Beanibazarview24.com
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ফাহাদ রহিম (১০) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ফাহাদ নারায়াণগঞ্জের মৃত মঞ্জিল রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফাহাদের বাবা নেই। তার মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। ফাহাদ তার মামার খোঁজে রবিবার (২১ জুলাই) মৌলভীবাজারে বড়লেখায় এসেছিল। কিন্তু সে যাকে মামা বলছে, তিনি তার আপন মামা নন। এখন সেই মামাও তাকে নিতে চাচ্ছেন না।
জানা গেছে, ফাহাদের বাড়ি নারায়াণগঞ্জ জেলায়। ছয় বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। বাবা মারা গেলে মা অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর সে একা হয়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে অনেক কষ্ট করে বড় হয় ফাহাদ। প্রায় ৭ মাস আগে সে নারায়াণগঞ্জে একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ নেয়।
সেখানে বাবুর্চিরা তার সঙ্গে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করতেন। ওই হোটেলে তার সঙ্গে পরিচয় হয় আলী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। আলীকে মামা ডাকে ফাহাদ। আলী বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কাননগোবাজারের বাসিন্দা।
ফাহাদ রহিম জানায়, গত রবিবার (২১ জুলাই) সে ঢাকা থেকে ট্রেনে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ান হয়। ভোররাতে কুলাউড়া স্টেশনে এসে নামে। সেখানে সকালে এক অটোরিকশা (সিএনজি) চালককে মামার (আলী) বাড়ির ঠিকানা বলে।
অটোরিকশা চালক তাকে বড়লেখা নিয়ে আসে। কিন্তু আলীর বাড়ির ঠিকানা ঠিকমত বলতে পারেনি। স্থানীয় লোকজন তাকে শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন সোমবার রাতে বলেন, ছেলেটি বড় অসহায়। সে আলী নামে যাকে মামা বলছে, তার বাড়ি বড়লেখা তালিমপুর ইউনিয়নের কাননগোবাজারে। তিনি তার আপন মামা নন।
আলী জানিয়েছেন, ফাহাদ আরও একবার এখানে এসেছিল। পরে তিনি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এখন আলীও তাকে নিতে চাচ্ছেন না। ফাহাদ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। যদি তার অভিভাবকের সন্ধান না মেলে তবে তাকে সেভ কাস্টডিতে পাঠানো হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.