Beanibazarview24.com
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও নবম শ্রেণির ছাত্র প্রেমের টানে গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার স্কুলছাত্রীর অকাল মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে স্বামী আল আমিনসহ পরিবারের লোকজন তাবিয়াকে গুরুতর অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাবিয়ার পরিবারের অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিষ পান করিয়ে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় তারা গোসাইরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন। দুপুরে পালং মডেল থানা পুলিশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
তাবিয়ার বাবা সিরাজুল ইসলাম মাদবর বলেন, সকাল ৮টার দিকে আল আমিন আমাকে ফোন দিয়ে বলে তাবিয়া বিষপান করেছে, তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। এর কিছুক্ষণ পর ফোন দিয়ে বলে তাবিয়া মারা গেছে। বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার পর তারা কৌশলে মেয়েকে হত্যা করেছে। মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করবো।
গোসাইরহাট থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, মেয়ের পরিবার অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোসাইরহাট উপজেলার মহেশ্বপট্টি গ্রামের মোকলেছ তপাদারের ছেলে আল আমিন তপাদার ও একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মাদবরের মেয়ে তাবিয়া উপজেলা শহরের ইদিলপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.