Beanibazarview24.com
‘রোজা আসলে আমার কন্ডিশনিংয়ে খুব সাহায্য করে। রোজা হল এমন একটি বিষয় যেটার জন্য আমি অপেক্ষা করি। এটা বছরের সেরা মাস। আমি দেখেছি রোজায় দারুণ মানসিক এক্সারসাইজ হয়। পাশাপাশি পারলৌকিক বিষয়েও সাধনা হয়। এ সময় প্রাকৃতিকভাবেই কিছু কিছু ব্যাপার ঘটে যায়। সেটা এমন কিছু যেটা নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবিনি। কিন্তু কোনো না কোনোভাবে সেটা হয়ে যাচ্ছে। যেটাতে সবাই উপকৃত হচ্ছে।’
কথাগুলো বলছিলেন হাশিম আমলা, বিশ্ব ক্রিকেটের জনপ্রিয় নামগুলোর একটি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ব্যাট হাতে নিয়মিতই আস্থার প্রতিদান দেন। তাই নিয়মিতই থাকেন আলোচনায়। আমলা আলোচনায় থাকেন আরো একটি কারণে। যে কোনো পরিস্থিতিতেই মেনে চলেন ধর্মীয় অনুশাসন।
সামনেই বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপের শুরুটা হবে মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজান চলা অবস্থায়ই। রোজা রেখে শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক, এই অবস্থায় খেলা যে কারোর জন্যই কষ্টকর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম ক্রিকেটার হাশিম আমলা জানিয়েছেন, রোজা তাকে বরং ভালো খেলায় সহায়তা করে।
প্রোটিয়া এই ওপেনার রোজা রেখে খেলার বিষয়ে বলেন, ‘এটা সত্যিই আমাকে দারুণভাবে সহায়তা করে। আমি সবসময়ই রোজার দিকে তাকিয়ে থাকি। এটা বছরের সেরা মাস। আমি এটাকে মানসিক ও আত্মিক ব্যায়াম হিসেবে দেখি।’
বিশ্বকাপ কঠিন টুর্নামেন্ট। এখানে একাদশে জায়গা ধরে রাখা কঠিন। উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ইনিংস সূচনায় আমলার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আছেন এইডেন মাকরাম। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না আমলা। দলের জন্য ভালো খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে।
আমলা বলেন, ‘আমার কাছে রান করাটাই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আমি একাদশে থাকছি অথবা থাকছি না, এটা আমার জন্য কখনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি যা জানি, তা মাঠে দেখাতে চাই। আর সেটা যাতে দলের উপকারে আসে।’
বিশ্বকাপের আগে ভালো খেললেও বরাবরই মূল টুর্নামেন্টে খেই হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে জন্য তাদের নামের আগে বসে গেছে ‘চোকার্স’ তকমা। তবে আমলা নেতিবাচক এই রেকর্ড নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে নারাজ।
তিনি বলেন ‘এটা এমন একটা জিনিস আপনি চাইলেই তা বদলে ফেলতে পারবেন না। এটা স্বাভাবিকভাবেই ঘটে যাবে। এটা নিয়ে যতই সজাগ থাকি না কেনো, যে কোনোভাবে তা ঘটবেই। আমার মনে হয় আমাদের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফ সবাই অভিজ্ঞ। তাই এখানে জ্ঞানের অভাব নেই।’
ভিডিটি দেথতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন…
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.