আন্তর্জাতিক
সুখবর দিল ইতালি, স্পন্সর ভিসায় শ্রমিক নেবে ৪ লাখের বেশি
ইতালির শ্রমবাজারে অস্থির সময় কাটলেও স্পন্সর ভিসা পাওয়ায় এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থানই এর মূল কারণ বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আগামী তিন বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে চার লাখেরও বেশি শ্রমিক নেবে ইতালি সরকার। তবে, এই সুযোগ পাওয়ার জন্য যেতে হয় দীর্ঘ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।
অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে ইতালি সরকারের নেয়া কঠোর এই পদক্ষেপের ফলে এ বছর আবেদন জমার সংখ্যা কমেছে রেকর্ড সংখ্যক।
তবে ৩৬টি দেশের আবেদনকারীর তুলনায়, এবারও বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বৈধ উপায়ে ইতালি যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
কঠোর নিয়মের পরও ইতালির স্পন্সর ভিসা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দৃঢ় অবস্থানই এর কারণ বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আন্তর্জাতিক
ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি ভারতীয় কৃষকদের
বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের দুর্দশা চরমে। মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা ।
কৃষকরা অভিযোগ করছেন, আমাদের কষ্টার্জিত পণ্য রফতানির সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের পথে বসানো হয়েছে। এখন এই পেঁয়াজ ও আলু শুভেন্দু অধিকারী আর রিপাবলিক টেলিভিশনের ময়ূখ রঞ্জনকেই কিনতে হবে। সেসময় উত্তেজিত কৃষকরা ময়ূখের বাড়ি ভেঙে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর অবস্থা বেগতিক দেখে কৃষকরা রিপাবলিক টেলিভিশনের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করেন। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সংকট বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এক কৃষক বলেন, আমরা শুনছি, বাংলাদেশ আমাদের থেকে পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। অথচ ময়ূখ বলে যাচ্ছে, তারা নাকি আমাদের পেঁয়াজ নিয়ে অপমান করেছে! এই বিভ্রান্তির জন্য ও-ই দায়ী। পাশাপাশি, কৃষকরা রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তুলোধুনো করেছেন।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাজ্যে চরম উত্তেজনা। রাস্তায় পেঁয়াজ-আলু ফেলে কৃষকরা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছেন। তারা অভিযোগ করেন, “আমাদের কষ্ট কেউ বুঝতে পারছে না। তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে, অথচ বাজারে ২০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক
এবার নাকে খত দিয়ে বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা চাইছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
ধসে পড়েছে কলকাতার ব্যবসা। ভারত বাংলাদেশকে যে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল উল্টো তারাই শিক্ষা পেয়ে গেছে কারণ কলকাতার অধিকাংশ ব্যবসায়ই বাংলাদেশি পর্যটকদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে কলকাতায় এখন হাহাকার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশিদের এখন ভিসা না দিয়ে উল্টো বিপদে পড়েছে ভারত।
পর্যটকশূন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের এখন মাথায় হাত। কেনাকাটা, চিকিৎসা ও পণ্য রপ্তানি করে ভারতের ব্যবসায়ীরা এতদিন দাপটের সাথে টিকে ছিল। এখন তারা হতাশাগ্রস্ত। খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোতেই উঠে আসছে এমন তথ্যসমূহ।পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘প্রথম কলকাতা’ ব্যবসায়ীদের করুণ আর্তনাদের চিত্র তুলে ধরেছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কাস্টমার একদম কমে গিয়েছে।
আমরা মূলত বাংলাদেশি কাস্টমারদের উপর নির্ভরশীল। হাসপাতালগুলো ফাঁকা, বেকার বসে আছে ডাক্তাররা। হাসপাতালের কতৃপক্ষরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা না আসায় আবাসন খাতেও ধস নেমেছে। ক্ষতির মুখে পড়ে এখন অনেক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে আছেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে হাসিনা চলে যাওয়ার মোদি সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যে প্রোপাগান্ডা দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের জনগণের মধ্যে বিভেদের দেওয়াল তৈরি করেছে তাতে শাপে বর হয়েছে। কলকাতার এই দুর্দশার পর ভারত বুঝতে পারছে ড. ইউনূসের সাথে লড়তে হলে তাদেরই ক্ষতি হবে।
তাই ভারত বাংলাদেশের সাথে আগ বাড়িয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। কয়েকদিন আগেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে এসে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
ভারতের কূটনীতি যে বাংলাদেশের কাছে ব্যর্থ হয়েছে তা প্রমাণিত। ভারত বয়কটের যে পরিকল্পনা তাতে কুপোকাত হয়েছে মোদি সরকার। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এসবের জন্য মোদি সরকার ও সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জুকে দায়ী করছে। বাংলাদেশ আলু-পেঁয়াজ না কেনায় তাদের এখন মরণদশা।
তাই মোদি সরকারের পতন ও ময়ূখের শাস্তি দাবি করছেন তারা। ময়ূখের বািতে হামলা ও তার বাড়িকে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের সাথে শত্রুতা করে ভারত নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে।
আন্তর্জাতিক
চান্স পেয়েও পূরণ হলো না কানাডায় পিএইচডির স্বপ্ন যমজ ২ বোনের
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পিএইচডি করার জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি পাওয়া যমজ বোন ডালিয়া গাজি ইবাইদ এবং স্যালি গাজি ইবাইদ। তাদের স্বপ্ন ছিলো কানাডায় পিএইচডি শেষ করে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তবে, স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেলো।
গত ৫ ডিসেম্বর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন দুই বোনই। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত দুই বোনর মৃত্যুর খবর সত্য বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে যে বলে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে “সিস্টেম ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করার জন্য ওয়াটারলুতে চান্স পাওয়া যমজ বোনদের মৃত্যুর খবর জানাতে পেরে গভীরভাবে দুঃখিত। তারা দু’বোনই ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ স্টুডেন্ট রিলিফ ফেলোশিপ (এসআরএফ) পেয়েছিলেন।”
‘ডালিয়া এবং স্যালিকে তাদের অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্ব এবং গবেষণার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়েছে,’ বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি বোনদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি নোটও শেয়ার করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে তারা কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পেয়েছে জেনে তারা ভীষণ আগ্রহী ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত, তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পায়নি। আমাদের মেয়েদের যত্ন নেয়ার এবং সাহায্য করার জন্য আপনাকে (বিশ্ববিদ্যালয়) ধন্যবাদ।”
বিশেষ প্রতিবেদন
সরকারি চাকরি পাওয়ার সাথে সাথে যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে এনে জোরপূর্বক বিয়ে!
ভারতের বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অবনীশ কুমার। দ্রুতই শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিবেন তিনি। তবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগেই তার সাথে ঘটে গেছে অদ্ভুত এক ঘটনা।
প্রকৃতপক্ষে, ডজনখানেক লোক বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় অবনীশ এবং জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেয়। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রিকশাযোগে স্কুলে যাওয়ার পথে দুটি গাড়ি তার পথরোধ করে। পরে গাড়ি থেকে ডজনখানেক লোক নেমে তাকে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অবনীশ কুমারের বাবার নাম সুধাকর রাই। বিহারের বেগুরসরাই জেলার রাজৌরার বাসিন্দা তিনি। তার পাশের জেলা লক্ষীসরাইয়ের গুঞ্জন নামের এক মেয়ের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা গুঞ্জনের আত্মীয়রা করেছে বলে জানায় অবনীশের পরিবার।
গুঞ্জন অভিযোগ করে বলেন, অবনীশের সঙ্গে আমার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। সে আমাকে বিয়ে করে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
তার স্কুলেও আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। আমি যখন আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই এবং তাকেও বিয়ের জন্য বলি তখন সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। যার কারণে বর তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেছি।
আন্তর্জাতিক
১৮ হাজার ভারতীয়কে তাড়াবেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৮ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করে। এদের একটি বড় অংশই অবৈধভাবে সেখানে রয়েছেন। আর নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নিয়েছেন, দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে প্রায় ১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট সম্প্রতি এর একটি তালিকাও করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিকের নাম। বেশিরভাগই ভারতের গুজরাট, পাঞ্জাব এবং অন্ধ্র প্রদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন এবং অবৈধভাবে সেখানে বসবাস করছেন।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এরপর প্রথমদিকেই অভিবাসন নীতিতে হাত দিতে পারেন তিনি। আর এর মধ্যেই তালিকায় থাকা ১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
গেল বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে সেনাবাহিনীকেও ব্যবহার করবেন তিনি। যদিও দেশটির অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর ব্যবহার সীমিত রাখার আইন রয়েছে।
কিন্তু ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের ওয়াশিংটনের জন্য হুমকি মনে করে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
বিশেষ প্রতিবেদন
ভুয়া খবর প্রকাশ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভারতীয় ‘গুজব’ মিডিয়া
মাইক্রোসফটের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া খবর ছড়ায় ভারতে। প্রায় ১৪৫ কোটি জণসংখ্যার এই দেশটিতে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা, গুজব ছড়াচ্ছে।
দেশটির মিডিয়াতে যেই মিথ্যা তথ্যের সবশেষ সংযোজন ‘বাংলাদেশ’। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের ‘গুজব’ মিডিয়া।
সম্প্রতি বাংলাদেশের তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমর স্ক্যানারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমে ভুয়া খবর ও গুজব ছড়ানো হয়েছে।
যার মধ্যে ভারতের গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক ৫টি গুজব প্রচার করেছে। এরপর রয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ ও লাইভ মিন্ট; যারা প্রত্যেকে অন্তত তিনটি গুজব প্রকাশ করেছে।
এছাড়া রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ ও আজতক অন্তত দুটি করে গুজব প্রচার করেছে।
ভুয়া খবর ও গুজব ছড়ানো বাকি ৪১টি গণমাধ্যম হলো- এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই), এনডিটিভি, ইকোনমিক টাইমস, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ফার্স্টপোস্ট, অপি ইন্ডিয়া, ফ্রি প্রেস জার্নাল, মিরর নাউ, ইন্ডিয়া ডটকম, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, আরটি ইন্ডিয়া, সংবাদ প্রতিদিন, জি২৪, দ্য প্রিন্ট, দ্য স্টেটসম্যান, উইয়ন, ওয়ান ইন্ডিয়া, সিএনএন নিউজ ১৮, দ্য ওয়্যার, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, এই মুহূর্তে, মাতৃভূমি, নিউজ ৯, ক্যালকাটা নিউজ, হেডলাইনস ত্রিপুরা ন্যাশনাল, টাইমস নাউ নিউজ, দ্য ওয়াল, নিউজ ২৪, পুবের কলম, ট্রিবিউন ইন্ডিয়া, এনই ইন্ডিয়া ব্রডকাস্ট, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, টিভি ৯, লোকমাত টাইমস, পিটিসি নিউজ, নিউজ এক্স, দ্য টাটভা, স্বরাজ্য, নিউজ বাইটস, ভাইবস অব ইন্ডিয়া ও বর্তমান পত্রিকা।
ভুয়া খবর ও গুজবের মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি, মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে মানববন্ধন করার ভিডিওকে হিন্দু ব্যক্তির দাবিতে প্রচার, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ভুয়া খবর, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভিত্তিহীন দাবি এবং ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনূসের ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার ভুয়া দাবি।
ভারতের প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও প্রচার করে বাংলাদেশে মুসলিমদের হামলায় হিন্দু মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের দাবি, শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর হামলার ভুয়া দাবি, চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির ছবি নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়। দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি রমেন রায়, যিনি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী। যা সত্য নয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে ‘ভাইরাল’ হওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে ভারতীয় মিডিয়া। এদের মধ্যে ‘ক্লিকবেইট’ শিরোনাম ও ‘হলুদ সাংবাদিকতা’র জ্বলন্ত উদারহণ হয়ে উঠছে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু গণমাধ্যম।
বিশেষত রিপাবলিক বাংলা, দ্যা ওয়াল-এর মতো ‘অখাদ্য’ কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দিনকে দিন অপতথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ‘ভিউ বাণিজ্য’ ও ‘ভাইরাল’ হওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এসব গণমাধ্যমে দিনভর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক অনুষ্ঠান, ফেসবুক লাইভ, মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। যেসব ‘ভুয়া খবর’ প্রচার করে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকেও লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে ভারতীয় ‘গুজব’ মিডিয়া।
শুধু তাই নয়, গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীসহ প্রায় ৫০০’র বেশি নেতাকর্মীসহ ভারতে প্রবেশ করেছে। এমনকি দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বর্তমানে ভারতেই অবস্থান করছেন।
এমন অবস্থায় দেশের বাইরে পাড়ি জমানো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দদের অর্থায়নেও ভারতের কিছু মিডিয়া বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের দাবি, সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নানাভাবেই দেশে অস্থিতীশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দলটি মনে করছে, বাংলাদেশে অস্থিতীশীল পরিস্থিতিই পারে দেশের রাজনীতিতে তাদের পুনরায় ফিরে আসা সহজ করতে। এমন অবস্থায় তারা ভারতীয় মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছে। বিগত ১৬ বছরে এই দলটি যেহেতু দেশ থেকে হাজার-লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে, ফলে আওয়ামী লীগ চাইলেই সেখান থেকে কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন অপতথ্য ছড়িয়ে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারে।
ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এই ধরনের অপতথ্য প্রচারের উদ্দেশ্য শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যে প্রভাব ফেলা।
সম্প্রতি বর্ডার থেকে ভারতে ঢুকতেই পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের মনগড়া কাহিনি বলাতে বাধ্য করছে ভারতীয় প্রচার মাধ্যমের প্রতিবেদকরা, এমন দাবি করছেন ভারতে সাক্ষাৎকার দেওয়া ফরিদপুরের নিলটুলী এলাকার হিন্দু যুবকের পরিবারের সদস্যরা।
ফরিদপুর শহরের নিলটুলী এলাকার গিণি ভবণের বাসিন্দা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুনীল কর্মকারের ছেলে শুভ্র কর্মকার গত ৮ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য বেনাপোল পেট্রাপোলে বর্ডার হয়ে ভারতে যায়। সীমান্ত পেরিয়েই ভারতীয় প্রচার মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে।’
এই ঘটনার পর এই যুবকের বাবা সুনীল কর্মকার জানান, গত রোববার ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সময় বেনাপোল বর্ডার পার হওয়ার পর তার ছেলের পাসপোর্ট দেখার কথা বলে নিয়ে নেয়। তারপর দেশের পরিস্থিতি এমন বলে সাক্ষাৎকার নেয়।
ছেলের এই মিথ্যাচারে হতবাক হয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দাবি করে শুভ্রর বাবা সুনীল কর্মকার বলেন, ‘পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে ছেলেকে এসব বলতে বাধ্য করেছে ওই লোকগুলা।’
নির্যাতন-নিপীড়ন নিয়ে ছেলে যা বলেছে তাদের পরিবারে ও এলাকায় এমন কিছুই ঘটেনি বলে উল্লেখ করেন শুভ্রর বাবা। বরং হিন্দু-মুসলিম সবার মিলেমিশে বসবাস করার কথা বলেন তিনি।
একটা সময়ে পাকিস্তানকে ব্যবহার করা হত ভারতের অভ্যন্তরে মুসলমান-বিরোধী আখ্যান তৈরি করার জন্য। কিন্তু এখন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে বাংলাদেশকে। সেই আখ্যানের একদিকে মুসলমানরা, তারা যে দেশেরই হোন, অন্যদিকে থাকছেন হিন্দুরা। বলার চেষ্টা করা হচ্ছে যে ‘হিন্দু খতরে মে হ্যায়’, অর্থাৎ হিন্দুরা বিপদে আছেন।
এ বিষয়ে অল্ট নিউজের সম্পাদক প্রতীক সিনহা বলছিলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শাহিনবাগের প্রতিবাদ আন্দোলন অথবা ইসরায়েল বা এখন বাংলাদেশ- সব ক্ষেত্রেই ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে আসলে ঘুরপথে ভারতীয় মুসলমানদেরই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। এখানকার মুসলমানদের ওপরে বিদ্বেষ ছড়ানো যাতে যুক্তিযুক্ত হিসেবে দেখানো যায়- সেই আখ্যান তৈরির প্রচেষ্টা চলছে।
ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার নিয়ে বিবিসি বাংলাকে পুণের এমআইটি এডিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সম্বিত পাল বলেন, ‘ভারতের মিডিয়ায় এর আগে যেভাবে ভারত-বন্ধু শেখ হাসিনার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেখিয়েছে, ঠিক সেই পথেই অধিকাংশ মিডিয়া হাসিনা সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনুস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কারণ, তারা মনে করছে বাংলাদেশের এই সরকার ভারতের বর্তমান শাসকদলের বিরোধী।’
তার কথায়, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে ভারতের মিডিয়া এতটা উচ্চগ্রামে খবর করেনি। কারণ তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি মোদী ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ভারতীয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তারা ওই অবস্থান নিয়েছিল। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা বদলিয়েছে।
সবশেষ তিনি বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তার থেকে অনেক বেশি মাত্রায় ভারতের নির্বাচনী স্বার্থ এখানে কাজ করছে।
- আন্তর্জাতিক8 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস2 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস2 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক2 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস2 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস1 month ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক2 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
- সিলেট1 month ago
মুনতাহার হাতে থাকা আপেলটিও খেতে দেয়নি তারা