বাংলাদেশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৮৭৫; শিক্ষার্থী ৫২ শতাংশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত এবং ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)’।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরে এইচআরএসএস। ১২টি জাতীয় দৈনিক, এইচআরএসএসের তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিট ও সারাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই গুলিতে মারা গেছেন। এছাড়া অভ্যুত্থানে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মোট ৭৭২ জনের মৃত্যুর ধরন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯৯ জন বা ৭৭ শতাংশ গুলিতে নিহত হয়েছেন। ৬১ জন (৮ শতাংশ) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ৮৫ জনকে (১১ শতাংশ) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য কারণে মারা গেছেন ২৭ জন (৪ শতাংশ)।
এইচআরএসএস জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের একাংশের বয়স, পেশা, মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩২৭ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (অনেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে মারা যান) ৫৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৭৭ শতাংশ গুলিতে মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মৃত্যুহার ৫৩ শতাংশ। আর ৩০ বছরের মধ্যে বয়স ধরলে, নিহতের হার দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী এবং এ হার ৫২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছেন গুলিতে এবং পুলিশের হামলায়।
এইচআরএসএস আরও জানিয়েছে, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, আনসার, সোয়াট, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলির বেআইনি ব্যবহার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, এ কে অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আলোচিত
মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার

অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আজ রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাওনকে। তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হচ্ছে। ডিবি হেফাজতে তাকে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আগামীকাল তাকে সুনির্দিষ্ট মামলায় আদালতে উত্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে আজ সন্ধ্যায় মেহের আফরোজ শাওনের জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তার পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে এবং বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আলোচিত
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল

দরিদ্র পরিবারের সন্তান মাজেদুল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি খরচ ও পড়াশোনা এগিয়ে নিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার। মাজেদুলের বাবা আবুল হোসেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মা মর্জিনা বেগম কখনও কখনও অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ভর্তির বিষয়ে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মেধাবী মাজেদুল ও তার পরিবার।
মাজেদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম শহরের পৌর এলাকার ভরসার মোড় সংলগ্ন করিমের খামার গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাজেদুল ছোট। বড় ভাই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনার্স পড়ছেন। মাজেদুল মাগুরা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছে। মেধা তালিকায় তার স্থান ৫০৩২।
মাজেদুল কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।
মাজেদুলের মা মর্জিনা বেগম জানান, মাজেদুল ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো। এরপর থেকে শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই চলছে তার পড়ালেখা।
তিনি বলেন, তার বাবা কাঠমিস্ত্রি। তিনি কাজ করে সংসার চালান। আর আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলছি। অভাবের সংসারে এখন ছেলের পড়ালেখার খরচ দেওয়া খুব কষ্ট হবে। এখন কেউ যদি সহযোগিতা করে তাহলে ছেলেটা ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। অনেক বাধা পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। আমার বড় ভাই কুড়িগ্রাম কলেজে পড়ে। সে আবার প্রাইভেট পড়িয়ে চলে।
মাজেদুল বলেন, আমি নিজে এলাকায় দুটো টিউশনি করে এতদিন নিজের খরচ চালিয়েছি। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার খরচ জুটবে কীভাবে? আমার সাথে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় আছেন।
মাজেদুলের সাফল্যে প্রতিবেশী, আলামিন ও আব্দুল জলিল বলেন, মাজেদুল ছোট থেকেই কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। সে সুযোগ পেয়েছে এজন্য আমাদের এলাকারও সুনাম হচ্ছে। আমরা চাই সে আরও ভালো করুক সামনে।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন, মাজেদুল মেধাবী শিক্ষার্থী। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে তার মেধার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। সমাজের সামর্থবানরা এগিয়ে আসলে মাজেদুল তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। একদিন চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে।
আলোচিত
পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র্যাব, আনসারের পোশাক

পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপখাকি, ডিপব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রংয়ের পোশাকের মডেল উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রংয়ের পোশাক চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের পোশাকের রং হচ্ছে ‘আয়রন’। র্যাবের পোশাক হচ্ছে জলপাই বা অলিভ রংয়ের এবং আনসারের পোশাকের রং হচ্ছে ‘গোল্ডেন হুইট’।
এর আগে, বিভিন্ন স্যাম্পলের পোশাক উপস্থাপন করা হয় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া, পরিবেশ, বিদ্যুৎ জ্বালানি, শিল্পসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন রঙয়ের পোশাক পরিয়ে বৈঠকে উপস্থিত করা হয়। সেখান থেকে এক এক বাহিনী নিজেদের জন্য এক এক রঙয়ের পোশাক নির্ধারণ করে নেয়। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় পুলিশ, র্যাব ও আনসারের নতুন পোশাক।
আলোচিত
গাছ কাটা-সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আম গাছ কাটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ঢুকে আম গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বিজিবি এই কার্যক্রমকে রুখে দেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ওপার থেকে ছোড়া হাতবোমার বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিকেল চারটার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের চৌকা এবং কিরণগঞ্জ দুটি বিজিবি ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে ১৭৭ এর ৩এস বরাবর বাংলাদেশি কিছু আমগাছ ছিল। বাংলাদেশের আমগাছ কাটাকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই দেশের মানুষ শূন্যরেখা বরাবর দাঁড়িয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে তারা এটা ব্যবস্থা নেবে। সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। কেউ যেন শূন্যরেখা অতিক্রম না করে, উত্তেজনাকর পরিবেশ প্রশমিত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। বিজিবির পাশাপাশি দেশপ্রেমিক জনগণ আমাদের পাশে আছে।’
এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও শতাধিক ভারতীয় মিলে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে ১২ থেকে ১৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। পরে বিজিবির টহল দল মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানান। এ সময় স্থানীয়রা বিজিবিকে সহযোগিতা করতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন। বিএসএফ সদস্যরা ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় ভারতীয়রা পাথরও ছুড়ে মারে। অন্যদিকে, বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধে ভারতীয়রা কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। তখন চৌকা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছিল।
আলোচিত
শিশুকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক গ্রেফতার

বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করার পর এক নারী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর এলিফেন্টরোডের নিজ বাসা থেকে ডা. শাহেদারা বেগম নামের ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক ধানমন্ডিস্থ বাংলাদেশ আই হসপিটালের শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ। গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দেড় বছর বয়সী এক শিশুর চোখে তিনি ভুল অপারেশন করেন। শিশুর বাম চোখে সমস্যা থাকলেও ওই চিকিৎসক প্রথমে ডান চোখে অপারেশন করেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের চোখে পড়লে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানান তারা। এতে দুঃখ প্রকাশ করে ফের চিকিৎসার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে।
এ বিষয়ে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিশুটির স্বজনেরা।
আলোচিত
ইভিএম বাতিল, ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ফের নির্বাচন

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহারের আইন বাতিল করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে কোনো নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় সেই নির্বাচন করাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই কমিশন পুরো নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
(ক) ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।
(খ) কোনো আদালত কর্তৃক ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা।
(গ) বেসরকারি সংস্থার কার্যনির্বাহী পদে আসীন ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ওই পদ থেকে তিন বছর আগে অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত আরপিও’র ধারা বাতিল করা।
(ঘ) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬(২)(ঘ) এর অধীনে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বিচারিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।
(ঙ) আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে) শাস্তিপ্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার শুরু থেকেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।
(চ) গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের/মানবাধিকারকর্মী ওপর হামলা, ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদেরকে সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। (সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি উচ্চতর হওয়া দরকার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা দরকার। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রানজিশন্যার জাস্টিসের’ যুক্তিও উত্থাপন করা যেতে পারে। )
(ছ) স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা।
(জ) তরুণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শতকরা ১০ ভাগ মনোনয়নের সুযোগ তৈরির বিধান করা।
(ঝ) স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১% শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা।
(ঞ) একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা।
(ট) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রেক্ষাপটে আপিল প্রক্রিয়ায় অনুচ্ছেদ ১২৫(গ) বহাল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। [“১২৫(গ)। কোনো আদালত, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে, নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনোরূপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না। ”
(ঠ) হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।
মনোনয়পত্র
(ক) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সকল প্রার্থীর সশরীরে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।
(খ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।
(গ) প্রার্থিতা চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু ‘কোরাম নন জুডিস’ ও ‘ম্যালিস ইন ল’-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা।
(ঘ) মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৫ বছরের আয়কর রির্টানের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা।
(ঙ) নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বৃদ্ধি করা, যাতে হলফনামা যাচাই-বাছাই করা ও আপিল নিষ্পত্তি জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কমানো, যাতে প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সাশ্রয় হয়।
হলফনামা
(ক) প্রার্থী কর্তৃক মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রত্যেক দল তার প্রার্থীদের জন্য প্রত্যয়নপত্রের পরিবর্তে দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা অনুরূপ পদধারী ব্যক্তি কর্তৃক হলফনামা জমা দেয়ার বিধান করা, যাতে মনোনীত প্রার্থীর নামের পাশাপাশি মনোনয়ন বাণিজ্য না হওয়ার ও দলীয় প্যানেল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ থাকে।
(খ) পরবর্তী নির্বাচনের আগে যে কোনো সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাচিত ব্যক্তির হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে এবং মিথ্যা তথ্য বা গোপন তথ্য পেলে তার নির্বাচন বাতিল করা।
নির্বাচনব্যবস্থা
(ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা।
(খ) নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা।
(গ) কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০% ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
(ঘ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধ করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে সৎ, যোগ্য এবং ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দেওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনে ‘না-ভোটে’র বিধান প্রবর্তন করা। নির্বাচনে না-ভোট বিজয়ী হলে সেই নির্বাচন বাতিল করা এবং পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাতিলকৃত নির্বাচনের কোনো প্রার্থী নতুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারার বিধান করা।
নির্বাচনী ব্যয়
(ক) সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা।
(খ) সকল নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন, বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা।
(গ) নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারিত্ব করা।
(ঘ) প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য শাস্তির বিধান করা।
নির্বাচনী অভিযোগ ব্যবস্থাপনা
(ক) বিদ্যমান ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি’কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদানের পাশাপাশি বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিচারিক সত্তা/বডি গঠন করা।
(খ) নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির আওতায় প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করা। এর প্রেক্ষিতে উক্ত কমিটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা মতে বিচারার্থে অপরাধ আমলে নেওয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতিতে অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করা।
(গ) সংসদ নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলোর কার্যাবলি তদারকি করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটি’ একজন নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠন করা।
(ঘ) কার্যকালীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার স্বার্থে অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিগুলো প্রশাসনিকভাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কার্যক্রম তদারকি কমিটির আওতায় আনা। বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এগুলোকে স্বাধীন করা।
(ঙ) হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনী মামলার চাপ কমাতে এবং শুধু নির্বাচনী বিরোধ সংশ্লিষ্ট মামলা (ইলেকশন পিটিশন) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য জেলা পর্যায়ে ‘সংসদীয় নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল’ (Parliamentary Election Tribunal) স্থাপন এবং ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা।
এই সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
- আন্তর্জাতিক10 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস4 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস4 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- বিনোদন10 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- আন্তর্জাতিক3 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস3 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস3 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক4 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা