Connect with us

বিশেষ প্রতিবেদন

শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়নের’ দেখা মিলল নিউ ইয়র্কে

শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়নের’ দেখা মিলল নিউ ইয়র্কে
শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়নের’ দেখা মিলল নিউ ইয়র্কে

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে চিনতেন পানি জাহাঙ্গীর হিসেবে। নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবেই সব জায়গায় পরিচয় দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম ৪০০ কোটি টাকার মালিক। এ তথ্য শেখ হাসিনা নিজেই ফাঁস করেন।

সেই জাহাঙ্গীরের এবার খোঁজ মিলেছে। দেশে নয়, বিদেশে আছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যালয়ে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেনে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা ৩৪ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

পোস্টে জুলকারনাইন লিখেছেন, বহুল আলোচিত শেখ হাসিনার ‘পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম’কে আজ (স্থানীয় সময় বুধবার) নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যালয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্ট পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করাতে অপেক্ষমাণ দেখা যায়।

৪০০ কোটি টাকার বেশি লোপাট করে পরিবারসহ আমেরিকা পাড়ি জমানো জাহাঙ্গীর এ সময় কখনো টুপি পরে নিজের মাথাসহ পুরো মুখ ঢাকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গোপন ক্যামেরায় তিনি ঠিকই ধরা পড়ে যান বলে উল্লেখ করেন জুলকারনাইন।
শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়নের’ দেখা মিলল নিউ ইয়র্কে
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিএসসির এক গাড়িচালক কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলো- জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকরা।

এ প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা তখন বলেন, ‘আমার বাসার একজন পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া নাকি চলে না। পরে তাকে ধরা হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।’
এরপর আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর আলম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের এই দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে দেশজুড়ে নানা সমালোচনা হতে থাকে।

সরকার তখন তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। জব্দ করা হয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। পরে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম পরিবারসহ আমেরিকায় পালিয়েছেন।

গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ নিয়ে গড়েছেন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। প্রতারণার মাধ্যমে জাহাঙ্গীর ৪০০ কোটি টাকার মালিকসহ গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

Continue Reading

আলোচিত

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল

দরিদ্র পরিবারের সন্তান মাজেদুল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি খরচ ও পড়াশোনা এগিয়ে নিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার। মাজেদুলের বাবা আবুল হোসেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মা মর্জিনা বেগম কখনও কখনও অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ভর্তির বিষয়ে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মেধাবী মাজেদুল ও তার পরিবার।

মাজেদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম শহরের পৌর এলাকার ভরসার মোড় সংলগ্ন করিমের খামার গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাজেদুল ছোট। বড় ভাই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনার্স পড়ছেন। মাজেদুল মাগুরা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছে। মেধা তালিকায় তার স্থান ৫০৩২।

মাজেদুল কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।

মাজেদুলের মা মর্জিনা বেগম জানান, মাজেদুল ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো। এরপর থেকে শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই চলছে তার পড়ালেখা।

তিনি বলেন, তার বাবা কাঠমিস্ত্রি। তিনি কাজ করে সংসার চালান। আর আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলছি। অভাবের সংসারে এখন ছেলের পড়ালেখার খরচ দেওয়া খুব কষ্ট হবে। এখন কেউ যদি সহযোগিতা করে তাহলে ছেলেটা ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।

মাজেদুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। অনেক বাধা পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। আমার বড় ভাই কুড়িগ্রাম কলেজে পড়ে। সে আবার প্রাইভেট পড়িয়ে চলে।

মাজেদুল বলেন, আমি নিজে এলাকায় দুটো টিউশনি করে এতদিন নিজের খরচ চালিয়েছি। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার খরচ জুটবে কীভাবে? আমার সাথে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় আছেন।

মাজেদুলের সাফল্যে প্রতিবেশী, আলামিন ও আব্দুল জলিল বলেন, মাজেদুল ছোট থেকেই কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। সে সুযোগ পেয়েছে এজন্য আমাদের এলাকারও সুনাম হচ্ছে। আমরা চাই সে আরও ভালো করুক সামনে।

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন, মাজেদুল মেধাবী শিক্ষার্থী। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে তার মেধার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। সমাজের সামর্থবানরা এগিয়ে আসলে মাজেদুল তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। একদিন চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে।

Continue Reading

আলোচিত

কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় “এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই”

হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়।

এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না।

আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল “আপু, আমাকে খাওয়াবেন?” তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল “আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।”

যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল।

অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ?
সে বলল ” না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।”

তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।

সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে।
আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, “জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে।

তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না।

সেই ছেলে বলছে, “আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।” এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।

যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে।

অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।
কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।

Continue Reading

আলোচিত

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ৯ বছরের মুগ্ধ

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ৯ বছরের মুগ্ধ

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১০ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন রায়ান রাশিদ মুগ্ধ। ৯ বছর বয়সী মুগ্ধ আজ যা করেছে, তা আর দেশের গণ্ডিতে আটকে নেই। বর্তমানে সেরা দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে সে।

পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, র‍্যাপিড দাবায়ও পাঁচবার জিতেছেন খেতাব। আর ব্লিটজের তো আটবারের চ্যাম্পিয়ন। সর্বকালের সেরা দাবাড়ু কিনা, এ নিয়ে আলোচনা হয় নিয়মিত। জিততে জিততে এমন অবস্থা যে ২০২৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালই খেলেননি কার্লসেন।

রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মুগ্ধ আজ শনিবার অনলাইন দাবার সবচেয়ে বিখ্যাত প্লাটফর্ম চেজ ডট কমে ঘটিয়েছে এ কাণ্ড। এই ওয়েবসাইটে নিজের কোনো প্রোফাইলও ছোট মুগ্ধর। জাতীয় দলের আরেক দাবাড়ু এবং ওর কোচ নাঈম হকের প্রোফাইল থেকে খেলায় অংশ নেওয়া মুগ্ধ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে।

কার্লসেনের সঙ্গে মুগ্ধ চেজের বুলেট ফরম্যাটে খেলেছে। এক মিনিটের মধ্যে এই ধরনের ম্যাচ শেষ করতে হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এক রাউন্ড পর এক রাউন্ড নির্ধারিত হয় কে কার সঙ্গে খেলবে। সেভাবেই ম্যাগনাস কার্লসেনের মুখোমুখি হয় মুগ্ধ।

মুগ্ধর কোচ নাঈম হক সংবাদমাধ্যম সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, ‘ও সব সময় অনলাইনে খেলতে চায়। আমি বললাম, তাহলে আমার আইডি দিয়ে খেলো। এরপর ও হঠাৎ ফোন করে বলে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে। শুনে তো আমি বিশ্বাস করিনি। ও এরপর খেলার স্ক্রিনশটসহ সব তথ্য পাঠিয়ে দেয় আমাকে।’

এর আগে গত মে মাসে ১০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন দাবাড়ু ফস্তিনো ওরো চেজ ডট কমেরই বুলেট ব্রল টুর্নামেন্টে কার্লসেনকে হারিয়েছিল। পরের মাসেই ১০ বছর ৮ মাস ১৬ দিন বয়সে অভিমন্যু মিশ্রকে (সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার) পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়ার ইতিহাস গড়েছে ওরো।

আজ ওরোর চেয়েও কম বয়সে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে মুগ্ধ, ‘আমি শুরুতে ভাবতেই পারিনি কার্লসেনকে হারিয়ে দেব। তবে এক সময় এসে উনি একটা কুইন ব্লান্ডার করেন। এরপরই আমি বুঝতে পেরেছি ম্যাচটা জিততে পারব। শেষ পর্যন্ত জিতে গেছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানোয় আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে এই ম্যাচ অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

Continue Reading

আলোচিত

গাছ কাটা-সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো বিএসএফ

গাছ কাটা-সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আম গাছ কাটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ঢুকে আম গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বিজিবি এই কার্যক্রমকে রুখে দেয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ওপার থেকে ছোড়া হাতবোমার বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিকেল চারটার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের চৌকা এবং কিরণগঞ্জ দুটি বিজিবি ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে ১৭৭ এর ৩এস বরাবর বাংলাদেশি কিছু আমগাছ ছিল। বাংলাদেশের আমগাছ কাটাকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই দেশের মানুষ শূন্যরেখা বরাবর দাঁড়িয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে তারা এটা ব্যবস্থা নেবে। সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। কেউ যেন শূন্যরেখা অতিক্রম না করে, উত্তেজনাকর পরিবেশ প্রশমিত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। বিজিবির পাশাপাশি দেশপ্রেমিক জনগণ আমাদের পাশে আছে।’

এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও শতাধিক ভারতীয় মিলে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে ১২ থেকে ১৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। পরে বিজিবির টহল দল মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানান। এ সময় স্থানীয়রা বিজিবিকে সহযোগিতা করতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন। বিএসএফ সদস্যরা ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় ভারতীয়রা পাথরও ছুড়ে মারে। অন্যদিকে, বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধে ভারতীয়রা কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। তখন চৌকা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছিল।

Continue Reading

আলোচিত

ওষুধ ছাড়াই তেলাপিয়া মাছের চামড়ায় পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা

ওষুধ ছাড়াই তেলাপিয়া মাছের চামড়ায় পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা

ওষুধ ছাড়াই কেবল তেলাপিয়া মাছের চামড়া দিয়ে সারবে পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ব্রাজিলের চিকিৎসকরা এমনই এক যুগান্তকারী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে তেলাপিয়া মাছের চামড়া ব্যবহার করে ওষুধ ছাড়াই পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রচলিত চিকিৎসার চেয়ে তেলাপিয়ার চামড়া দিয়ে চিকিৎসায় খরচ কমবে ৭৫ শতাংশ। সেই সাথে ক্ষত সারবে আরও কম সময়ে।

সাধারণত তেলাপিয়া মাছ সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের খাদ্যতালিকায় এটি বেশ জনপ্রিয়। তবে এবার গবেষকরা জানাচ্ছেন, তেলাপিয়া মাছের ত্বকে প্রচুর আর্দ্রতা ও কোলাজেন প্রোটিন আছে, যা মানুষের ত্বকের বৈশিষ্ট্যের প্রায় কাছাকাছি। শুধু তা-ই নয়, এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর এবং ব্যথা উপশমেও সহায়ক। এই ত্বক ক্ষতস্থানে লাগালে তা দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

কিন্তু কি এই চিকিৎসা পদ্ধতি? এই পদ্ধতিতে প্রথমেই তেলাপিয়ার ত্বক জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর এটি সরাসরি পোড়া স্থানে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। কোনো ক্রিম বা ওষুধের প্রয়োজন হয় না। প্রায় ১০ দিন পর এটি সরিয়ে ফেলা হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এটি খুলতে গিয়ে রোগী কোনো ব্যথা অনুভব করেন না বলেই জানান চিকিৎসকরা।

তবে প্রশ্ন থাকে প্রচলিত চিকিৎসার তুলনায় কী সুবিধা? সাধারণত পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় শুকরের চামড়া বা মানুষের টিস্যু ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এসব উপকরণের অভাব হলে, গজ আর ব্যান্ডেজ দিয়েই কাজ চালানো হয়, যা প্রায়ই যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু তেলাপিয়ার ত্বক এই অসুবিধার সহজ সমাধান নিয়ে এসেছে।

ব্রাজিলে ব্যাপকভাবে চাষ হওয়া তেলাপিয়া মাছের ত্বক সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। এই অব্যবহৃত সম্পদই এখন কাজে লাগিয়েছেন গবেষকরা। তারা এখন পর্যন্ত ৫৬ জন রোগীর ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন এবং সাফল্যের কথা জানিয়েছেন। সেই সাথে তেলাপিয়ার ত্বক বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য তারা ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন।

Continue Reading

আলোচিত

ইভিএম বাতিল, ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ফের নির্বাচন

ইভিএম বাতিল, ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ফের নির্বাচন

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহারের আইন বাতিল করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে কোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় সেই নির্বাচন করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।

(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিও’র ধারা বাতিল করা।

(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে) শাস্তিপ্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশন্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে। )

(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।

(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।

(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।

(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।

(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। [“১২৫(গ)। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না। ”

(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।

মনোনয়পত্র
(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সকল প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।

(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।

(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রির্টানের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।

(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।

হলফনামা
(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।

(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যে কোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।

নির্বাচনব্যবস্থা
(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।

(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা।

(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটে’র বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।

নির্বাচনী ব্যয়
(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।

(খ) সকল নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।

(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।

(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।

নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা
(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি’কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।

(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর প্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।

(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।

(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।

(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনী মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনী বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ (Parliamentary Election Tribunal) স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।

এই সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

Continue Reading

Trending