Beanibazarview24.com
মাত্র ১৫ সেকন্ডের আকর্ষনের জন্য সারা বিশ্বের কয়েক কোটি তরুন তরুনী টিকটক এ ভিডিও আপলোড করেন। এবার অভিভাবকদের চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই অ্যাপ। কিন্তু কেন?
২০১৮ সালের প্রথমার্ধে অ্যাপ স্টোর থেকে সব থেকে বেশি ডাউনলোড হয়েছিল টিকটক। সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক,টুইটার ও স্ন্যাপচ্যাট কে জনপ্রিয়তায় হারাচ্ছে এই অ্যাপ। অল্প সময়ে সৃজনশীল পোস্ট করতে উদ্বুদ্ধ করে এই অ্যাপ। কম বয়সের মেয়েদের মধ্যে দারুন জনপ্রিয় হয়েছে এই অ্যাপ। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের গ্রাহকরা টিকটক ব্যবহার করতে পারেন।
এই অ্যাপে কম বয়সের মেয়েরা যৌন উত্তেজনামুলক গানের সাথে ভিডিও করার কারনেই এবার অভিভাবকদের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই ধরনের ভিডিও বানিয়ে ৫০ লক্ষ ফলোয়ার বানিয়েছেন ১৩ বছরের মার্কিন তরুনী হালিয়া বিয়ামার।
এই ধরনের উত্তেজনাকর ভিডিও দেখে ভিডিওর নীচে উত্তেজন ও অশ্লিল কমেন্ট করছেন অনেকেই। এই বছরেই ইন্দোনেশিয়াল এই অ্যাপের বিরুদ্ধে এক পিটিশান জমে দিয়েছিলেন ১৭০০০০ ব্যক্তি। এর পরেই ইন্দোনেশিয়াল টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এরপরে টিকটক আধিকারিকরা জাকার্তায় গিয়ে কনটেন্টে নজরদারির প্রতিশ্রুতি দিলে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।
মার্কিন সরকার জানিয়েছে টিকটক ব্যবহারের জন্য অন্তত ১৬ বছর হওয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু অ্যাপ ব্যবহারের বয়সসীমা বাড়ালে করেক লক্ষ গ্রাহক টিকটক থেকে বাদ পড়বেন। যা কোম্পানির বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
যেমন ফ্রান্সে ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ নাগরিকের টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে এই বয়সে ৫৮ শতাংশ তরুণীর টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ১১ থেকে ১৪ বছরে মাত্র ১৫ শতাংশ তরুন টিকটক ব্যবহার করেন।
•যদিও ১৩ বছরের বেশি বয়সীদেরই এই অ্যাপ ব্যবহার করার কথা, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এর থেকে কমবয়সীরাও টিকটক ব্যবহার করছে এবং তাদের সংখ্যাটা বেশ বড়।
• ‘প্রাইভেসি’রও একটা সমস্যা রয়েছে এই অ্যাপে। মাত্র দুই ধরণের প্রাইভেসি সেটিং আছে – একটা হচ্ছে ‘ওনলি’ আর ‘পাবলিক’। অর্থাৎ আপনার বানানো ভিডিও হয় শুধু আপনি দেখতে পাবেন, অথবা তা সব অ্যাপ ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে। মাঝামাঝি কোনো জায়গা নেই।
• এই অ্যাপটির মাধ্যমে যে কেউ আপনাকে ফলো করতে বা মেসেজ করতে পারে।
• অসামাজিক মনোবৃত্তির মানুষরা তাই সহজেই কমবয়সী ব্যবহারকারী, বিশেষ করে ছোট মেয়েদের প্রলোভন দেখাতে পারে।
• তথ্য-প্রযুক্তি পত্রিকা ‘গ্যজেট ব্রিজ’এর সম্পাদক সুলভ পুরি মনে করেন, ‘অ্যাপটি তো অন্তত এটুকু করাই উচিত, যাতে ১৬ বছরের কম বয়সী কেউ টিকটক ব্যবহার না করতে পারে, তা সুনিশ্চিত করা।’
• এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি ও গ্যাজেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই ধরণের বেশিরভাগ অ্যাপই আজকাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে কাজ করে। তাই একবার এইসব অ্যাপে নিজের যে কোনও তথ্য আপনি দেবেন, সেগুলো চিরকালের মতো তাদের কাছে থেকে যাবে।
যে অ্যাপ হাস্যকৌতুকের জন্য ব্যবহার করছেন, তা যেন কোনও বড় বিপদ ডেকে না আনে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.