Connect with us

সোশ্যাল মিডিয়া

২৬ তারিখ কী ঘটবে, কেন এত আলোচনা!

২৬ তারিখ কী ঘটবে, কেন এত আলোচনা!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। নেটিজেনরা অনেকেই জেনে বা না জেনে পোস্ট করছেন ২৬ তারিখ নিয়ে। কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করছেন, কেউবা রসিকতা করছেন; আবার কারও কারও পোস্টে সরল জিজ্ঞাসা ‘কী হবে ওইদিন?’ এসব প্রশ্নে সয়লাব ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স ও টিকটক।

ফেসবুকে একজন নেটিজেন স্যাটায়ার করে তার পোস্টে লেখেন, ‘২৬ তারিখ কি চট করে শেখ হাসিনা ঢুকে পড়বেন?’ আরেকজন লেখেন, ‘২৬ তারিখ নাকি অনেকে কোটিপতি হবে!’ অনেক নেটিজেন আবার কে কোথায় জমি, বাড়ি-গাড়ি কিনবেন, তা জানিয়ে পোস্ট করছেন।

ফেসবুকে ২৬ তারিখ লিখে সার্চ দিলেই বোঝা যায় কি-ওয়ার্ডটি কতটা ট্রেন্ডিং। সার্চ রেজাল্টে ফেসবুক প্রথমেই দেখাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির এক লাখ ৪৬ হাজার ব্যাবহারকারী এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে।

২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে যা জানা গেল

টেলিগ্রামভিত্তিক একটি গেমিং বট নিয়েই আলোচনায় রয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর। গেমিং বটটির নাম হামস্টার কমব্যাট। যেখানে বিভিন্ন টাস্ক পূরণ ও ট্যাপ করে গেম কারেন্সি (কয়েন, কি ইত্যাদি) অর্জন করা যায়। ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবে অনেকেই এই গেমটির বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা দাবি করেছেন, ২৬ তারিখে এই গেমটির কয়েনগুলোকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করা যাবে বলে গেমসটির নির্মাতারা জানিয়েছেন। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

আবার কেউ কেউ বলছেন, টেলিগ্রামের এমন অ্যাপ অনেক আছে। মাঝেমধ্যেই তারা তাদের গেমস কারেন্সি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরের সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে টিকটকের কারণে ‘হামস্টার কমব্যাট’ বেশি পরিচিতি পেয়েছে।

এদিকে এসব দাবির বিরোধিতা করে কেউ কেউ বলছেন, যদি এভাবে কোটিপতি বা বড়লোক হওয়া যেত, তাহলে মানুষ আর কাজ করত না! তাদের প্রশ্ন, হামস্টারের ৩০০ মিলিয়ন ফলোয়ারকে যদি দুই ডলার করেও দেওয়া হয়, তাহলে যে বিপুল অর্থ দিতে হবে সেটা কি আদৌ তারা দিতে পারবে?

হামস্টার কমব্যাটের গেমাররা ‘২৬ সেপ্টেম্বরের’ বিষয়টি মোটামুটি এভাবেই দেখছেন। বিষয়টি যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ড করছে, তখন অনেকেই কৌতূহল কিংবা আতঙ্কের জায়গা থেকে বিষয়টি জানার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করছেন, কী হবে ২৬ তারিখ? তবে অন্তত এটুকু নিশ্চিতভাবে বলাই যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে জল্পনা থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

Continue Reading

আলোচিত

সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গু জ ব ভারতীয় গণমাধ্যমে
সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটের এমসি কলেজের মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে গত ১১ জানুয়ারি বয়ান করেন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সেই মাহফিলের জন্য পার্শ্ববর্তী একটি মন্দির কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ বাংলা।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই দাবিতে কয়েকটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারি প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়।

প্রকৃতপক্ষে ওই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে; কুয়াশায় যাতে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণে মন্দির কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী হাসান আল মাহমুদ জানান, আলোচিত ছবিগুলো সিলেটের গোপাল টিলা মন্দিরের। মূলত সরস্বতীর প্রতিমা তৈরি উপলক্ষে মন্দিরটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যাতে করে কুয়াশায় প্রতিমাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ

তিনি আরো জানান, ওয়াজের ৩ দিন আগ থেকেই প্লাস্টিক টাঙ্গানো হয়েছে, ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়ে গেলেও প্লাস্টিকগুলো এখনও সেখানে আছে এবং আরও কয়েকদিন থাকবে।

আলোচিত ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি কর পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা। মন্দির কমিটির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই ভিত্তিহীনভাবে এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় একজন কারিগর নামমাত্র মজুরিতে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে আশেপাশের পূজামণ্ডপগুলোতে সেগুলো বিক্রি করেন।

যেহেতু আমাদের মন্দিরে নিরাপত্তা ভালো, তাই আমরা তাকে এখানে প্রতিমা তৈরির জন্যে জায়গা দিয়েছি। শীতকালের কুয়াশার কারণে প্রতিমা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং শিশু-কিশোরদের অযাচিত কৌতূহল এড়াতে কারিগর নিজেই মন্দিরের চারপাশ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, গোপাল টিলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সাথে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাহফিলের কোনো সম্পর্ক নেই।

সৌজন্যে: কালেরকন্ঠ

Continue Reading

আলোচিত

নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ! বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়

নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ! বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ! বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ২১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি সবার সামনে মলত্যাগ করছে। আর সেই ব্যক্তি মোবাইলে কি-জানি দেখছে। আর অন্যরা যার যার মতো হাটতেছে। কেউবা আবার তার দিকে তাকিয়ে হাটতেছে। এ ভিডিওটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যে ব্যক্তিটি প্রকাশ্যে মলত্যাগ করছে সে একজন ভারতীয়। আর স্থানটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেট্রো স্টেশন। তবে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। স্থানটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ার পরও সেই ব্যক্তি উলঙ্গ হয়ে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করেই যাচ্ছে। আর সেই ব্যক্তি মোবাইলে কি-জানি দেখছে। আর সাধারণ নাগরিকরা যার যার মতো হেটে যাচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ব্যক্তি ও ভারতের তুমুল সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

নেটিজেনরা বলছেন, কোনো সভ্য দেশের নাগরিক এভাবে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করতে পারে না। এতেই প্রমাণ হয় ভারত একটি অসভ্য ও বেয়াদব জাতি। তাদের দ্বারা মানুষ ও জাতির কল্যাণ সম্ভব নয়। যে দেশের নাগরিক গরুর গোবর ও প্রস্রাব খায় তারা কিভাবে ভালো মানুষ হবে। ভারতের নাগরিকরা গরুর গোবর ও প্রস্রাব খায় বিধায় তাদের হিতায়িত জ্ঞান থাকে না। ফলে তারা অসভ্যর মতো আচরণ করে। বিশ্বের মধ্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয় ভারতে। মুসলিমদের তারা অন্যায়ভাবে অনেক নির্যাতন করে।

নেটিজেনরা আরও বলেন, ভারত আবার বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে নাক গলায়। যে দেশের নাগরিকরা অসভ্য ও বেয়াদব তারা কিভাবে অন্যেদের শিক্ষা দেবে। ভারতের নিজেই তো শিক্ষা নেই। শিক্ষা যদি থাকতো তাহলে সবার সামনে কোনো মানুষ এভাবে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করতে পারতো না। ভারতের কাজই হলো অন্য দেশে সমস্যা লাগানো। তারা অন্যদের নিয়ে না ভেবে আগে নিজেরা ভদ্র হওয়ার শিক্ষা নিক।

নেটিজেনরা বলেন, তারা সামান্য কোনো কিছুতেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দেই। সন্ত্রাসী দেশ ভারতের নিজেদেরই তো চরিত্র ঠিক নেই। তারা কিভাবে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে। এখন আর আগের মতো ভারতের সেবাদাসী হাসিনা নেই যে- তাদের কথা মতো বাংলাদশে। এই দেশে তাদের দাদোগিরি শেষ। কাজেই বিনা কারণে কোনো উসকানি বা কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে এ দেশের মানুষ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

Continue Reading

আলোচিত

৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস রেকর্ড বাংলাদেশের সুমাইয়ার

৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস রেকর্ড বাংলাদেশের সুমাইয়ার

বিশ্বের দরবারে অন্যরকম রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশের সুমাইয়া। চপস্টিক দিয়ে ১ মিনিটে ৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশি তরুণী সুমাইয়া খান। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ফেসবুক পেজে সুমাইয়ার ১ মিনিটে ৩৭টি ভাত খাওয়ার ভিডিওটি ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম ছিল, প্রতিবার কেবল ১টি করে ভাতের দানাই মুখে তোলা যাবে। চপস্টিকে ১টির বেশি ভাত তুললেই রেকর্ড করার প্রয়াস বাতিল বলে গণ্য হবে। এর আগে এই রেকর্ডের পাশে যার নাম ছিল, তিনি ১ মিনিটে খেয়েছিলেন মাত্র ১০টি ভাত।

সুমাইয়া রামেন খেতে খুব পছন্দ করেন। আগে থেকেই চপস্টিক দিয়ে রামেন খেতে পটু। এরপর কোরিয়ান সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে একে একে সব খাবারই চপস্টিক দিয়ে খেতে শুরু করেন।

কয়েক বছর ধরে চপস্টিক দিয়ে ভাতও খান। সুমাইয়ার এক সহকর্মী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ মিনিটে চপস্টিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাত খাওয়ার আগের রেকর্ড সম্পর্কে জানতেন। আর তিনি নিশ্চিত ছিলেন, সুমাইয়া অনায়াসে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারবেন। তিনিই মূলত সুমাইয়াকে নতুন রেকর্ড গড়তে অনুপ্রাণিত করেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে সুমাইয়া বলেন, ‘রামেন আমার খুবই পছন্দের খাবার। কোরিয়ান সংস্কৃতিও আমাকে খুব টানে। ফলে আমার সঙ্গে সব সময় চপস্টিক রাখতে শুরু করি। এর পর থেকে প্রায় সব ধরনের খাবার খাই চপস্টিক দিয়ে। আর যেহেতু আমি বাংলাদেশি, তাই ভাত খাই প্রতিদিনই।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে পেরে সুমাইয়া খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। দারুণ অনুভূতি। আর আমার আশপাশের সবাই আমাকে নিয়ে গর্বিত। এটা আসলেই দুর্দান্ত। আমি সম্মানিত, আনন্দিত।’

Continue Reading

সোশ্যাল মিডিয়া

তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার

তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার

সম্প্রতি, হিজাব পরিধান না করার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একজন হিন্দু উপজাতি নারীকে উগ্র ইসলামপন্থীদের দ্বারা মারধরের দাবি করে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।

তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমার স্ক্যানার টিম জানায়, এই ভিডিওটি বাংলাদেশি মুসলিম কর্তৃক কোনো হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনার নয় বরং, এই ভিডিওটির ব্যক্তি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম এবং তার নাম আরোহী ইসলাম।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ‘সৈকতে নারীকে হেনস্তা করা সেই ঘটনার নেপথ্যে কী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হেনস্তার শিকার হন ওই ব্যক্তি। তবে এই প্রতিবেদন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ওই ব্যক্তির জানা যায়নি।

তবে, দৈনিক আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তার নাম আরোহী ইসলাম। তার বয়স ২০ বছর। তিনি একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি। হেনস্তার শিকার আরোহী ইসলাম বাদী হয়ে সেসময় দুজনের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনায় মামলাও করেন।

এ ছাড়াও, বিবিসি বাংলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী হেনস্তার ঘটনায় হয়রানির সূত্রপাত যে যুবকের মাধ্যমে, তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার
ভিডিও দেখে জড়িতের গ্রেফতার ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করার পর পুলিশ জানায়, তার নাম ফারুকুল ইসলাম এবং তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আরোহী ইসলাম নামে তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্তার ঘটনাকে হিন্দু উপজাতি নারীকে হেনস্তার ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর বলেও জানায় রিউমার স্ক্যানার।

Continue Reading

সোশ্যাল মিডিয়া

ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে: তনি

ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে: তনি

সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠোঁটকাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ সুপরিচিত আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন পোশাকের ব্যবসা নিয়ে। কিন্তু কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।

তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানান, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কারণ, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামীকে নিয়ে দেশের বাইরে আছে তিনি। তবে কি অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি।

এদিকে স্বামীর পাশাপাশি একমাত্র ছেলেকে নিয়েও বেশ চিন্তিত তনি। একমাত্র সন্তান সারফারাজকে নিয়ে প্রায় সময়ই ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দেন। বৃহস্পতিবার ( ১৭ অক্টোবর) তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ওর শুধু একটাই প্রশ্ন মাম্মি কবে আসবা!!ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে।

একমাত্র ছেলের জন্মদিনেও পাশে থাকতে পারেননি তনি। এনিয়ে আগের দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, মাম্মি আমার তো ২ দিন পরে জন্মদিন! তুমি কি জানো!! প্লিজ ড্যাডিকে নিয়ে চলে আসো- সারফারাজ। কি উত্তর দেবো? ১৭ অক্টোবর ৫ বছর হবে সারফারাজের, ছেলের জন্মদিন নিয়ে কত প্ল্যান ছিল তার ড্যাডির, আমাকে রেখে লন্ডনে চলে যাবে কত হুমকিও দিলো। আল্লাহতায়ালা উওম পরিকল্পনাকারী।

প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।

শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তনি।

Continue Reading

বাংলাদেশ

জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ: ঢাবি শিবির সভাপতি

জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ: ঢাবি শিবির সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের চূড়ান্ত সম্মিলিত বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ। এই গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের শহীদরা। খোদা প্রদত্ত জানকে কোরবানি করে তারা সাম্য ও ইনসানিয়াতভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জিম্মাদারি আমাদের হাতে অর্পণ করে গেছেন।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

সাদিক কায়েম আরও বলেন, এই আন্দোলন শহীদ আবু সাঈদের রক্তের ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন, শহীদ মীর মুগ্ধের স্মৃতির ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন। যে রিকশাওয়ালা ভাই ক্রমাগত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে শহীদ হয়েছেন তার কোরবানির ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন। সহস্রাধিক শহীদ আমাদের পথ দেখিয়েছেন এক নতুন মঞ্জিলে-মাকসুদ : Bangladesh 2.0।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে যেমন অবদান ছিল সমাজের উঁচুতলার মানুষের, আবার আন্দোলনের ভ্যানগার্ড ছিল সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরাও। ইংলিশ মিডিয়ামের টেক স্যাভি কিড থেকে শুরু করে কওমি-আলিয়ার তালেবে এলেম, শাহবাগ-ধানমন্ডি-মিরপুর-উত্তরা-সাভার থেকে শুরু করে বাংলার স্টালিনগ্রাদ হয়ে ওঠা যাত্রাবাড়ী, শহর-নগর, গ্রাম-গ্রামান্তরে এই বিপ্লব ছিল আপনার, আমার, সবার।

ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা থেকে বিপ্লবের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিল প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুল-কলেজে। এ আওয়াজ রুদ্ধপ্রচেষ্টা রুখে দিয়েছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়ে উঠেছিল গণমানুষের কণ্ঠস্বর। এই বিপ্লব ছিল শ্রমিক, দিনমজুরের। আন্দোলন ছিল সাহসী সাংবাদিক, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী ভাইবোনদেরও। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন দেশ ও জাতির মুক্তির স্লোগান তুলে।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের পছন্দ করেন, অপছন্দ করেন, ঘৃণা করেন; যারা আমার সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন, অবজ্ঞা করেন, ঘৃণা করেন- কার্যত সবার অবদানেই আমরা পেয়েছি ৩৬শে জুলাইয়ের মহাবিজয়। ফতহে মক্কা, ফতহে বাঙ্গালা, ফতহে কুসতুনতিনিয়ার সিলসিলা ধরে আমরা পেয়েছি ফতহে গণভবন- যেদিন গণভবন সত্যিই গণের ভবনে পরিণত হয়।

সাদিক কায়েম বলেন, প্রতিটা ইনসান রাস্তায় নেমে এসেছিলো, ‘আমার ভাই মরলো কেন’ সওয়ালের জবাব চাইতে। এই প্রশ্নের প্রতিউত্তরে যখন তাদের ওপর হায়েনার মত হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছে, তখনই আমাদের শহীদেরা দাঁড়িয়ে গেছেন লড়াইয়ের ভ্যানগার্ড হিসেবে। এই আন্দোলনের সমস্ত কৃতিত্ব আমাদের শহীদ ও হাত-পা-চোখ হারানোসহ নানাভাবে আহত ভাই-বোনের। যাদেরকে বুলেটের গুলি কিংবা জুলুম কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি। তারা একজন শহীদ হওয়ার পরে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছেন দু:শাসন ও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে।

তিনি বলেন, শত জুলুম এবং স্লো পয়জনিংয়ের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া, জামায়াতে ইসলামীসহ দেড় যুগ ধরে তিলে তিলে ইনকিলাবের জমিন চাষ করা মজলুম সব বিরোধী দল, ইলিয়াস আলী, মাইকেল চাকমা, ব্যারিস্টার আরমান ও জেনারেল আযমি থেকে শুরু করে ফাঁসি-গুম-ক্রসফায়ারে হারিয়ে যাওয়া আমাদের সব সিপাহসালার ও সহযোদ্ধা, শাপলা-শাহবাগ দ্বন্দ্বকে পাশে রেখে শহুরে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর সমর্থন, ভাইদের হেফাজতের ঢাল হিসেবে বোনদের বুনইয়ানুম মারসুস তথা সিসাঢালা প্রাচীর হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ফ্যাসিস্টদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সর্বপ্রকার ব্ল্যাকমেইলকে উপেক্ষা করে পাহাড়-সমতলের ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সহযোদ্ধা হয়ে ওঠা, মাদরাসার তালেবে এলেম এবং আলেম-উলামার অকাতরে জান-মালের কোরবানি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই ইনকিলাবের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

ঢাবি শিবির সভাপতি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ থেকে আয়নাঘর, শাপলা থেকে শুরু করে মোদীবিরোধী আন্দোলন, শেয়ারবাজারে নি:স্ব মজলুম পরিবার থেকে শুরু করে সাংবাদিক সাগর-রুনির সন্তান মেঘ- ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ছিল জুলাই ইনকিলাবের জ্বালানি। আর শহীদরা ছিলেন সীমাহীন উজ্জ্বল স্ফুলিঙ্গ।

সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ-গাজীর স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যারা জিন্দা আছি তাদের সামনে এক সুদীর্ঘ পথ। আমাদের শহীদদের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আমরা কামিয়াব না হলে বিফল হয়ে যাবে ’৪৭, ’৭১ ও ’২৪ এর সব শহীদের রক্ত। আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাইদের দৃষ্টিশক্তি কোরবানি বিফলে চলে যাবে, যদি আমরা বৈষম্যহীন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তুলতে না পারি।

সব শেষে তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের শহীদদের প্রত্যেককে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাদের রক্তের হক আদায় করে, আমাদের একটি সুখী-সমৃদ্ধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার তৌফিক দিন। আমিন।

Continue Reading

Trending