Connect with us

বিনোদন

মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে কি খুশি নন সোনাক্ষীর বাবা?

মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে কি খুশি নন সোনাক্ষীর বাবা?

বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বলিউডের ‘দাবাং’ গার্ল সোনাক্ষী সিনহা। আগামী ২৩ জুন ‘ডবল এক্স এল’ কো-স্টার জাহির ইকবারের গলায় মালা দেবেন নায়িকা। জাহির একজন মুসলিম। অন্যদিকে সোনাক্ষী হিন্দু ধর্মের। দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার এবার তাদের চার হাত এক হওয়ার পালা।

যদিও বিয়ে নিয়ে এখনো মুখে কুলুপ সোনাক্ষী-জাহিরের। তবে মেয়ের বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন সোনাক্ষীর বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা। তার কি এই বিয়েতে কোনো আপত্তি আছে?

‘খামোশ’ তারকা শত্রুঘ্ন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার কোনো ধারণাই নেই মেয়ের বিয়ে নিয়ে। মিডিয়া সোনাক্ষীর বিয়ে নিয়ে যতটুকু জানেন, কনের বাবা হিসাবে তার কাছে নাকি সেই তথ্যই রয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হওয়া শত্রুঘ্ন বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছি। ভোটের ফল বেরোনোর পর এখানে উড়ে এসেছি। আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি মেয়ের বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘যদি প্রশ্ন হয়, সোনাক্ষী কি বিয়ে করছে? বলব, আমাকে সে এখনো কিছু জানায়নি। মিডিয়াতে যেটুকু পড়েছি সেইটুকুই জানি। যদি এবং যখন সে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে সবটা জানাবে তখন আমি নিঃসন্দেহে দম্পতিকে আমার আর্শীবাদ দেব। আমি চাই, মেয়ে সবসময় খুশি থাকুক।’
মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে কি খুশি নন সোনাক্ষীর বাবা?
শত্রুঘ্ন সিনহা আরও বলেন, মেয়ের সিদ্ধান্তে পূর্ণ আস্থা রয়েছে তার। তিনি জানান, ‘মেয়ে বড় হয়েছে, জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিণত সে।’

আসানসোলের তারকা সাংসদ বলেন, ‘কাছের মানুষজন জিজ্ঞেস করছে, মিডিয়া এই বিয়ের ব্যাপারে জানে, আর আমি জানি না কেন। এটুকুই বলব, আজকালকার বাচ্চারা বাপ-মা’র অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, শুধু জানিয়ে দেয়। আমরাও অপেক্ষা করছি, ওদের সিদ্ধান্তটা জানার।’

অভিনেতা এটাও জানান, মেয়ে কোনোদিন কোনো অসাংবিধানিক কিংবা বেআইনি সিদ্ধান্ত নেবে না। প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে সোনাক্ষীর পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে বিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। মেয়ের বিয়ের খবর সত্যি হলে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে নাচবেন বলেও জানান শত্রুঘ্ন সিনহা।

Continue Reading

বিনোদন

৭ মাস ধরে জোরপূর্বক কাউকে আটকে রাখা, হাস্যকর : সালসাবিল

৭ মাস ধরে জোরপূর্বক কাউকে আটকে রাখা, হাস্যকর : সালসাবিল

ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আলোচিত ও বিতর্কিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তিনি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এক নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে নোবেল নির্যাতন ও ধর্ষণ করছিলেন। ওই নারীর পরিবারের ৯৯৯-এ ফোনের পর তাকে উদ্ধার এবং নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় ইডেন কলেজের এক ছাত্রীর। এরপর তাদের মাঝে মাঝে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে দেখা করার পর ওই ছাত্রীকে ‘স্টুডিও দেখানোর’ কথা বলে ডেমরার বাসায় নিয়ে যান নোবেল। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। ওই সময় ছাত্রীটির ফোন ভেঙে ফেলা হয়, তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়, এমনকি ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল। সাত মাস ধরে ছাত্রীটি ওই বাসায় বন্দি ছিলেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে একজন নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নামাতে দেখা যায়। ওই ভিডিও দেখে ছাত্রীর পরিবার তাকে চিনে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন।

গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় নোবেল পালিয়ে যান, তবে প্রযুক্তির সহায়তায় রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মাস ধরে জোরপূর্বক কাউকে আটকে রাখা, হাস্যকর : সালসাবিল
এদিকে নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল। যদিও এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে গায়কের পক্ষই নিয়েছেন তিনি। সালসাবিল মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে কাউকে জোরপূর্বক ৭ মাস আটকে রাখা যায় না।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালসাবিল লিখেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিভিন্ন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু সত্য, আবার অনেকটাই ভ্রান্ত ও উদ্দেশ্যমূলক। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছড়ানো সব কথাই আমার বলা নয়।’

এরপর নোবেলের মামলার প্রসঙ্গ টেনে তার প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, ‘আর কেউ যদি মনে করেন, এই মোবাইল ও প্রযুক্তির যুগে কাউকে সাত মাস ধরে জোরপূর্বক আটকে রাখা বা এমন অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব— তাহলে সেটি বাস্তবতাবিরুদ্ধ ও সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর একটি ধারণা।’

এর আগে গণমাধ্যমে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারো পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ ও নেশাগ্রস্ত, তাহলে সে কিভাবে কাউকে আটকে রাখবে?’

নোবেল মাদকাসক্ত উল্লেখ করে তার প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, ‘সে দীর্ঘদিন রিহ্যাবে ছিল। তারপর ছাড়া পেয়েছে। এরপর আমার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু ওর সঙ্গে যে কেউ থাকত সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু মামলা হয়েছে, ধর্ষণের- এখন আদালতে প্রমাণ হবে সত্য-মিথ্যা, আমাকেও সেভাবে অপেক্ষা করতে হবে।’

Continue Reading

বিনোদন

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সিদ্দিকের সাবেক স্ত্রী

আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সিদ্দিকের সাবেক স্ত্রী

ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১২ সালে সিদ্দিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিম। এক বছর পর তাদের সংসারে আসে পুত্রসন্তান আরশ হোসেন। তবে ২০১৮ সালে বিনোদন জগতে কাজ করার ইচ্ছা থেকে শুরু হওয়া মতবিরোধ একসময় গড়ায় বিচ্ছেদে, যা সম্পন্ন হয় ২০১৯ সালে।

বিচ্ছেদের ছয় বছর পর নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও প্রেমিকের মুখ প্রকাশ করেননি, তবে তাকে ‘আমার ভালোবাসা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে মিম জানান, খুব শিগগিরই প্রেমিককে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।

মিম বলেন, ‘আমি প্রেম করছি। তবে আমার বয়ফ্রেন্ড মিডিয়ার না। তিনি মিডিয়ার বাইরের লোক। সামনেই আমরা বিয়ে করব।’

মারিয়া মিম

মারিয়া মিম


সাবেক স্বামী সিদ্দিক প্রসঙ্গে স্পষ্ট অবস্থান নেন মিম। তিনি বলেন, সিদ্দিক তো আমার প্রাক্তন। ডিভোর্স হয়ে গেলে তার সঙ্গে দেখা করাটাও পাপ। তিনি আমার জন্য এখন একজন পরপুরুষ। যার সঙ্গে দেখা করাটাও পাপ। প্লিজ, সিদ্দিককে জামাই বানায় দিয়েন না।’

এদিকে, সেলিব্রিটি ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫-এ অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ৬ মডেল-অভিনেত্রী ও ৩ নির্মাতার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে মারিয়া মিমের নামও রয়েছে।

এই ঘটনায় সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিম। তার দাবি, জাকির হোসেন ভাইরাল হতেই তাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

Continue Reading

বিনোদন

অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকাকে লিগ্যাল নোটিশ

অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকাকে লিগ্যাল নোটিশ

অনলাইন ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ‘ফ্ল্যাশটকবিডি’র বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ এবং অশ্লীল অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগে উঠেছে। এ কারণে ওই চ্যানেল এবং সমালোচিত উপস্থাপিকা তমা রশিদের বিরুদ্ধে অশ্লীল কনটেন্ট নির্মাণ, রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে গিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তমা রশিদ

তমা রশিদ


আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ওবাইদুল্যাহ আল মামুন বলেন, অতিরিক্ত ভিউসের আশায় উপস্থাপিকা তমা রশিদ অশ্লীল, অশ্রাব্য শব্দচয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। যা সামাজিক, পারিবারিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি করেছেন। সামাজিকমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে উপস্থাপিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ওই নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে অশ্লীলতাপূর্ণ ভিডিও নির্মাণ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও সামাজিক মাধ্যম থেকে অশ্লীল ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি একই ধরণের ভিডিও নির্মাণ করে তবে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা ভঙ্গের অপরাধে উপস্থাপিকা তমার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অতিথি ডেকে বেগুন দেন কেন বিস্ফোরক মন্তব্য ডা. কুশলের

অতিথি ডেকে বেগুন দেন কেন বিস্ফোরক মন্তব্য ডা. কুশলের


বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি রক্ষার স্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তমা রশিদের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আজকের এই নোটিশ প্রদান করছি। যাতে তিনি ভবিষ্যতে আর কোনোভাবেই অশ্লীল শব্দচয়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে না পারেন।

Continue Reading

বিনোদন

চঞ্চল চৌধুরীকে চিনতাম না: ইশরাক

চঞ্চল চৌধুরীকে চিনতাম না: ইশরাক
চঞ্চল চৌধুরীকে চিনতাম না: ইশরাক

সম্প্রতি বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। হাসিনা সরকার পতনের পর মাঝে দীর্ঘ সময় কিছুটা আড়ালে থাকার চেষ্টা করলেও এই পুরস্কার নিতে সমাবেশে দেখা গেছে তাকে। অথচ তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে তার (চঞ্চল) হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

বিষয়টি নিয়ে সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দেন ইশরাক হোসেন।

পোস্টে ইশরাক বলেন, শুক্রবার ১৬ মে একটি স্বনামধন্য প্রথমসারির স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলর কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসাবে অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি অনুষ্ঠানে কিছু সময়ের জন্যে যোগ দেই।

সেই অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত থাকবেন, আমার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করতে হবে এই বিষয়গুলো কিছুই জানা ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানটিতে একজন অতি বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে ছবি ওঠে যাকে আমি আগে চিনতাম না এবং তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলাম না।

২০১৫ সালে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তখনকার অনেক সেনসিটিভ ঘটনা আমার চোখে এড়িয়ে যায়। এটা আমার সীমাবদ্ধতা, আমার জানা উচিত ছিল। এই ছবিটি দেখার পর আমার অনেক প্রাণপ্রিয় ভাই ও সহযোদ্ধাদের মনে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে। আমি সেটার জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হওয়ার কথা দিচ্ছি।

Continue Reading

বিনোদন

‘অস্ত্রোপচার নয়, স্বাভাবিকভাবেই আমার পরিবর্তন এসেছে’

‘অস্ত্রোপচার নয়, স্বাভাবিকভাবেই আমার পরিবর্তন এসেছে’
‘অস্ত্রোপচার নয়, স্বাভাবিকভাবেই আমার পরিবর্তন এসেছে’

কৈশোর থেকেই চেহারার আকার নিয়ে নানা রকমের কটাক্ষ শুনেছেন বলিউডের অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। একটা সময় বেশি স্কিনি বা রোগা-পাতলা গড়নে থাকায় বহু মশকরার শিকারও হয়েছেন তিনি। কিন্তু যখন তার মাঝে পরিবর্তন আসতে থাকে, সঙ্গে বাড়তে থাকে নিন্দুকদের তির্যক মন্তব্য।

নিন্দুকরা বলছেন, অস্ত্রোপচার করে নাকি নিতম্বের আকৃতি বৃদ্ধি করেছেন অনন্যা পাণ্ডে। এবার এমন কটাক্ষ নিয়ে খোলাখুলি জবাব দিলেন অভিনেত্রী।

কৈশোরের অভিজ্ঞতা শুনিয়ে অনন্যা বলেছেন, ‘তখন আমার ১৮-১৯ বছর বয়স। খুব রোগা ছিলাম আমি। সেটা নিয়েও মশকরা করা হত। লোকে আমাকে বলত, “আরে, তোমার পা দুটো মুরগির ঠ্যাং-এর মতো।” কেউ আবার বলত, “তোমার চেহারাটাই দেশলাই কাঠির মতো। তোমার তো স্তন বা নিতম্ব কোনোটাই নেই।” এই সব বহু শুনেছি।’
‘অস্ত্রোপচার নয়, স্বাভাবিকভাবেই আমার পরিবর্তন এসেছে’
এবার বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে চেহারাতেও ভার এসেছে অনন্যার। আর তা নিয়ে এবার তির্যক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে তাকে। তার জবাবে অনন্যা বললেন, ‘আমি স্বাভাবিকভাবেই বড় হচ্ছি। আমার চেহারাও ভারি হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু বলা হচ্ছে, আমি নাকি অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতম্বের আকার বৃদ্ধি করেছি। মানুষ যা-ই করবে, দেখতে যেমনই লাগুক, কটাক্ষ শুনতেই হবে। কিছু সমালোচনা করবেই। বিশেষ করে নারীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা হবেই। পুরুষদের এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় বলে মনে হয় না।’

অভিনয়ের জন্যও প্রথম দিকে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অনন্যা। তারকা-সন্তান তকমা থাকার কারণে বারবার সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু গত কয়েকটি ছবি ও সিরিজে অভিনয় করার পর থেকে প্রশংসা পেতে শুরু করেছেন তিনি। ‘খো গায়ে হাম খাঁহা’, ‘কল মি বে’ ও ‘কন্ট্রোল’-এ তার অভিনয় সাড়া ফেলেছিল।

Continue Reading

আলোচিত

ট্রেনে ডাকাতি শেষে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ডাকাতের!

ট্রেনে ডাকাতি শেষে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ডাকাতের!
ট্রেনে ডাকাতি শেষে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ডাকাতের!

টালিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র রিমঝিম মিত্র। গত দুই দশক ধরে বাংলা সিরিয়াল জগতকে সমৃদ্ধ করছেন তিনি। বর্তমানে তাকে দেখা যাচ্ছে নানা সিরিয়ালে। তবে অধিকাংশই তিনি ভ্যাম্পের চরিত্রে অভিনয় করছেন। অর্থাৎ খলনায়িকার চরিত্রে।

এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা রিমঝিমের কাছে এক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তবে আজও অবিবাহিতই থেকে গেছেন রিমঝিম। সংসার পাতেননি তিনি।

প্রিয়জন বলতেই তার মা। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলে বাড়ি রিমঝিমের। একটি অ্যাপার্টমেন্টে মাকে নিয়ে থাকেন রিমঝিম। সেই রিমঝিমের কাছেই একবার এসেছিল বিয়ের প্রস্তাব। এবং সেই প্রস্তাবে এসেছিল ডাকাতের থেকে।

কেবল অভিনয় নয়। অভিনেত্রী রিমঝিম দুর্দান্ত ভালো নাচেন। অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের ব্যালেট ট্রুপে নিয়মিত নৃত্য পরিবেশন করতেন তিনি। মমতা শঙ্কর ব্যালট ট্রুপের সঙ্গে এ রাজ্যে, ও রাজ্যে নাচের অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। তেমনই এক নাচের অনুষ্ঠান করতে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালিত একটি টকশোতে এসেছিলেন তিনি। সেই টক শোতে তিনি জানিয়েছিলেন, ডাকাতের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন।

রিমঝিম বলেন, ‘স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। সামনে দেখি বেশকিছু সুদর্শন দেখতে ছেলে রয়েছে। আমাদের তখন কিশোরী বয়স। সবেমাত্র ছেলেদের দেখে মোহিত হচ্ছি। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সুপুরুষদের দেখে আমাদের মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তারপর লোডশেডিং হয় স্টেশনে। আলো ফিরতেই দেখি, ছেলেগুলো উধাও। আমরা যথারীতি ট্রেনের কামরায় উঠে পড়ি। মম মাসি, অর্থাৎ মমতা শঙ্কর তার নাচের দলের মেয়েদেরকে একসঙ্গে নিয়ে বসে ছিলেন একটি কামরায়। হঠাৎই মাঝপথে ট্রেন থেমে যায়। আমি এবং আমার এক বান্ধবী টয়লেটে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ট্রেন থেমে গেছে। টয়লেটের বাইরে বেরিয়ে দেখি মম মাসির স্বামী এবং আমাদের নাচের দলের একজন আসছেন হন্তদন্ত হয়ে। তার মাথা থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। জিজ্ঞেস করেন, ওরা আসেনি তো এখানে?’

‘তাকে দেখেই চমকে গেলাম। তিনি আমাদের এসেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওরা আসেনি তো এখানে?’ আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘ওরা মানে কারা?’ তিনি জানালেন, ট্রেনে একদল ছেলে আমাদেরকে দেখে মোহিত হয়েছিল। তারা সবাই ডাকাত। ট্রেন থামিয়ে ডাকাতি করছিল।’

রিমঝিম আরও বলেন, ‘এসময় মম মাসির স্বামী আমাদের দুজনকে বাথরুমেই ঢুকে যেতে বলেন। বাইরে থেকে শুনতে পাই ছেলেগুলো এসে বলছে, নাচের মেয়েগুলো কোথায়। ওদের ডাক। ওদেরকে বিয়ে করব, সংসার করব।’

Continue Reading

Trending