এই মুহূর্তে শেখ পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিংবা রাজনীতিতে আসছেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বাংলাদেশে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একদিন আগে নেওয়া হলেও তা তখন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পুত্র।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে ডয়চেভেলের বাংলা বিভাগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিন আগে। আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র জানতাম যে তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটি ট্রানজিশন অব পাওয়ার হয় সেটাই ছিল ওনার প্ল্যান। তবে যখন তারা ঐ গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করলো। তখন আমরা ভয়ে বললাম যে, আর সময় নেই। তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন একপর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয় এবং বেশ কয়েকশত প্রাণহানি হয়। হাসিনা সরকার আন্দোলনকারীদের দমনে বাড়াবাড়ি রকম শক্তি প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে নানা মহল থেকে। তীব্র আন্দোলনের মুখে দ্রুত বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, বর্তমানে তার রাজনীতিতে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। শেখ পরিবারের কোনো সদস্যরই রাজনীতিতে আসার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, তিনবারের মতো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যু হলো। তিনবারের মতো সবকিছু হারিয়ে বিদেশে থাকতে হলো। আমি আর আমার মা বাদে আমরা সবাই বিদেশে অনেকদিন ধরে আছি। আমরা এখানে সেটেলড। আমাদের এখানে জীবনের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা এখানে থাকতে অভ্যস্ত।
শেখ হাসিনা ভারত থেকে অন্য কোথাও যাবেন এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভালো আছেন, এখন দিল্লিতে আছেন। আমার বোন ওনার কাছে আছেন। আমার বোনতো দিল্লিতে থাকেন। তিনি ভালো আছেন, তবে তার খুবই মন খারাপ।
জয় বলেন, তিনি খুবই দুঃখিত যে দেশের জন্য ওনার বাবা জান দিয়েছেন, পুরো পরিবার জান হারিয়েছে। যেই দেশের জন্য তিনি জেল খেটেছেন, এত পরিশ্রম করেছেন, এত উন্নয়ন করেছেন, সেই দেশের মানুষ তাকে এভাবে অপমান করে বের করে দেবে, তার উপর আক্রমণ করতে যাবে, এটা আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি।
মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে শিগগিরই দেখা করবেন বলেও জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।