বিয়ানীবাজার তথা সিলেটের মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে থানাপুলিশ। চোরাই মোটরসাইকেল প্রথমে কোথায় রাখা হয়, কিভাবে হাতবদল হয়, কারা এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তাদের সিন্ডিকেট দলের সদস্য সংখ্যা কতজন? এমন সব তথ্যের উপর ভিত্তি করে চোরাই সিন্ডিকেট রোধ করতে কাজ করছে বিয়ানীবাজার থানাপুলিশ।সিলেট ভ্রমণ গাইড
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে এই সিন্ডিকেট চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পরে এসব তথ্য বের করেছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক ৩টি মামলা (নং ০৮, ০৯, ১০) দায়ের হওয়ার পর মাঠে নামে থানাপুলিশ কয়েকটি টিম। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রথমে পৌরশহরের খাসা শহীদ টিলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কামরুল হাসান (২৩) নামের একজনকে। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার মুমিনপুর গ্রামের আব্দুল মুকিতের ছেলে। শহীদ টিলা এলাকায় ভাড়া থাকে কামরুল। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জগন্নাথপুর থানার রানীগঞ্জ এলাকা থেকে মো. আকাইদুর রহমান (২৫) নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আকাইদ একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। চুরি হওয়া তিনটি মোটরসাইকেলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়- জগন্নাথপুর বাঘমারা এলাকার তাজপুরস্থ সেফুল মিয়ার বাড়ীর সামনে পার্কিংয়ে গাড়িগুলো রাখা আছে, পরে পুলিশ তাদের সাথে করে নিয়ে গাড়িগুলো উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার জানান, ‘আসামী কামরুল এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে মোটরসাইকেল চুরি করতে পারে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্ জামান এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী পুরো তদন্ত কার্যক্রম সমন্বয় ও পরামর্শ প্রদান করেন। আদালতের কাছে আসামীদের ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’
জানা যায়, বিয়ানীবাজারে ৩০/৩৫ জনের একদল তরুণ মোটরসাইকেল চুরির সাথে জড়িত। চুরির পেছনে তাদের একাধিক মদদদাতা রয়েছেন। বিয়ানীবাজারে বর্ষা মৌসুমে সবথেকে বেশি মোটরসাইকেল চুরি বৃদ্ধি পায়। দ্রুত চোরাই মোটরসাইকেলগুলো হাতবদল হয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলে যায়। গত ৩ মাসের ব্যবধানে বিয়ানীবাজার থেকে আনুমানিক ১০/১৫টি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। কিন্তু এই চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলের সব ঘটনায় মামলা দায়ের করতে আগ্রহী হননা ভূক্তভোগীরা।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উজ্ জামান বলেন, ‘থানাপুলিশের সমন্বিত কার্যক্রমের সুফল এটি। আসামীদের রিমান্ডে এনে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের পুরো তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে অনেক তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা সম্ভব হচ্ছেনা।’