সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথ ও গোয়াইনঘাটের জাফলংসহ ছয়টি পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
দেশের পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, স্থানীয় অর্থনীতিতে গতি আনা এবং কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যেই সরকার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, সিলেটের জাফলং, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়াসহ ছয়টি পর্যটনকেন্দ্রের পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেমন উন্নত সড়ক যোগাযোগ, পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সেবা, পরিচ্ছন্নতা এবং তথ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার সুস্পষ্ট রূপরেখা রয়েছে।
এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কমিটির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার ‘সিলেট পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান কমিটি’র সদস্যরা বিভিন্ন পর্যটন এলাকা পরিদর্শন করেন। কমিটির সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. বজলুর রশিদের নেতৃত্বে কমিটিতে পরিবেশ বিজ্ঞান, স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা, পর্যটন ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।
কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদাপাথর ও বিকেলে জাফলং পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখেন। তারা পর্যটনকেন্দ্রগুলোর বর্তমান অবস্থা, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রাসহ মাঠপর্যায়ে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
সাদাপাথর ঘুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সভাপতি ড. বজলুর রশিদ। এ সময় তিনি বলেন, সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন, পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই মহাপরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। পরিকল্পনায় জলাভূমি, নদী, পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
পরিদর্শন টিমের সঙ্গে থাকা সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানান, সৌন্দর্যে ঘেরা সিলেটকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এলাকা ঘুরে দেখছেন। কমিটিতে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।