মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসেরবাজার-কাননোগাবাজার সড়কের কয়েকটি স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। গত কদিন ধরে ওই সড়কটিতে টিকটকারদের চরম উৎপাত বেড়েছে। সড়কটিতে ভিড় লেগে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এতে তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। অবশ্য টিকটকারদের উৎপাত ঠেকাতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের দাসেরবাজার-কাননোগাবাজার সড়কের দুইপাশে সারি সারি খেজুর গাছ রয়েছে। খেজুরগাছগুলো সড়কটির সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। বছরের প্রায় প্রতিদিনই সেখানে কমবেশ মানুষের আনাগোনা থাকে। অনেকেই সড়কটিকে ‘দুবাই’ সড়ক নামেও ডাকেন।
সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জনগুরুত্বপূর্ণ দাসেরবাজার-কাননোগাবাজার সড়কটি। সড়কটির বিভিন্নস্থানে পানি উঠেছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন বাড়তি টাকা গুণে নৌকার পাশাপাশি পানি মাড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোটখাটো যানবাহনে যাতায়াত করছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির কয়েকটি স্থান এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। দায়িত্বরত পুলিশ ঘুরতে আসা টিকটকারদের সড়কটিতে সরে যেতে বলছে। কারও আবার মোটরসাইকেলের কাগজ যাচাই করছে।
সড়কটিতে ঘুরতে আসা অনিক ও ফাহাদ নামে দুই যুবক জানান, তারা সেখানে টিকটক করতে আসেননি। ঘুরতে এসেছিলেন। পুলিশ তাদের মোটরসাইকেল আটকে কাগজপত্র দেখতে চাইছে।
কয়েকজন টিকটকার জানান, তারা বন্যাকবলিত এলাকার ছবি-ভিডিও অনলাইনে দিয়ে মানুষের দুর্দশার চিত্র সবাইকে দেখাচ্ছেন। এটা দোষের কিছু নয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, সড়কে বন্যার পানির কারণে আমাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। বাড়তি টাকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এর মধ্যে টিকটকারদের উৎপাত বেড়েছে। যার কারণে সড়কে মানুষের জট লেগেছে। এতে যান ও নৌকা চালকরা বেশি ভাড়া চাইছেন। তাদের কারণে আমারও বেশি ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি।
বড়লেখা থানার এসআই মাসুদ পারভেজ সোমবার বিকালে বলেন, সড়কটিতে কেউ বন্যার পানি দেখতে এসেছিলেন, কেউ কেউ টিকটক ভিডিও করতে এসেছিলেন। এতে ভিড় লেগে ছোট সড়কটিতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে অকারণে ঘুরতে আসা লোকজনদের সরিয়ে দিয়েছি।