স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর তৃতীয় দিনে রাজধানীতে সকাল থেকে বেড়েছে যান চলাচল। রাস্তায় বের হয়েছে কর্মজীবী, চাকুরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। ঢাকার বাইরে হাইওয়েতেও চলছে যানবাহন। এতে করে কোথাও কোথাও যানজট তৈরি হয়েছে। তবে সকাল থেকে পুলিশ না থাকায় আনসার সদস্যদের সাথে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছে।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
রাজধানীর প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ি মোড়ে দেখা যায়, মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া রাজধানীর পুরান ঢাকা, গুলিস্তান, পল্টন, ধানমন্ডি, কলাবাগান, মিরপুর রোড, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকাসহ পুরো রাজধানীতে ছাত্রছাত্রীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন।
কাওরান বাজারে ট্রাফিকের দায়িত্বে পালনরত মার্জান নামের এক শিক্ষার্থী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দেশ নতুন করে স্বাধীনতা লাভ করেছে। এ সময়ে দেশের জন্য কিছু করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
যাত্রাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালনরত মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম বলেন, ‘দেশে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। দেশকে নতুন করে সাজাতে আমরা মাদ্রাসার ছাত্ররা নেমে এসেছি। যাত্রাবাড়ি এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি।’
রাজধানীতে শঙ্ক-ভয় কাটিয়ে আজ মানুষ তুলনামুলক বেশি বের হয়েছেন। বাসের সংখ্যা অন্য সময়ের মতো না হলেও গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে আজ বেশি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল বেড়েছে।
ঢাকার রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি। তবে গতকালের মতো আজও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। সিগন্যালগুলোতে শিক্ষার্থীরা পালা করে দায়িত্বপালন করছেন। কয়েক জায়গায় তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যরাও রয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কিছু সদস্যদেরও বিভিন্ন সিগন্যালে দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছেন, সড়কের আবর্জনা সরিয়ে ফেলছেন।