Beanibazarview24.com
টিলাগড় ইকোপার্ক নিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে উন্মাদনা যেমন আছে, তেমনি আছে আক্ষেপও। আক্ষেপ, বাঘ ভালুক বা জিরাফের মতো দুর্লভ প্রাণীর অনুপস্থিতি নিয়ে। উদ্বোধনের সময় কর্তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই আসবে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহ। কিন্তু প্রায় একমাস চলে গেলেও এখনও তা হয়নি। কবে হবে তাও সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারছেন না তারা। তবে তারা আশ্বস্ত করছেন, যতদ্রুত সম্ভব বলে।
সম্প্রতি এ পার্কে ৯ প্রজাতির ৫৮টি প্রাণী সংযোজন করা হয়েছে। এগুলোর প্রতি দর্শনার্থীদের অসীম কৌতুহল। প্রায় প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন, ঘুরছেন, দেখছেন আর বাঘ-ভালুকের জন্য আক্ষেপ করছেন।
অন্তত এ দুটি প্রাণী নিয়ে আসতে পারলে ইকোপার্কটি অনেকটাই পূর্ণতা পেতো বলে মন্তব্য করছেন তারা।তাছাড়া হরিণ থাকলেও সেগুলোর দেখা পাওয়া অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল।খুব ছোট ছোট। মিশে থাকে ঝোপঝাড়ের সাথে।এক্ষেত্রে আগ্রহীদের দুরবীণ প্রয়োজন বলেও দর্শণার্থীদের কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেন।
আর বন কর্মকর্তারা কেবল আশার বাণীই শুনিয়ে যাচ্ছেন। শীঘ্রই বাঘ-সিংহ আসবে এমন আশ্বাস দিলেও সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারছেন না। বলছেন, যতদ্রুত সম্ভব। অবশ্য বাঘ সিংহের সাথে নতুন করে আরও কয়েকটি হরিণ আনার প্রস্তুতিও তারা নিয়ে রেখেছেন।
টিলাগড় ইকোপার্কটি দীর্ঘদিন ধরে সবুজ বনানীতে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা হিসাবে সিলেটবাসীর কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান। আগে ‘আলুরতল’ নামেই বিখ্যাত ছিলো জায়গাটি। ২০০৬ সালে ইকোপার্ক ঘোষিত হওয়ার পর এর আবেদন বাড়তে থাকে। সিলেট ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পর্যটকদের কাছেও ছড়িয়ে পড়ে এর পরিচিতি।
দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে গত অক্টোবরের শেষের দিকে এখানে নিয়ে আসা হয় ৯টি প্রজাতির ৫৮টি পশু পাখি। এগুলোর মধ্যে আছে হরিণ, জেব্রা, অজাগর, ময়ুর, লাভ বার্ড, ম্যাকাও, দুই প্রজাতির ফিজেন্ট পাখি, গ্রে-প্যারট ইত্যাদি।
গত বছরের ২ নভেম্বর দর্শণার্থীদের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যেই এখানে আরও বন্যপ্রাণী আনা হবে। বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত রয়্যালবেঙ্গল টাইগার ও সিংহের কথা তাদের বিবেচনায় ছিল।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা আর হয়নি। এরমধ্যে ডিসেম্বরতো গেছে, চলে যাচ্ছে জানুয়ারিও। এনিয়েও আছে দর্শণার্থীদের কৌতুহল। বাঘ-সিংহরা কবে আসছে, হরিণ এত ছোট কেন, জিরাফ কি আসবে? প্রায়ই এসব প্রশ্নে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে নিরাপত্তকর্মীদের।
সম্প্রতি আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তাকর্মী বলেন, সপরিবারে বাঘ-সিংহ দেখতে আসছেন দর্শণার্থীরা। এদেরমধ্যে অনেকেই প্রবাসী। তারা জানতে চান, হরিণ বাঘ বা জিরাফ আসবে কি-না। কবে আসবে এমন প্রশ্নও করেন তারা। সঠিক উত্তর দিতে পারি না।
জানতে চাইলে সিলেট বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজ করছি। যতদ্রুত সম্ভব বাঘ ও সিংহ নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। তবে আগে আসবে বাঘ, পরে সিংহ। তাছাড়া আরও কয়েকটি হরিণও আনা হবে। তিনি জানান, নতুন হরিণগুলো হবে প্রাপ্তবয়স্ক। মোটামুটি বড়সড়ো, যা দর্শণার্থীদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.