Monday, August 25, 2025
Home Blog Page 84

পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা

পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে একটি শক্তিশালী সৌরঝড়। দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হেনেছে পৃথিবীতে।

শুক্রবার (১০ মে) তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষণীয় মহাকাশীয় আলো বা অরোরা দেখা দিয়েছে। বিরল এই সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সংবাদমাধ্যম এএফপির বারত দিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন সংস্থা স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে ২০০৩ সালের অক্টোবরে তথাকথিত ‘হ্যালোইন স্টর্মস’-এর পর এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ওই সময়ের সৌর ঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

সৌরঝড়ের কারণে বর্তমানে উত্তর ইউরোপ থেকে করে অস্ট্রেলেশিয়া পর্যন্ত অরোরা বা নর্দার্ন লাইট দেখা যাচ্ছে আকাশে। সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ব্রিটেনের হার্টফোর্ডের একজন থিঙ্ক ট্যাঙ্কার ইয়ান ম্যানসফিল্ড এএফপিকে বলেন, আমরা বাচ্চাদের পিছনের বাগানে নর্দার্ন লাইট দেখার জন্য শিশুদের ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ এটি খালি চোখে দেখা যাচ্ছিল।

এদিকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এসি চালিয়েও ঠান্ডা বাতাস পাচ্ছেন না? ভুল কী জানুন

গরমে শীতল বাতাস পেতে এসির বিকল্প নেই। তাপদাহে এসির ব্যবহার বেড়েছে। একটানা দীর্ঘক্ষণ এসি চালানোর ফলে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঠিকমতো ঠান্ডা বাতাস মিলছে না। এই সমস্যা রুখতে পারেন নিয়মিত মেইনটেনেন্স প্রয়োজন। এসি থেকে ঠান্ডা বাতাস পেতে কিছু টিপস জানুন।

কেন এসি চালিয়েও ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না?
এসির কুলিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন নোংরা ময়লা জমে যাওয়া, সঠিক মোডে না চালানো ইত্যাদি। তবে আরও একটি সমস্যা রয়েছে গ্যাস লিক। অনেকেই জানেন না বিভিন্ন ভাবে এসির রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস লিক হতে পারে। যার ফলে কুলিং তো ঠিক মতো পাওয়া যায়না। পাশাপাশি ঘর আরও গরম হয়ে যায়।

দুইটি কারণে এই সমস্যা হতে পাতে – এক গ্যাসের লেভেল কম থাকা, দুই গ্যাস লিক হওয়া। কিন্তু, প্রশ্ন হল কেন এসি থেকে এই গ্যাস লিক হয় আর তা রুখবেন কীভাবে?

কী কারণে এসির গ্যাস লিক হয়?

প্রথম কারণ হল এসি ক্ষয়ে যাওয়া। যে কনডেন্সার পাইপ থাকে তা সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। যার ফলে গ্যাস লিক হতে শুরু করে। এছাড়াও বাইরে থেকে এসি মেশিনে কোনও ক্ষতি হলে, যেমন ভারী কোনও যন্ত্রের সঙ্গে সংস্পর্শ বা ভেতর থেকে কোনও ক্ষতি হলেও গ্যাস লিক হতে শুরু করে।

আরও একটি কারণ হল ইনস্টলেশনে গাফিলতি। এসির মেশিন ইনস্টল করার সময় তাতে একাধিক গাফিলতি ধরা পড়ে। যার ফলেও গ্যাস লিক শুরু হতে পারে। এছাড়াও পিনহোল লিক হলেও গ্যাস লিক করতে পারে। কারণ যতই থাকুক না কেন প্রথম কাজ হল এই গ্যাস লিক বন্ধ করা।

এসি থেকে গ্যাস লিক হওয়া আটকাবেন কীভাবে?

আপনার কিছু করার আগেই বিষয়গুলো বুঝে যায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেজন্য তারা আগেভাগে নানা যান্ত্রিক ইকুইপমেন্ট ইনস্টল করে রাখে যা গ্যাস লিক বন্ধ করতে সাহায্য করে। তবে কিছু দিন ব্যবহার করার পর সেই সমস্যা দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হল –

১. কপার কনডেন্সার ব্যবহার করা। কারণ এগুলো অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে এবং ক্ষয়ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়।

২. এসির আউটডোর ইউনিট ছাওয়ার মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন বা শেড রয়েছে এমন জায়গায় রাখুন। যাতে সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ে এবং বাইরে থেকে কোনও যন্ত্র এসিতে ধাক্কা না লাগে।

৩. এসি যখন ব্যবহার করছেন না যেমন শীতকালে তখন আউটডোর মেশিন কভার করে রাখুন।

৪. সবশেষে এসি নিয়মিত মেইনটেনেন্স করতে হবে, যাতে এসি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকে।

সিলেটের ১১ উপজেলায় নির্বাচিত হলেন যারা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সিলেট বিভাগের ১১ উপজেলায় গতকাল বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদরসহ বেশিরভাগ উপজেলায় নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন। সিলেট জেলায় চারটি, সুনামগঞ্জে দুটি, মৌলভীবাজারে তিনটি এবং হবিগঞ্জে দুটি উপজেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।

সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো: সুজাত আলী রফিক বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি। উপজেলার সর্বমোট ৬২টি ভোট কেন্দ্রে বিজয়ী সুজাত আলী রফিকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৬৭ । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম টুনু পান ১৩ হাজার ৮শ ৬৩ ভোট। তিনি

পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০। স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫শ ৯১ ভোট, শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা, সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) পান ৬ হাজার ৭শ ৯৬ ভোট, মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে পান ৫ হাজার ৪শ ১ ভোট ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে ৪ হাজার ৮শ ৬৪ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেন ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে মো: সাইফুল ইসলাম । তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৬শ ৪২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: ওলিউর রহমান টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে পান পেয়েছেন ১১ হাজার ৮শ ৫৮ ভোট । অপর প্রার্থী চশমা প্রতীক নিয়ে মো: জাকির হোসেন ১১ হাজার ৩শ ৭৯, মো: সেলিম আহমদ মাইক প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ২শ ৩১, বিলাশ ব্যানার্জি বৈদ্যুতিক বাল্ব নিয়ে ৪ হাজার ৯শ ৩৮ ভোট, নিজাম আহমদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ২৭ ভোট, নুরুল ইসলাম তালা প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৬শ ৯৮ ভোট, রথীন্দ্র লাল দাস বই প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৪শ ৮ ভোট পান।

ভাইস চেয়ারম্যান সংরক্ষিত পদে হাছিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৫ হাজার ৭৯২। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট দিলরুবা বেগম কাকলী পান ৩০ হাজার ৫শ ৮১ ভোট। উল্লেখ্য সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দুই পদে নতুন মুখ বিজয়ী হয়েছেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদরুল ইসলাম (টেলিফোন) ২০হাজার ৬১৫টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ ( মোটরসাইকেল)১৪হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়েছেন ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাইক) ১৯ হাজার ৮৩০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়েজ আহমদ(তালা) ১৮ হাজার ২৯০টি ভোট পেয়েছেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি (পদ্মফুল) ২০ হাজার ২৯৮টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাহিমা বেগম (ফুটবল) ১৮ হাজার ৮২০টি ভোট পান ।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি ঘরানার প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মাত্র ৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দারুণ এক চমকপদ জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৩৪ টি ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ ঘরানার গিয়াস উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫০টি ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ঘরানার মুহিবুর রহমান সুইট ও ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে আওয়ামী লীগের করিমা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৮ হাজার ৭৭২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট। চেয়ারম্যান পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. নাবেদ হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট।

নির্বাচনে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, তালা প্রতীক নিয়ে ফরহাদ আহমদ পান ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট। এছাড়াও বই প্রতীকের প্রার্থী আকমল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে সেলিনা আক্তার শীলা ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিছ আক্তার পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এবং শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন এই দুই প্রবীণ রাজনীতিবিদ ।

প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে দিরাই উপজেলা পরিষদে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন প্রদীপ রায়। উপজেলার ৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে প্রদীপ রায় দোয়াতকলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ঘোড়া প্রতীকে পান ১৯ হাজার ৯৩৬ ভোট এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া আনারস প্রতীকে পান ১৫ হাজার ৪৯৭ ভোট। এছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রথম বার এবিএম মুনসুর সুদীপ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে তৃতীয় বারের ন্যায় ছবি বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রবীন রাজনীতিবিদ অবনী মোহন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৯ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৪৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপি নেতা (বহিষ্কৃত)গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে শর্বরী মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিল্পী বেগম বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারীভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি ১৯৯১৮টি ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম.এ মোঈদ ফারুক ১৫ হাজার ১৮৮টি ভোট পান।ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ২১ হাজার ৩২৮টি ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস শহীদ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২৭৯টি ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে শিল্পী বেগম ২৯ হাজার ৫৬০টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রঞ্জিতা শর্মা ১৯ হাজার ৭৭৯টি ভোট পান।

বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট। এছাড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট। এছাড়া কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফজলুল হক খান সাহেদ ৩৫ হাজার ২৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ স ম কামরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫২।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪৩ টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়া (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ১৮২ । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার (কৈ মাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট। ২ হাজার ৬৭৯ ভোটে বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে মো.আলাউদ্দিন মিয়া বিজয়ী হন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিলোয়ার হোসেন (তালা) প্রতীক নিয়ে বিজয় লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১১ হাজার ৫০০ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কালীপদ পাল (টিউবওয়েল) ৯ হাজার ২৭৬ টি। ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে বিজয়ী মাহমুদা আক্তার রেপা (ফুটবল) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকসানা আক্তার (হাঁস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

এছাড়া বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।

‘পুনর্জন্ম’ নাটকের প্রযোজক রূহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার একটি মেস থেকে ‘পুনর্জন্ম’ নাটকের নির্বাহী প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রুহানের (২৭) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল এই প্রযোজকের। যে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে গত ৪ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন রুহান। যেখানেও ছিল বিরহের কথা। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, আমার চেনা পৃথিবীর বুকে যেমন তুমি নাই, তোমার বুকেও আমি নাই! তাহলে কেন সেদিন বলেছিলে? আমার সাথেই এই জন্ম কাটিয়ে দেবে? ভুল বুঝিও না। আমি দোষ দিচ্ছি না। জাস্ট বললাম আর কি!

এর আগে একটি পোস্টে সূরা আর রহমানের একটি আয়াত শেয়ার করেন রূহান। সেই আয়াতটি হল-‘তবে তোমরা তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে।’

এরপর তিনি লেখেন, আমরা কতো অদ্ভুত ভাবে সমগ্র বিশ্বের সকলে মিলে একই সুতায় গাথা। যে সূতা দেখাও যায় না!! কি বিচ্ছিরি রাতের শেষে এতো সুন্দর সকাল লুকিয়ে থাকতে পারে আমরা ভেবেও দেখি না…। জীবন কি অদ্ভুত! কতো সুন্দর!

রুহানের মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতে দেখা দেখা গেছে পরিচিতজনদের। যারা সকলেই বলছেন, ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন এই প্রযোজক। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের শোক কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

রুহানের লাশ উদ্ধারের পর হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন কুমার বিশ্বাস জানান, এক মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রুহানের। গত দুই মাস ধরে পূর্ব রায়েরবাজারের ওই মেসে থাকতে শুরু করেন তিনি। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শুটিংয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার আসা যাওয়া বেশি ছিল। যখন ঢাকায় ফিরতেন তখন ওই মেসে গিয়ে থাকতেন। তার রুমমেট বুধবার রাত ১১টার দিকে মেসে ফিরে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সাথে বিছানার চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন রুহান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মধ্যরাতে সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ এবং পারিবারিক বিভিন্ন কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবুও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মাসুদুল মাহমুদ রুহান ‘রেডরাম’ চলচ্চিত্র, ‘দ্যা সাইলেন্স’ ওয়েব সিরিজ, ‘আমি কি তুমি’সহ আরও বহু নাটক ও ওয়েব সিরিজের প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন। নির্মাতা ভিকি জাহেদের সঙ্গে অধিকাংশ প্রজেক্টে কাজ করেছেন।

বুকের উপর ‘মাহি’ লিখে কেকেআর ম্যাচ দেখতে এলেন জাহ্নবী

শুক্রবার কেকেআর বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ানের ম্যাচ দেখতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর।

গুঞ্জন সাক্সেনা পরিচালক শরণ শর্মার সঙ্গে এদিন ম্যাচ উপভোগ করেন জাহ্নবী। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ‘মাহি’-এর প্রচার করেছেন অভিনেত্রী।

তবে না, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিন্তু এদিন ম্যাচ খেলেননি। যদিও ‘মাহি’ লেখা নীল রঙের টি-শার্ট পরে এদিন ভিভিআইপি বক্সে বসে ম্য়াচ উপভোগ করেছেন জাহ্নবী। আর অভিনেত্রীর পরনে টি-শার্টই নজর কেড়েছে সকলের।

janhvi kapoor
janhvi kapoor

ম্যাচ দেখার নানা মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শেয়ার করেছেন জাহ্নবী কাপুর নিজে।

গাড়িতে তোলা সেলফি, উল্লাসের নানা মুহূর্ত, গুঞ্জন সাক্সেনার পরিচালক শরণ শর্মার সঙ্গেও একটি ছবি পোস্ট করেছেন বলিউড অভিনেত্রী।

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘মাহির দিন… মিস্টার মাহি আপনাকে মিস করছি @rajkummar_rao।

তাঁর নজরকাড়া পোশাক, বিশেষভাবে ‘মাহি’ লেখা। শার্টের পিছনে লেখা- ক্রিকেটই জীবন আর (এবং) জীবনই ক্রিকেট।’

বিয়ের গুঞ্জনে মুখ খুললেন জাহ্নবী

প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক-অভিনেতা বনি কাপুর দম্পতির বড় কন্যা জাহ্নবী কাপুর। গুঞ্জন রয়েছে, ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। এদিকে, খবর উড়ছে- মন্দিরে গিয়ে শিখর পাহাড়িয়াকে বিয়ে করবেন জাহ্নবী। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে।

নেটিজেনদের একজন জাহ্নবীর বক্তব্য কোট করে পোস্ট দিয়েছেন। তাতে জাহ্নবী কাপুর বলেন, ‘তিরুপাতি মন্দিরে সোনালি রঙের শাড়ি পরে বিয়ে করতে চাই।’ বিয়ের পরিকল্পনার খবরটি দৃষ্টি এড়ায়নি জাহ্নবী কাপুরেরও। এ পোস্টের কমেন্ট সেকশনে জাহ্নবী কাপুর লেখেন, ‘যেকোনো কিছু।’

জাহ্নবীর এ মন্তব্য দেখে অনেকে কমেন্ট করেছেন। একজন লেখেন, ‘পাপারাজ্জি জানলেও জাহ্নবী তার বিয়ের খবর জানেন না।’ অন্যজন লেখেন, ‘জাহ্নবী, আপনি জানেন না!’ আরেকজন লেখেন, ‘জাহ্নবী কাপুর, তোমাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেবে।’

janhvi kapoor
janhvi kapoor

চলচ্চিত্রে পা রাখার আগেই ব্যক্তিগত কারণে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন জাহ্নবী কাপুর। বিশেষ করে ভারতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের নাতি শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে জাহ্নবী চুটিয়ে প্রেম করছেন বলে খবর চাউর হয়। শুধু তাই নয় এ জুটির একটি চুমুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপর অনেকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই নায়িকার। সময়ের সঙ্গে আড়ালে পড়ে যায় শিখরের নাম।

দীর্ঘ বিরতির পর গত বছরের শেষের দিকে একসঙ্গে দেখা যায় জাহ্নবী-শিখরকে। তারপর এ জুটির পুরোনো প্রেম চর্চায় পরিণত হয়। কিছুদিন আগে নিজের জন্মদিনে কথিত প্রেমিককে নিয়ে মন্দিরে যান জাহ্নবী। শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কিন্তু এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি জাহ্নবী কিংবা শিখর। তবে কয়েক মাস আগে বনি কাপুর কন্যা জাহ্নবীর সঙ্গে শিখরের প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দেন। পাশাপাশি শিখরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

janhvi kapoor
janhvi kapoor

‘ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী। এরপর ‘রুহি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বাওয়াল’। গত বছর মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে জাহ্নবীর হাতে বেশ ক’টি সিনেমার কাজ রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে— ‘দেবারা’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’, ‘উলাজ’।

তারকাদের বিদেশ প্রীতি

অবসর পেলেই শোবিজের অনেক তারকা চলে যান বিভিন্ন দেশে। উদ্দেশ্য অবকাশ যাপন। তবে ইদানিং অবকাশ যাপন ছাড়াও শুটিং কিংবা স্টেজ শো’র জন্য অনেক তারকা অবস্থান করেন বিদেশে। তারকাদের বিদেশ প্রীতির বিষয়টি নতুন নয়। সম্প্রতি তা বেড়েই চলেছে। ঘোরাঘুরির ফাঁকে প্রিয় মুহূর্তগুলো ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে ছবি প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ঈদের আগের দিন কানাডার উদ্দেশ্য দেশ ছাড়েন অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। সঙ্গে রয়েছেন তার মা। সেখানে তার ভাই থাকেন। মূলত ভাইয়ের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতেই হিমির এবারের সফর। কানাডায় গিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যেই ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের জানাচ্ছেন কেমন কাটাচ্ছেন সেখানে। খবর নিচ্ছেন দেশের। চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে হিমির।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে মেলবোর্ন ও সিডনিতে শো করতে গেছেন অভিনেতা জায়েদ খান। একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নুসরাত ফারিয়াও। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় দলবল নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে তাদের। সেসব মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন দুজনই। শুধু তাই নয় এক ছাতার নিচে দাঁড়িয়ে আছেন জায়েদ-নুসরাত। দেখে মনে হচ্ছে, জায়েদ কোনো মজার কথা বলছেন আর নুসরাত মাথা নিচু করে হাসছেন। ছবিতে ম্যাচিং করা পোশাকও পরেছেন দুজন। সিডনি অপেরা হাউসের তীরে এই ছবি পোস্ট করেছেন নায়িকা নিজেই। অনেকের ধারণা তারা একটি সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে যদিও তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

Tanjin Tisha
Tanjin Tisha

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুসরাত ফারিয়া ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ভাই আমরা সিডনি আছি। দেখা হচ্ছে ৫ মে।’

ছবিটি শেয়ার করার মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। লাইক-কমেন্ট আর শেয়ারের বন্যা বইছে। অনেকে মন্তব্য করছেন, জায়েদ-ফারিয়া জুটি হলে মন্দ হয় না। ১০ মে দেশে ফেরার কথা আছে তাদের।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আছেন খায়রুল বাসার ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। তারা পাঁচটি ঈদের নাটকের শুটিং করতে ১৯ এপ্রিল দেশ ছেড়েছেন। শুটিং আর আড্ডার মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে নাটকের এই জুটি। তাদের সঙ্গে অভিনয় করছেন বর্তমানে সিডনিতে বসবাসরত অভিনেতা মাজনুন মিজান। রুবেল হাসানের পরিচালনায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে এই নাটকগুলো। শিগগিরই তারা দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে ‘তুফান’ ছবির শুটিং করতে ভারতে আছেন ঢালিউডের ম্যাগাস্টার শাকিব খান। সঙ্গে আছেন ছবির পরিচালক রায়হান রাফীসহ ইউনিটের অনেকেই।

দেশের বাইরে আছেন অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। দুবাইয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এখন তিনি আছেন নিউইয়র্ককে। দুবাই ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয়েছে তার অভিনীত ‘বিন্দু থেকে বৃত্ত’। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন জিনাত হাকিম। ফারজানা ছবি ছাড়াও আছেন আজিজুল হাকিমসহ অনেকে।

সম্প্রতি দেশের বাইরে ঘুরতে গেছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। দুবাই হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কুয়ালালামপুরসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন স্থান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেখানকার কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।

ইয়াশ রোহানও আছেন দেশের বাইরে। কয়েক আগে তাসনিয়া ফারিণ ঘুরে এলেন ইস্তানবুল থেকে।

২৩ ফুট লম্বা শাড়ির আঁচলে রূপকথার পরী আলিয়া

মেট গালা ২০২৪-এ আলিয়া ভাটের ট্র্যাডিশনাল লুক ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে ভক্তদের কাছে। নিউ ইয়র্কের তারকাখচিত রেড কার্পেটে পরীর মতো লাগছিল তাকে। ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি এমব্রয়ডারি করা শাড়িতে নিজেকে অনন্য করে তুলেছিলেন তিনি। শাড়ীটির আঁচলের দৈর্ঘ্য ২৩ ফুট।

মেট গালায় এটা ছিল আলিয়া ভাটের দ্বিতীয় উপস্থিতি। ২০২৩ সালে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টের আইকনিক সিঁড়িতে প্রথমবার পা রাখেন। তবে এই প্রথম এলেন তিনি শাড়িতে। আনাইতা শ্রফ আদজানিয়া স্টাইল করা সব্যসাচীর তৈরি করা এই শাড়িতে রয়েছে ২৩ ফুট লম্বা, এমব্রয়ডারি করা একটি আঁচল।

যা তৈরি করতে সময় লেগেছে ১ হাজার ৯৬৫ ঘণ্টা। এতে সিল্ক ফ্লস, গ্লাস বিডিং এবং রত্নপাথর দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছে। শাড়িটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি। এতে রয়েছে গোলাপি এবং সবুজ রঙের ফুল, পুঁতির ট্যাসেল। এই শাড়ির অন্যতম আকর্ষণ হল সামনের দিকে থাকা রাফলড প্লিট।

আলিয়া শাড়িটি পরেছিলেন একটি বাস্টিয়ার ব্লাউজের সঙ্গে। যাতে রয়েছে প্লাঞ্জিং সুইটহার্ট নেকলাইন, রাফলড হাতা। ব্লাউজেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ। সেখানেও স্টোনের কাজ লক্ষণীয়। গয়না হিসেবে সব্যসাচী বেছে নেন একটি মাং টিকা। মাথায় ছিল একটি ব্যান্ড, স্টেটমেন্ট কানের দুল, হাই হিল ও আংটি।

মেকআপেও ছিল বিশেষত্ব। আলিয়ার চোখে সোনালি রঙের স্যাজো, গালে রুজ, ফুশিয়া গোলাপি ঠোঁট, বিমিং হাইলাইটার, মাস্কারা। আর সাজের ফাইনাল টাচ ছিল মেসি হেয়ার। সব মিলিয়ে যেন স্বপ্নে দেখ রাজকন্যা তিনি।

জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক

স্পেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির সূচনা হয় প্রায় ৩৪ বছর আগে। ১৯৮৯ দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে তখন হাতেগোনা কজন বাংলাদেশি অভিবাসী বসবাস করতেন। ধীরে ধীরে কমিউনিটি বড় হতে থাকে। বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করছেন দেশটিতে। ইউরোপের অন্যতম পর্যটন নির্ভর দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে বসবাসরত আছেন প্রায় ৩৫ হাজার বাঙালি অদিবাসী। এদের অনেকেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে। বাবারা অধিকাংশ কল-কারখানা, রেস্তোরাঁ বা পর্যটন সংশ্লিষ্ট চাকরিতে আছেন। কেউ কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যও করেন। মায়েদের বড় অংশ ঘর-গৃহস্থলির কাজ করেন। কেউ কেউ চাকরিও করেন।

অভিবাসী বাংলাদেশিদের প্রথম জেনারেশন বা ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পূর্ণ যৌবনে পা দিয়েছে। কেউ কেউ কর্মজীবন শুরু করেছে। অনেকেই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে সংসারও পেতেছে। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের একটা বড় অংশ লেখাপড়া শেষ করেনি বা করতে পারেনি। বেশিরভাগই প্রাথমিক এবং ‘ও’ লেভেল থেকেই তারা ঝরে পড়েছে। সংসারের হাল ধরেছে। পরিবার তথা বাবা-মাকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য কর্মজীবনে নেমে পড়েছে। তাদের মধ্যে যারা লেখাপড়া শেষ করেছেন, তাদের একজন জুমা আক্তার কালাম। স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক।

রবিবার মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হসপিটালে যোগদান করে চিকিৎসা পেশা শুরু করেছেন। যেখানে অধিকাংস অভিবাসীরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই কর্মজীবন শুরু করে ঝরে পড়ছেন ছেলেমেয়েরা। সেখানে জুমা আক্তার মেধা তালিকায় উক্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসা পেশা শুরু করায় বাবা-মা, ভাই, আত্মীয় স্বজন ও অভিবাসীদের মধ্যে বইছে এখন খুশির ঝিলিক। ইউরোপে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডেসটিতে প্রথম বাঙালী নারী চিকিৎসক হওয়ায় প্রবাসীরা ও আনন্দে উচ্ছ্বাসিত। জুমা এখন প্রবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

জুমা আক্তার ১৯৯৯ মাদ্রিদের ১৬ জানুয়ারী মাদ্রিদের ঐইতিহ্যবাহি মনক্লোয়া হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার আবুল কালাম সেলিম। তিনি মাদ্রিদে বাংলাদেশী কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার আদিনিবাস বাংলাদেশের কুমিল্লায়। তিনি (জুমা আক্তার) স্থানীয় স্কুলে পড়া -লেখা শেষ করে মেডিসিন বিষয় নিয়ে ভর্তি হন উনিভারসিদাদ অটোনোমো মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রযুক্তির এই যোগে মূলতঃ মেডিসিন ও চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রতি আগ্রহ থেকেই স্বপ্ন দেখেন চিকিৎসক হওয়ার। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত যেই হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, সেই হাসপাতালে চিকিৎসক হওয়ার মাধ্যমে।

জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক
জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক

বাবা-মা, বড় বোন আর ছোট ১ বোনকে নিয়ে মাদ্রিদে বসবাস করেন জুমা আক্তার। তার বড় বোন সুমা নাহিদা আক্তার স্থাপত্য ও নগরায়ন নিয়ে উনিভার্সিটি অফ আর্কিটেচার আলকালা দে হেনারেসে অধ্যনরত রয়েছেন। ছোট বোন জান্নাত আক্তার লন্ডন কিং লো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

জুমা আক্তার বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে বাবা-মার উৎসাহ থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক গুজব কিংবা অপ্রপচারবে কর্ণপাত না করে অর্থিক ও মানসিকভাবে ছেলে-মেয়েকে সহযোগিতা করতে হবে। আর ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও চেষ্টা, সাধনা থাকা প্রয়োজন।’
‘অভিবাসী বাবা-মায়েদের অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য হলেও আমাদের যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। লেখাপড়া করে তাদের ও কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল করতে হবে’, যোগ করেন তিনি।

এই সাফল্যে কমিউনিটর মধ্য়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছেন তাতে তিনি আপ্লোত উল্লেখ করে বলেন, আমি ফুল টাইম চিকিসা সেবার পাশাপাশি আরো বেশি লেখাপড়ার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে চিকিসা বিষয়ে একজন প্রফেসার হতে চান বলেন তিনি।

জুমা বলেন, ‘আমি জন্মসূত্রে স্প্যানিশ হলে বাবা মার সাহায্যে বাংলা ভাষার (কঠিন শব্দ ব্যাতিত) কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি রয়েছে গভীর আগ্রহ । আমি বাংলা এবং স্প্যানিশ উভয় সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই। তাদের সেবা করে যেতে চাই।’

দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের প্রাচীন সভ্যতার চিত্রকর্ম ও সাহিত্য,রৌদ্রোজ্জ্বল জলবায়ু, সমুদ্রসৈকত এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলোর জন্য পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষ এই দেশে বাংলাদেশিদের বসবাসের দিক থেকে স্পেনের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন জুমা আক্তারই প্রথম।

জুমারব এই সাফল্যে তাঁর পিতা আবুল কালাম সেলিম বাংলাদেশী মানবাধিকার সংগঠন আসোসিয়েশন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোঃ ফজলে এলাহীসহ কমিউনিটির তার কর্মস্থল মনক্লোয়া হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তার সফলতা কামনা করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তারা স্পেনে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ও অভিভাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এতে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার ভোটের পরে দশ দিনের বিরতির শেষে মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চারটি আসনেও আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে দুই দফার ভোট শেষ হয়েছে। প্রথম দুটি পর্বে তুলনামূলকভাবে কম ভোটদানের হার, হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খবরের শিরোনাম জুড়ে থাকলেও তৃতীয় পর্বের শেষে ভারতের নির্বাচনী রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয়, দেশটি এখন সে দিকেই তাকিয়ে। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ভারতের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

কোথায় কোথায় ভোট, কাদের প্রাধান্য?

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ মোট ৯৪টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুজরাটের সুরাট আসনে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থীসহ যে আটজন দাঁড়িয়েছিলেন, তারা নানা কারণেনিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে সুরাটের বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালালকে ইতিমধ্যেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়ে গেছে।

বাকি যে ৯৩টি আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে গুজরাটে ২৫টি, কর্নাটকে ১৪টি, মহারাষ্ট্রে ১১টি, উত্তরপ্রদেশে ১০টি, মধ্যপ্রদেশে ৯টি, ছত্তিশগড়ে ৭টি, বিহারে ৫টি, পশ্চিমবঙ্গে ৪টি, আসামে ৪টি ও গোয়াতে ২টি আসন। এছাড়া দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ– এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দুটি আসনেও আজ ভোটগ্রহণ চলছে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুরাট-সহ মোট এই ৯৪টি আসনের মধ্যে ৮১টিই গিয়েছিল বিজেপি জোট এনডিএ-র দখলে। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল মাত্র ১১টি আসন। এছাড়া আসামের একটি আসনে আর দমন ও দিউ আসনে অন্য ছোট দলের বা নির্দলীয় (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।