বাংলাদেশ
জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ: ঢাবি শিবির সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের চূড়ান্ত সম্মিলিত বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ। এই গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের শহীদরা। খোদা প্রদত্ত জানকে কোরবানি করে তারা সাম্য ও ইনসানিয়াতভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জিম্মাদারি আমাদের হাতে অর্পণ করে গেছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, এই আন্দোলন শহীদ আবু সাঈদের রক্তের ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন, শহীদ মীর মুগ্ধের স্মৃতির ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন। যে রিকশাওয়ালা ভাই ক্রমাগত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে শহীদ হয়েছেন তার কোরবানির ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন। সহস্রাধিক শহীদ আমাদের পথ দেখিয়েছেন এক নতুন মঞ্জিলে-মাকসুদ : Bangladesh 2.0।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনে যেমন অবদান ছিল সমাজের উঁচুতলার মানুষের, আবার আন্দোলনের ভ্যানগার্ড ছিল সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরাও। ইংলিশ মিডিয়ামের টেক স্যাভি কিড থেকে শুরু করে কওমি-আলিয়ার তালেবে এলেম, শাহবাগ-ধানমন্ডি-মিরপুর-উত্তরা-সাভার থেকে শুরু করে বাংলার স্টালিনগ্রাদ হয়ে ওঠা যাত্রাবাড়ী, শহর-নগর, গ্রাম-গ্রামান্তরে এই বিপ্লব ছিল আপনার, আমার, সবার।
ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা থেকে বিপ্লবের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিল প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুল-কলেজে। এ আওয়াজ রুদ্ধপ্রচেষ্টা রুখে দিয়েছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়ে উঠেছিল গণমানুষের কণ্ঠস্বর। এই বিপ্লব ছিল শ্রমিক, দিনমজুরের। আন্দোলন ছিল সাহসী সাংবাদিক, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী ভাইবোনদেরও। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন দেশ ও জাতির মুক্তির স্লোগান তুলে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের পছন্দ করেন, অপছন্দ করেন, ঘৃণা করেন; যারা আমার সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন, অবজ্ঞা করেন, ঘৃণা করেন- কার্যত সবার অবদানেই আমরা পেয়েছি ৩৬শে জুলাইয়ের মহাবিজয়। ফতহে মক্কা, ফতহে বাঙ্গালা, ফতহে কুসতুনতিনিয়ার সিলসিলা ধরে আমরা পেয়েছি ফতহে গণভবন- যেদিন গণভবন সত্যিই গণের ভবনে পরিণত হয়।
সাদিক কায়েম বলেন, প্রতিটা ইনসান রাস্তায় নেমে এসেছিলো, ‘আমার ভাই মরলো কেন’ সওয়ালের জবাব চাইতে। এই প্রশ্নের প্রতিউত্তরে যখন তাদের ওপর হায়েনার মত হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছে, তখনই আমাদের শহীদেরা দাঁড়িয়ে গেছেন লড়াইয়ের ভ্যানগার্ড হিসেবে। এই আন্দোলনের সমস্ত কৃতিত্ব আমাদের শহীদ ও হাত-পা-চোখ হারানোসহ নানাভাবে আহত ভাই-বোনের। যাদেরকে বুলেটের গুলি কিংবা জুলুম কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি। তারা একজন শহীদ হওয়ার পরে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছেন দু:শাসন ও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে।
তিনি বলেন, শত জুলুম এবং স্লো পয়জনিংয়ের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া, জামায়াতে ইসলামীসহ দেড় যুগ ধরে তিলে তিলে ইনকিলাবের জমিন চাষ করা মজলুম সব বিরোধী দল, ইলিয়াস আলী, মাইকেল চাকমা, ব্যারিস্টার আরমান ও জেনারেল আযমি থেকে শুরু করে ফাঁসি-গুম-ক্রসফায়ারে হারিয়ে যাওয়া আমাদের সব সিপাহসালার ও সহযোদ্ধা, শাপলা-শাহবাগ দ্বন্দ্বকে পাশে রেখে শহুরে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর সমর্থন, ভাইদের হেফাজতের ঢাল হিসেবে বোনদের বুনইয়ানুম মারসুস তথা সিসাঢালা প্রাচীর হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ফ্যাসিস্টদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সর্বপ্রকার ব্ল্যাকমেইলকে উপেক্ষা করে পাহাড়-সমতলের ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সহযোদ্ধা হয়ে ওঠা, মাদরাসার তালেবে এলেম এবং আলেম-উলামার অকাতরে জান-মালের কোরবানি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই ইনকিলাবের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
ঢাবি শিবির সভাপতি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ থেকে আয়নাঘর, শাপলা থেকে শুরু করে মোদীবিরোধী আন্দোলন, শেয়ারবাজারে নি:স্ব মজলুম পরিবার থেকে শুরু করে সাংবাদিক সাগর-রুনির সন্তান মেঘ- ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ছিল জুলাই ইনকিলাবের জ্বালানি। আর শহীদরা ছিলেন সীমাহীন উজ্জ্বল স্ফুলিঙ্গ।
সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ-গাজীর স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যারা জিন্দা আছি তাদের সামনে এক সুদীর্ঘ পথ। আমাদের শহীদদের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আমরা কামিয়াব না হলে বিফল হয়ে যাবে ’৪৭, ’৭১ ও ’২৪ এর সব শহীদের রক্ত। আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাইদের দৃষ্টিশক্তি কোরবানি বিফলে চলে যাবে, যদি আমরা বৈষম্যহীন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তুলতে না পারি।
সব শেষে তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের শহীদদের প্রত্যেককে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাদের রক্তের হক আদায় করে, আমাদের একটি সুখী-সমৃদ্ধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার তৌফিক দিন। আমিন।
আলোচিত
‘মুলা না বোতল’, জবির আন্দোলনে অংশ নিয়ে দীপ্তি চৌধুরীর স্লোগান

আবাসন সংকট নিরসনসহ চার দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো রাজপথে নেমেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল থেকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে গণঅনশন শুরু করেছেন তারা।
তাদের এ কর্মসূচিতে জবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং আলোচিত টিভি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সেখানে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাকে। এর মধ্যে তার একটি স্লোগান সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সে স্লোগানটি হচ্ছে-’মুলা না বোতল’।
সামাজিক মাধ্যমে তার এই স্লোগানের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ স্লোগানের ভিডিও ক্লিপের নিচে ‘বোতল, বোতল’ কমেন্ট করেছেন। আবার কেউ বলেছেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করা ভালো না’।
এদিকে জবি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইস উদ্দীন ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চার দফা হলো- আবাসন সুবিধা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।
এছাড়া ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনোরকম কাটছাঁট ছাড়াই অনুমোদন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষক নিপীড়নে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আলোচিত
কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ে গেল বিমানের চাকা

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা খুলে নিচে পড়ে গেছে। তবে পরে বিমানটি ঢাকার শাহাজালার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
বিমানটিতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। তারা সবাই নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর।
তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। যাত্রীরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ রয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি।
আলোচিত
দামি মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে ছিনতাই, হাতেনাতে দুজন গ্রেফতার

বেশভুষা দেখে মনে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বা কোনো কোম্পানিতে চাকরি করেন। কিন্তু আসলে দামি মোটরসাইকেলে চড়ে রাজধানী ঢাকায় ছিনতাই করে বেড়াতেন তারা। এর আগেও বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হলেও নিজেদেরকে শোধরাননি। ছিনতাই পেশায় ফিরেছেন বারবার। ফল স্বরূপ গ্রেফতার হলেন আবার, হাতেনাতে।
রাজধানীর মতিঝিলে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়া এই দুই যুবক হলেন মনির হোসেন ওরফে নিরব (৩০) ও পিন্টু ওরফে জহিরুল (৩৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু ও সুজুকি ব্র্যান্ডের জিক্সার মডেলের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, তারা দুজনেই একাধিক মামলার আসামি ও পেশাদার ছিনতাইকারী।
মতিঝিল থানা সূত্র জানায়, রোববার রাত দশটার দিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনীর কাঁচাবাজার সংলগ্ন তিশা বাস কাউন্টারের সামনে মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাইয়ের সময় তাদেরকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
মতিঝিল থানা সূত্র আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা মতিঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাই করতেন। গ্রেফতারকৃত মনির হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ ১১টি মামলা এবং পিন্টুর বিরুদ্ধে ছিনতাই ও ডাকাতিসহ সাতটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আলোচিত
ইউটিউব দেখে শিখেছে মোটরসাইকেল চুরি, প্রথম দিনই ধরা

ইউটিউব দেখে শিখেছিল মোটরসাইকেল চুরি। এরপর প্রথম মোটরসাইকেল চুরি করতে এসে জনতার হাতে ধরা পড়েছে। প্রথমবার চুরি করতে এসে ধরা পড়ায় ক্ষমা চায় দুই চোর।
সোমবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের দারুশ শেফা প্রাইভেট হাসপাতাল এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির চেষ্টা করে দুই যুবক।
স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়া দুই মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড় গড়িলা গ্রামের ফেটু মিয়ার ছেলে রাসেল হোসেন (২০) ও একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মিজান হোসেন। এর মধ্যে রাসেল হোসেন কালীগঞ্জের সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও মিজান রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল চুরির জন্য তৈরিকৃত বিশেষ চাবি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেলে দারুশ শেফা প্রাইভেট হাসপাতালের পিছনে একটি লাল রঙের এ্যাপাসি মোটরসাইকেলের ঘাড়ের তালা ভেঙে ফেলে। কিন্তু মোটরসাইকেলটির হাইড্রলিক তালা ভাঙার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং তাদের ধরে ফেলে। এরপর দুই চোরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মাথার চুল কেটে দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে থানায় নিয়ে যায়।
মোটরসাইকেলটির মালিক সরকারি ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি মোটরসাইকেল রেখে পাশে কাজ করছিলেন। এসে দেখেন মোটরসাইকেলের ঘাড়ের তালা ভাঙা। এরপর দেখি স্থানীয়রা দুই চোরকে ধরে রেখেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, স্থানীয়রা দুই চোর ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোচিত
বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পুলিশ ডেকে বন্ধুকে আটকে হোটেল কক্ষে ঢুকে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে দুর্গাপুর পৌরশহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় নামে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্জয় (২৪) দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার চন্ডিগড় গ্রামের মজিুবুর রহমানের ছেলে।
ঘটনার পর ছাত্রদল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, নেত্রকোনা শহরের ওই ছাত্রী রাজধানীর একটি কলেজে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের একই শ্রেণি ও বর্ষের এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) হবু স্বামীর সঙ্গে মেয়েটি দুর্গাপুরে বেড়াতে আসেন। ছেলেটির সঙ্গে ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের বন্ধুত্ব আগে থেকে ছিল। তার কথামতো বিরিশিরিতে একটি হোটেলে ওঠেন তারা।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে হবু স্ত্রীকে হোটেলে রেখে খাবার কিনতে যান ছেলেটি। তখন ছাত্রদল নেতা দুর্জয় পুলিশকে ফোন করে বলে, তার বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেন দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রকে আটক করে।
আটক হওয়ার পর তিনি পুলিশকে বলেন, তার হবু স্ত্রী হোটেলের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পুলিশ তাকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পায়। উদ্ধারের পর মেয়েটি জানান, দুর্জয় ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীটি বাদী হয়ে ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ মামলায় ফয়সাল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বুধবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ ছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, ঘটনার পরপরই দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আলোচিত
বাংলাদেশিকে ধরতে এসে পা ধরে মাফ চাইল বিএসএফ (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশি কৃষকদের ধরতে এসে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) দুই সদস্য মাফ চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করে এ কথা বলেন তিনি।
পোস্ট তিনি লেখেন, অতি সম্প্রতি ২ জন ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সদস্য নিজ অস্ত্রসহ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশি কৃষকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ক্যাম্প থেকে বিজিবি সদস্যরা দ্রুততার সাথে ছুটে আসেন।
তিনি লেখেন, সাধারণ জনতা ও বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্রসহ ধরে ফেলে দুই বিএসএফ জওয়ানকে। পরবর্তীতে ক্ষমা প্রার্থনা করায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কমেন্ট সেকশনে তিনি লিখেছেন, এই ঘটনা এবং ফুটেজ বিজিবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভেরিফাই করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নিজেদের রক্ষা করতে দুই বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দুই সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। এক পর্যায়ে বিএসএফের ওই দুই সদস্য মাটিতে পড়ে যান। তারপর বিজিবির সদস্যদের পা ধরে কাকুতি-মিনতি করেন। এ ঘটনার ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
- আন্তর্জাতিক1 year ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন1 year ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- বিশেষ প্রতিবেদন1 year ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট7 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- বিনোদন8 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি
- প্রবাস7 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস7 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক6 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা