Beanibazarview24.com
ই’য়াবা সে’বনের দায়ে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক এপিপিসহ দুইজনকে তিন মাস করে কা’রাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি আমিরুল হক এনাম (৩৫) ও সুনামগঞ্জ শহরের বড়পাড়ার আহমদ আলীর ছেলে তাজ আলী (৩০)।
এপিপি আমিরুল হকের বাড়ি জেলার জগন্নাথপুর উপজে’লা সদরে। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের মোহাম্মদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
সোমবার বিকাল ৬ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমদ এই দ’ণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সাজেদুল হাসান জানান, সোমবার বিকাল ৫টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমদের উপস্থিতিতে শহরের ৫৭/১ মোহাম্মদপুরের এপিপি আমিরুল হকের বাসায় বিশেষ অভিযান চালান তিনি (মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সাজেদুল হাসান) ও এসআই রবি উল্লাহ।
এসময় ই’য়াবা সে’বনকালে এপিপি আমিরুল ইসলাম ও ই’য়াবা ব্যবসায়ী তাজ আলীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তার বাসায় তাল্লাশি চালিয়ে ১৯ পিস ই’য়াবা ও ই’য়াবা সেবনের নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন সুনামগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। পরে বিকাল ৬ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আ’টককৃত দুইজনকে তিন মাস করে কা’রাদন্ড প্রদান করা হয়।
তবে স্থানীয়রা জানান, পু’লিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন এপিপি আমিরুল হক এনাম ও তাজ আলী। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পাশ্ববর্তী আলী পাড়া এলাকা থেকে তাদের আ’টক করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমদ বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুইজন ই’য়াবা সেবনকারীকে তিন মাস করে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। তাদের পেশা কি তা আমার জানা নেই।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া বলেন, ‘একজন আইনজীবীকে ই’য়াবাসহ আ’টক করার পর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.