মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের (১৬) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চালতাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করে।
এর আগে, রোববার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও একদিন পর সোমবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
নিহত স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। স্বর্ণা অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।
আরও পড়ুন:
আমিরাতে লটারিতে প্রায় ৫০ কোটি জিতলেন বাংলাদেশি প্রবাসী
সিলেটে ছয় মামলায় সাবেক তিনমন্ত্রী-এমপি, মেয়রসহ আসামি ৬৪০৪
স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখতে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে স্বর্ণার মা বেঁচে যান।
তিনি জানান, সোমবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি দল বাড়িতে এসে খবরটি জানায়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে চালতাপুর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে স্বর্ণার মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে স্বর্ণার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।