আলোচিত
সিলেটে আজহারীর মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার গুজব ভারতীয় গণমাধ্যমে

সিলেটের এমসি কলেজের মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে গত ১১ জানুয়ারি বয়ান করেন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সেই মাহফিলের জন্য পার্শ্ববর্তী একটি মন্দির কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে প্রচার করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ বাংলা।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই দাবিতে কয়েকটি ছবি প্রচার করা হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারি প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়।
প্রকৃতপক্ষে ওই মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে; কুয়াশায় যাতে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণে মন্দির কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী হাসান আল মাহমুদ জানান, আলোচিত ছবিগুলো সিলেটের গোপাল টিলা মন্দিরের। মূলত সরস্বতীর প্রতিমা তৈরি উপলক্ষে মন্দিরটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যাতে করে কুয়াশায় প্রতিমাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ
তিনি আরো জানান, ওয়াজের ৩ দিন আগ থেকেই প্লাস্টিক টাঙ্গানো হয়েছে, ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়ে গেলেও প্লাস্টিকগুলো এখনও সেখানে আছে এবং আরও কয়েকদিন থাকবে।
আলোচিত ওই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি কর পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, মাহফিলের জন্য মন্দির ঢেকে দেওয়ার তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা। মন্দির কমিটির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই ভিত্তিহীনভাবে এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় একজন কারিগর নামমাত্র মজুরিতে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে আশেপাশের পূজামণ্ডপগুলোতে সেগুলো বিক্রি করেন।
যেহেতু আমাদের মন্দিরে নিরাপত্তা ভালো, তাই আমরা তাকে এখানে প্রতিমা তৈরির জন্যে জায়গা দিয়েছি। শীতকালের কুয়াশার কারণে প্রতিমা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং শিশু-কিশোরদের অযাচিত কৌতূহল এড়াতে কারিগর নিজেই মন্দিরের চারপাশ কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।
এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, গোপাল টিলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার সাথে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাহফিলের কোনো সম্পর্ক নেই।
সৌজন্যে: কালেরকন্ঠ
আলোচিত
হরিপুরে রেস্টুরেন্টে মিলল ৭০টি মৃত পাখি!

নিষিদ্ধ পরিযায়ী পাখি বিক্রি ও পাচারের দায়ে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে দু’টি রেস্টুরেন্ট মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের এই জরিমানা করা হয়।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার লাবনীর নেতৃত্বে অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বন বিভাগ সহায়তা করে।
অভিযানকালে ৭০টি মৃত বালি হাঁস, ঘুঘুসহ অংসখ্য প্রজাতির পরিযায়ী পাখি পাওয়া যায়। এছাড়া রান্না করা পাখির মাংস জব্দ করা হয়। এসময় মৃত পরিযায়ী পাখিগুলো সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। সে সময় রান্না করা মাংসগুলো স্থানীয় এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তা আমরা অভিযানটি পরিচালনা করি। এ সময় শিকার নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী (পরিযায়ী পাখি) বিক্রির যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে কাউকে গ্রেপ্তার না করে আইন অনুযায়ী ২০ হাজার করে দু’টি রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আলোচিত
চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

পাথরবাহি ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। এর মধ্যে ২জন এসআই, ২ এএসআই ও ৯ কনস্টেবল রয়েছেন। ক্লোজড করার পর তাদের সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদেরকে ক্লোজড করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাই আমরা। এর প্রেক্ষিতে এসআইসহ ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের আপাতত অন্য কোন কর্মস্থলে দেওয়া হয়নি। তদন্তের পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্লোজড হওয়া ১৩ পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসান, কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন, ও কিপেস চন্দ্র রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলার কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করে স্থানীয় একটি গোস্টি। এনিয়ে সমালোচনার পর পাথর উত্তলন বন্ধে শাহ আরেফিন টিলার পাশে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসায় জেলা পুলিশ। তবে ওই ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে টিলার পাথরবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে উঠে।
পুলিশ সদস্যদের চাঁদাবাজির কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর তাদেরকে ক্লোজড করে সিলেট পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আলোচিত
কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভবিষ্যত ‘অনিশ্চিত’

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার আসনে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ‘সেকেন্ড কামিং’ নিয়ে চর্চা হচ্ছে অনেক। কারণ, ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প এক বড়সড় ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের অবিলম্বে আমেরিকা থেকে বের করে দেবেন এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার আইনটিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ঘোষণার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী প্রবাসীরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। বিশেষভাবে, গত বছর কানাডায় ভিজিট ভিসায় গিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করা বাংলাদেশীদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশিদের মধ্যে সিংহভাগই সিলেট বিভাগের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ হলেন অভিবাসী। বিদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির এ হার গত কয়েক বছর থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার তার লাগাম টানতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। যদিও এর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।
তবুও ট্রাম্পের প্রশাসন ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন; ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে তাদের ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে পরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কানাডা থেকে ভিজিট ভিসায় এসে আমেরিকায় ঢোকা বাংলাদেশীরা, যারা বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। তারা জানেন না, তাদের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, কারণ তারা অবৈধ অবস্থায় আছেন।
আমেরিকায় এই বাংলাদেশী অভিবাসীদের একটি বড় অংশ কাজ করছেন বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, বা অন্যান্য সেক্টরে। এসব মানুষ বহু অর্থ খরচ করে, দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে, ভিজিট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন। এখন, ট্রাম্পের কঠোর নীতির ফলে, তাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বৈধভাবে বসবাস করছেন। তবে, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছেন। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।
এছাড়া, আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর অন্যতম একটি উৎস। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টানা তিন মাস ধরে রেমিট্যান্স পাঠানো দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, যদি আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভিজিট ভিসায় যাওয়া সিলেট নগরীর পীরমহল্লা এলাকার এক যুবক বলেন, অনেক টাকা খরচ করে ভিজিট ভিসায় কানাডায় এসেছিলাম। এসে দেখি কাজ নেই। এক সপ্তাহ পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছি আমেরিকায়। এর জন্য দালালকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। আসার পর কাজ পেয়েছি, ভালোই চলছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কখন গ্রেফতার হতে হয়, সেই ভয়ে দিন কাটে। শুধু তিনি একা নন, আমেরিকায় সম্প্রতি এই পথে পাড়ি জমানো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার পর তারা এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন। দিন কাটছে গ্রেফতার আতঙ্কে। এই অবৈধ অভিবাসীরা কি তাদের জীবিকার জন্য ভবিষ্যতে আইনি সুরক্ষা পাবে, নাকি তাদেরকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে? এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার উত্তর নেই, তবে ট্রাম্প প্রশাসন একেবারে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা এই ধরনের অভিবাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধরপাকড় করবে। এর ফলে, দেশটির পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যাদের কাজ হলো এসব অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
আলোচিত
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেট নগরী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অয়ন দাশ (২৭) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তাকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানায়নি পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া অয়ন দাশ সিলেট নগরীর বাগবাড়ি প্রমুক্ত একতা ৪নং রোডের বিমল কান্তি দাসের ছেলে।
আলোচিত
ইতালির জন্য ‘গেম’ দিয়ে নিখোঁজ কুদ্দুস, নিঃস্ব হয়েছে পরিবার

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কুদ্দুস বেপারী (৩২)। বাড়ি থেকে যাত্রা করার আগে দালালকে লিখে দিয়েছেন দুই বিঘা জমি। এখন স্বামী আর জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন কুদ্দুসের স্ত্রী এবং একমাত্রা সন্তান। ইউরোপ যেতে পারলেই স্বপ্ন পূরণ, এমন আশায় বের নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারী। আর দেশে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার।
নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের আতাহার বেপারী ও শান্তি বেগমের ছেলে। তিনি বাংলাদেশে ছিলেন মোবাইল মেকানিক।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের দালাল মনির শেখ (৫০) ২ বিঘা জমি লিখে নেন কুদ্দুস বেপারীর কাছ থেকে। ওই জমির মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা। পরে গত চার মাস আগে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন কুদ্দাস। বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় গিয়ে বন্দি থাকেন এক জায়গায় যাকে দালালদের ভাষায় বলা হয় ‘গেম ঘর’। সম্প্রতি লিবিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকে কুদ্দুস বেপারী নিখোঁজ। ওই ঘটনার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই তার। তিনি জীবিত নাকি মৃত, কিছুই জানে না কেউ।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, দালাল মনির শেখ দুই বছর আগেও দর্জির কাজ করতেন। এরপর বিভিন্ন যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধপথে ইতালি নেওয়ার কাজ শুরু করেন। তার মাধ্যমেই ইতালি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন কুদ্দুস বেপারী।
কুদ্দুস বেপারীর স্ত্রী দিনা আক্তার বলেন, তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের সংসারে আট মাস বয়সের একটি ছেলে আছে। হঠাৎ দালাল মনিরের প্রলোভনে পড়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা দামের ২ বিঘা জমি গোপনে লিখে দেয় আমার স্বামী। আমরা কিছুই জানতাম না। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আমার স্বামী জানায়, মনির দালালের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাচ্ছে। ৪ মাস লিবিয়ায় ছিল। তখন তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু গত প্রায় ১৪ দিন কোনো কথা হয় না। তার কোনো খোঁজও পাচ্ছি না। এদিকে দালালও পালিয়ে গেছে, তারও ফোন বন্ধ।
দিনা আক্তার বলেন, একপর্যায়ে জানতে পারি গত ২৪ জানুয়ারি নাকি লিবিয়ার বেনগাজি থেকে ৪৩ জনের গেম দিয়েছে, তাতে অনেকেই মারা গেছে। অনেকেই নিখোঁজ। সেদিন থেকেই আমার স্বামীরও কোনো খোঁজ নেই। এখন আমার ছেলেকে নিয়ে আমি কীভাবে বাঁচবো? দালালের কঠোর বিচার চাই।
ইতালির জন্য ‘গেম’ দিয়ে নিখোঁজ কুদ্দুস, নিঃস্ব হয়েছে পরিবার
নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারীর ভাই সোবহান বেপারী বলেন, আমার ভাইকে ইতালি নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২ বিঘা জমি লিখে নিয়েছে মনির দালাল। আমার বাবা ও আমাকে ভাই কিছুই জানায়নি। সর্বশেষ ২২ জানুয়ারি আমার ভাই আমাদের জানিয়েছিল, গেম দেবে তাই তার ফোন নিয়ে যাবে। এরপর থেকে কোনো কথা হয়নি। গেম দেওয়ার কথা ছিল ২৫ জানুয়ারি। কিন্তু কবে গেম দিয়েছে, আমার ভাই বেঁচে আছে কি না, কিছুই জানি না। আর কোনো যোগাযোগ নেই। দালালও ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। আমরা কী করবো, জানি না। দালাল মনিরের বিচার চাই।
নিখোঁজ কুদ্দুস বেপারীর মা শান্তি বেগম বলেন, আমার ছেলে কাউকে কিছু না জানিয়ে দালাল মনিরকে ২ বিঘা জমি লিখে দিয়েছে। আমরা এর কিছুই জানতাম না। হঠাৎ একদিন বলে আমি ইতালি যাই। লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবো। আমাদের আর কোনো দুঃখ থাকবে না। কিন্তু আমার ছেলের সঙ্গে বর্তমানে কোনো যোগাযোগ নেই। আমার ছেলে বেঁচে আছে কি না তাও জানি না। আমি মনির দালালের বিচার চাই, ছেলের সন্ধান চাই।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে মামলা করতে পারেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। মানবপাচারকারীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়া অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর কেউ যেন না যান, সে বিষয়ে আমরা সচেতনতামূলক সভা করছি।
এ ব্যাপারে দালাল মনির শেখের মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া তার বাড়িও তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ ভারতীয়দের হাতকড়া ও পায়ে শিকল বেঁধে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সামরিক বিমানে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যসভায় তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
এবার ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার বর্ডার পেট্রলের (ইউএসবিপি) প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাঙ্কস।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ ভারতীয়দের বিমানের তোলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আমেরিকার বর্ডার পেট্রলের (ইউএসবিপি) প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাঙ্কস।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেআইনি ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করলে তাকে বের করে দেওয়া হবে।
২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর শুরুতে মার্কিন সি-১৭ বিমানের দরজা খুলে যেতে দেখা যায়। এরপর বিমানে রাতের অন্ধকারে হাতকড়া পরিয়ে ভারতীয়দের বিমানে তোলা হয়।
এ সময় তাদের পায়েও শিকল পরানো ছিল। এমনকি বিমানের সামনে মার্কিন সেনাকর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে।
- আন্তর্জাতিক10 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস4 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস4 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- বিনোদন10 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- আন্তর্জাতিক3 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস3 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস3 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক4 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা