বাংলাদেশ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন প্লাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ ডাক দিয়েছেন তিনি। পোস্টটিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শহীদ মিনারে বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক।
সম্প্রতি, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি শনিবার মানবজমিন পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’ এ প্রকাশিত হয়।
মতিউর রহমান চৌধুরীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র যদি সত্যিই জমা দেওয়া হয়, তাহলে সেটির অনুলিপি কারও না কারও কাছে থাকার কথা। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালালেও এর খোঁজ কেউ দিতে পারেনি তাকে। এমনকি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাই শেষমেশ রাষ্ট্রপতির কাছেই সরাসরি এর উত্তর জানার সুযোগ মেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
রাষ্ট্রপতির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়তো তার সময় হয়নি।’
এদিকে রাষ্ট্রপতির এ সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার ভাষ্যমতে, রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে তার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।
নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে যুব, ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন খুনি হাসিনা।’
আলোচিত
ফ্যাসিস্ট হাসিনার মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়া ব্যক্তি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে নববর্ষের ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ উপলক্ষ্যে বানানো মোটিফ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ শনিবার ভোরের দিকে আগুন দেওয়া হয়। পুড়ে গেছে ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফের একাংশও। দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
রোববার ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ঢাবির চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম রবিউল ইসলাম রাকিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী। সে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শুরুর আগেই নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, শনিবার ভোরের দিকে চারুকলা অনুষদের দেয়াল টপকে আগুন দেয় এক ব্যক্তি। ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে এক যুবক মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় চারুকলা অনুষদের তিন নম্বর গেটের দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। তিনি কালো টি-শার্ট ও খাকি রঙের প্যান্ট পরা ছিলেন। ভেতরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি প্রতিকৃতিতে আগুন লাগিয়ে দেয়াল টপকে বের হয়ে যান।
আলোচিত
ছাত্রদল নেতার বাড়ি থেকে ওএমএসের চাল উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ডিলার ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের বাড়ি থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল জব্দ করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রাম থেকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির (৩০) ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে মো. খবির মিয়াজি পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. খবির মিয়াজি। সে সরকারিভাবে ওএমএসের চাল বিক্রি না করে গোপনে তার বাড়িতে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখেন। এমন তথ্য স্থানীয় লোকজন ও বিএনপি নেতারা পুলিশকে জানালে বিকালের দিকে খবির মিয়াজির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় খবিরের বসত ঘরের মধ্যে থেকে ওএমএসের ছয় বস্তা সরকারি চাল জব্দ ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় খবির মিয়াজিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়কের প্রভাব খাটিয়ে ডিলার খবির মিয়াজি দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে আসছিলেন। তবে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পারেনি।
মতলব উত্তর থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়নের পাঁচআনী দেওয়ানকান্দি গ্রামে ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির ঘর থেকে ৬ বস্তা চাল ও ৬০টি খালি বস্তা উদ্বার করি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে চালের বস্তা ও খালি বস্তাগুলো জহিরাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি গোলাম হোসেনের হেফাজতে রাখা হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপি নেতা মনির হোসেন জানান, যারা এই সমস্ত কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করবন। পাশাপাশি বিএনপির দলীয় নেতার কাছে আহ্বান এ বিষয়ে যাতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জহিরাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও ওএমএসের ডিলার মো. খবির মিয়াজির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমান হোসেন গাজী জানান, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিচ্ছি। অভিযুক্ত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, বিষয়টি জেনেছি, আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত
রোজাদারদের জন্য লাভ ছাড়াই দুধ বিক্রি করছেন অভিজিৎ ঘোষ

সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন সনাতন ধর্মের ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ। এতে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘোষপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী অভিজিৎ ঘোষ (৪০)। তিনি নড়িয়া বাজারের চাকধ রোডে ‘মিষ্টি কানন’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। তার দোকানে পাওয়া যায় রসগোল্লা, রসমালাই, সন্দেশসহ অন্তত ২৪ প্রকারের মিষ্টি। গতবছর রমজান মাসে হঠাৎ করে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। নিন্মআয়ের মানুষ খাবার কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তাদের এই দুরবস্থা দেখে নিজ দোকানের সব পণ্যে মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি শুরু করেন তিনি। তার এমন উদ্যোগে প্রশংসা করেছিলেন অনেকে।
মানুষের মধ্যে সাড়া ও ভালোবাসা পেয়ে এই রমজানেও রোজাদারদের জন্য নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন অভিজিৎ ঘোষ। সিদ্ধান্ত নেন বিনালাভে দুধ বিক্রি করবেন। সেই থেকে রমজানের প্রথম থেকে বাজার থেকে পাইকারি দামে দুধ কিনে এনে লাভ ছাড়াই বিক্রি শুরু করেন। এতে বাজার থেকে ১০-১৫ টাকা কমে দুধ কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
এখানেই শেষ নয়, দুধের সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘসময় সংরক্ষণ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে দেড়লাখ টাকা খরচে কেনেন অত্যাধুনিক এক মেশিন। এতে ক্রেতারা তাদের সময় অনুযায়ী তার থেকে দুধ নিতে পারছেন। তার এমন উদ্যোগ খুশি স্থানীয় ও ক্রেতারা।
সজিব বেপারী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজান এলেই বেশিরভাগ ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। এখানে এসে দেখলাম উল্টো।অভিজিৎ দাদা লাভ ছাড়াই দুধ কিনে বিক্রি করছেন। অন্যান্য জিনিস সুলভ মূল্যে পেয়ে ক্রেতারা উপকৃত হচ্ছেন। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’
রমজান এলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় থাকেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। সেখানে রোজার একমাস লাভ ছাড়াই বিশেষ মূল্যছাড়ে দুধসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন
জানতে চাইলে মিষ্টি কাননের স্বত্বাধিকারী অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য নয়, মানুষের ভালোবাসা পেতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। মুসলিম ভাইয়েরা যেন এই রোজার মধ্যে আমার কাছ থেকে বাজারের চাইতে কম টাকায় দুধ পান। তাছাড়া আমি আমার দোকানের সব পণ্যে রোজাদারদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছি। আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।’
অভিজিৎ ঘোষের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নড়িয়া বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শামীম বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের জন্য অভিজিৎ বিশেষ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করছেন। এটি অবশ্যই ভালো কাজ। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা মনে করি, সবার উচিত অভিজিৎ ঘোষকে অনুকরণ করা।’
আলোচিত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাথরুমের ওপরের স্টোররুমে লুকিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। তবে শেষরক্ষা হয়নি তার।
ওই নেতার বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে ওই স্টোররুম থেকে নামিয়ে আনে পুলিশ।
রবিবার (৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন সদস্য ওই নেতার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে স্টোররুম থেকে নেমে আসতে বলছেন। পুলিশ সদস্যদের নির্দেশে তিনি ওই রুমের ঢাকনা খুলে নিচে নেমে আসেন।
পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি চট্টগ্রামের বলে জানা গেছে।
আলোচিত
‘পালিয়ে যাওয়ার আগে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা!’

পতনের কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোন চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’
এসময়, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আমাদের সেসকল সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, তাদের মৃতদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেয়া হয়নি, কাউকে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়নি।
এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে এ ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে সেই মুহূর্তে মানবতা বিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিলো যে, দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে।
তাই এ কারণে তাদের কোন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি। ঘটনাটি কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে কি ধরনের নিষ্ঠুরতার সাথে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হয়েছিল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সাথে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আলোচিত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক পেলেন ছাত্রদলের সভাপতির পদ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রদল। এই কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে করা হয়েছে সভাপতি।
ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি হওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শাকিল হোসেন। তিনি কলম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে রয়েছেন।
শাকিল হোসেন ছাত্রলীগের পদে থাকার প্যাডের একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তার ছবি ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সিংড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
এছাড়া একই কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মুনছের আলীর শেখ মুজিবের ছবি সম্বলিত টি শার্ট পরা ছবিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদ পাওয়া মো. শাকিল হোসেন বলেন, আমার এলাকার একজন ছাত্রলীগের নেতা ছিল, সে কমিটিতে আমার নাম দিয়েছিল। বিষয়টি আমি জানতাম না। আর বিগত সময়ে এলাকাভিত্তিক রাজনীতির কারণে ছাত্রলীগের একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম, সেখানকার একটি ছবিই এখন ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি আমি অস্বীকার করছি না।
কিন্তু আমরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা এলাকার সবাই জানে।
নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, কলম ডিগ্রী কলেজের বিষয়টি আমি আংশিক জেনেছি ফেসবুকের মাধ্যমে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নাটোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
- আন্তর্জাতিক12 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন12 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- বিশেষ প্রতিবেদন12 months ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- প্রবাস6 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- সিলেট6 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- বিনোদন6 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি
- প্রবাস6 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক5 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা