Beanibazarview24.com
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দারুল হুদা মহিলা মাদ্রাসার চারজন ছাত্রীকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মুফতি মোস্তাফিজুর রহমানকে আ’টক করেছে র্যাব।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় এলাকায় অবস্থিত ওই মাদ্রাসাটিতে র্যাব অভিযান চালায়। এ সময় ওই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানি সংক্রান্ত বেশ কিছু আলামত জব্দ করে র্যাব।
আ’টককৃত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। গত ছয় বছর যাবত তিনি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছেন এবং পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুস সাকিব গণমাধ্যমকে জানান, ওই মাদ্রাসায় ৯৫ জন ছাত্রী লেখাপড়া করছে। তাদের মধ্যে আবাসিকভাবে লেখাপড়া করছে ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রী। সম্প্রতি মাদ্রাসাটির বেশ কয়েকজন ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধ’র্ষণ ও যৌ’ন হ’য়রানির অভিযোগ আসে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে শনিবার সকালে মাদ্রাসায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে দশ থেকে পনের বছর বয়সী চারজন ছাত্রীকে শ্লী’লতাহা’নি ও যৌ’ন নি’র্যাতনের ভিডিওচিত্র ও ছবি জব্দ করা হয়।
পরে ওই শিক্ষককে আ’টক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি চারজন শিক্ষার্থীকে যৌ’ন হ’য়রানি ও ধ’র্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে শত শত এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
র্যাব জানায়, আ’টককৃত মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মা’মলার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে, গত ৪ জুলাই ফতুল্লা থানার মহামুদপুর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ জন শিশু ছাত্রীকে যৌ’ন হ’য়ারানি ও ধ’র্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আল আমিনকে গ্রে’ফতার করে র্যাব।
এরপর ২৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অক্সফোর্ড হাই স্কুলের ২০ এর অধিক ছাত্রীকে ধ’র্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আরিফুল ইসলামকেও গ্রে’ফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নি’র্যাতিত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই র্যাব তাদের গ্রে’ফতার করে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.