Connect with us

ধর্ম

তুরস্কে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের মুয়াজ

তুরস্কে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের মুয়াজ

তুরস্কে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে মুয়াজ মাহমুদ সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বাদ জোহর পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। ২০১৬ সালের পর তুরস্কের এই প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

গত ২৮ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধায়নে এ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বে দেশের শতশত মেধাবী হাফেজদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে তুরস্ক আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হন মুয়াজ মাহমুদ।

এছাড়াও চলতি বছরের ২১ আগস্ট মক্কায় ৪৪তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১২৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথমস্থান অর্জন করে। সে সময় হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ১৫ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ২০২৩ সালে ৪৬তম কেন্দ্রীয় বেফাক পরীক্ষায় নাহবেমির জামাতে অংশগ্রহণ করে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, হাফেজ মুয়াজ ঢাকার মিরপুর-১ এ অবস্থিত মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী, ঢাকার কিতাব বিভাগের ছাত্র। তিনি এই মাদরাসা থেকে হাফেজ হয়েছেন। এখন কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছেন।

Continue Reading

আলোচিত

ওমরাহ পালন করলেন জনপ্রিয় টিকটক তারকা খাবি লেম

ওমরাহ পালন করলেন জনপ্রিয় টিকটক তারকা খাবি লেম

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টিকটক তারকা খাবি লেম সম্প্রতি সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের সময় ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীদের সঙ্গে একটি বার্তা শেয়ার করেছেন।

পবিত্র কাবার সামনে, খাবি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি শুধু আমার স্রষ্টাকে ধন্যবাদ বলতে চাই। তিনি আমাকে সবকিছু দিয়েছেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, আমার স্বপ্নে অবিরত থাকার এবং বিশ্বাস করার শক্তি দিয়েছেন।’

রোববার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদন মতে, খাবি লেম আরও বলেছেন,

আমি জীবনে অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছি। যখন সবকিছু অসম্ভব বলে মনে হয়েছে, তখন আমার বিশ্বাসই আমাকে দাঁড় করিয়েছে। ধন্যবাদ, আল্লাহ, আমার একমাত্র ভরসা হওয়ার জন্য।

এর আগে, ইতালীয় একটি মিডিয়া আউটলেটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ২২ বছর বয়সি এই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নিশ্চিত করেন যে, তিনি একজন অনুশীলনকারী মুসলিম এবং উল্লেখযোগ্যভাবে, একজন হাফেজে কোরআন।
ওমরাহ পালন করলেন জনপ্রিয় টিকটক তারকা খাবি লেম
সেসময় খাবি লেম বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মুসলিম, একজন অনুশীলনকারী মুসলিম। আর কী বলবো জানি না।’

খাবি লেমের জন্ম সেনেগালে এবং এক বছর বয়সে তিনি ইতালিতে চলে আসেন। তিনি ১৪ বছর বয়সে সেনেগালের ডাকারের কাছে একটি কোরআনিক স্কুলে অধ্যায়ন এবং পবিত্র কোরআন মুখস্ত করার জন্য পড়াশোনা করেছেন। এসব তথ্য নিজেই জানিয়েছেন খাবি।

উল্লেখ্য, বছরের প্রথমার্ধে ১৬২ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার নিয়ে টিকটকের সবচেয়ে বড় তারকায় পরিণত হয়েছেন খাবি লেম। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চার্লি ডি’আমেলিও-র চেয়ে তার অনুসারীর সংখ্যা ৭ মিলিয়ন বেশি।

নিজের ভিডিওতে দুই হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গি করে উদ্ভট বা অকাজের লাইফ হ্যাকগুলোকে ব্যঙ্গ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন খাবি লেম। বেশিরভাগ ভিডিওতেই তিনি কোনো কথা বলেন না। কিন্তু নিজের অঙ্গভঙ্গি ও অন্যান্য বার্তার মাধ্যমে দর্শকদের ব্যাপক আনন্দ দিয়ে থাকেন তিনি।

গত বছর ‘ফোর্বস টপ ক্রিয়েটর’ তালিকায় ১১তম স্থান পাওয়া খাবি লেম সেনেগালিজ-ইতালিয়ান সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। টিকটকে নিজের ভিডিওতে বিভিন্ন লাইফ হ্যাক ভিডিওর অনুকরণ করে ওই সব ভিডিওর জটিল ধরন তুলে ধরে জনপ্রিয়তা পান তিনি।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

রাফিয়া আরশাদ: ব্রিটেনের প্রথম হিজাব পরা বিচারক

রাফিয়া আরশাদ: ব্রিটেনের প্রথম হিজাব পরা বিচারক

‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি। ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোন হিজাব পরা নারী বিচারকের পদে আসীন হলেন। গত সপ্তাহে বৃটেনের মিডল্যান্ডস সার্কিটের সহকারী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৪০ বছর বয়সী রাফিয়া আরশাদ।

সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন- এমন লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যেতে চান তিন সন্তানের মা রাফিয়া। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানা যায়।

তিনি জানান, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্যে বড় খবর। আমি জানি এই অর্জন শুধু মুসলিম নারীদের জন্য নয়, সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আমাকে মেইল করছেন। শুভকামনা জানাচ্ছেন। অনেক হিজাব পরা নারী বলছেন তারা এতদিন ভাবতেন হয়তো ব্যারিস্টার হতে পারবেন না। আমি সব মানুষের জন্য এই ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’

রাফিয়া জানান, ‘মাঝে মাঝে এখনো নানা ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমার পরিবার থেকে ১৯ বছর আগে আমার এক সাক্ষাৎকারের সময় হিজাব না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। বাড়ির লোকেরা বলছিলেন, এটি পরলে আমার নম্বর কমে যাবে। আমি তাদের কথা শুনিনি।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি। ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’

‘আর আমার এই যাত্রায় অপরিসীম ধৈর্য নিয়ে সহযোগিতা করেছে আমার স্বামী। আমার স্বপ্ন পূরণে সমস্ত রকমের সহায়তা করেছে সে’, এমনটাও জানালেন তিনি।

পৃথিবীর সবাইকে একটি সমাজের নানা বৈচিত্র্যকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে রাফিয়া বলেন তিনি হিজাবের জন্য যেমন চাকরি পাননি তেমনি হিজাবের জন্য চাকরি আটকেও থাকেনি।

৩০ বছর আগে রাফিয়া আরশাদকে লোকে বলত এই পোশাকে আইনজীবী হওয়া যাবে না। তখন তিনি কিশোরী। চোখে-মুখে বিচারক হওয়ার স্বপ্ন। মানুষের কথায় সেই স্বপ্ন ছাড়েননি। ছাড়েননি হিজাব পরার অভ্যাসও। কঠিন মনের জোরে রাফিয়া এতদিন বাদে বলতে পারছেন, ইচ্ছা থাকলে সব হয়!

৪০ বছর বয়সী রাফিয়া শুধু আইনজীবীই হননি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে রীতিমতো ইতিহাস গড়েছেন। মেট্রো নিউজ বলছে, তিনিই দেশটির প্রথম ‘হিজাবি’ বিচারক।

রাফিয়া নিয়োগ পেয়েছেন গত সপ্তাহে। মিডল্যান্ডস সার্কিটের সহকারী বিচারক হিসেবে। তিন সন্তানের মা রাফিয়ার ইচ্ছা সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবেন।

তিনি জানান, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্যে বড় খবর। আমি জানি এই অর্জন শুধু মুসলিম নারীদের জন্য নয়, সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আমাকে মেইল করছেন। শুভকামনা জানাচ্ছেন। অনেক হিজাব পরা নারী বলছেন তারা এতদিন ভাবতেন হয়তো ব্যারিস্টার হতে পারবেন না। আমি সব মানুষের জন্য এই ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’

রাফিয়া জানান, ‘মাঝে মাঝে এখনো নানা ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমার পরিবার থেকে ১৯ বছর আগে আমার এক সাক্ষাৎকারের সময় হিজাব না পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। বাড়ির লোকেরা বলছিলেন, এটি পরলে আমার নম্বর কমে যাবে। আমি তাদের কথা শুনিনি।’

তিনি আরও জানান, ‘আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। আমি যেমন তেমনই থাকতে চেয়েছি। ওই সাক্ষাৎকারে আমি টিকে যাই। ভালো বৃত্তি পাই। সেই ঘটনা আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে।’

পৃথিবীর সবাইকে একটি সমাজের নানা বৈচিত্র্যকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে রাফিয়া বলেন তিনি হিজাবের জন্য যেমন চাকরি পাননি তেমনি হিজাবের জন্য চাকরি আটকেও থাকেনি।

তিনি জানান, ‘আমাকে নিয়োগ দেয়ার সময় কর্মকর্তারা জানতেন না যে আমিই প্রথম হিজাব পরা বিচারক হতে যাচ্ছি। আমাকে নেয়া হয়েছে মেধার ভিত্তিতে; হিজাব পরি সে জন্য নয়’।

Continue Reading

ধর্ম

বিয়ের পর হানিমুন না করে সুজানা বেছে নেন পবিত্র ওমরাহ হজ

বিয়ের পর হানিমুন না করে সুজানা বেছে নেন পবিত্র ওমরাহ হজ

দেশীয় শোবিজের অনিন্দ্য সুন্দরী মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর। বিজ্ঞাপন ও নাটকে একসময় টানা ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। তার অভিনীত বেশির ভাগ মিউজিক ভিডিও হয়েছে দর্শকনন্দিত। কিন্তু বর্তমানে শোবিজ থেকে দূরে রেখেছেন নিজেকে। শোবিজ থেকে দূরে থাকলেও হুট করেই নতুন খবর দিলেন তিনি। জানালেন তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সুজানা। সেখানে কেকের ওপর লেখা, ‘হ্যাপি ম্যারিড লাইফ, সুজানা অ্যান্ড জায়াদ।’ ভিডিওতে এক ঝলক সুজানার স্বামীকেও দেখা যায়। মন্তব্যর ঘরে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী।

এদিকে দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজানা বলেন, প্রেম করে নয়, এটি পারিবারিক বিয়ে। তবে তাদের পরিচয় সাত বছর ধরে।

মূলত, ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়ে ঠিক ৭ বছর আগেই দেশ ও মিডিয়া ছেড়ে প্রবাসী হন তিনি। এরপর থেকে মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি তিনি। দুবাইয়ের নাগরিকত্ব পাওয়ায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার সেখানেই শুরু করলেন সংসার জীবনের নতুন অধ্যায়।

সুজানা বলেন, আগস্টে যখন আমাদের বিয়ে হয়, তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাজে ছিল। তখন এই বিষয়টি জানানোর মতো অবস্থা ছিল না। ইসলামে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। একেবারে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েটা যেহেতু পারিবারিক ব্যাপার। আমাদের দুই পরিবার বিষয়টি অবগত।

বিয়ের পর হানিমুন না করে সুজানা বেছে নেন পবিত্র ওমরাহ হজ। সুজানা জানান, তার ইচ্ছে ছিল হানিমুনে না গিয়ে স্বামীর সঙ্গে হজ পালন করবেন। সেই ইচ্ছেও পূরণ করেছেন সম্প্রতি।

তিনি বলেন, বিয়ের দুদিন পর আমরা দুজনে ওমরাহ পালন করেছি। আল্লাহ আমাকে যে পথে রেখেছেন আমি বাকিটা জীবন এভাবে পার করতে চাই।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। কিন্তু চার মাস পরই বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। এরপর সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালের আগস্টে বিয়েও করেন তারা। তবে সে বিয়েও টেকেনি। এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদ হয় তাদের।

হৃদয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই শোবিজ থেকে নিজেকে আড়াল করতে শুরু করেন সুজানা। কয়েক বছর ধরেই একেবারেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান না। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসা।

মূলত নিজের ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সুজানা। দুবাই থেকেই তার সুজানা’স ক্লোজেটের জন্য সামগ্রী নিয়ে আসেন দেশে। তবে নিজেও ডিজাইন করেন অনেক পোশাক। যদিও এখনই নিজেকে পুরাদস্তুর ফ্যাশন ডিজাইনার বলতে নারাজ সুজানা। নিছক নিজের ভালো লাগা থেকেই ডিজাইন করেন তিনি।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

দেশে ফিরেছেন ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী

দেশে ফিরেছেন ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী

র্ঘদিন নির্বাসন জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। আজ বুধবার (২ অক্টোবর) তিনি দেশে ফিরেছেন। দেশে আসার এ খবর তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন।

ফেসবুক পোস্টে আজহারী লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, সহি-সালামতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছলাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দুআর নিবেদন।

ছাত্র-জনতার তীব্র গণআন্দোলনের ফলে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী শিগগিরই দেশে ফিরছেন বলে জানান।

ওইদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, অনেকে আমাকে মেসেজ করে ও ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরব। আমি তাদের বলেছি, দ্রুতই দেশে ফিরব। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষাতে রয়েছি আমি নিজেও। শিগগিরই সাম্য, মানবিকতার মুক্ত-স্বাধীন, বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই।

সংখ্যালঘুদের প্রতি অন্যায় না করারও আহ্বান জানিয়ে আজহারী বলেন, বর্তমানে অনেকে সুযোগ নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপসনালয় ও স্থাপনায় চালাবে এবং ইসলামপন্থি ও মাদরসার ছাত্রদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। তাই যারা এই বিজয়ে খুশি নয় তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষ করে মাদরাসার ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে আজহারী বলেন, আপনারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কেউ যেন তাদের ওপর আক্রমণ করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকুন। এসব ক্ষেত্রে যদি আমরা ভুল করে ফেলি তাহলে বাংলাদেশে ইসলাম অনেক পিছিয়ে পড়বে।

সদ্য পদত্যাগী স্বৈরাচার সরকারের পতনের ঘটনা সামনে এনে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ক্ষমতার দম্ভে আমরা নিজেদের প্রকৃত অবস্থা ভুলে যাই, যাচ্ছেতাই আচরণ করি মানুষের সঙ্গে।

কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দিল কোনো অত্যাচারই দীর্ঘস্থায়ী নয়, তাই এসব ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যারা নতুন সরকার ব্যবস্থায় আসবে তাদেরকেও এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে এবং শিক্ষা নিতে হবে। তাদেরকেও অত্যাচার পরিহারের পথ অবলম্বন করতে হবে।

Continue Reading

ধর্ম

৬ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন ১২ বছরের মুনতাছির

৬ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন ১২ বছরের মুনতাছির

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ বছর বয়সী শিশু মো. মুনতাছির আলম মাত্র ছয় মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের অবাক করে দিয়েছে মুনতাছির।

সে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ্ বিভাগের ছাত্র এবং মুনতাছির উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো. শাহ আলম-রোকসানা আক্তার দম্পতির ছেলে।

জানা যায়, ছেলে জন্মের আগেই মায়ের নিয়ত ছিল ছেলে হলে তাকে কোরআনে হাফেজ বানাবেন। এতে মত ছিল বাবারও। যেমন নিয়ত, তেমন কাজ। এরপর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাবা ও মায়ের ইচ্ছায় ছেলে মুনতাছিরকে বাড়ির পাশে দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। পরিবারের সবার মধ্যে কথাবর্তা, আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছেলে নামকরা হাফেজে আলেম হয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করবে।

মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা বলছে, মা-বাবা তার ছেলেকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ছেলেকে মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন মুখস্ত করে মুনতাছির। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া পরিবার ও সমাজের জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া।

শিশু হাফেজ মো. মুনতাছির আলম বলেন, মা-বাবা ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায় আমি ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করি। সবার কাছে দোয়া চায় আমি যেন দেশ বরেণ্য আলেম হতে পারি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু নাছের বলেন, শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নয় এলাকাবাসীও শুভ কামনা জানিয়েছেন শিশু হাফেজ মুনতাছিরের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ ক্ষুদে হাফেজ। সমাজের মানুষে থেকে আরও বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

মুনতাছিরের বাবা শাহ আলম বলেন, আমার ছেলে জন্ম হওয়ার আগেই তার মায়ের নিয়ত ছিল ছেলেকে হাফেজ বানানোর। আল্লাহর রহমতে আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চায় আমার ছেলে যেন দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে পারে।

দারুল ফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুবক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০২৪ সালের শুরুর হিফজ্ বিভাগে ভর্তি হয়ে সে ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করে। এতে তার পিতা-মাতার আন্তরিকতা সহযোগিতা এবং ওস্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সহযোগিতা ছিল। ২০১৮ সালে মাদরাসায় হেফজ বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকে ৪৪ জন ছাত্র হিফজু সম্পন্ন করে। বর্তমানে হিফজু বিভাগে ৬৪জন ছাত্র অধ্যয়নরত রয়েছে। ভবিষ্যতে সে দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে চায়। ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন বাবা-মা।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

অনুদান পাঠিয়েছেন ১৫ লাখ মানুষ, একজন সর্বোচ্চ ২০ লাখ

অনুদান পাঠিয়েছেন ১৫ লাখ মানুষ, একজন সর্বোচ্চ ২০ লাখ

আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিল

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এবারের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থাও অর্জন করেছে সংগঠনটি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই অনুদান পাঠিয়েছেন এখানে। সবাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অনুদান দিয়েছেন। তবে একজন সর্বোচ্চ ২০ লাখ পর্যন্ত অনুদান দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি বলেছেন, পথচলার শুরু থেকেই আমরা চেয়েছি, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন গণ মানুষের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক। আল্লাহর শুকরিয়া যে, ধীরে ধীরে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন গণ মানুষের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পেরেছে।

তিনি বলেন, এবারের বন্যায় মাত্র ১২ দিনে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন (সাধারণ ব্যাংকিং চ্যানেল এবং নগদ প্রদান এটার অন্তর্ভুক্ত নয়)। দাতাদের এই বিশাল সংখ্যাই প্রমাণ করে, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মূল প্রাণশক্তি কারা।

তিনি আরও বলেন, সাধারণত একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুদানে ফাউন্ডেশনের কোনো প্রকল্প পরিচালিত হয় না। এবারের বন্যায় সবচেয়ে বড় একক অনুদানের পরিমাণ ২০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। বন্যায় আমাদের মোট তহবিলের তুলনায় সংখ্যাটা খুবই ক্ষুদ্র। অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতায় আমাদের অনেক বড় বন্যা তহবিল গঠিত হয়েছে।

শায়খ আহমদুল্লাহ তার পোস্টে বলেন, গণ মানুষের প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক, আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হোক, মহান রবের কাছে এটাই প্রার্থনা।

Continue Reading

Trending