বাংলাদেশ
যেভাবে দেয়াল টপকে পালালেন হারুন

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনঅর রশিদ, কিন্তু পালানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে তিনি পালিয়েছিলেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের পূর্ব পাশে থাকা সিটি করপোরেশনের সীমানা দেয়াল টপকে চলে যান হারুন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার হারুন দিনভর পুলিশ প্রধানের সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু হাসিনার দেশত্যাগের খবর পাওয়ার পর থেকে ওয়্যারলেসে তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি। শেষে দুপুরে ডিবির হারুন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তিনি পুলিশ সদর দফতরের পূর্ব পাশে থাকা সিটি করপোরেশনের সীমানা দেয়াল টপকে সেদিকে চলে যান। পরে তিনি নরমাল পোশাক পরে জনসাধারণের বেশে এখান থেকে বেরিয়ে যান।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন হারুন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। এ সময় সেনা সদস্যরা তাকে আটক করেন। তবে সেখান থেকে তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে সর্বশেষ সত্যটা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
আলোচিত
বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পুলিশ ডেকে বন্ধুকে আটকে হোটেল কক্ষে ঢুকে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে দুর্গাপুর পৌরশহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় নামে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিুবুর রহমানের ছেলে।
ঘটনার পর ছাত্রদল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, নেত্রকোনা শহরের ওই ছাত্রী রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের একই শ্রেণি ও বর্ষের এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) হবু স্বামীর সঙ্গে মেয়েটি দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন। ছেলেটির সঙ্গে ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের বন্ধুত্ব আগে থেকে ছিল। তার কথামতো বিরিশিরিতে একটি হোটেলে ওঠেন তারা।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে হবু স্ত্রীকে হোটেলে রেখে খাবার কিনতে যান ছেলেটি। তখন ছাত্রদল নেতা দুর্জয় পুলিশকে ফোন করে বলে, তার বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেন দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে।
আটক হওয়ার পর তিনি পুলিশকে বলেন, তার হবু স্ত্রী হোটেলের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পুলিশ তাকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পায়। উদ্ধারের পর মেয়েটি জানান, দুর্জয় ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ ছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, ঘটনার পরপরই দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আলোচিত
বাংলাদেশিকে ধরতে এসে পা ধরে মাফ চাইল বিএসএফ (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশি কৃষকদের ধরতে এসে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) দুই সদস্য মাফ চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্ট তিনি লেখেন, অতি সম্প্রতি ২ জন ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সদস্য নিজ অস্ত্রসহ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশি কৃষকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ক্যাম্প থেকে বিজিবি সদস্যরা দ্রুততার সাথে ছুটে আসেন।
তিনি লেখেন, সাধারণ জনতা ও বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্রসহ ধরে ফেলে দুই বিএসএফ জওয়ানকে। পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনা করায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কমেন্ট সেকশনে তিনি লিখেছেন, এই ঘটনা এবং ফুটেজ বিজিবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভেরিফাই করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নিজেদের রক্ষা করতে দুই বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দুই সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। এক পর্যায়ে বিএসএফের ওই দুই সদস্য মাটিতে পড়ে যান। তারপর বিজিবির সদস্যদের পা ধরে কাকুতি-মিনতি করেন। এ ঘটনার ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আলোচিত
টোল প্লাজায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা, ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে অবস্থিত তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারপিট করে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে টোল প্লাজার পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। টোল না দেওয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে মাহফুজার রহমান ওরফে রাজু (৪০) নামের স্থানীয় এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জনের একটি দল এই হামলা চালায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি মাহফুজার রহমান রাজু লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফি এলাকার বাসিন্দা। তিনি গোকুন্ডা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এজাহারে মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিস্তা সড়ক সেতুর টোল আদায়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রংপুর শহরের মেসার্স রানা কনস্ট্রাকশনের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য মো. নাজমুল আলম মামলাটির বাদী হয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ৩টার দিকে যুবদল নেতা মাহফুজার রহমান (৪০), ফজলুর রহমান (৩৫) ও আবদুর রহিম (৪২) মোটরসাইকেল যোগে তিস্তা সড়ক সেতু পার হচ্ছিলেন। তারা টোল প্লাজায় এসে টোল না দিয়ে যেতে থাকলে থামার জন্য সংকেত দেন টোল প্লাজার কর্মীরা। তারা টোল দেবেন না, এমনকি তাদের আরও যত গাড়ি আছে, সেই গাড়িগুলোও টোল দেবে না বলে হুমকি-ধমকি দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে টোল প্লাজার কর্মীদের কথা–কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৮টার দিকে মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনের একটি দল দা, ছোরা, লোহার রড ও দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেল ও অটোযোগে এসে টোল প্লাজায় হামলা চালান। হামলাকারীরা কর্মচারীদের মারপিট করেন।
এ সময় টোল প্লাজার কর্মচারী মো. জুয়েল ইসলামকে (৩৭) মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে টোল প্লাজার ক্যাশবাক্স থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রধান আসামি মাহফুজার ছিনিয়ে নেন। এ সময় টোল প্লাজায় ভাঙচুর করা হয়। টোল প্লাজায় কর্মরত কর্মীরা প্রাণভয়ে দৌড়ে পাশে থাকা আরেক ক্যাশঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় সেখানেও হামলা চালানো হলে টোল প্লাজার ম্যানেজার সুরুজ্জামান (৪০) গুরুতর আহত হন। সুরুজ্জামানের ক্যাশবাক্স থেকে মিঠু (৩৮) ও আবদুর রহিম (৪২) নামের দুজন ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সুরুজ্জামান (৪০) ও জুয়েল ইসলাম (৩৭) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া টোল প্লাজার আরও দুই কর্মী মোসলেম উদ্দিন (৪০) ও আক্কাস আলী রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত আরেক কর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মামলার বাদী নাজমুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আসামিরা টোল প্লাজার কর্মীদের বিনা দোষে বিনা উসকানিতে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছেন। নগদ ১৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ১৪ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।”
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী বলেন, “তিস্তা সেতুর টোল প্লাজায় হামলার সংবাদ পেয়ে বুধবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার ও ছিনিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
আলোচিত
ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ উপলক্ষ্যে বানানো মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ শনিবার ভোরের দিকে আগুন দেওয়া হয়। পুড়ে গেছে ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফের একাংশও। দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
রোববার ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ঢাবির চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম রবিউল ইসলাম রাকিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী। সে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শুরুর আগেই নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, শনিবার ভোরের দিকে চারুকলা অনুষদের দেয়াল টপকে আগুন দেয় এক ব্যক্তি। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে এক যুবক মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় চারুকলা অনুষদের তিন নম্বর গেটের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি কালো টি-শার্ট ও খাকি রঙের প্যান্ট পরা ছিলেন। ভেতরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি প্রতিকৃতিতে আগুন লাগিয়ে দেয়াল টপকে বের হয়ে যান।
আলোচিত
ছাত্রদল নেতার বাড়ি থেকে ওএমএসের চাল উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ডিলার ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের বাড়ি থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রাম থেকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির (৩০) ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে মো. খবির মিয়াজি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. খবির মিয়াজি। সে সরকারিভাবে ওএমএসের চাল বিক্রি না করে গোপনে তার বাড়িতে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখেন। এমন তথ্য স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতারা পুলিশকে জানালে বিকালের দিকে খবির মিয়াজির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় খবিরের বসত ঘরের মধ্যে থেকে ওএমএসের ছয় বস্তা সরকারি চাল জব্দ ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় খবির মিয়াজিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের প্রভাব খাটিয়ে ডিলার খবির মিয়াজি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন। তবে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পারেনি।
মতলব উত্তর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রামে ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে চালের বস্তা ও খালি বস্তাগুলো জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি গোলাম হোসেনের হেফাজতে রাখা হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি নেতা মনির হোসেন জানান, যারা এই সমস্ত কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করবন। পাশাপাশি বিএনপির দলীয় নেতার কাছে আহ্বান এ বিষয়ে যাতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জহিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিচ্ছি। অভিযুক্ত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, বিষয়টি জেনেছি, আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত
রোজাদারদের জন্য লাভ ছাড়াই দুধ বিক্রি করছেন অভিজিৎ ঘোষ

সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন সনাতন ধর্মের ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ। এতে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘোষপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ (৪০)। তিনি নড়িয়া বাজারের চাকধ রোডে ‘মিষ্টি কানন’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। তার দোকানে পাওয়া যায় রসগোল্লা, রসমালাই, সন্দেশসহ অন্তত ২৪ প্রকারের মিষ্টি। গতবছর রমজান মাসে হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। নিন্মআয়ের মানুষ খাবার কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তাদের এই দুরবস্থা দেখে নিজ দোকানের সব পণ্যে মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি শুরু করেন তিনি। তার এমন উদ্যোগে প্রশংসা করেছিলেন অনেকে।
মানুষের মধ্যে সাড়া ও ভালোবাসা পেয়ে এই রমজানেও রোজাদারদের জন্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন অভিজিৎ ঘোষ। সিদ্ধান্ত নেন বিনালাভে দুধ বিক্রি করবেন। সেই থেকে রমজানের প্রথম থেকে বাজার থেকে পাইকারি দামে দুধ কিনে এনে লাভ ছাড়াই বিক্রি শুরু করেন। এতে বাজার থেকে ১০-১৫ টাকা কমে দুধ কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
এখানেই শেষ নয়, দুধের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘসময় সংরক্ষণ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে দেড়লাখ টাকা খরচে কেনেন অত্যাধুনিক এক মেশিন। এতে ক্রেতারা তাদের সময় অনুযায়ী তার থেকে দুধ নিতে পারছেন। তার এমন উদ্যোগ খুশি স্থানীয় ও ক্রেতারা।
সজিব বেপারী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজান এলেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। এখানে এসে দেখলাম উল্টো।অভিজিৎ দাদা লাভ ছাড়াই দুধ কিনে বিক্রি করছেন। অন্যান্য জিনিস সুলভ মূল্যে পেয়ে ক্রেতারা উপকৃত হচ্ছেন। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
জানতে চাইলে মিষ্টি কাননের স্বত্বাধিকারী অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য নয়, মানুষের ভালোবাসা পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। মুসলিম ভাইয়েরা যেন এই রোজার মধ্যে আমার কাছ থেকে বাজারের চাইতে কম টাকায় দুধ পান। তাছাড়া আমি আমার দোকানের সব পণ্যে রোজাদারদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছি। আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।’
অভিজিৎ ঘোষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নড়িয়া বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শামীম বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের জন্য অভিজিৎ বিশেষ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন। এটি অবশ্যই ভালো কাজ। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, সবার উচিত অভিজিৎ ঘোষকে অনুকরণ করা।’
- আন্তর্জাতিক1 year ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন1 year ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- বিশেষ প্রতিবেদন1 year ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট7 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- বিনোদন7 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি
- প্রবাস6 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস6 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক6 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা