ্রেস অনুমোদিত ব্যয় বন্ধ করার অধিকার প্রশাসনের নেই।

এই আদেশ বাস্তবায়িত হলে লাখ লাখ আমেরিকানের ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অলাভজনক সংস্থা, রাজ্য দুর্যোগ সহায়তা, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বয়স্কদের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

Continue Reading

আলোচিত

নিউইয়র্কে ব্যাপক ধরপাকড়, সিলেটি গ্রেফতার

নিউইয়র্কে ব্যাপক ধরপাকড়, সিলেটি গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কুইন্স ও ব্রঙ্কস বরো এলাকা থেকে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার অন্তত ২০ জন নথিপত্রহীন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। এর মধ্যে সাব্বির আহমেদ নামে এক সিলেটিও রয়েছেন। খবর ‘প্রথম আলো’র।

জানা গেছে, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার সদরের বাসিন্দা সাব্বির ব্রাজিল হয়ে মেক্সিকো বর্ডার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই তরুণ।সিলেটের খাবার ও রেস্তোরাঁ

তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় আইসের সদস্যদের সঙ্গে সাদাপোশাকধারী পুলিশ সদস্য ও নিউইয়র্ক পুলিশ দপ্তরের সদস্যরা ছিলেন।

সাব্বিরের বড় ভাই শামীম আহমেদ বলেন, ভোর ছয়টার দিকে জোরে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন কেউ একজন। ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেন ঘরের বাসিন্দারা। এরপর একজন সাদাপোশাকধারী পুলিশ ঘরে ঢোকেন। সাব্বির আহমেদের ছবি দেখিয়ে জানতে চান, কেউ তাঁকে চেনেন কি না? ‘না’ বলতেই আইসের পোশাকধারী তিন-চারজন পুলিশ ঘরে ঢুকে পড়েন। পুরো তিনতলা বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সবার পরিচয়পত্র দেখতে চান তাঁরা। সবাইকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে বাড়ির বেসমেন্টে গিয়ে তাঁরা সাব্বিরকে পেয়ে যান।

শামীম আহমেদ বলেন, বেসমেন্টে ঘুমিয়ে ছিলেন সাব্বির। ঘুম থেকে উঠে তাঁকে যেতে হচ্ছে জেলে, হয়তো ছাড়তে হবে আমেরিকাও।

পরিবারের সদস্যরা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন সাব্বির। ২০ দিন আগে হাতে পান আশ্রয়ের আবেদনের রিসিভ কপি। তাঁর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি রিসিভ কপি দেখান।‌ আইস কর্মকর্তারা তা গ্রহণ করেননি। পরে তাঁকে ‌আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে পরিবারের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন সাব্বির। কাগজপত্র না থাকায় নিয়মিত কাজও করতে পারছিলেন না। খণ্ডকালীন চাকরি করে চলতেন।

Continue Reading

আলোচিত

যুক্তরাষ্ট্রে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গ্রে প্তা র, একজনকে এয়ারপোর্ট থেকেই ফেরত

যুক্তরাষ্ট্রে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গ্রে প্তা র, একজনকে এয়ারপোর্ট থেকেই ফেরত

অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পরই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন স্টুডেন্ট ভিসায় আগতরাও টার্গেট হয়েছেন। এরই মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে নিয়মিত কাজ করছিলেন।

এ ছাড়া পিএইচডি কোর্স করতে ঢাকা থেকে আমেরিকার জেএফএফ এয়ারপোর্টে অবতরণকারী আরেক শিক্ষার্থীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় তার ভিসা বাতিল করে ফিরতি ফ্লাইটে উঠিয়ে দেওয়া হয়।

এমন উদ্বেগজনক তথ্য ২৭ জানুয়ারি এ সংবাদদাতাকে দিয়েছেন আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক এবং আমেরিকা সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।

তিনি আরও জানান, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে ভিসা গ্রহণের সময় উল্লিখিত তথ্যের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন আমেরিকার জেএফকে এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস অফিসার। সঠিক জবাব না পেয়ে এয়ারপোর্ট থেকেই ফেরত পাঠানো হয়। অপরদিকে স্টুডেন্ট ভিসা লঙ্ঘন করে নিয়মিতভাবে কাজ করার তথ্য উদ্ঘাটিত হয় সংশ্লিষ্টদের সেলফোন ট্র্যাকিংয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কলেজের পরিবর্তে ভিন্ন একটি স্থানে প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় অবস্থানের তথ্য খতিয়ে দেখার সময় উদ্ঘাটিত হয় ভিসার শর্ত বাতিলের তথ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ভিসায় আগত অনেক এশিয়ানই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, সুপার মার্কেট কিংবা ট্র্যাভেল এজেন্সি অথবা চিকিৎসকের প্রাইভেট ক্লিনিকে রিসিপশনিস্টের কাজ করছেন।

কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস করছেন। অবৈধ অভিবাসীদের ধর-পাকড়ের অভিযানে এহেন অপকর্মে লিপ্ত ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরাও ধরা পড়ছেন বলে নিউজার্সি, ভার্জিনিয়া, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেট্স, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, মিশিগান, আরিজোনা থেকে জানা গেছে।

এদিকে আইসের (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস অ্যানফোর্সমেন্ট) উদ্ধৃতি দিয়ে ফক্স নিউজের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার টেক্সাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ৮৪ জনসহ সারা আমেরিকা থেকে ১ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম ৭ দিনে গ্রেপ্তার হলো ৩৩ অবৈধ অভিবাসী। এরা সবাই নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টের হুমকি বলেই অবৈধদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটে হেকসেথ ফক্স নিউজকে জানান, সোমবার আরও ৪ শতাধিক সৈনিককে টেক্সাসের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।

এর ফলে আগের সপ্তাহের তুলনায় বে-আইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীর সংখ্যা ৯০ ভাগ কমেছে বলেও দাবি করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। আইসের গ্রেপ্তার-অভিযানে সন্ত্রস্ত গোটা কমিউনিটি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ওজোনপার্ক, ব্রুকলিনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পরিভ্রমণকারে সোমবার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্ট, সুপার মার্কেট, গ্রোসারি স্টোরে গ্রাহকের মতো বিক্রেতার সংখ্যাও নগণ্য মনে হয়েছে। এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিতে।

টাইমস স্কোয়ার, ডাউনটাউন, মিডটাউন, আপটাউনের ব্যবসা-বাণিজ্যেও স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জানা গেছে, নিউইয়র্কে ন্যূনতম মজুরি হচ্ছে ঘণ্টায় ১৭ ডলারের মতো। অবৈধদের দিয়ে সেসব কাজ করিয়ে ঘণ্টায় ৫-৬ ডলার করে দিতে পারায় ব্যবসায় মুনাফা বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

যদিও করোনা মহামারির পর অন্যসব পণ্যের মতো খাদ্য-বস্ত্র-বিনোদনের সব পণ্যের দামও দ্বিগুণ করা হয়েছে। অর্থাৎ অবৈধদের দিয়ে ব্যবসা চালাতে না পারলে লাভের অঙ্ক অনেক কমবে বলে ব্যবসায়ীরা ট্রাম্পের ওপর নাখোশ। এদিকে গ্রেপ্তারের পরই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর বিমান ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ডিটেনশন সেন্টারের ৪১ হাজার শয্যা আগেই পূরণ হয়ে গেছে। এজন্য গ্রেপ্তারের পরই অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অনেক আগে থেকেই ১৭ লাখের বেশি অভিবাসীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছেন গত ৪ বছর বাইডেন-কমলার আমলে অবৈধভাবে সীমানা অতিক্রমকারীরা। এ সংখ্যা ২০ লাখের বেশি বলে বিভিন্নভাবে জানা গেছে। এদের সবাইকে গ্রেপ্তার এবং দ্রুত বহিষ্কার করা সম্ভব না হলে বিপুল অর্থ লাগবে থাকা-খাওয়াবাবদ। সে ইস্যুতেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সেদিকে লক্ষ রেখে যারা সীমানা অতিক্রমের পর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবেন, তাদেরও সরাসরি মেক্সিকোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আবেদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত। সব কিছু মিলিয়ে সারা আমেরিকায় অভিবাসী-সমাজে টেনশন আর অস্থিরতা বিরাজ করছে।

Continue Reading

Trending