Beanibazarview24.com
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, আগামী ৪০, ৬০ বছর পর বা ৮০ বছর পর নিজের চেহারা দেখতে কেমন হবে? আর নিজের চেহারা কেমন হবে, তার উত্তর পেতে ব্যবহারকারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন এসব মাধ্যমে।
কেউ কেউ আবার ফেসবুকে এসব ছবি পোস্ট করে ফেসঅ্যাপ লেখাযুক্ত হ্যাশ ট্যাগ জুড়ে দিচ্ছেন। আর শুধু বিনোদনের উদ্দেশ্যেই ব্যবহারকারীরা এমনটি করছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে ব্যবহারকারীদের এই ফেসঅ্যাপটি সম্পর্কে কিছু বিষয় জানা জরুরি।
মূলত ফেইস অ্যাপ নামের একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে চেহারার এই পরিবর্তন সম্ভব। শুধু যে বুড়ো বানানো তা নয়। তরুণরা বুড়ো হতে পারবেন, বুড়োরা হতে পারবেন তরুণ! নারীর চেহারাকে চাইলে পুরুষ বানানো যায়, মূল চেহারা প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো অক্ষুন্ন রেখেই। এতে অনেকে যাচাই করে নিচ্ছেন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ হলে তাকে কেমন দেখাতো!
ফেসবুকে ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করে ভিন্ন রকম চোহারার ছবি পোস্ট করার বিষয়টি অবশ্য নতুন নয়। ২০১৭ সালেই এ অ্যাপ বিভিন্ন ফিল্টারের কারণে ভাইরাল হয়েছিল।
নিউরাল ফেস ট্রান্সফরমেশনস অ্যাপ হিসেবে এটি তৈরি করে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ল্যাব। আগে অল্ড ফিল্ডার ছিল না। সম্প্রতি নতুন ফিল্টার যুক্ত হয়েছে ‘ওল্ড ফিল্টার’।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার আসলে খুব নিরাপদ নয়। এর মাধ্যমেব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। বিশেষ করে আপনার ছবি অ্যাপের মাধ্যমে ভুল ব্যক্তি বা গোষ্ঠির হাতে পড়ার শঙ্কা আছে। এতে নানান ধরনের নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়। কারণ ছবিগুলো কারো না কারো কাছে আর্কাইভ হয়ে যাচ্ছে। অথচ ব্যবহারকারী আর্কাইভকারীদের সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোডের সময় ইন-অ্যাপ পারচেজ, ফটো ও মিডিয়া ফাইল, ডিভাইস স্টোরেজ ও মাই ক্যামেরা অপশনের অনুমতি দিতে হয়। এ ছাড়া আরও ইন্টারনেট ডেটা গ্রহণ, নেটওয়ার্ক কানেকশন দেখা, পূর্ণ নেটওয়ার্ক সংযোগ, ফোন স্লিপিং মোডে যাওয়ার ঠেকানোর অনুমতি দিতে হয়। এই সুযোগে আপনার ডিভাইস থেকে অনেক তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। বিশেষ করে এভাবে ব্যাংক একাউন্ট, মাস্টারকার্ড, ইমেইল ইত্যাদির পাসওয়ার্ড চুরির বহু বড় বড় উদাহরণ রয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.