সিলেট মহানগরীর যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা। এবার এ ব্যাপারে আল্টিমেটাম দিয়েছে প্রশাসন। এই ডিসেম্বরের মধ্যেই মার্কেট এবং শপিং মলগুলোকে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
সিলেট মহানগরবাসীর প্রধান সমস্যার নাম যানজট। যখন তখন যেকোনো সড়কে থমকে দাড়াতে হয় যানবাহন নিয়ে। সেটি রিকশা হউক বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা হউক। প্রাইভেট কার হউক কিংবা নগর পরিবহনের বাস হউক। যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী একটু স্বস্তির অপেক্ষায় দিনের পর দিন বছরের পর বছর। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।
এর আগে একাধিকবার রাজপথ থেকে হকার্সদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে ব্যাটাচিালিত রিকশাও। কিন্তু কাংখিত ফলাফল পাওয়া যায়নি।
অবশ্য তা না পাওয়ারও কারণ আছে। নগরীতে কিন্তু পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন মার্কেট বিপণী বিতান বা শপিং মলগুলোতে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহনগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রাস্তা দখল করে। ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার অর্ধেকজুড়ে চলে তাদের রাজত্ব।
দেখা গেছে, হকারদের উচ্ছেদ করার পর রাস্তায় যে জায়গাটুকু ফাঁকা বেরিয়েছে, সেগুলোও চলে যাচ্ছে এসব যানবহানের দখলে।
প্রশাসন একদিকে অভিযান করছে অন্যদিকে আবারও সেই রাস্তা দখল হচ্ছে অন্য কোনো যানবাহন। বিশেষ করে সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহ্ট্টাা, আম্বরখানা, লামাবাজার, সুবিদবাজার, রিকাবীবাজার, তালতলা, মির্জাজাঙ্গাল, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড় ইত্যাদি এলাকার অধিকাংশ মার্কেট বিপণী বিতান ও শপিং মলের নিজস্ব কোনো পার্কিং ব্যবস্থাই নেই।
এসব এলাকার আবার অনেকেই স্থাপনা তৈরির সময় তাদের পরিকল্পনায় পার্কিং স্পেস রেখেছিলেন। কিন্তু পরে তা আর বাস্তবায়ন করেন নি।
যারা এমন কাজ করেছেন, তাদের আল্টিমেটাম ািদয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তাকেরকে পার্কিং স্পেস উন্মুক্ত করতে হবে। পরিকল্পনায় রাখা পার্কিং স্পেসে দোকান কোটা বা অন্য যেকোনো স্থাপনা তৈরি করে থাকলে দ্রæত তা সরিয়ে ফেলতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা করতে হবে।
তবে অন্যতায় কি অ্যাকশন নিতে পারে প্রশাসন- তা জানালেও বুঝাই যাচ্ছে, পরবর্তী ব্যবস্থা আরও কঠোর হতে যাচ্ছে।
রবিবার সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আব্দুল কুদ্দুছ পিপিএম’র সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয় নগরীর বাজার কমিটিগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে। এই সভায় সভাতেই গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সোমবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন এসএমপির গণমাধ্যম কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।




