আলোচিত
নিউ ইয়র্কে ‘প্রভাবশালী ১০০ এশিয়ানের’ মধ্যে ৩ বাংলাদেশি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় রাজনীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে কাজ করা গণমাধ্যম সংস্থা ‘সিটি অ্যান্ড স্টেট নিউ ইয়র্ক’ প্রকাশিত ‘প্রভাবশালী ১০০ এশিয়ানের’ মধ্যে জায়গা পেয়েছেন ৩ বাংলাদেশি।
চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত ‘দ্য ২০২৪ পাওয়ার অফ ডাইভার্সিটি: এশিয়ান ১০০’ শিরোনামে এ তালিকায় থাকা বাংলাদেশি-আমেরিকানরা হলেন- নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ (৩৩), শ্রমিকনেতা মাফ মিসবাহ উদ্দিন এবং সংগঠক তানভির চৌধুরী (২২)।
তালিকায় শাহানা হানিফ রয়েছেন ১৭ নাম্বারে। ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূলের সংগঠকদের অন্যতম নেতা তিনি, কাজ করেন অভিবাসী সমাজের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে।
শাহানার জন্ম ও বেড়ে উঠা নিউ ইয়র্কে হলেও বাংলায় কথা বলে বাংলাদেশি অভিবাসী সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকায় চট্টগ্রাম সমিতির নেতা মোহাম্মদ হানিফ তার বাবা। তাদের আদিনিবাস চট্টগ্রামে।
তালিকায় ৩৪ নাম্বারে রয়েছেন নোয়াখালীর সন্তান মাফ মিসবাহ উদ্দিন। তিনি নিউ ইয়র্কে শ্রমিক ইউনিয়ন ‘ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ৩৭’-এর কোষাধ্যক্ষ এবং ২০০০ সাল থেকে সিটির অ্যাকাউন্ট্যান্ট, স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড অ্যাকচুয়ারিজ ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি।
মিসবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে উঠেছে ‘অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান লেবার’ (অ্যাসাল)। এ সংগঠন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন কংগ্রেস, স্টেট সিনেট, স্টেট অ্যাসেম্বলি ও সিটি কাউন্সিলে বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশিয়ান প্রার্থীদের বিজয়ে ভূমিকার পাশাপাশি বাংলাদেশিদের মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে অবদান রেখেছে।
তালিকায় ৯৭ নাম্বারে রয়েছেন তানভির চৌধুরী (২২)। ব্রঙ্কসের বাসিন্দা তানভির লেখাপড়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে জড়িত হয়ে ইতোমধ্যে মূলধারা ও প্রশাসনে অনেকের দৃষ্টি কেড়েছেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিউ ইয়র্ক কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩ এর বিশেষ নির্বাচনে বিজয়ী টম সোউজির ভোট ব্যাংকে বাংলাদেশি তথা দক্ষিণ এশিয়ানদের যুক্ত করতে ভূমিকা পালন করেছেন তানভীর। তার নেতৃত্বে কাজ করছে ‘দ্য সি ব্লু নিউ ইয়র্ক’ নামে একটি সংগঠন। এটি মূলত অভিবাসী সমাজ ও নতুন প্রজন্মের ভোটারকে মার্কিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততায় কাজ করে।
রাজনীতি, সমাজ, সম্প্রদায় এবং বহুজাতিক সমাজের কল্যাণে কাজ করা অভিবাসীদের উপর পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ভিত্তিতে শত প্রভাবশালীর এ তালিকায় এশিয়ান-আমেরিকান নেতা হিসেবে ‘বিশেষ স্থানে’ রাখা হয়েছে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এবং নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমারকে।
এছাড়া ‘সিটি অ্যান্ড স্টেট নিউ ইয়র্ক’ এর তথ্যানুসারে নিউ ইয়র্কে ৮ শতাধিক ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে নবম বৃহত্তম ভাষা হচ্ছে বাংলা। এ অঙ্গরাজ্যে ৩ লাখের বেশি বাংলাভাষীর বাস।
তবে মার্কিন রাজনীতিতে তারা ‘ঐক্যের অভাবে এগিয়ে যেতে পারছেন না’ বলে অভিমত অভিবাসীদের। আসছে নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে এ ‘অনৈক্য’ কেটে যাবে বলে প্রত্যাশা তাদের
আন্তর্জাতিক
কলকাতায় হাহাকার, বাংলাদেশিদের অভাবে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা
কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা, যেখানে এক সময় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত; কিন্তু সেটা এখন এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে।
এই এলাকার ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের অনুপস্থিতিতে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয়, অনেক ব্যবসায়ী বলতে বাধ্য হচ্ছেন—‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়।’
প্রসঙ্গত, কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিট, হগ মার্কেট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং কেওয়াইডি স্ট্রিটের মতো এলাকার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোতে এখন কোনো প্রাণ নেই। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপ—সব কিছুই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, আর ব্যবসায়ীরা তাদের বিক্রি পুরোপুরি শূন্য হয়ে যাওয়ায় ঋণে ডুবে যাচ্ছেন।
এই এলাকায় গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল একটি বিশেষ ব্যবস্থা—বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট, হোটেল এবং সেবা—যা এখন একেবারে মরে যাচ্ছে।
দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি খান বলেন, আমরা একেবারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছি। বাংলাদেশি পর্যটকরা না এলে আমাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই। তাদের উপস্থিতি ছিল আমাদের ব্যবসার একমাত্র জীবিত প্রাণ। এখন তারা আসছেন না, আর আমরা ভীষণ আর্থিক সংকটে পড়েছি।
বাংলাদেশি পর্যটকদের নির্ভর করে গড়ে ওঠা হোটেল মালিক পিন্টু বসাক বলেন, দুই দশক ধরে এই এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সব কিছু সাজিয়ে রেখেছি—হোটেল রুম, খাবারের রেস্টুরেন্ট, দর্শনীয় স্থান—সব কিছু। কিন্তু এখন তারা আর আসছেন না। আমাদের হোটেল রুম ভাড়া ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে এবং আমরা আর্থিকভাবে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি।
আবেগতাড়িত হয়ে মার্কুইস স্ট্রিটের রেস্টুরেন্ট মালিক এনসি ভৌমিক বলেন, এটি শুধু একটি ব্যবসা ছিল না, এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি প্রতীক ছিল। আজ যখন বাংলাদেশি পর্যটকরা আর আসছেন না, তখন আমাদের মনে হচ্ছে, এই সম্পর্কের প্রতীকও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা যতটুকু চেষ্টা করছি, ততটুকু ভাঙনের হাত থেকে এই এলাকায় বাঁচানো যাচ্ছে না।
কলকাতার ব্যবসায়ীরা এক ভয়াবহ অবস্থা মুখোমুখি হয়েছেন। হোটেল রুম ভাড়া কমে গেছে, দোকান-পাটে ক্রেতা নেই, রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি খাবারের অর্ডার নেই—যে ব্যবসা এক সময় ছিল লাভজনক, তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। তাদের আর্থিক সঙ্কট এতটা গভীর হয়ে উঠেছে যে, অনেকের পক্ষে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কলকাতার ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) একটি জরুরি বৈঠক করেছেন, যেখানে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
অনুষ্ঠানে তাদের একমাত্র লক্ষ্য—বাংলাদেশি পর্যটকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা, যাতে তারা কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ব্যবসা আবার চাঙ্গা হয়।
তবে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশঙ্কা এখনো কাটেনি। তারা জানেন না, এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এবং তাদের টিকে থাকার জন্য কত দিন লড়াই করতে হবে। কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা এখন এক কঠিন সময় পার করছে এবং যদি অবস্থা দ্রুত না বদলায়, তাহলে অনেক ব্যবসায়ী হয়তো তাদের জীবিকা হারিয়ে ফেলবেন।
আলোচিত
শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?
শীত এসেছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না পড়লেও বাতাসে শীতের আমেজ রয়েছে। আলমারির তলা থেকে বেরিয়ে এসেছে গরম জামাকাপড়। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হিটার, গিজারের ব্যবহার। কিন্তু শীতকালে কত তাপমাত্রায় চালাচ্ছেন ফ্রিজ।
শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা গরমের চেয়ে অনেকটাই কম থাকে। শীতে সব খাবার ফ্রিজে রাখার প্রয়োজনও থাকে না। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়ার কোনও দরকার পড়ে না।
এমন অন্যান্য অনেক কারণেই শীতকালে ফ্রিজের ব্যবহারও খানিকটা কমে যায়। কিন্তু ফ্রিজ বন্ধ রাখারও যায় না। আবার শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক রাখলে বিদ্যুতের বিলও আসবে কম।
অনেকে শীতে কিছুসময়ের জন্যই ফ্রিজ বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু এতে ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হতে পারে। তবে কয়েকটি পদ্ধতি মানলে শীতে ফ্রিজে খাবারও ভাল থাকবে। পাশাপাশি, বিদ্যুতের বিলও অনেক কম আসবে।
যদি ইতিমধ্যেই বরফ সংরক্ষণ করা বা ফ্রিজে পানির বোতল রাখা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন তবে আপনি এটিকে কম তাপমাত্রায়ও সেট করতে পারেন। কারণ বরফ এবং ঠান্ডা পানির জন্যই ফ্রিজকে বেশি ঠান্ডা রাখা দরকার।
এছাড়াও, গ্রীষ্ম এবং শীত অনুযায়ী ফ্রিজে তাপমাত্রা সেট করার একটি বিকল্প রয়েছে। শীতকালে কেবল দুধ, শাকসবজি, ফল, রান্না করা খাবার তাজা রাখার জন্য ফ্রিজের প্রয়োজন হয়।
শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা খুব বেশি বা খুব কম সেট করবেন না। শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাই শ্রেয়।
রেফ্রিজারেটরের লিটার, ওয়াট এবং সাইজ অনুযায়ী রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে হবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিতে পারেন।
আলোচিত
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয় ও বাংলাদেশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি সম্পর্কে ওয়াশিংটানের কী কোনও মন্তব্য আছে?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। সবশেষ ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটে।
আলোচিত
নিউইয়র্কের ব্যস্ত সড়কের প্রবাসীর দোকানে ডাকাতি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় আবিদ জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের সামনের কাচ ভেঙে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করছে নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি)। সরেজমিনে দেখা যায়, আবিদ জুয়েলার্সের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। দোকানের সামনে ভাঙা কাচ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দোকানসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তদন্তের অংশ হিসেবে আবিদ জুয়েলার্সের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। পুলিশের পক্ষ থেকে দোকানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্যও জানানো হয়নি।
জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ও ৭৪ স্ট্রিটে ১৯টি সোনার দোকান রয়েছে। এ এলাকায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। সেখানে কেনাকাটা করতে আসা সজীব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, তিন-চারজনের একটি দল দোকানটির কাচ ভাঙা শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের সামনের অংশে রাখা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা।
আবিদ জুয়েলার্সের পাশের রেস্তোরাঁ জ্যাকসন ডাইনারের কর্মকর্তা আশিক রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শক্ত মোটা কাচের দেয়াল ভাঙার শব্দে আমরা আতঙ্কিত এবং হতভম্ব হয়ে পড়ি। যদিও ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে, তবে এ ধরনের ঘটনা নিউইয়র্ক শহরের নানা দিকে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।’
আন্তর্জাতিক
দুবাইয়ের ভিসা বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের
হোটেল বুক করে, বিমানের টিকিট কেটেও দুবাই যাওয়া বাতিল করতে হচ্ছে ভারতীয়দের।
সংযুক্ত আবর আমিরাত প্রশাসন পর্যটক ভিসার ব্যাপারে কড়াকড়ি করায় সমস্যায় পড়েছেন তারা। অনেক ভারতীয়ের ভিসাও পর পর বাতিল হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগে দুবাইয়ের ভিসা আবেদনের ৯৯ শতাংশই অনুমোদিত হত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় সব নথি দেওয়ার পরেও ভিসার আবেদন প্রত্যাখান হচ্ছে বলেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
সংযুক্ত আবর আমিরাত সরকার সম্প্রতি দুবাইয়ের পর্যটকদের ভিসার জন্য নতুন এবং কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, পর্যটকদের তাদের হোটেল বুকিংয়ের বিবরণ এবং ফেরার বিমান টিকিট দাখিল করতে হবে ভিসা আবেদনের সময়।
শুধু তাই নয়, যদি কেউ দুবাইয়ে কোনো আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত কারো কাছে উঠে, সে ক্ষেত্রে ওই লোকের যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আগে এক থেকে দুই শতাংশ ভিসার আবেদন বাতিল হত। কিন্তু বর্তমানে ভিসা বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন পর্যটকদের ১০০টি আবেদনের মধ্যে পাঁচ থেকে ছ’টি ভিসা বাতিল হচ্ছে।
এক পর্যটন সংস্থার কর্মকর্তা নিখিল কুমার বলেন, নিশ্চিত বিমান টিকিট এবং হোটেলে বুকিং থাকা সত্ত্বেও ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে।এর ফলে অনেকেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ পর্যটকদের শুধু ভিসা আবেদনের ফি নয়, বিমান টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে।
আমিরাত প্রশাসনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধু বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের বিবরণ দিলেই হবে না। ভ্রমণকারীদের প্রমাণ করতে হবে দুবাইয়ে থাকার জন্য তাদের কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে। যদি হোটেলে থাকতে চান, তবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে। আবেদনকারীকে ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে শেষ তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্যান কার্ডের প্রতিলিপি জমা করতে হবে।
আলোচিত
ভারতে ধর্ষণের দায়ে সিলেটের ৪ আ’লীগ নেতা গ্রেফতার
এবার ভারতে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষনেতাসহ ৪ দলীয় নেতাকর্মী। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ ৪ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।
গতকাল রোববার দুপুরের দিকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ। এরপর রোববার রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।
শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের অবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন নানক ও নাদেল।
কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে একটি সূত্র বলেছে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নাসির ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
- আন্তর্জাতিক7 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- আলোচিত2 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- আলোচিত2 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক1 month ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- আলোচিত1 month ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- আন্তর্জাতিক1 month ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক1 month ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
- আলোচিত1 month ago
মুনতাহার হাতে থাকা আপেলটিও খেতে দেয়নি তারা