বাংলাদেশ
সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুন গ্রেফতার

পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে আবদুল্লাহ আল মামুনকে ঢাকা ও শহিদুল হককে উত্তরা ১৬ নং সেক্টর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বরাতে জানা গেছে, ঢাকা থেকে তাদেরকে আটকের পর ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ডিএমপি জানায়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করায় আজ রাতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
শহিদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলায় কার্যভার পালন করেছেন। ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৪ সালের শেষদিন আইজিপির দায়িত্ব পান এবং ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।
শহীদুল হকের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তার ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম মহাপরিদর্শক ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এরপূর্বে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন।
আলোচিত
রোজাদারদের জন্য লাভ ছাড়াই দুধ বিক্রি করছেন অভিজিৎ ঘোষ

সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন সনাতন ধর্মের ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ। এতে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘোষপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ (৪০)। তিনি নড়িয়া বাজারের চাকধ রোডে ‘মিষ্টি কানন’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। তার দোকানে পাওয়া যায় রসগোল্লা, রসমালাই, সন্দেশসহ অন্তত ২৪ প্রকারের মিষ্টি। গতবছর রমজান মাসে হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। নিন্মআয়ের মানুষ খাবার কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তাদের এই দুরবস্থা দেখে নিজ দোকানের সব পণ্যে মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি শুরু করেন তিনি। তার এমন উদ্যোগে প্রশংসা করেছিলেন অনেকে।
মানুষের মধ্যে সাড়া ও ভালোবাসা পেয়ে এই রমজানেও রোজাদারদের জন্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন অভিজিৎ ঘোষ। সিদ্ধান্ত নেন বিনালাভে দুধ বিক্রি করবেন। সেই থেকে রমজানের প্রথম থেকে বাজার থেকে পাইকারি দামে দুধ কিনে এনে লাভ ছাড়াই বিক্রি শুরু করেন। এতে বাজার থেকে ১০-১৫ টাকা কমে দুধ কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
এখানেই শেষ নয়, দুধের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘসময় সংরক্ষণ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে দেড়লাখ টাকা খরচে কেনেন অত্যাধুনিক এক মেশিন। এতে ক্রেতারা তাদের সময় অনুযায়ী তার থেকে দুধ নিতে পারছেন। তার এমন উদ্যোগ খুশি স্থানীয় ও ক্রেতারা।
সজিব বেপারী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজান এলেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। এখানে এসে দেখলাম উল্টো।অভিজিৎ দাদা লাভ ছাড়াই দুধ কিনে বিক্রি করছেন। অন্যান্য জিনিস সুলভ মূল্যে পেয়ে ক্রেতারা উপকৃত হচ্ছেন। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
জানতে চাইলে মিষ্টি কাননের স্বত্বাধিকারী অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য নয়, মানুষের ভালোবাসা পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। মুসলিম ভাইয়েরা যেন এই রোজার মধ্যে আমার কাছ থেকে বাজারের চাইতে কম টাকায় দুধ পান। তাছাড়া আমি আমার দোকানের সব পণ্যে রোজাদারদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছি। আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।’
অভিজিৎ ঘোষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নড়িয়া বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শামীম বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের জন্য অভিজিৎ বিশেষ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন। এটি অবশ্যই ভালো কাজ। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, সবার উচিত অভিজিৎ ঘোষকে অনুকরণ করা।’
আলোচিত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাথরুমের ওপরের স্টোররুমে লুকিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। তবে শেষরক্ষা হয়নি তার।
ওই নেতার বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে ওই স্টোররুম থেকে নামিয়ে আনে পুলিশ।
রবিবার (৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন সদস্য ওই নেতার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে স্টোররুম থেকে নেমে আসতে বলছেন। পুলিশ সদস্যদের নির্দেশে তিনি ওই রুমের ঢাকনা খুলে নিচে নেমে আসেন।
পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি চট্টগ্রামের বলে জানা গেছে।
আলোচিত
‘পালিয়ে যাওয়ার আগে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা!’

পতনের কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোন চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’
এসময়, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আমাদের সেসকল সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, তাদের মৃতদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেয়া হয়নি, কাউকে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়নি।
এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে এ ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে সেই মুহূর্তে মানবতা বিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিলো যে, দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে।
তাই এ কারণে তাদের কোন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি। ঘটনাটি কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে কি ধরনের নিষ্ঠুরতার সাথে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হয়েছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সাথে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আলোচিত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক পেলেন ছাত্রদলের সভাপতির পদ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রদল। এই কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে করা হয়েছে সভাপতি।
ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি হওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শাকিল হোসেন। তিনি কলম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে রয়েছেন।
শাকিল হোসেন ছাত্রলীগের পদে থাকার প্যাডের একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তার ছবি ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সিংড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
এছাড়া একই কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মুনছের আলীর শেখ মুজিবের ছবি সম্বলিত টি শার্ট পরা ছবিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদ পাওয়া মো. শাকিল হোসেন বলেন, আমার এলাকার একজন ছাত্রলীগের নেতা ছিল, সে কমিটিতে আমার নাম দিয়েছিল। বিষয়টি আমি জানতাম না। আর বিগত সময়ে এলাকাভিত্তিক রাজনীতির কারণে ছাত্রলীগের একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম, সেখানকার একটি ছবিই এখন ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি আমি অস্বীকার করছি না।
কিন্তু আমরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা এলাকার সবাই জানে।
নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, কলম ডিগ্রী কলেজের বিষয়টি আমি আংশিক জেনেছি ফেসবুকের মাধ্যমে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নাটোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আলোচিত
উত্তরায় প্রকাশ্যে দম্পতিকে কোপানো কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক

রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তারা হলেন- মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা ও জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত দুই যুবক একজন ভুক্তভোগী পুরুষ ও তার সঙ্গে থাকা এক নারী পথচারীকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। এ সময় জীবন বাঁচাতে ওই নারীকে হাত জোড় করে সন্ত্রাসীদের কাছে মাফ চাইতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা।
স্থানীয়রা জানায়, এই কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা উত্তরা সেক্টরের ভেতরে উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিল। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলে একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে যাওয়া আরেকটি মোটরসাইকেলে ভুক্তভোগী দম্পতি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকজন ডেকে রামদা দিয়ে ওই দম্পতিকে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একটি রাস্তায় ভুক্তভোগী দম্পতি একটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। একই সময় স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য অন্য একটি মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে যাওয়া স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে হর্ন বাজানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরমধ্যে একটি মোটরসাইকেল গিয়ে একটি রিকশায় ধাক্কা লাগে।
আরও জানা যায়, পরে ভুক্তভোগীদের মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যরা এই ঘটনার খবর পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে। ওই সময় ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী দম্পতি উপস্থিত ছিল। সর্বশেষ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভুক্তভোগী স্বামী স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে স্থানীয় জনতায় এগিয়ে এতে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার বিস্তারিত নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আমরা আটক করেছি। ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আলোচিত
রোজায় ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার

বিগত বছরের মতো এবারও ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে গরু, খাসির মাংস, দুধ, ডিম ও মাছ বিক্রি করবে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এবার রোজায় গরুর মাংস প্রতি কোজি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে। প্রথমে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে এখন সে সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।’
- আন্তর্জাতিক11 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন11 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস5 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস5 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- বিশেষ প্রতিবেদন11 months ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট5 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- আন্তর্জাতিক4 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- বিনোদন6 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি