Connect with us

সোশ্যাল মিডিয়া

তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার

তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার

সম্প্রতি, হিজাব পরিধান না করার কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একজন হিন্দু উপজাতি নারীকে উগ্র ইসলামপন্থীদের দ্বারা মারধরের দাবি করে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়।

তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমার স্ক্যানার টিম জানায়, এই ভিডিওটি বাংলাদেশি মুসলিম কর্তৃক কোনো হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনার নয় বরং, এই ভিডিওটির ব্যক্তি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম এবং তার নাম আরোহী ইসলাম।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ‘সৈকতে নারীকে হেনস্তা করা সেই ঘটনার নেপথ্যে কী’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হেনস্তার শিকার হন ওই ব্যক্তি। তবে এই প্রতিবেদন থেকে তৃতীয় লিঙ্গের ওই ব্যক্তির জানা যায়নি।

তবে, দৈনিক আজকের পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তার নাম আরোহী ইসলাম। তার বয়স ২০ বছর। তিনি একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি। হেনস্তার শিকার আরোহী ইসলাম বাদী হয়ে সেসময় দুজনের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনায় মামলাও করেন।

এ ছাড়াও, বিবিসি বাংলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী হেনস্তার ঘটনায় হয়রানির সূত্রপাত যে যুবকের মাধ্যমে, তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে হেনস্তার ভিডিও হিন্দু নারী নির্যাতন বলে প্রচার
ভিডিও দেখে জড়িতের গ্রেফতার ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করার পর পুলিশ জানায়, তার নাম ফারুকুল ইসলাম এবং তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আরোহী ইসলাম নামে তৃতীয় লিঙ্গের মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্তার ঘটনাকে হিন্দু উপজাতি নারীকে হেনস্তার ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর বলেও জানায় রিউমার স্ক্যানার।

Continue Reading

আলোচিত

ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করতে আপত্তি জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান

ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করতে আপত্তি জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান
ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করতে আপত্তি জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে এনেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে বেছে নেওয়াতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের জোর আপত্তি ছিল বলে মন্তব্য করতে দেখা গেছে আসিফ মাহমুদকে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) ভিডিওটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

‘ক্যান্টনমেন্টের ইন্টারভেনশনের ট্রেইলর-১’ শীর্ষক ২৮ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তাটি গত ১৫ মার্চ ধারণ করা হয়েছিল বলে ওই পোস্টার মন্তব্য ঘরে জানান তিনি। 

ভিডিওতে আসিফ বলেন, সেনাপ্রধানের দিক থেকে মূল ভেটোটা (আপত্তি) ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন? হোয়াই নট এনি আদার পারসন (অন্য কেউ কেন নয়)? ড. ইউনূসের নামে মামলা আছে। তিনি একজন কনভিক্টেড পারসন (দণ্ডিত ব্যক্তি)। কনভিক্টেড পারসন কীভাবে আসলে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারে।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে আরও বলতে দেখা যায়, সেনাপ্রধান প্রশ্ন রাখেন, আওয়ামী লীগকে একটা লোক একেবারেই দেখতে পারছে না। বাংলাদেশে তো আল্টিমেটলি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ লোক আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। এই ৩০-৪০ শতাংশের মানুষের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে কি একটা লোককে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত?

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ তুলে অবিলম্বে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ। 

শুক্রবার দিবাগত রাতে (২১ মার্চ) এক ফেসবুক পোস্টে এনসিপির এ নেতা লিখেছেন, আসুন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দিবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নাই, বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।

তিনি লিখেন, ১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০-এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়—ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে—তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লিখেন, আমাদেরকে আরো বলা হয়—‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে। 

হাসনাত বলেন, আমরা তৎক্ষণাৎ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করি এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করতে বলি।

এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোনো ধরনের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক।

হাসনাত আরও লিখেন, আলোচনার এক পর্যায় বলি—যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ইনক্লুসিভ ইলেকশন হবে না।’

উত্তরে আমরা বলি, আওয়ামী লীগের সাথে কোনো ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে ফেরাতে হবে। আওয়ামী লীগ ফেরানোর চেষ্টা করা হলে যে সংকট তৈরি হবে, তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।

এরপর ওই মিটিং সেখানেই অসমাপ্ত রেখে তাদের চলে আসতে হয় বলে উল্লেখ করেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের সময়ও তাদের ওপর নানা ধরনের চাপ দেওয়া হয়েছে। এনসিপির এ নেতা বলেন, আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের উপরেই আস্থা রেখেছি। আপনাদের সাথে নিয়েই হাসিনার চূড়ান্ত পতন ঘটিয়েছি। 

হাসনাত এরপর লিখেন, এ পোস্ট দেওয়ার পর আমার কী হবে আমি জানি না। নানামুখী প্রেশারে আমাকে হয়তো পড়তে হবে, হয়তো বিপদেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করার সুযোগ নাই।

তিনি আরও লেখেন, আজ আবারও যদি আপনাদের সমর্থন পাই, রাজপথে আপনাদের পাশে পাই, তবে আবারও এই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের ভারতীয় ষড়যন্ত্রও আমরা উড়িয়ে দিতে পারব।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

‘আমার স্বামী তিন বিয়ে করেছেন, চতুর্থ বিয়েতেও আপত্তি নেই’

‘আমার স্বামী তিন বিয়ে করেছেন, চতুর্থ বিয়েতেও আপত্তি নেই’

যেসব পুরুষের এক স্ত্রী থাকে সাধারণত তারা অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা ফারাহ ইকরার। এ ক্ষেত্রে ওই পুরুষদের স্ত্রীরাও অনুমতি দেন বলে দাবি করেন তিনি।

যেসব পুরুষের এক স্ত্রী থাকে সাধারণত তারা অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা ফারাহ ইকরার। এ ক্ষেত্রে ওই পুরুষদের স্ত্রীরাও অনুমতি দেন বলে দাবি করেন তিনি।

ফারাহ ইকরার সম্প্রতি রাবি পীরজাদার পডকাস্টে অংশ নিয়ে তার স্বামী ও পুরুষের একাধিক বিয়ে নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

স্বামীর আরও দুটি বিয়ে তার বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করেন না তিনি। এমন ধারণাকে ভুল ও নেতিবাচক চিন্তা বলে মনে করেন এ সংবাদ উপস্থাপিকা।

ফারাহ ইকরার জানান, তার স্বামী বর্তমানে দুই স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বিদেশে ভ্রমণ করছেন, এতে তার কোনো সমস্যা নেই।

ফারাহ ইকরার বলেন, টিভি উপস্থাপক ইকরার-উল-হাসানকে যখন তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, তখন তার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর হয়তো খারাপ লেগেছিল।তবে স্বামীর তৃতীয় বিয়ে নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই।

তিনি জানান, এর আগেও তিনি বলেছিলেন, স্বামীর একাধিক বিয়েতে তার কোনো সমস্যা নেই।আল্লাহ যখন একজন মানুষকে একাধিক বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন, তখন কে এটিকে বাধা দিতে পারে?

তিনি এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন যে তার স্বামীর অন্য দুই স্ত্রী তার বিরুদ্ধে।

ফারাহ ইকরার আরও বলেন, তার স্বামী যদি চতুর্থ বিয়ে করতে চান, তাহলে তার কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এমন ধারণা ভুল যে যার টাকা আছে, সে পুরুষই একাধিক বিয়ে করে।একাধিক বিয়ের সঙ্গে অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই।

উপস্থাপিকার মতে, একজন পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে চায় এবং সে চায় নারীরা তার আশেপাশে থাকুক।

ফারাহ ইকরার বলেন, যেসব পুরুষের কেবল একজন স্ত্রী থাকে তাদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকে। এবং তাদের স্ত্রীরাই এ সম্পর্ক রাখার অনুমতি দেন।

তিনি বলেন, এটা বাস্তব যে অনেকের কাছেই তার এসব কথা খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু সত্য হলো যাদের এক স্ত্রী রয়েছে, তাদের অধিকাংশই সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।

ফারাহ ইকরারের মতে, স্ত্রীরা তাদের স্বামীকে বলে গার্লফ্রেন্ড রাখতে, পরকীয়া করতে কিন্তু ঘরে অন্য স্ত্রী আনতে নিষেধ করে।

উল্লেখ্য,ফারাহ ইকরারের স্বামী, টিভি উপস্থাপক ইকরার-উল-হাসান তিনটি বিয়ে করেছেন। তার এসব বিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়।

Continue Reading

আলোচিত

সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গু জ ব ভারতীয় গণমাধ্যমে
সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটের এমসি কলেজের মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে গত ১১ জানুয়ারি বয়ান করেন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সেই মাহফিলের জন্য পার্শ্ববর্তী একটি মন্দির কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ বাংলা।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই দাবিতে কয়েকটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারি প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়।

প্রকৃতপক্ষে ওই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে; কুয়াশায় যাতে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণে মন্দির কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী হাসান আল মাহমুদ জানান, আলোচিত ছবিগুলো সিলেটের গোপাল টিলা মন্দিরের। মূলত সরস্বতীর প্রতিমা তৈরি উপলক্ষে মন্দিরটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যাতে করে কুয়াশায় প্রতিমাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ

তিনি আরো জানান, ওয়াজের ৩ দিন আগ থেকেই প্লাস্টিক টাঙ্গানো হয়েছে, ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়ে গেলেও প্লাস্টিকগুলো এখনও সেখানে আছে এবং আরও কয়েকদিন থাকবে।

আলোচিত ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি কর পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা। মন্দির কমিটির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই ভিত্তিহীনভাবে এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় একজন কারিগর নামমাত্র মজুরিতে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে আশেপাশের পূজামণ্ডপগুলোতে সেগুলো বিক্রি করেন।

যেহেতু আমাদের মন্দিরে নিরাপত্তা ভালো, তাই আমরা তাকে এখানে প্রতিমা তৈরির জন্যে জায়গা দিয়েছি। শীতকালের কুয়াশার কারণে প্রতিমা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং শিশু-কিশোরদের অযাচিত কৌতূহল এড়াতে কারিগর নিজেই মন্দিরের চারপাশ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, গোপাল টিলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সাথে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাহফিলের কোনো সম্পর্ক নেই।

সৌজন্যে: কালেরকন্ঠ

Continue Reading

আলোচিত

নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ! বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়

নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ! বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়
নিউইয়র্কে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ! বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড়

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ২১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি সবার সামনে মলত্যাগ করছে। আর সেই ব্যক্তি মোবাইলে কি-জানি দেখছে। আর অন্যরা যার যার মতো হাটতেছে। কেউবা আবার তার দিকে তাকিয়ে হাটতেছে। এ ভিডিওটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, যে ব্যক্তিটি প্রকাশ্যে মলত্যাগ করছে সে একজন ভারতীয়। আর স্থানটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেট্রো স্টেশন। তবে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। স্থানটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান হওয়ার পরও সেই ব্যক্তি উলঙ্গ হয়ে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করেই যাচ্ছে। আর সেই ব্যক্তি মোবাইলে কি-জানি দেখছে। আর সাধারণ নাগরিকরা যার যার মতো হেটে যাচ্ছে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ব্যক্তি ও ভারতের তুমুল সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

নেটিজেনরা বলছেন, কোনো সভ্য দেশের নাগরিক এভাবে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করতে পারে না। এতেই প্রমাণ হয় ভারত একটি অসভ্য ও বেয়াদব জাতি। তাদের দ্বারা মানুষ ও জাতির কল্যাণ সম্ভব নয়। যে দেশের নাগরিক গরুর গোবর ও প্রস্রাব খায় তারা কিভাবে ভালো মানুষ হবে। ভারতের নাগরিকরা গরুর গোবর ও প্রস্রাব খায় বিধায় তাদের হিতায়িত জ্ঞান থাকে না। ফলে তারা অসভ্যর মতো আচরণ করে। বিশ্বের মধ্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয় ভারতে। মুসলিমদের তারা অন্যায়ভাবে অনেক নির্যাতন করে।

নেটিজেনরা আরও বলেন, ভারত আবার বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে নাক গলায়। যে দেশের নাগরিকরা অসভ্য ও বেয়াদব তারা কিভাবে অন্যেদের শিক্ষা দেবে। ভারতের নিজেই তো শিক্ষা নেই। শিক্ষা যদি থাকতো তাহলে সবার সামনে কোনো মানুষ এভাবে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করতে পারতো না। ভারতের কাজই হলো অন্য দেশে সমস্যা লাগানো। তারা অন্যদের নিয়ে না ভেবে আগে নিজেরা ভদ্র হওয়ার শিক্ষা নিক।

নেটিজেনরা বলেন, তারা সামান্য কোনো কিছুতেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানি দেই। সন্ত্রাসী দেশ ভারতের নিজেদেরই তো চরিত্র ঠিক নেই। তারা কিভাবে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে। এখন আর আগের মতো ভারতের সেবাদাসী হাসিনা নেই যে- তাদের কথা মতো বাংলাদশে। এই দেশে তাদের দাদোগিরি শেষ। কাজেই বিনা কারণে কোনো উসকানি বা কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইলে এ দেশের মানুষ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

Continue Reading

আলোচিত

৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস রেকর্ড বাংলাদেশের সুমাইয়ার

৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস রেকর্ড বাংলাদেশের সুমাইয়ার

বিশ্বের দরবারে অন্যরকম রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশের সুমাইয়া। চপস্টিক দিয়ে ১ মিনিটে ৩৭টি ভাত খেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশি তরুণী সুমাইয়া খান। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ফেসবুক পেজে সুমাইয়ার ১ মিনিটে ৩৭টি ভাত খাওয়ার ভিডিওটি ১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম ছিল, প্রতিবার কেবল ১টি করে ভাতের দানাই মুখে তোলা যাবে। চপস্টিকে ১টির বেশি ভাত তুললেই রেকর্ড করার প্রয়াস বাতিল বলে গণ্য হবে। এর আগে এই রেকর্ডের পাশে যার নাম ছিল, তিনি ১ মিনিটে খেয়েছিলেন মাত্র ১০টি ভাত।

সুমাইয়া রামেন খেতে খুব পছন্দ করেন। আগে থেকেই চপস্টিক দিয়ে রামেন খেতে পটু। এরপর কোরিয়ান সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে একে একে সব খাবারই চপস্টিক দিয়ে খেতে শুরু করেন।

কয়েক বছর ধরে চপস্টিক দিয়ে ভাতও খান। সুমাইয়ার এক সহকর্মী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ১ মিনিটে চপস্টিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাত খাওয়ার আগের রেকর্ড সম্পর্কে জানতেন। আর তিনি নিশ্চিত ছিলেন, সুমাইয়া অনায়াসে সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারবেন। তিনিই মূলত সুমাইয়াকে নতুন রেকর্ড গড়তে অনুপ্রাণিত করেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে সুমাইয়া বলেন, ‘রামেন আমার খুবই পছন্দের খাবার। কোরিয়ান সংস্কৃতিও আমাকে খুব টানে। ফলে আমার সঙ্গে সব সময় চপস্টিক রাখতে শুরু করি। এর পর থেকে প্রায় সব ধরনের খাবার খাই চপস্টিক দিয়ে। আর যেহেতু আমি বাংলাদেশি, তাই ভাত খাই প্রতিদিনই।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে পেরে সুমাইয়া খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। দারুণ অনুভূতি। আর আমার আশপাশের সবাই আমাকে নিয়ে গর্বিত। এটা আসলেই দুর্দান্ত। আমি সম্মানিত, আনন্দিত।’

Continue Reading

সোশ্যাল মিডিয়া

ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে: তনি

ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে: তনি

সোশ্যাল ইনফ্লুয়েনসার ও দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রুবিয়াত ফাতিমা তনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠোঁটকাটা স্বভাবের নারী হিসেবে বেশ সুপরিচিত আছে তার। ফেসবুকে তিনি অধিকাংশ সময় সরব থাকেন পোশাকের ব্যবসা নিয়ে। কিন্তু কিছুদিন ধরে সময়টা খারাপ যাচ্ছে এই উদ্যোক্তার। তা চক্ষুগোচর হয় তার সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট দেখে।

তনির ফেসবুক পাতায় দেখা মেলে শুধু হাহাকার। জানান, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন তিনি। কারণ, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন তার স্বামী। যার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামীকে নিয়ে দেশের বাইরে আছে তিনি। তবে কি অসুখে ভুগছেন, তা কোথাও উল্লেখ করেননি।

এদিকে স্বামীর পাশাপাশি একমাত্র ছেলেকে নিয়েও বেশ চিন্তিত তনি। একমাত্র সন্তান সারফারাজকে নিয়ে প্রায় সময়ই ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দেন। বৃহস্পতিবার ( ১৭ অক্টোবর) তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ওর শুধু একটাই প্রশ্ন মাম্মি কবে আসবা!!ছেলেটা হাসতে ভুলে গেছে।

একমাত্র ছেলের জন্মদিনেও পাশে থাকতে পারেননি তনি। এনিয়ে আগের দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, মাম্মি আমার তো ২ দিন পরে জন্মদিন! তুমি কি জানো!! প্লিজ ড্যাডিকে নিয়ে চলে আসো- সারফারাজ। কি উত্তর দেবো? ১৭ অক্টোবর ৫ বছর হবে সারফারাজের, ছেলের জন্মদিন নিয়ে কত প্ল্যান ছিল তার ড্যাডির, আমাকে রেখে লন্ডনে চলে যাবে কত হুমকিও দিলো। আল্লাহতায়ালা উওম পরিকল্পনাকারী।

প্রসঙ্গত, তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটাক্ষের মুখে পড়েন এই নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দিয়েছেন তিনি।

শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তনি।

Continue Reading

Trending