সিলেটে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাতের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশ।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুবিদবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য মো. ওমর ফারুক (২৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি সুবিদবাজার হাজীপাড়া ১০নং বাসার সিফত আলী ও জোস্না বেগমের ছেলে। ওইদিন সকালে নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে তারা ঝটিকা মিছিল ও সরকার বিরোধী অপতৎপরতা চালান।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা (নং১৭/০৭/১১/২৫) দায়ের করা হয়েছে।
মোগলাবাজার থানাধীন আলামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় রুজুকৃত কোতোয়ালী মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার (নং-০৫/০২/১০/২০২৪) সন্দেহভাজন আসামী জয়নাল আহমেদ (৫২)।
তিনি ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। জয়নাল মোগলাবাজার থানার গোটাটিকরের মো. মনতাজ আলী ও আমিনা বেগমের ছেলে।
এদিকে কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক উপাদানাবলী মামলার (নং ৮/০৫/-৯/২৪) এজাহারনামীয় ৩৮নং আসামী ও এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা সেতুবন্ধন ৫/২ নং বাসার মৃত আব্দুল কাদির ও শিরিনা বেগমের ছেলে আবু সুফিয়ানকে (৪০) বিদেশ পালানোর সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
তিনি সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তাকে ডিএমপি ঢাকার হেফাজতে রাখা হয় এবং পরে কোতোয়ালী থানার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার জালালাবাদ থানাধীন পনিটুলা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলায় (নং ৭/৪৪/২১/১০/২৫) সন্দেহভাজন আসামী ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সদস্য আব্দুর রশিদকে (৩৯) গ্রেপ্তার করেছে জালালাবাদ থানাপুলিশ।
তিনি জকিগঞ্জ থানার পেউয়ার মৃত আব্দুর রহিম ও মৃত হাসনা বেগমের ছেলে। বর্তমানে নগরীর পনিটুলা সায়েন্সভিলার অধিবাসী।
তাদের সবাইকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।




