Connect with us

আলোচিত

আমাদের কেউ ভাবেনি আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার উৎখাতে গড়াবে : জয়

আমাদের কেউ ভাবেনি আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার উৎখাতে গড়াবে : জয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন যে সরকার উৎখাতের দিকে গড়াবে, সেটি কেউ ধারণা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এছাড়া শেখ হাসিনা পদত্যাগের বিষয়ে দু-একদিন আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করছিলেন কিন্তু দেশ ছাড়ার ব্যাপারে কোনও প্রস্তুতিই ছিল না। বিক্ষুব্ধ জনগণ গণভবনে পৌঁছাতে যতটা সময় লাগবে, দেশ ছাড়ার জন্য শেখ হাসিনার হাতে সেটুকু সময় ছিল বলে দাবি করেন জয়।

বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক ইথিরাজন আনবারাসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ সেই সময়ের পরিস্থিতি ও সরকার পতন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমার মা কখনো বাংলাদেশ ছাড়তে চাননি। তাকে আমাদের রাজি করাতে হয়েছে। তিনি পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছিলেন, তিনি একটা ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন এবং সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ লোকজন গণভবনের দিকে মিছিল করার কথা ঘোষণা করলো, আমরা পরিবারের সদস্যরা তার কাছে অনুনয় করি যে, তারা সহিংসতার জন্য আসছে, তারা হত্যা করতে পারে, তোমাকে নিরাপত্তার জন্য চলে যেতে হবে।

জয় বলেন, আমার খালা (শেখ রেহানা) তার সঙ্গে ছিলেন। আমার মা চাইছিলেন খালা যেন হেলিকপ্টারে করে সামরিক বিমান ঘাটিতে চলে যান। কিন্তু আমরা মা উঠতে চাচ্ছিলেন না। তখন আমি তাকে এবং আমার খালাকে বলি, তাকে (শেখ হাসিনা) অবশ্যই যেতে হবে।

তিনি জানান, হেলিকপ্টারে করে ঢাকা ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে ভারতের আগরতলা ও পরে দিল্লী পৌঁছান।

পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শেখ হাসিনার সরকার ভুল করেছিল কিনা, এমন প্রশ্নে সজীব ওয়াজেদ বলেন, পরিস্থিতি এই দিকে গড়াবে তা তারা কেউ ভাবেননি। আমাদের কেউ ভাবেনি এই সহিংস আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার উৎখাতের দিকে গড়াবে। আমরা বুঝতে পারছিলাম, জুলাইয়ের ১৫ তারিখে যে সহিংসতার পেছনে কিছু অজানা গ্রুপ আছে, তারা মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করার সময় আমরা রাজাকার বলে শ্লোগান দিয়েছিল। তখন আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কঠোরভাবে সেই সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে। আমার বিশ্বাস, সেদিন যারা ওই শ্লোগান দিয়েছিল, আমরা এখনো জানি না মধ্যরাতে সেই স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিরা কারা ছিল, তারাই এই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য দায়ী।

আমাদের সরকার কখনো বিক্ষোভকারীদের ওপরে শক্তি প্রয়োগ করতে চায়নি, বরং পুলিশ তাদের পাহারা দিয়েছে, তাদের ওপর হামলার কোনও নির্দেশ ছিল না।

আমি ও আমার পরিবার বিদেশে বড় হয়েছি, সেখানেই বাস করি। বাংলাদেশের ডিজিটাইলাইজেশনের জন্য আমি বিনা পয়সায় উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছি। আমি সফল হয়েছি, বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে আমি ডিজিটাল কানেক্টিভটি নিয়ে গেছি। সেই বাংলাদেশের মানুষ আমার মায়ের সঙ্গে এরকম করেছে, আমার নানাকে অসম্মান করেছে, যিনি এই দেশের প্রতিষ্ঠাতা, এটা মেনে নেওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমি আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না
সজীব ওয়াজেদ

মাত্র একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে যে সমস্যার সমাধান করা যেত, তা কেন এত প্রাণহানিতে গড়াল, বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, এর আগে তো আমাদের সরকারই কোটা বাতিল করে দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের আবেদনে পরে হাইকোর্ট সেটা বহাল করে। আমাদের সরকারের আইনি টিমও আদালতে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের চেষ্টা করছিল। এটা এর মধ্যেই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই সহিংসতা শুরু হয়। বলপ্রয়োগ ভুল হয়েছে, কিন্তু এটা উভয় পক্ষেই হয়েছে। শিক্ষার্থী মারা গেছে, বেসামরিক মানুষ মারা গেছে, পুলিশও মারা গেছে।

এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কে দেবে, জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, দল টিকে যাবে। ১৯৭৫ পরে যখন বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা কারাগারে ছিল, তখনো দল টিকে গেছে। এটা হচ্ছে আদর্শের দল, দেশের একমাত্র গণতান্ত্রিক দল যা স্বাধীনতার পূর্বে গণতান্ত্রিকভাবে তৈরি হয়েছে।

বাকি দুটি দল সামরিক শাসকদের হাতে তৈরি। দল তাদের নেতা বের করে নেবে। কিন্তু এখন তারা আমাদের দল নির্মূল করার চেষ্টা করছে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, তারা আমাদের মন্ত্রীদের খুঁজছে, অনেকে লুকিয়ে আছে, অনেকে বিদেশে চলে গেছেন।

দেশে ফিরে সজীব ওয়াজেদের নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে, এরকম কোনও ইচ্ছা নেই। এটা আমার পরিবারের জন্য তৃতীয় ধাক্কা। যেমন মানুষ, তেমন নেতাই তাদের পাওয়া উচিত। এখন বাংলাদেশে মব রুল চলছে।

সামনে যে নির্বাচন হবে, হয়তো আওয়ামী লীগকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। হয়তো বিএনপি-জামাত নির্বাচনে বিজয়ী হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আসলে অন্ধকারাছন্ন।

অনেকে অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগের সময়েও অনেক দমন পীড়ন হয়েছে, অনেককে গুম করা হয়েছে। এমনকি দুজনকে সম্প্রতি আট বছর গুম থাকার পর মুক্তিও দেওয়া হয়েছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অবশ্যই কিছু ভুল হয়েছে। সরকারের মধ্যে অনেক ব্যক্তি ছিলেন যারা এসব ভুল করেছেন। কিন্তু আমরা সবসময়েই সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করেছি। আমাদের সরকারেই একজন মন্ত্রীর ছেলে, বিশেষ বাহিনীর সদস্য ছিলেন কিন্তু বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য কারাগারে গেছেন (নারায়ণগঞ্জের সাত খুন)।

বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যগুলো যেভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে, এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ বলছেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অসন্তোষ এবং তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এটাই আমার এখনকার অনুভূতি। আমি জানি, আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় দল, এখনো আমাদের জনসমর্থন সবচেয়ে বেশি। ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১০/২০ হাজার খুব ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু আমি যখন এসব (ভাঙচুরের) ছবি দেখি, আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি গভীর অসন্তোষ অনুভব করি। এখন যা বাংলাদেশে ঘটছে, তা পাকিস্তানের মতো।

তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশের মানুষ পেছন ফিরে তাকিয়ে শেখ হাসিনার ১৫ বছর সময়কে স্বর্ণযুগ বলে মনে করবে। সেই দিন তারা আফসোস করবে, কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঠিক হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, তারা আওয়ামী লীগকে কখনোই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হতে দেবে না।

আমি ও আমার পরিবার বিদেশে বড় হয়েছি, সেখানেই বাস করি। বাংলাদেশের ডিজিটাইলাইজেশনের জন্য আমি বিনা পয়সায় উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছি। আমি সফল হয়েছি, বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে আমি ডিজিটাল কানেক্টিভটি নিয়ে গেছি। সেই বাংলাদেশের মানুষ আমার মায়ের সঙ্গে এরকম করেছে, আমার নানাকে অসম্মান করেছে, যিনি এই দেশের প্রতিষ্ঠাতা, এটা মেনে নেওয়া আমার জন্য অনেক কঠিন। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আমি আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চাই না।

যখন ঢাকায় শেষবার শেখ হাসিনার সঙ্গে সংক্ষেপে সজীব ওয়াজেদের কয়েকবার কথা হয়, তখন অনেক হৈচৈ হচ্ছিল। তখন সংক্ষেপে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার শেষ যে কথাটি হয়েছে, তা হলো, মা, তোমাকে এখনি দেশ ছাড়তে হবে।

তার বোনের সঙ্গেও মায়ের কথা হয় বলে তিনি জানান। তার বোন সায়মা ওয়াজেদ জাতিসংঘের একটি দপ্তরের কর্মকর্তা হিসাবে ভারতে থাকেন।

তখন দেশ ত্যাগের জন্য শেখ হাসিনাকে কতটা সময় দেওয়া হয়েছিল, জানতে চাওয়া হলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আসলে কোনও সময়ই দেওয়া হয়নি। কারণ বিক্ষুব্ধ লোকজন গণভবনের দিকে মিছিল করে আসছিল। সুতরাং তাদের সেখানে পৌঁছাতে কতটা সময় লাগবে, সেটুকু সময়ই তার হাতে ছিল। তবে তাকে নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়নি। কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই বাংলাদেশ ছাড়তে হয়।

সূত্র- বিবিসি বাংলা

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

কলকাতায় হাহাকার, বাংলাদেশিদের অভাবে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা

কলকাতায় হাহাকার, বাংলাদেশিদের অভাবে পথে বসছেন ব্যবসায়ীরা

কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা, যেখানে এক সময় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত; কিন্তু সেটা এখন এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে।

এই এলাকার ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল এবং তাদের অনুপস্থিতিতে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয়, অনেক ব্যবসায়ী বলতে বাধ্য হচ্ছেন—‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়।’

প্রসঙ্গত, কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিট, হগ মার্কেট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং কেওয়াইডি স্ট্রিটের মতো এলাকার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলোতে এখন কোনো প্রাণ নেই। রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপ—সব কিছুই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, আর ব্যবসায়ীরা তাদের বিক্রি পুরোপুরি শূন্য হয়ে যাওয়ায় ঋণে ডুবে যাচ্ছেন।

এই এলাকায় গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল একটি বিশেষ ব্যবস্থা—বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট, হোটেল এবং সেবা—যা এখন একেবারে মরে যাচ্ছে।

দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি খান বলেন, আমরা একেবারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছি। বাংলাদেশি পর্যটকরা না এলে আমাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই। তাদের উপস্থিতি ছিল আমাদের ব্যবসার একমাত্র জীবিত প্রাণ। এখন তারা আসছেন না, আর আমরা ভীষণ আর্থিক সংকটে পড়েছি।

বাংলাদেশি পর্যটকদের নির্ভর করে গড়ে ওঠা হোটেল মালিক পিন্টু বসাক বলেন, দুই দশক ধরে এই এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য সব কিছু সাজিয়ে রেখেছি—হোটেল রুম, খাবারের রেস্টুরেন্ট, দর্শনীয় স্থান—সব কিছু। কিন্তু এখন তারা আর আসছেন না। আমাদের হোটেল রুম ভাড়া ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে গেছে এবং আমরা আর্থিকভাবে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি।

আবেগতাড়িত হয়ে মার্কুইস স্ট্রিটের রেস্টুরেন্ট মালিক এনসি ভৌমিক বলেন, এটি শুধু একটি ব্যবসা ছিল না, এটি দুই দেশের সম্পর্কের একটি প্রতীক ছিল। আজ যখন বাংলাদেশি পর্যটকরা আর আসছেন না, তখন আমাদের মনে হচ্ছে, এই সম্পর্কের প্রতীকও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা যতটুকু চেষ্টা করছি, ততটুকু ভাঙনের হাত থেকে এই এলাকায় বাঁচানো যাচ্ছে না।

কলকাতার ব্যবসায়ীরা এক ভয়াবহ অবস্থা মুখোমুখি হয়েছেন। হোটেল রুম ভাড়া কমে গেছে, দোকান-পাটে ক্রেতা নেই, রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি খাবারের অর্ডার নেই—যে ব্যবসা এক সময় ছিল লাভজনক, তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। তাদের আর্থিক সঙ্কট এতটা গভীর হয়ে উঠেছে যে, অনেকের পক্ষে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কলকাতার ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) একটি জরুরি বৈঠক করেছেন, যেখানে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।

অনুষ্ঠানে তাদের একমাত্র লক্ষ্য—বাংলাদেশি পর্যটকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা, যাতে তারা কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ব্যবসা আবার চাঙ্গা হয়।

তবে, ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশঙ্কা এখনো কাটেনি। তারা জানেন না, এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এবং তাদের টিকে থাকার জন্য কত দিন লড়াই করতে হবে। কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা এখন এক কঠিন সময় পার করছে এবং যদি অবস্থা দ্রুত না বদলায়, তাহলে অনেক ব্যবসায়ী হয়তো তাদের জীবিকা হারিয়ে ফেলবেন।

Continue Reading

আলোচিত

শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?

শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?

শীত এসেছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না পড়লেও বাতাসে শীতের আমেজ রয়েছে। আলমারির তলা থেকে বেরিয়ে এসেছে গরম জামাকাপড়। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হিটার, গিজারের ব‍্যবহার। কিন্তু শীতকালে কত তাপমাত্রায় চালাচ্ছেন ফ্রিজ।

শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা গরমের চেয়ে অনেকটাই কম থাকে। শীতে সব খাবার ফ্রিজে রাখার প্রয়োজনও থাকে না। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়ার কোনও দরকার পড়ে না।

এমন অন‍্যান‍্য অনেক কারণেই শীতকালে ফ্রিজের ব‍্যবহারও খানিকটা কমে যায়। কিন্তু ফ্রিজ বন্ধ রাখারও যায় না। আবার শীতকালে ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিক রাখলে বিদ‍্যুতের বিলও আসবে কম।

অনেকে শীতে কিছুসময়ের জন‍্যই ফ্রিজ বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু এতে ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হতে পারে। তবে কয়েকটি পদ্ধতি মানলে শীতে ফ্রিজে খাবারও ভাল থাকবে। পাশাপাশি, বিদ‍্যুতের বিলও অনেক কম আসবে।

যদি ইতিমধ্যেই বরফ সংরক্ষণ করা বা ফ্রিজে পানির বোতল রাখা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন তবে আপনি এটিকে কম তাপমাত্রায়ও সেট করতে পারেন। কারণ বরফ এবং ঠান্ডা পানির জন‍্যই ফ্রিজকে বেশি ঠান্ডা রাখা দরকার।

এছাড়াও, গ্রীষ্ম এবং শীত অনুযায়ী ফ্রিজে তাপমাত্রা সেট করার একটি বিকল্প রয়েছে। শীতকালে কেবল দুধ, শাকসবজি, ফল, রান্না করা খাবার তাজা রাখার জন‍্য ফ্রিজের প্রয়োজন হয়।

শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা খুব বেশি বা খুব কম সেট করবেন না। শীতকালে রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাই শ্রেয়।

রেফ্রিজারেটরের লিটার, ওয়াট এবং সাইজ অনুযায়ী রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে হবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিতে পারেন।

Continue Reading

আলোচিত

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ

আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।

সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয় ও বাংলাদেশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি সম্পর্কে ওয়াশিংটানের কী কোনও মন্তব্য আছে?

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, সব পক্ষ তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক হিমশীতল অবস্থায় পৌঁছেছে। সবশেষ ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটে।

Continue Reading

আলোচিত

নিউইয়র্কের ব্যস্ত সড়কের প্রবাসীর দোকানে ডাকাতি

নিউইয়র্কের ব্যস্ত সড়কের প্রবাসীর দোকানে ডাকাতি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় আবিদ জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের সামনের কাচ ভেঙে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করছে নিউইয়র্ক পুলিশ (এনওয়াইপিডি)। সরেজমিনে দেখা যায়, আবিদ জুয়েলার্সের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। দোকানের সামনে ভাঙা কাচ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। দোকানসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

তদন্তের অংশ হিসেবে আবিদ জুয়েলার্সের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। পুলিশের পক্ষ থেকে দোকানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্যও জানানো হয়নি।
নিউইয়র্কের ব্যস্ত সড়কের প্রবাসীর দোকানে ডাকাতি
জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ অ্যাভিনিউ ও ৭৪ স্ট্রিটে ১৯টি সোনার দোকান রয়েছে। এ এলাকায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। সেখানে কেনাকাটা করতে আসা সজীব সরকার প্রথম আলোকে বলেন, তিন-চারজনের একটি দল দোকানটির কাচ ভাঙা শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের সামনের অংশে রাখা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় তারা।

আবিদ জুয়েলার্সের পাশের রেস্তোরাঁ জ্যাকসন ডাইনারের কর্মকর্তা আশিক রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শক্ত মোটা কাচের দেয়াল ভাঙার শব্দে আমরা আতঙ্কিত এবং হতভম্ব হয়ে পড়ি। যদিও ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ চলে আসে, তবে এ ধরনের ঘটনা নিউইয়র্ক শহরের নানা দিকে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে।’

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

দুবাইয়ের ভিসা বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের

দুবাইয়ের ভিসা বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের

হোটেল বুক করে, বিমানের টিকিট কেটেও দুবাই যাওয়া বাতিল করতে হচ্ছে ভারতীয়দের।

সংযুক্ত আবর আমিরাত প্রশাসন পর্যটক ভিসার ব্যাপারে কড়াকড়ি করায় সমস্যায় পড়েছেন তারা। অনেক ভারতীয়ের ভিসাও পর পর বাতিল হচ্ছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগে দুবাইয়ের ভিসা আবেদনের ৯৯ শতাংশই অনুমোদিত হত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় সব নথি দেওয়ার পরেও ভিসার আবেদন প্রত্যাখান হচ্ছে বলেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

সংযুক্ত আবর আমিরাত সরকার সম্প্রতি দুবাইয়ের পর্যটকদের ভিসার জন্য নতুন এবং কঠোর নিয়ম আরোপ করেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, পর্যটকদের তাদের হোটেল বুকিংয়ের বিবরণ এবং ফেরার বিমান টিকিট দাখিল করতে হবে ভিসা আবেদনের সময়।

শুধু তাই নয়, যদি কেউ দুবাইয়ে কোনো আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব বা পরিচিত কারো কাছে উঠে, সে ক্ষেত্রে ওই লোকের যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আগে এক থেকে দুই শতাংশ ভিসার আবেদন বাতিল হত। কিন্তু বর্তমানে ভিসা বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রতিদিন পর্যটকদের ১০০টি আবেদনের মধ্যে পাঁচ থেকে ছ’টি ভিসা বাতিল হচ্ছে।

এক পর্যটন সংস্থার কর্মকর্তা নিখিল কুমার বলেন, নিশ্চিত বিমান টিকিট এবং হোটেলে বুকিং থাকা সত্ত্বেও ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে।এর ফলে অনেকেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কারণ পর্যটকদের শুধু ভিসা আবেদনের ফি নয়, বিমান টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে।

আমিরাত প্রশাসনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শুধু বিমানের টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের বিবরণ দিলেই হবে না। ভ্রমণকারীদের প্রমাণ করতে হবে দুবাইয়ে থাকার জন্য তাদের কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে। যদি হোটেলে থাকতে চান, তবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা থাকতে হবে। আবেদনকারীকে ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে শেষ তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্যান কার্ডের প্রতিলিপি জমা করতে হবে।

Continue Reading

আলোচিত

ভারতে ধর্ষণের দায়ে সিলেটের ৪ আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

ভারতে ধর্ষণের দায়ে সিলেটের ৪ আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

এবার ভারতে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষনেতাসহ ৪ দলীয় নেতাকর্মী। রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তিসহ ৪ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল।

গতকাল রোববার দুপুরের দিকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে আটক করে শিলং পুলিশ। এরপর রোববার রাতেই তাদেরকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আনা হয়েছে।

শিলং পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেট থেকে পালিয়ে শিলংয়ে অবস্থান করার সময় তাদের অবাসস্থলে একটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামী পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কলকাতার এই ফ্ল্যাট থেকে নাসির, মুক্তি, রিপন ও জুয়েল ছাড়াও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল শিলং পুলিশ। পরে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তাদেরকে ছাড়াতে তদবির শুরু করেন। এরপর মামলার এজহারে নাম না থাকায় সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয়া হয়। অন্যদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন নানক ও নাদেল।

কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক দলীয় নেতা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে একটি সূত্র বলেছে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা নাসির ও যুবলীগ সভাপতি মুক্তিসহ সবাই এক ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

Continue Reading

Trending