দেশীয় শোবিজের অনিন্দ্য সুন্দরী মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর। বিজ্ঞাপন ও নাটকে একসময় টানা ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। তার অভিনীত বেশির ভাগ মিউজিক ভিডিও হয়েছে দর্শকনন্দিত। কিন্তু বর্তমানে শোবিজ থেকে দূরে রেখেছেন নিজেকে। শোবিজ থেকে দূরে থাকলেও হুট করেই নতুন খবর দিলেন তিনি। জানালেন তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সুজানা। সেখানে কেকের ওপর লেখা, ‘হ্যাপি ম্যারিড লাইফ, সুজানা অ্যান্ড জায়াদ।’ ভিডিওতে এক ঝলক সুজানার স্বামীকেও দেখা যায়। মন্তব্যর ঘরে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
- ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে, তবে তারা মানুষ নয়!
- ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে সংসারে মন দেবেন প্রিয়াঙ্কা
- এই প্রথম গাড়ির গিয়ার এলো মোটরসাইকেলে
- ৩১ বছর পর দেশে ফিরছেন রেমিট্যান্সযোদ্ধা আবু বকর
- স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
এদিকে দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজানা বলেন, প্রেম করে নয়, এটি পারিবারিক বিয়ে। তবে তাদের পরিচয় সাত বছর ধরে।
মূলত, ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়ে ঠিক ৭ বছর আগেই দেশ ও মিডিয়া ছেড়ে প্রবাসী হন তিনি। এরপর থেকে মিডিয়ার কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি তিনি। দুবাইয়ের নাগরিকত্ব পাওয়ায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন বেশ কয়েক বছর ধরে। এবার সেখানেই শুরু করলেন সংসার জীবনের নতুন অধ্যায়।
সুজানা বলেন, আগস্টে যখন আমাদের বিয়ে হয়, তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাজে ছিল। তখন এই বিষয়টি জানানোর মতো অবস্থা ছিল না। ইসলামে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। একেবারে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েটা যেহেতু পারিবারিক ব্যাপার। আমাদের দুই পরিবার বিষয়টি অবগত।
বিয়ের পর হানিমুন না করে সুজানা বেছে নেন পবিত্র ওমরাহ হজ। সুজানা জানান, তার ইচ্ছে ছিল হানিমুনে না গিয়ে স্বামীর সঙ্গে হজ পালন করবেন। সেই ইচ্ছেও পূরণ করেছেন সম্প্রতি।
তিনি বলেন, বিয়ের দুদিন পর আমরা দুজনে ওমরাহ পালন করেছি। আল্লাহ আমাকে যে পথে রেখেছেন আমি বাকিটা জীবন এভাবে পার করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। কিন্তু চার মাস পরই বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। এরপর সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালের আগস্টে বিয়েও করেন তারা। তবে সে বিয়েও টেকেনি। এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদ হয় তাদের।
হৃদয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই শোবিজ থেকে নিজেকে আড়াল করতে শুরু করেন সুজানা। কয়েক বছর ধরেই একেবারেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান না। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসা।
মূলত নিজের ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সুজানা। দুবাই থেকেই তার সুজানা’স ক্লোজেটের জন্য সামগ্রী নিয়ে আসেন দেশে। তবে নিজেও ডিজাইন করেন অনেক পোশাক। যদিও এখনই নিজেকে পুরাদস্তুর ফ্যাশন ডিজাইনার বলতে নারাজ সুজানা। নিছক নিজের ভালো লাগা থেকেই ডিজাইন করেন তিনি।