Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

প্রবাসীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়!







এইতো ক’দিন আগেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মীরা প্রবাসীদের ‘কামলা’ সম্বোধন করেছিলেন। দেশের উন্নয়নের অংশীদার হয়েও এমন কথা শুনতে হয়েছে তাদের। দেশে অপমানের শিকার আর বিদেশে নির্যাতনের শিকার প্রবাসীদের কিছুই করার থাকে না এমন মুহূর্তগুলোতে। শুধু নীরবে চোখের জল ফেলা ছাড়া।

(৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুয়েল রহমান নামে এক ইতালি প্রবাসী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে দুপুর ২টার দিকে প্রাইভেটকার যোগে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।



এরপর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন হোটেল রেডিসনের কাছাকাছি পৌঁছালে পথিমধ্যে একটি মোটরসাইকেলে করে দুইজন ও পরে প্রাইভেটকারে করে আরো দুইজন এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে লাগেজ চেক করার কথা বলে প্রাইভেটকারে উঠায়।

কিছুদূর যাওয়ার পর ওই প্রবাসীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে খিলক্ষেত থানার অপর পার্শ্বে ফ্লাইওভারের কাছে কৌশলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে মালামাল নিয়ে চলে যায় তারা।

পরে এই তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। গ্রেফতারদের নাম-সোবহান গাজী (২৮), মিনহাজ উদ্দিন (৪২) ও সৈয়দ নাসিম আলম (৪৮)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত ৩টি লাগেজ, ১টি সাইড ব্যাগ ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।



পরিবার-পরিজন ছেড়ে দূর-প্রবাসে রেমিটেন্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতিতে এমন ভূমিকা রাখলেও এই প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে ভোগান্তি, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ইস্যুসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির শিকার হন, এমনকি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসে মারা যাওয়ার পর তার মরদেহটি দেশে পাঠাতে গুণতে হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।

ওমান থেকে এত বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে গেলেও আজ হাজারো শ্রমিক বিনা কারণে জেলখানায় বন্দি, শুধুমাত্র একটি টিকিটের জন্য মাসের পর মাস জেল খাটছে বহু রেমিটেন্স যোদ্ধা।

হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে বহু রেমিটেন্স যোদ্ধার মরদেহ। শুধুমাত্র টাকার জন্য পাঠানো যাচ্ছে না মরদেহগুলো। রাতে ঘুমের ঘরে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের। গ্রেফতার আতংক, পারিবারিক চাপ, কাজের অনিশ্চয়তা, এইসব কারণে অল্প বয়সে প্রতিনিয়ত ঝরে যাচ্ছে অনেক রেমিটেন্স যোদ্ধা।



সম্প্রতি দুবাই থেকে ফেরেন গাজীপুরের লিয়াকত হোসনে। পরিবার-পরিজনের জন্য উপহার এনেছেন লাগেজ ভর্তি করে। বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিংয়ে গিয়ে তিনি সিএনজি অটোরিক্সযোগে রেলস্টেশনে যাবেন বলে স্থির করেছিলেন। মালপত্র বিমানবন্দরের ট্রলিতে করে পার্কিংয়ের দিকে আসতে গিয়ে বাধা পেলেন তিনি।

নতুন নিয়ম ট্রলি পার্কিং পর্যন্ত নেয়া যাবে না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে বেশ ঝামেলাতেই পড়তে হচ্ছে দেশে ফেরত প্রবাসীদের।

দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরা অনেক প্রবাসীই অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী ২০ থেকে ৭০ কেজি পর্যন্ত মাল বহনের সুযোগ রয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে আরও প্রায় ৭ কেজি বহন করা যায়। তাই এই সুযোগ কাজে লাগান অনেক প্রবাসী। দেশে ফেরার সময় পরিবার-পরিজনের জন্য নিয়ে আসেন নানান উপহার। তাতে ব্যাগ ভারি হয়ে যায়। কিন্তু ট্রলি পার্কিং পর্যন্ত ব্যবহার করতে না দেওয়ায় বিমানবন্দরে নেমেই মালপত্র নিয়ে এমন বিপাকে পড়তে হয় প্রবাসীদের।



কাতার থেকে আসা চট্টগ্রামের বেলাল খান অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘অনেক দিন পরে দেশে ফিরলাম। আত্মীয়-স্বজনের জন্য কিছু উপহার এনেছি। এতে লাগেজ বেশ ভারি হয়েছে। কিন্তু এখন তো গাড়ি নিতে হলে বাইরের পার্কিং থেকে নিতে হবে। তাই মালপত্র কাঁধে করেই বের হয়েছি।’

এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটু অসুবিধা হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে।



বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি, একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ আর একজন প্রবাসীর স্বপ্ন একই সুতোয় বাঁধা থাকলেও প্রবাসীরা কখনো কখনো নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেন দেখার কেউ নেই। দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবৎ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এক রেমিটেন্স যোদ্ধার দেশে ফেরার আকুতিতে ভারী হয়ে উঠেছে ওমানের সুমাইল হাসপাতালের আকাশ বাতাশ।














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.