আলোচিত
নাসা রেকর্ড করলো ফেরেশতাদের শব্দ!
মহাকাশে শোনা গেল ফেরেশতাদের শব্দ। নিজেদের অজান্তেই নাসা আবিষ্কার করল আসমানে থাকা ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি। নাসার একটি গবেষণায় উঠে আসে মহাশূন্যকে নিঃশব্দ ভাবা হলেও আসলে সেখানে প্রতিনিয়ত শব্দ হচ্ছে। গবেষকরা সেই শব্দ শুনে বলছেন, যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসঙ্গে গান গাইছেন। অথচ শবে মেরাজের রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, মহাকাশে প্রতিনিয়ত ফেরেশতারা জিকির করছেন। তবে কি এবার রেকর্ড করা হলো ফেরেশতাদের জিকিরের ধ্বনি!
আবু দার রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিরাজ থেকে ফিরে আসেন, তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি আকাশে কি দেখেছেন বা কি শুনেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমি যা দেখেছি, তোমরা তা দেখো না। আর আমি যা শুনেছি, তোমরা তা শোনো না। আকাশে প্রচন্ড কাঁপুনির শব্দ হচ্ছে আর তা হওয়ার কারণ আছে আকাশের চার আঙ্গুল পরিমাণেও জায়গা খালি নেই। সবখানেই ফেরেশতারা সিজদায় আছেন আর আল্লাহর জিকির করছেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসটিতে প্রচন্ড ঝাঁকুনির মত শব্দ হচ্ছে বলেন। আগে ধারণা করা হতো, মহাকাশ যেহেতু একটি বায়ুশূন্য স্থান তাই সেখানে শব্দ হওয়া সম্ভব না। কিন্তু মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার একাধিক গবেষণায় বর্তমান সময়ে এটা প্রমাণিত যে, মহাকাশের শব্দ হচ্ছে।
সংস্থাটির আওয়ার ইউনিভার্স ইজ নট সাইলেন্ট অথবা লিসেন টু দ্যা ইউনিভার্স শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মহাকাশের শব্দ হয়। এমনকি নাসার অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ ও যন্ত্রপাতি এর সাহায্যে এসব শব্দ রেকর্ডও করা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, মহাকাশে মুক্তভাবে ছড়িয়ে ছিটে থাকা বিভিন্ন কণা বা নক্ষত্রে রেডিয়েশনের কারণে এ কম্পন বা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয়। তার কারণেই শব্দের উৎপত্তি। শব্দগুলো ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ আকারে থাকে, পরে সেগুলোকে শব্দতরঙ্গে রূপান্তর করা হয়। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছিলেন যে, আকাশে কাঁপুনির শব্দ হয়।
নাসাও বর্তমানে বলছে শব্দ কাঁপুনির কারণে হয়। এমনকি গবেষণা সাথে যুক্ত একজন গবেষক বলেন, এই শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল যেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একসাথে গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট গাইছে। গ্রেগোরিয়ান চ্যান্ট হচ্ছে খ্রিস্টানদের একরকম ধর্মীয় সঙ্গী যা একসাথে গাওয়া হয়। অথচ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগেই বলেছেন যে, ফেরেশতারা একসাথে আল্লাহর জিকির করছেন।
নাসা মহাকাশে এমন শব্দ আবিষ্কার করেছে ঠিকই, কিন্তু তারা এর পেছনে বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করছেন। কোন গবেষণায় বলা হচ্ছে নক্ষত্রের চুম্বক ক্ষেত্র, কোথাও আবার বলা হচ্ছে প্রাচীন মহাবিশ্বের বিস্ফোরণের শব্দ। তবে শব্দগুলো মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের বর্ণনার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। আসলেও এ শব্দগুলো ফেরেশতাদের জিকিরের শব্দ কিনা তা আল্লাহ ভালো জানেন।
আলোচিত
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল
দরিদ্র পরিবারের সন্তান মাজেদুল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি খরচ ও পড়াশোনা এগিয়ে নিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার। মাজেদুলের বাবা আবুল হোসেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মা মর্জিনা বেগম কখনও কখনও অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ভর্তির বিষয়ে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মেধাবী মাজেদুল ও তার পরিবার।
মাজেদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম শহরের পৌর এলাকার ভরসার মোড় সংলগ্ন করিমের খামার গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাজেদুল ছোট। বড় ভাই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনার্স পড়ছেন। মাজেদুল মাগুরা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছে। মেধা তালিকায় তার স্থান ৫০৩২।
মাজেদুল কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।
মাজেদুলের মা মর্জিনা বেগম জানান, মাজেদুল ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো। এরপর থেকে শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই চলছে তার পড়ালেখা।
তিনি বলেন, তার বাবা কাঠমিস্ত্রি। তিনি কাজ করে সংসার চালান। আর আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলছি। অভাবের সংসারে এখন ছেলের পড়ালেখার খরচ দেওয়া খুব কষ্ট হবে। এখন কেউ যদি সহযোগিতা করে তাহলে ছেলেটা ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। অনেক বাধা পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। আমার বড় ভাই কুড়িগ্রাম কলেজে পড়ে। সে আবার প্রাইভেট পড়িয়ে চলে।
মাজেদুল বলেন, আমি নিজে এলাকায় দুটো টিউশনি করে এতদিন নিজের খরচ চালিয়েছি। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার খরচ জুটবে কীভাবে? আমার সাথে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় আছেন।
মাজেদুলের সাফল্যে প্রতিবেশী, আলামিন ও আব্দুল জলিল বলেন, মাজেদুল ছোট থেকেই কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। সে সুযোগ পেয়েছে এজন্য আমাদের এলাকারও সুনাম হচ্ছে। আমরা চাই সে আরও ভালো করুক সামনে।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন, মাজেদুল মেধাবী শিক্ষার্থী। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে তার মেধার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। সমাজের সামর্থবানরা এগিয়ে আসলে মাজেদুল তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। একদিন চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে।
আলোচিত
কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে
গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় “এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই”
হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়।
এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।
এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না।
আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল “আপু, আমাকে খাওয়াবেন?” তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল “আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।”
যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল।
অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ?
সে বলল ” না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।”
তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।
আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।
সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে।
আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, “জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে।
তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না।
সেই ছেলে বলছে, “আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।” এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।
যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে।
অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।
কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।
আলোচিত
‘স্বপ্নের’ নির্দেশে দাফনের ৭ দিন পর বাবার কবরের পাশে ভাইকে ফের দাফন!
স্বপ্নে মৃত বাবার দেওয়া নির্দেশে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা ভাইয়ের লাশ উত্তোলন করে বাবার কবরের পাশে আবারো কবরস্থ করলেন ভাই। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এমন ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্যের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আবু আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি। পরে তাকে এনে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফনের এক সপ্তাহ পর মৃত আবু আলীর ভাই মাহমুদ আলী তার ছেলেকে নিয়ে গোপনে লাশ উত্তোলন করে নিয়ে যান।
পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভোরে এলাকায় লাশ চুরির অপবাদ তোলেন। এ ঘটনার পর গ্রামের লোকজন খুঁজাখুঁজি করে মাহমুদ আলীর বাড়ির পাশ থেকে নতুন কবরের সন্ধান পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ময়মুরুব্বি এসে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেন।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ
এ বিষয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ভাই মারা যাওয়ার পর সবাই বলেন, বাবার কবরের পাশে নিয়ে দাফন করার জন্য। তবে আমি গ্রামের কবরস্থানে দাফন করি। পরে স্বপ্নে দেখি আমার আব্বা বলছেন, ভাইকে যেখানে দাফন করেছি সেখানে তিনি একা ভয় পাচ্ছেন। উনাকে ওই জায়গা থেকে সরিয়ে এনে বাবার কাছে কবরস্থ করতে বলেন। তাই লাশ তুলে স্থানান্তর করেছি।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জিয়া মো. মোস্তাফিজ বলেন, বিষয়টি ধর্মীয় তাই স্থানীয় আলেম ওলামাদের মাধ্যমে বর্তমানে যেখানে লাশ স্থানান্তর করা হয়েছে সেখানে রাখা হয়েছে।
আলোচিত
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে গেলেন বিয়ানীবাজারের এম এ বাতিন আহমদ
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে বাংলাদেশীদের একজন হয়ে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজারের সন্তান কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক এম এ বাতিন আহমদ। তার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা ইউনিয়নের দাসউরা গ্রামে।
গত ২০ জানুয়ারি সোমবার ২০২৫ ইং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি বাংলাদেশ এবং বিয়ানীবাজারের মানুষের জন্য সম্মানজনক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীরা।
এম এ বাতিন দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ বসবাস করে আসছেন। দেশে থাকাকালী সময় ছাত্র রাজনীতি ও ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রদল বিয়ানীবাজার বাজার রাখার যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন,পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। রাজনিতির পাশাপাশি মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে চান।
আলোচিত
সিলেটে যাত্রীবেশে সর্বস্ব কেড়ে নিতে বেপরোয়া তারা
নিকটাত্মীয় এক রোগীকে দেখতে সিলেট মহানগরের পাঠানটুলা রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাচ্ছিলেন মা-মেয়ে। তারা নগরীর ব্যস্ততম এলাকা আম্বরখানা থেকে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সিএনজি চলাকালে পথিমধ্যে আরও দুজন যাত্রী উঠেন। কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন মা-মেয়ে।জ্ঞান ফিরলে দেখেন স্বর্ণ ও সাথে থাকা টাকা কিছুই নেই। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশাটি আটক করেন। পরে স্থানীয় জনতা যাত্রী বেশে উঠা একজন ও সিএনজি অটোরিকশা চালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় কৌশলে পালিয়ে যায় একজন।সিলেট পর্যটন প্যাকেজ
শুধু এই মা-মেয়েই নয়, দিনে-দুপরে সিলেট মহানগরে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইকারীরা আরও যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সর্বস্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা। সর্বশেষ গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় জব্দ করা হয়েছে দুটি সিএনজি অটোরিকশা।
ভুক্তভোগী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহানগরের টিলাগড়, শিবগঞ্জ, বন্দরবাজার, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টুকেরবাজার, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মূলত দুপুর ও সন্ধ্যা নামার পর ছিনতাই আতঙ্ক বাড়ছে বেপরোয়া ছিনতাই চক্রের অপ-তৎপরতায়। ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন তুলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয়তা নিয়ে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক সিলেটভিউ বলেন, ছিনতাইকারীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। বেশীরভাগ সময়ে তারা যাত্রীবেশে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে তারা। স্বর্ণ, টাকা, মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ দাবি জিনিষ তাদের প্রধান লক্ষ। আমরা ছিনতাই রোধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
সূত্র জানিয়েছে, সিলেটে সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে ভয়ঙ্কর ফাঁদ পাতে ছিনতাইকারী চক্র। যাত্রীবেশে তারা অটোরিকশায় আগে থেকেই ওৎ পেতে বসে থাকে। সাধারণ যাত্রী তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠলেই সুবিধা মতো জায়গায় নিয়ে ওই যাত্রীর সর্বস্ব কেড়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভয়ঙ্কর এ চক্র কতিপয় অটোরিকশা চালকের সঙ্গে আঁতাত করে এমন অপকর্ম ঘটাচ্ছে নগরী ও শহরতলিতে।
এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২০ জানুয়ারি রাতে মহানগরীর দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ ছিনতাইকারীকেস গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে মিরাবাজার এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একটি চক্র। এসময় তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শাহপরান থানার বালুরচ এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে বিল্লাল আহমদ এবং জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ভাইয়ারপাড় গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে আক্তার আহমদ। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
একই রাতে পাঠানটুলা এলাকায় ছিনতাই করতে সময় আরো ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হচ্ছে, মোগলাবাজার থানার পশ্চিমপাড়ার হাসামপুর গ্রামের মো. ছিদ্দিক আলীর ছেলৈ মো. হামিদুর রহমান এবং নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড এলাকার মৃত আজমল হোসেনের ছেলে আজহার। ছিনতাইকাজে তাদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ। তাদেরকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এরআগে ১২ ডিসেম্বর ছিনতাই অভিযোগে মহানগরের কিং ব্রিজ এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছে থেকে ছিনতাইকৃত টাকা ও মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গত নভেম্বর মাসে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধকান্ড নিয়ন্ত্রণে ‘হোন্ডা টহল ডিউটি’ নামে বিশেষ একটি টিম গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ। রাতে ও দিনে মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন এলাকা টহল দেন এই টিমের সদস্যরা।
অপরদিকে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলছেন, মানুষের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরী হয়েছে চালকরা এসবের সাথে জড়িত। কিন্তু তা সত্য নয়। অনেক সময় যাত্রীবেশে এই কাজ তারা করছে। আবার কেউ কেউ মালিকদের বেশী ভাড়া দিবেন বলে গাড়ি নিয়ে ভাসমানভাবে যাত্রী তুলে এসব অপর্কম করে যাচ্ছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছি।
চালকদের গাড়ি দেওয়ার আগে তাদের এনআইডিসহ সব যাচাই-বাছাই করে দিতে সকল মালিকদের আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
আলোচিত
সিলেটে আবাসিক হোটেলে অসামাজিকতা : ৭ যুবক-যুবতী গ্রেফতার
দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের অভিযানে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ৭ যুবক-যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় ঢাকা প্যালেস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত যুবকরা হলেন, সিলেটের শাহপরাণ (রহ:) থানার দত্তগ্রাম এলাকার সেলিম আহমদের ছেলে জিবান আহমদ (২২), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার নোয়াগাঁও এলাকার আজর আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪), সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার বাঘরখলা এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম পাপ্পু (২৪), ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া থানার টানপাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া (৪৫)।
গ্রেফতারকৃত যুবতীরা হলেন, সিলেটের শাহপরাণ(রহ:) থানার বেলগ্রাম এলাকার ইমন চৌধুরীর মেয়ে এনি বেগম (১৯), সিলেটের বালাগঞ্জ থানার মইশাসি এলাকার মিজানুর রহমানের মেয়ে মেহের জাবিন নামিয়া (১৯), সিলেটের শাহপরাণ(রহ:) থানার মুরাদপুর এলাকার সাহাব উদ্দিনের মেয়ে নিপা আক্তার তানিয়া (১৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানার নন এফআইআর নং-১৬, তারিখ- ২১/০১/২০২৫ খ্রিঃ, এস.এম.পিএ্যাক্ট-৭৭/১০৪ ধারা মোতাবেক প্রসিকিউশন দাখিল করে বিধি মোতাবেক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
- আন্তর্জাতিক9 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস3 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস3 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক2 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস3 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস2 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক3 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
- বিনোদন9 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস