Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

ভাইরালের পর থেকে গৃহবন্দী দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়াই করা কক্সবাজারের রাফিয়া







তার নাম রাফিয়া। বয়স মাত্র ১০ বছর। এ বয়সেই দারিদ্র্যতার সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন ছোট্ট মেয়েটি। অভাবের তাড়নায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ঝিনুক বিক্রি করেন রাফিয়া। কিন্তু বর্তমানে তার চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাফিয়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঝিনুক বিক্রি করেন। এত অল্প বয়সেই তার নিয়তি বাধ্য করেছে সংসারের ভার নিজ কাঁধে তুলে নিতে।



তাই তো অবুঝ এ শিশু কন্যা স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি ঝিনুক বিক্রি করে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে। আর সে আয় দিয়ে ভালোই চলছিল রাফিয়াদের সংসার।
তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে রাফিয়া ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ফেসবুকে কেউ একজন রাফিয়ার একটি ছবি আপলোড করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী রাফিয়াকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে হলিউড বলিউডের বিখ্যাত সুন্দরী নায়িকাদের।

ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা বিখ্যাত নায়িকাদের সঙ্গে রাফিয়ার ছবি দিয়ে ফেসবুকে লিখছেন, ‘কে বেশি সুন্দর? কক্সবাজারের ঝিনুক বিক্রেতা রাফিয়া না ইন্ডিয়ার ক্যাটরিনা? অথবা কার হাসি বেশি সুন্দর ইত্যাদি।’আর ঠিক এই বিষয়টি রাফিয়া ও তার পরিবারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাফিয়ার স্কুলে যাওয়া আসা। বাধ্য হয়েছে ঝিনুক ব্যবসা ছেড়ে দিতে।কক্সবাজার সদরের ঝিলংঝা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ঝিরঝিরি পাড়ার দরিদ্র আবদুল করিমের কন্যা রাফিয়া। বাবা দিনমজুর, মা রহিমা বেগম গৃহিণী।



রাফিয়ারা দুই ভাই, দুই বোন। তাদের মধ্যে রাফিয়া মেজ, বড় ভাই আবদুল্লাহ নবম শ্রেণিতে পড়েন। রাফিয়া কলাতলির সৈকত প্রাইমারি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তবে আপাতত তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।রাফিয়ার চাচা মহিউদ্দীন কে জানান, কোন এক পর্যটক রাফিয়ার ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে ছবিটা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

এ কারণে রাফিয়া এখন স্কুলে যেতে পারে না। ঝিনুক নিয়ে যেতে পারে না সৈকতে।তিনি আরও জানান, রাফিয়াকে সবাই চিনে ফেলায় তার সঙ্গে সেলফিতে মেতে উঠে সবাই। অপহরণ অথবা অজানা কোন এক ভয়ে দিন পার করছেন রাফিয়ার পরিবার। তাই তাকে আপাতত ঘরবন্দী থাকতে হচ্ছে বলেও জানান তার চাচা।



রাফিয়া কে জানান, সে প্রতিদিন ঝিনুক বিক্রি করে ৪০০ থেকে ৫০০টাকা আয় করত। অভাবের সংসারের কথা মাথায় রেখে কখনো একটা টাকাও নিজে খরচ করত না। সব টাকাই মায়ের হাতে তুলে দিত। এ টাকা দিয়ে তার স্কুলের খচর ও সংসারের খরচ মিটতো।রাফিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, ‘ফেসবুক কি আমি বুঝি না, চিনি না। তবে সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমাকে আর আমার পরিবারকে এ বিপদ থেকে উদ্ধার করুন।



মা রহিমা বেগম জানান, রাফিয়ার বাবা দীর্ঘদিন ধরে বেকার ও অসুস্থ থাকায় রাফিয়া প্রতিদিন সৈকতে ঝিনুক বিক্রি করে যা আয় করতেন তা দিয়ে চলতো তাদের সংসার। রাফিয়া গত এক সপ্তাহ যাবৎ ঝিনুক বিক্রি করতে না পারার কারণে গত দুইদিন ধরে তাদের বাড়িতে চাল, ডাল কিছুই নেই। অভাবের সংসার দিনকে দিন আরও অভাবগ্রস্ত হবার ভয় তার।অবুঝ মেয়ে রাফিয়া এসব কিছুই মানতে রাজি নয়, সে তার বাবার চিকিৎসা ও সংসার চালাতে আবারও ঝিনুক হাতে ফিরতে চায়। যেতে চায় স্কুলে।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.