Connect with us

আন্তর্জাতিক

ভারতের বিমান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ

ভারতের বিমান মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ

ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের যোধপুরে শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশের বিমান মহড়ার বার্ষিক কার্যক্রম ‘তরঙ্গ শক্তি’। ২৯ আগস্ট শুরু হওয়া এই মহড়া ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে, বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না। খবর দ্য প্রিন্ট।

প্রথমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০ পরিবহন বিমান মহড়ায় অংশ নেবে বলে পরিকল্পনা ছিল। তবে মহড়ায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পরও বাংলাদেশ কিছু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে ভারতে পাঠাবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে তারা ভারতের প্রথম বড় বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক বিমান মহড়া ‘তরঙ্গ শক্তি’র দ্বিতীয় পর্বের জন্য সি-১৩০ বিমানের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।

তবে, মহড়ায় বাংলাদেশ অংশ না নিলেও তিনজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ এই মহড়া বয়কট করছে না।

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ মহড়ায় অংশ না নেওয়ায় শ্রীলঙ্কা দুটি বি-২০০ সুপার কিং সামুদ্রিক নজরদারি বিমান নিয়ে এতে অংশগ্রহণ করবে, যদিও আগে এ ধরনের পরিকল্পনা ছিল না।

ভারতে দুটি দফায় বিমান মহড়া ‘তরঙ্গ শক্তি’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফার মহড়া ৬ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত হয়েছিল, এবং এতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী অংশ নিয়েছিল। তবে, দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ আর অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লিকে।

যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), জাপানসহ কয়েকটি দেশ এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশ শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ভালোভাবে নেয়নি। উপরন্তু, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণে ভারতের দিকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ভারতে বিমান মহড়া এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৫ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের পর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ঢাকায় প্রত্যর্পণের জন্য আহ্বান বাড়ানো হচ্ছে এবং নতুন সরকার দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রকাশ্যে সমালোচনা করছে।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

পাক-ভারত যুদ্ধে ২৬ বেসামরিক নিহত, মসজিদে হামলা; ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

পাক-ভারত যুদ্ধে ২৬ বেসামরিক নিহত, মসজিদে হামলা; ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

ভারতের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবি, এই আক্রমণের জবাবে তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। খবর, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ভারত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি এলাকায় মোট ২৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যেগুলো বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শিশু, নারী ও পুরুষ—সবাইই বেসামরিক নাগরিক।

বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্ট এলাকায় সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা ঘটে, যেখানে দুই শিশুসহ ১৩ জন নিহত হন এবং ৩৭ জন আহত হন। মুজাফফরাবাদের কাছে বিলাল মসজিদে হামলায় মারা যান তিনজন, আহত হয় দুই শিশু। কোটলির আব্বাস মসজিদে হামলায় মারা যান এক কিশোর ও এক কিশোরী, আহত হন এক নারী ও তাঁর কন্যা।
পাক-ভারত যুদ্ধে ২৬ বেসামরিক নিহত, মসজিদে হামলা; ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
সিয়ালকোট ও শাকরগড়ে হামলা হলেও সেখানে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শাকরগড়ের একটি ডিসপেনসারিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে আরও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ অভিযোগ করেন, “ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদে হামলা চালিয়েছে, যা মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থার বহিঃপ্রকাশ।”

এদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের তৈরি তিনটি রাফাল, একটি রাশিয়ান সু-৩০ এবং একটি মিগ-২৯।

পাকিস্তান বলছে, ভারতের এই বিমান হামলা ছিল কাপুরুষোচিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যার জবাবে তারা দ্রুত পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

ভারত অবশ্য দাবি করেছে, তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, কিন্তু বেসামরিক স্থাপনায় হামলা হয়নি। পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়াতেই তারা এই অভিযান শুরু করেছে।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ভারতের রাস্তায় প্রকাশ্যে মুসলিম নারীর হিজাব খুলে হেনস্তা

ভারতের রাস্তায় প্রকাশ্যে মুসলিম নারীর হিজাব খুলে হেনস্তা

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে জোর করে এক মুসলিম নারীর হিজাব খুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা পুরুষকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নারী ও পুরুষ উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন বলে জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুরুষ জোর করে নারীর হিজাব খুলে ফেলছে। অন্যরা তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা পুরুষকে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মুজাফফরনগরের খালপাড় এলাকার একটি গলিতে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০ বছর বয়সী নারী ফারহিন ও শচীন নামে এক ব্যক্তি ঋণের কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। মায়ের নির্দেশে শচীনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন ফারহিন। পথে ৮-১০ জন পুরুষের একটি দল তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ফারহিন ও শচীনকে লাঞ্ছিত ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।

পুরো ঘটনাটি একজন পথচারী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন এবং পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দুজনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিনের অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

মুজাফফরনগর সিটি সার্কেল অফিসার (সিও) রাজু কুমার সাও বলেন, গত ‌১২ এপ্রিল আনুমানিক ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ভবন এলাকার একজন হিন্দু পুরুষ ও খালপাড়ের একজন মুসলিম নারী ঋণের কিস্তি আদায় করে সুজদু থেকে ফিরছিলেন। দরজি ওয়ালি গলিতে স্থানীয় কিছু লোক তাদের থামিয়ে মারধর করেন।

সিও রাজু কুমার সাও বলেন, ভিডিও থেকে আরও লোককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, তারপরই গ্রেপ্তার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ভারতে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করল পুলিশ

ভারতে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করল পুলিশ
ভারতে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করল পুলিশ

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাট শহরে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রশাসন।

এ নিয়ম ভঙ্গ করলে মুসলিমদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, শুধুমাত্র মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়তে পারবে মুসলমানরা। যারা উন্মুক্ত মাঠে নামাজ পড়বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর মিরাটে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়ায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা সিপিসি-এর তালিকাভুক্ত করতে সুপারিশ করেছে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ।)

সিপিসি’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে সরকার বিশেষ করে গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে সম্পৃক্ত হয় বা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহনশীল হয় সেসব দেশ কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইউএসসিআইআরএফ‘র প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি দেশটির কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষকরে মুসলিমদের ওপর একের পর একের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। আর এসব কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যেই পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে বিজেপি। মুসলিমদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ যেন ভারতের নিত্য দিনের ঘটনা। মুসলিম স্থাপত্য আর অবকাঠামোর ওপর বিজেপি সরকারের বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর মুসলিম নিপীড়নের সকল রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ প্রশংসনীয়।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

জুমার নামাজের সময় ভূমিকম্প, মসজিদ ধসে নিহত অন্তত ২০

জুমার নামাজের সময় ভূমিকম্প, মসজিদ ধসে নিহত অন্তত ২০

শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারে আঘাত হানে শক্তিশালী জোড়া ভূমিকম্প। এটির প্রভাবে কেঁপে ওঠে থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ। শক্তিশালী এসব ভূমিকম্পে মিয়ানমারে অসংখ্য অবকাঠামো ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২৫ জন এবং থাইল্যান্ডে একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে অন্তত ৪৩ জন আটকা পড়ে আছেন।

বার্তাসংস্থা আনাদোলু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিতের বরাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মান্দালয় প্রদেশের ফো শিং মসজিদ ধসে পড়েছে। এছাড়া সেখানে আরও অন্তত তিনটি মসজিদ ভেঙে পড়ে। মসজিদ ধসে এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।

একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, “আমরা যখন নামাজ পড়ছিলাম তখন এটি ধসে পড়ে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়েছে। মানুষ আটকে আছেন। এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেশি হতে পারে। শি ফো শিং মসজিদও ধসে পড়েছে।”

এছাড়া মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ধসে পড়েছে। এছাড়া মান্দালয় প্রাসাদটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে তুয়াঙ্গো সিটির মঠ ধসে পাঁচ উদ্বাস্তু শিশু নিহত হয়েছে। তারা সেখানে আশ্রয়ে ছিল।

মিয়ানমারে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রথমটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ৪ মাত্রার।

মিয়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। মিয়ানমারের এই ভূমিকম্প ব্যাংককে বেশ তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে এবং কম্পনের তীব্রতায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার ভিডিও ফুটেজও সামনে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন ভবনটি খাড়াখাড়িভাবে ধসে পড়ছে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ভবনটিতে ৫০ জন কাজ করছিলেন। যারমধ্যে সাতজন বের হয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু আটকে পড়েন ৪৩ জন। যাদের উদ্ধারে এখন ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
সূত্র: আনাদোলু

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

তুলশী গ্যাবার্ডের সামনেই এবার ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন!

তুলশী গ্যাবার্ডের সামনেই এবার ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন!

সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ড। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রসাশনের উদ্বেগের কথাও জানান তিনি। ভারতের পক্ষ নিয়ে যেভাবে তাদের মিথ্যা ছড়ানো প্রোপাগাণ্ডা নিয়ে কথা বলেছেন এবার সেই ভারতে বসেই তিনি দেখলেন কিভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নীপিড়ন চালাচ্ছে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদিরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিম নিধনের জন্য নিজ দেশেই পরিচিত কসাই হিসেবে। তার সময়ে যেভাবে দেশজুড়ে বেড়েছে মুসলিমদের ওপর অন্যায় অত্যাচার তা ভারতের ইতিহাসে কোন সরকারের সময়ই হয়নি। এবার ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লিতে অবস্থানকালেই মাহারাষ্ট্রের নাগপুরে ঘটতে থাকা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চাক্ষুস স্বাক্ষী হলেন তুলশী গ্যাবার্ড।

উগ্র হিন্দুত্ববাদি সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও এর সাথে আরও কয়েকটি হিন্দুত্ববাদি সংগঠন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং সমাধির পুস্পস্তলিকা পুড়িয়ে দেয়। অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুর ছাড়াও মুসলমানদের ওপর নেক্কারজনক হামলার ঘটনাও ঘটায় তারা। বর্তমানে সেখানে কারফিউ চলছে। এখন কি এসব দেখবেন তুলশী গ্যাবার্ড? নাকি তিনি এরপরও গলা ফাটাবেন মুসলিম নিধনকারী উগ্রবাদের জনক নরেন্দ্র মোদির হয়ে?

এইতো কদিন আগে ভারতে হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের ওপর মসজিদের সামনেই হামলা চালাতে দেখা যায় উগ্র হিন্দুত্ববাদিদের। এমনকি মোদির অন্যতম আস্থাভাজন একজন পুলিশ কর্মকর্তা সরাসরি মুসলিমদের জুম্মার নামাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

শুধু কি এতটুকু? শেষ পর্যন্ত হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে পবিত্র রমজান মাসেই মুসলিমদের উপাসনালয় মসজিদ ঢেকে দেয় ত্রিপল দিয়ে। এটা সেই ভারত যেখানে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে রাম মন্দির। এছাড়াও আরও অসংখ্য মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায় কসাই নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে।

তুলশী গ্যাবার্ডকে দিয়ে ভারত তার স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালানোর পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ভারত। সর্বশেষ মোদি আমেরিকা সফরকালে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের মনোযোগ আকর্ষণ করে। কিন্তু তখন ট্রাম্প তাতে সায় দেয়নি আর তাই এবার মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ডকে দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করিয়ে ভারত তার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

ইসলাম বিদ্বেষী মোদির দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র খুব কাছ থেকে দেখলেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলশী গ্যাবার্ড। এবারও কি তবে তিনি চুপ থাকবেন? নাকি উদ্বেগ জানাবেন?

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

ভারতের নাগপুরে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানো নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব, কারফিউ জারি

ভারতের নাগপুরে আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানো নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব, কারফিউ জারি

ভারতের নাগপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিতে বিক্ষোভের পর তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুরে সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিতে নাগপুরের মহাল এলাকায় একটি বিক্ষোভ জমায়েত করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল। বিক্ষোভে আওরঙ্গজেবের একটি ছবি ও ঘাসে ভরা সবুজ কাপড়ে আবৃত একটি প্রতীকী সমাধি পুড়িয়ে দেয় তারা।

পুলিশ জানায়, এদিন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভিএইচপির বিক্ষোভ চলাকালে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র গ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন বেশ ক্ষুব্ধ হয় ও পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

সোমবার (১৭ মার্চ) নাগপুরের গণেশপেঠ, মহাল ও গান্ধীবাগ এলাকায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। এসময়, পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এদিন, হিন্দু পুণরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসের মূল কার্যালয়ের একেবারে কাছের এলাকাগুলোতেই এসব সংঘর্ষ বাঁধে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর ৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৩ জন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। এদিন, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসও ছোঁড়ে পুলিশ। এছাড়া, নাগরিকদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।

মঙ্গলবার নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, কোটওয়ালি, গণেশপেঠ, তাহসিল, লাকড়গঞ্জ, পাচপাওলি, শান্তিনগর, সাক্কারদারা, নন্দনবান, ইমামবাড়া, যশোধরানগর ও কপিলনগর থানা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্র মন্ত্রী যোগেশ কদম সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, এখনও সহিংসতার কারণ খুঁজে বের করা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

হনসাপুরি অঞ্চলের এক দোকান্দার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি দোকান বন্ধ করছিলেন। এসময়, তিনি দেখেন একদল লোক গাড়িতে আগুন লাগাচ্ছে। দ্রুত তিনি পানি নিয়ে আগুন নেভাতে গেলে তারা তার মাথায় পাথর ছোঁড়ে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা এএনআইকে জানান, সংঘর্ষ শুরুর আগে প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আক্রমণকারীরা। সবার মুখই ঢাকা ছিল। তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও কাঁচের বোতল নিয়ে এসেছিল। এসেই দোকানগুলোতে তারা হামলা চালায়, পাথর ছোঁড়ে ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

Continue Reading

Trending