আন্তর্জাতিক
অবৈধভাবে ইসরাইল প্রবেশের চেষ্টা, গুলিতে নিহত ভারতীয়

জর্ডান থেকে বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে ঢোকার সময় জর্ডান সেনার গুলিতে প্রাণ হারালেন এক ভারতীয়। নিহতের নাম থমাস গ্যাব্রিয়েল পেরেরা। তিনি ভারতের কেরালা রাজ্যের থুম্বার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ ফেব্রুয়ারি। যদিও কেন তিনি ইসরাইলে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য জানা যায়নি।
জর্ডানের ভারতীয় দূতাবাস গতকাল রোববার (২ মার্চ )বিষয়টির কথা জানিয়েছে। একটি দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির কারণে ওই ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জর্ডানের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দূতাবাস জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে দূতাবাস।
পরিবারের কাছে দেহ ফেরানোর জন্য জর্ডানের প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।পেশায় মৎস্যজীবী ও রিকশাচালক থমাস চলতি মাসে তিন বন্ধু মিলে পর্যটক ভিসা নিয়ে জর্ডানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার ৫ দিন পর, থমাস ও তার এক বন্ধু এডিশন অবৈধভাবে ইসরাইলে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় থমাসের। পাশাপাশি আহত হয়ে দিনদুয়েক আগে কেরালায় ফিরেছেন থমাসের বন্ধু এডিশন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জর্ডানের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি চিঠি আসে। যেখানে বলা হয়, থমাস ও অন্য একজন বন্ধু কারকাক জেলা দিয়ে অবৈধভাবে ইসরাইলে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে তাদের সতর্ক করা হয়। তারপরও সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। থমাসের মাথায় গুলি লাগায় সেখানেই মৃত্যু হয় তার। থমাসের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দূতাবাসের তরফে হাসপাতালে যাওয়া হবে।
সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হবে। থমাসের পরিবারের কাছে তার পরিচয়পত্রও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অ-আবাসিক কেরালাইটস অ্যাফেয়ার্স (NORKA) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অজিথ কোলাসেরি বলেছেন এটি একটি অবৈধ অভিবাসনের ঘটনা। বৈধ চাকরির ভিসা ছাড়াই তারা ইসরাইলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সমাজের নিম্নস্তরের নিরীহ মানুষ অসাধু রিক্রুটিং এজেন্টদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে। NORKA -কে এ ধরনের নিয়োগের বিষয়ে কখনই অবহিত করা হয় না। ট্যুরিস্ট ভিসার আড়ালে চলছে অবৈধ নিয়োগ। লোকেরা যখন সমস্যায় পড়ে তখনই আমরা বিশদ বিবরণ পাই।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আন্তর্জাতিক
মোদীর অনুরোধ অগ্রাহ্য, আবারও শিকলে বেঁধে ফেরত ভারতীয়দের

অবৈধ ভারতীয়দের দ্বিতীয় ব্যাচকে মার্কিন সামরিক বিমানে করে আবারও শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঞ্জাবের অম্রিতসারের বিমানবন্দরে ১১৬ জন ভারতীয়কে বহনকারী মার্কিন সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন দলজিত সিং১১ নামে এক যুবক।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অম্রিতসারে আসার সময় তাদের হাত বাঁধা হয়েছিল এবং পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জনকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় শিকলে তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। এ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে প্রথম ব্যাচে যে ১০৪ জন ছিলেন তাদের সবার হাত-পা বাঁধা হলেও দ্বিতীয় ব্যাচে পাঠানো নারীদের এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাত্র কয়েকদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। ওই সময় ‘ভারতীয়দের প্রতি মানবিক আচরণ’ করার আহ্বান জানান তিনি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পরও আবারও ভারতীয় অভিবাসীদের শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর আগে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এক্সে এক পোস্টে বলেন, এবার যেসব অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। তার মত ছিল, মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিনিদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটি দেখার বিষয়। তবে ভারতীয় কূটনীতি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও দেশটির নাগরিকদের হাত-পা বেঁধেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেসের এই নেতা এক্সে আরও লিখেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান যেটি অম্রিতসার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, এটির ওপর সব নজর থাকবে। তাদের হাত ও পা কী রশি দিয়ে বাঁধা থাকবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ ভারতীয়দের হাতকড়া ও পায়ে শিকল বেঁধে ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সামরিক বিমানে অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠিয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যসভায় তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
এবার ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার বর্ডার পেট্রলের (ইউএসবিপি) প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাঙ্কস।
বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধ ভারতীয়দের বিমানের তোলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন আমেরিকার বর্ডার পেট্রলের (ইউএসবিপি) প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাঙ্কস।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বেআইনি ভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করলে তাকে বের করে দেওয়া হবে।
২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওর শুরুতে মার্কিন সি-১৭ বিমানের দরজা খুলে যেতে দেখা যায়। এরপর বিমানে রাতের অন্ধকারে হাতকড়া পরিয়ে ভারতীয়দের বিমানে তোলা হয়।
এ সময় তাদের পায়েও শিকল পরানো ছিল। এমনকি বিমানের সামনে মার্কিন সেনাকর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক
টিকটকে লাইভের সময় গু’লি করা হয় কোরআন পো’ড়া’নো মোমিকাকে

প্রকাশ্যে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সালওয়ান মোমিকাকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে সুইডেনে গু’লি করে হ’ত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি টিকটকে লাইভ করছিলেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
প্রতিবেদন মতে, সুইডিশ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ইরাকি এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রে’ফ’তার করা হয়েছে, যিনি কোরআন পোড়ানোর বেশ কয়েকটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি আদালতে তার বি’রু’দ্ধে কোরআন অ’বমা’ননার মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল মোমিকার। তবে তার আগেই তাকে গু’লি করে হ’ত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ঘটনাটি একটি বাড়ির ভেতরে ঘটেছে এবং যখন পুলিশ সেখানে পৌঁছায় তখন তারা এক ব্যক্তিকে গু’লি’বি’দ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
পরে, পুলিশ নিশ্চিত করে যে ওই ব্যক্তির মৃ’ত্যু হয়েছে এবং তারা হ’ত্যা’র ত’দন্ত শুরু করেছে। ডেনমার্কের পুলিশকেও হ’ত্যা’কা’ণ্ড সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। তবে নিহত ব্যক্তি মোমিকা কি না, অর্থাৎ সরাসরি তার নাম উল্লেখ করেনি পুলিশ।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তারা গু’লি’র এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রে’ফ’তার করেছে। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ঘটনায় রাতারাতি পাঁচজনকে গ্রে’ফ’তা’র করা হয়েছে। প্রসিকিউটররা তাদের আ’ট’ক করেছে।’
প্রসিকিউটর রাসমাস ওমান আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমরা খুব প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।’
সুইডিশ মিডিয়া বলছে, মোমিকা যখন গু’লি’বি’দ্ধ হয়, তখন সে টিকটকে লাইভ স্ট্রিমিং করছিল। গণমাধ্যমের তথ্য মতে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিকটকের সেই লাইভটি বন্ধ করেছে। অর্থাৎ, গু’লি’বি’দ্ধ হওয়ার পরও মোমিকার টিকটক থেকে লাইভ চলছিল।
আন্তর্জাতিক
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ দিল কানাডা

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ২০২৫ সালেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশে লাগাম টানার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কানাডা। আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির অভিবাসন-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর ৪ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য পারমিট জারি করবে কানাডা, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে ব্যাপক আবাসন সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে দেশটির সরকার জনসংখ্যায় লাগাম টানতে ২০২৪ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি পারমিটের সংখ্যা হ্রাস করে।
আগামী মার্চে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। দেশটিতে অভিবাসনের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন জরিপে দেশটিতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে সাড়ে ৬ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে দেশটিতে পড়াশোনার অনুমতি দিয়েছিল কানাডা। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছে শীর্ষ পছন্দের দেশ কানাডা।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কানাডায় সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখে পৌঁছায়। ১০ বছর আগে, ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার।
অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিষেবায় ব্যাপক চাপ তৈরি এবং আবাসন ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অভিবাসীদের আশ্রয় এবং কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য কানাডার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু আবাসনের ব্যয় বাড়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমাতে কানাডার সরকারের গত বছরের নেয়া পদক্ষেপের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এখন থেকে স্টাডি পারমিট আবেদনকারীদের কানাডার যেকোনও একটি প্রাদেশিক বা টেরিটোরিয়ায় প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। চলতি বছরে যারা দেশটিতে মাস্টার্স এবং পোস্ট-ডক্টরাল করার জন্য যাবেন, সেই শিক্ষার্থীদেরও এই প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার প্রয়োজন হবে।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগেই মা হওয়ার দৌড়ে ভারতীয়রা

জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই ঘোষণা কার্যকর হতে পারে। এ কারণে ওই সময়ের আগেই বাচ্চা জন্ম দিতে চাইছে ভারতীয়রা। এ জন্য তারা বেছে নিচ্ছে প্রিটার্ম সি-সেকশন (আগাম প্রসব) পদ্ধতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডে বলছে, শপথ নেওয়ার দিনই জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এতে বলা হয়, অবৈধভাবে কিংবা শিক্ষা ও পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। তবে মা-বাবার কেউ মার্কিন নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।
ট্রাম্পের এই অভিবাসনবিরোধী পরিকল্পনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অনেকেই সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে, যাদের সন্তান গর্ভে রয়েছে, তারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন অনেক ভারতীয়ও। তবে, এই সংকট কাটাতে নতুন এক সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছেন তারা।
জানা গেছে, যেসব ভারতীয়ের সন্তান আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির পরের কিছুদিন জন্ম নেওয়ার কথা, সেসব মায়েদের প্রিটার্ম সি-সেকশন করে সন্তান ওই তারিখের আগেই জন্মানোর পথে হাঁটছেন তারা।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, যারা প্রিটার্ম সি-সেকশন করছেন, সেসব নারী ৮ বা ৯ মাসের গর্ভবতী। নিউজার্সির একটি ম্যাটারনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. এসডি রামা বলছেন, সম্প্রতি এমন অনেক অপারেশনের অনুরোধ পেয়েছেন তিনি।
এই চিকিৎসক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, সাত মাসের গর্ভবতী নারীরা তাদের স্বামীর সঙ্গে আগাম প্রসবের সময়সূচী ঠিক করতে আসছেন। মার্চে এসব সন্তান প্রসব হওয়ার কথা।
তবে এভাবে আগাম প্রসব পদ্ধতি বেছে নেওয়ার কারণে বাচ্চা ও মায়ের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। টেক্সাসের চিকিৎসক ডা. এসজি মুক্কালা বলছেন, এমন হলে শিশুলের ফুসফুস ছোট হয়ে যেতে পারে, ওজন কম হতে পারে। এছাড়া শিশুর স্নায়বিক সংকটও হতে পারে।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে ও অস্থায়ী ভিসায় দেশটিতে বসবাসরত লাখো ভারতীয়র জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক
ভারতের মুরাদাবাদে গরু জবাইয়ের অভিযোগ তুলে মুসলিম যুবককে হ’ত্যা

ভারতের মুরাদাবাদে এক মুসলিম যুবককে গ’রু জ’বাই করার সন্দেহে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী নি’হত যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহেদিন কুরেশি। শাহেদিনকে এলাকার উ’গ্রবাদী হি’ন্দুরা মা’রধর করলে, গত সোমবার রাতে তার মৃ’ত্যু হয়। এ ঘটনার পর, বেশ কিছু মুসলিম প্রধান এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুরাদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং জানান, ঘটনার পর, শাহেদিনকে মুরাদাবাদ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, রাত সাড়ে ১২টার সময় তার মৃ’ত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার সকালে, শাহেদিনের দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার।
কুমার রণ বিজয় সিং বলেন, শাহেদিন এবং তার সঙ্গীরা সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মণ্ডী সমিতি এলাকায় গ’রু জ’বাই করছিলেন, এমন অভিযোগ করেন এলাকার কিছু লোকজন। এসময়, ভিড় আসার খবরে শাহেদিনের সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও, শাহেদিনকে আ’টকে ফেলে তারা। পরবর্তীতে, শাহেদিনকে সেখানে গা’লিগা’লাজ ও বেধ’ড়ক মা’রধর করা হয়।
কুমার রণ বিজয় সিং আরও জানান, ঘটনাস্থলে মৃ’ত গরু পাওয়া গেছে। কিছু লোক এই ঘটনার জেরে শাহেদিনকে লা’ঠিসো’টা ও রোড দিয়ে নির্মমভাবে পি’টিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত শাহেদিনের হ’ত্যার সাথে সম্পর্কিত কাউকেই গ্রে’প্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং।
এদিকে, মজহোলা স্টেশন হাউস অফিসার মোহিত চৌধুরী জানান, গরু জ’বাইয়ের অভিযোগে নিহ’ত শাহেদিন এবং মোহাম্মদ আদনানের (২৯) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম এফআইআর আইপিসি ধারা ৩০২-এর অধীনে শাহেদিনের ভাই মোহাম্মদ শাহজাদের অভিযোগে দায়ের করা হয়। দ্বিতীয় এফআইআর গ’রু জ’বাইয়ের অভিযোগে দায়ের করে মজহোলা পুলিশ। গত বুধবার শাহেদিনের সঙ্গীকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ।
নি’হ’ত শাহেদিন একজন বডিবিল্ডার ছিলেন এবং তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শাহেদিন, তার স্ত্রী রিজওয়ানা এবং ৩ ছেলে — আরাম (১৩), আশি (১১) এবং ইবজান (৯) সহ আসলতপুর এলাকায় বাস করতেন।
শাহেদিনের স্ত্রী রিজওয়ানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি প’শুর মৃ’ত্যুকে কেন্দ্র করে কোন মানুষকে হ’ত্যা করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা কারা, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়? আমার স্বামীর সাথে যা ঘটেছে, তা নৃশংস। তার অকাল মৃ’ত্যু হয়েছে।’
শাহেদিনের ওপর হা’মলার ভিডিও সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গু’রুতর আ’ত ও রক্তা’ক্ত অবস্থায় শাহেদিন মাটিতে পড়ে আছেন, কোন নড়াচড়া করছেন না।
- আন্তর্জাতিক10 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন10 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস5 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস5 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক4 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস4 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- সিলেট5 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- বিনোদন5 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি