আবার রাজপথে নামছে পুলিশ, শুরু হচ্ছে অ্যাকশন। এবার সিলেটের রাজপথ দখলমুক্ত করতে আটঘাট বেঁধে নামছে তারা। রবিবার থেকেই শুরু হচ্ছে এই অ্যাকশন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম সিলেটভিউকে এসব তথ্য জানান।
সিলেটের রাজপথ ও ফুটপাত দখল একটা পুরানো সমস্যা। এ নিয়ে জলঘোলা হয়েছে অনেক। একটা সময় এমন ছিল যে, ফুটপাততো বটে, রাজপথের অর্ধেক দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যেতেন ভাসমান ব্যবসায়ীরা। এমনকি, ফুটপাতে পলিথিন, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে ঘর বানিয়ে দখল করে রাখতেন বছরের পর বছর।
তারপর সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সময়ে আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হতো। সেও ছিল এক নাটক। একদিকে তিনি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে গিয়েছেন, আম্বরখানা থেকে ফিরে এসে দেখেছেন আবারও উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীরা বসে পড়েছেন নিজেদের পুরানো স্থানে।
এরপর এলো লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেটে হকার্সদের পূণর্বাসন প্রকল্প। হবে হচ্ছে করে কিছুদিন সিলেটের ফুটপাত ও রাজপথ হকার্সমুক্ত ছিল বটে, তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে আর কিছুই বাগে নেই। যথারীতি লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট প্রায় শূণ্য অবস্থায় ফেলে রেখে হকাররা আবারও নেমে পড়েন ফুটপাত ও রাজপথ দখলে। এ অবস্থা চলছেই।
তবে সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসাবে মো. সারোয়ার আলম ও পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম যোগ দেওয়ার পর শুরু হয় নতুন তোড়জোড়। তারা দু’জনেই সিলেটের বিভিন্ন পর্যায়ের সচেতন নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসব মতবিনিময় থেকে উঠে আসে প্রধান দুটি সমস্যার কথা। একটা হচ্ছে যানজট। অপরটি ফুটপাত ও রাজপথ অবৈধ দখল হয়ে যাওয়া।
মূলত: এ দুটি সমস্যাই সিলেটের নাগারিক দুর্ভোগের প্রধান কারণ। তারা চিহ্নিত দুটি সমস্যা নিয়ে কাজও শুরু করেন। সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ থেকে সিলেট মহানগরীতে অবৈধ যানবাহন বিরোধী অভিযান শুরু হয়, যা এখনো চলছে।
আর ফুটপাত ও রাজপথ দখল করে থাকা হকার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় একমাস সময় দেওয়া হয়। এরমধ্যে লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট প্রস্তুত করা হয়েছে। সব হকারদের সেখানে যেতেই হবে। তারা রাজপথে বা ফুটপাতে বসতে পারবেন না কিছুতেই। এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে গত একমাস ধরে।
এখন লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেট প্রস্তুত। সময় এসেছে হকার্সদের সেখানে সরে যাওয়ার। বিষয়টিকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। তারা ১৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে রেখেছে। মানে এরমধ্যে সবাইকে সরে যেতে লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেটে। আর তা না হলে?
সোজা কথা, আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ। আইনী পদক্ষেপ কি? উচ্ছেদ অভিযান। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা, গাড়ি পার্কিং বা যেকোনো ধরনের স্থাপনা পাওয়া গেলে সেটি উচ্ছেদ করা হবে।
এ ক্ষেত্রে আর কোনো কিছুই বিবেচনার সুযোগ থাকবেনা বলেও জানালেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. সাইফুল ইসলাম।