আন্তর্জাতিক
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা

আবাসন ও সম্পদ সংকট দেখিয়ে ১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই স্কিম বন্ধ করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর এনডিটিভির।
ভারত, পাকিস্তান, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন, সেনেগাল, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ভিয়েতনামের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা।
২০১৮ সালে এসব দেশের শিক্ষার্থীদের সহজ এবং দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম চালু করা হয়।
কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবাসন ও সম্পদের সংকটের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব দেশের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কানাডা। প্রায় সব মৌসুমে কানাডাতে শিক্ষা অর্জনে যাওয়ার হিড়িক থাকে দেশের বাইরে পড়ালেখা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের।
এসব শিক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দিতে নানা উদ্যোও গ্রহণ করে থাকে কানাডা। তবে এবার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিল ট্রুডো সরকার।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ অভিবাসন: ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

ভারতীয় যেসব সংস্থা ভ্রমণ সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে, সেসব সংস্থার মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতে মার্কিন মিশনের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে ভারতের ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যুক্ত অনির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
ওয়াশিংটন প্রায়ই নাম প্রকাশ না করেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ব্রুস বলেছেন, ‘আমরা ভ্রমণ সংস্থাগুলোর মালিক, নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রাখব, যাতে অবৈধ মানবপাচার নেটওয়ার্কগুলো বন্ধ করা যায়।’ তবে, ট্র্যাভেল এজেন্টরা কীভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডেলে বারবার পোস্ট করে সতর্ক করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা যেন তাদের অনুমোদিত থাকার সময়সীমা অতিক্রম না করেন।
আন্তর্জাতিক
ভারতের অহংকার চূর্ণ করা পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশার পরিচয়

গভীর রাত। চারদিকে নিস্তব্ধতা। আর তখনই আকাশে গর্জে উঠল ককপিটে ওঁৎ পেতে থাকা পাকিস্তানের আকাশজয়ী ‘বাজপাখি’ আয়েশা ফারুকের ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানের এক ঝলক ক্ষিপ্রতা, এক নিখুঁত নিশানা আর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের অহংকার রাফাল পরিণত হলো ধ্বংসস্তূপে। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে ধ্বংস এবং ৪ সেকেন্ডের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ নারী পাইলটের আক্রমণে দুমড়েমুচড়ে গেল শত্রুপক্ষের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের গর্ব রাফাল। শুধু ভারত নয়, সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় আকাশযুদ্ধের পশ্চিমা ‘পক্ষীরাজ’ রাফাল।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এমনকি ফরাসি গণমাধ্যমও রাফাল ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আয়েশায় সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৬ মে রাতের আকাশে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে চমকে দেন পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী পাইলট আয়েশা। একটি এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরাও যে কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ভারতীয় রাফাল ভূপাতিতের ঘটনা শুধু সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাকিস্তানে নারীদের ক্ষমতায়নেরও এক মাইলফলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু একটি সফল আকাশযুদ্ধ নয়- বরং নারী নেতৃত্ব, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও কৌশলগত চমৎকারিত্বের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
আয়েশার জন্ম পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান। পরিবারে তখন শুধুই লড়াই আর সীমাবদ্ধতা। কিন্তু সেই পরিবেশেই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলেন তার মা। আত্মীয়স্বজনের আপত্তি আর সামাজিক বাধা ডিঙিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- তিনি হবেন একজন ফাইটার পাইলট।
আয়েশার যাত্রা ছিল কাঁটাভরা। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ এবং পুরুষপ্রধান পেশা হিসেবে পরিচিত বিমানবাহিনীতে নারীর প্রবেশ সহজ ছিল না। ফ্লাইট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর তাকে শুনতে হয়েছে নানা কটুকথা। অনেকেই ভাবতেন, তিনি সফল হতে পারবেন না।
কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে আয়েশা পেছনে তাকাননি। কঠিন প্রশিক্ষণ, ১৪-১৮ ঘণ্টার পরিশ্রম, মানসিক চাপ-সব কিছু মোকাবিলা করেই হয়ে ওঠেন তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে দক্ষ পাইলটদের একজন।
এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেন, আমাকে নারী বলে কেউ আলাদা করে দেখেনি। এখানে সবাইকেই যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। যুদ্ধবিমান চালানো কোনো বিলাসিতা নয়। এটা দায়িত্ব, এটা প্রতিজ্ঞা। তিনি জানান, প্রতিদিন ভোর ৪টায় দিনের শুরু হয়। ফ্লাইট, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ এবং বিশ্লেষণ মিলিয়ে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কাজ।
আয়েশা ফারুকের জন্য ফাইটার জেট পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ ছিল অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেছেন, ‘শুরুর দিকে অনেকেই ভাবত আমি হয়তো পারব না। কিন্তু ওদের সন্দেহই আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে।’
আয়েশা আরও বলেছেন, যুদ্ধবিমান চালানো কোনো সাধারণ চাকরি নয়। এটা কেবল বসে থাকার কাজ নয়। একটানা পরিশ্রম, মানসিক চাপ আর শারীরিক ফিটনেস সবকিছুতেই সেরা হতে হয়। আমাদের দিন শুরু হয় ভোর ৪টায়। কখনো কখনো রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ চলে। আবার অনেক সময় রাতে উড়াল দেওয়ার শিডিউলও থাকে। এই কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই আয়েশা তৈরি হয়েছেন একজন সাহসী ও দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসাবে। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
সাহসিকতা আর সংগ্রামের প্রতীক
পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। কিন্তু আয়েশাই একমাত্র, যিনি যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন। যেখানে পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০।
মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন, আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারণে আমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হয়।
আয়েশার কথায় স্পষ্ট, এই যুদ্ধের আকাশে তিনি এসেছেন, সৌন্দর্যের মোহ নয়, তাকে টেনেছে দায়িত্বের ডাক। তাই যুদ্ধবিমান নয়, যেন এক জীবন্ত অঙ্গীকারে পরিণত হয়েছেন তিনি- দেশ রক্ষার পাহারায়।
আন্তর্জাতিক
ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত: পাকিস্তানের নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা জবাব

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ডনের
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের ২৯ টি এবং রাতে আরও ৪৮টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে- ভারতের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে নয়াদিল্লি।
তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু নিরপেক্ষ তদন্তের আগেই ভারত গত ৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালায়।
এতে পরবর্তীতে নিহত বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়ায়।
ভারতের এই হামলার পরই পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে।
এদিকে শুক্রবার (৯ মে) বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি জেলায় গোলাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। এই হামলায় এক নবজাতকসহ পাঁচজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক
পাক-ভারত যুদ্ধে ২৬ বেসামরিক নিহত, মসজিদে হামলা; ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

ভারতের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আরও অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবি, এই আক্রমণের জবাবে তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। খবর, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ভারত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি এলাকায় মোট ২৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে, যেগুলো বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শিশু, নারী ও পুরুষ—সবাইই বেসামরিক নাগরিক।
বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্ট এলাকায় সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা ঘটে, যেখানে দুই শিশুসহ ১৩ জন নিহত হন এবং ৩৭ জন আহত হন। মুজাফফরাবাদের কাছে বিলাল মসজিদে হামলায় মারা যান তিনজন, আহত হয় দুই শিশু। কোটলির আব্বাস মসজিদে হামলায় মারা যান এক কিশোর ও এক কিশোরী, আহত হন এক নারী ও তাঁর কন্যা।
সিয়ালকোট ও শাকরগড়ে হামলা হলেও সেখানে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শাকরগড়ের একটি ডিসপেনসারিতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে আরও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ অভিযোগ করেন, “ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদে হামলা চালিয়েছে, যা মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থার বহিঃপ্রকাশ।”
এদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের তৈরি তিনটি রাফাল, একটি রাশিয়ান সু-৩০ এবং একটি মিগ-২৯।
পাকিস্তান বলছে, ভারতের এই বিমান হামলা ছিল কাপুরুষোচিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যার জবাবে তারা দ্রুত পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
ভারত অবশ্য দাবি করেছে, তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, কিন্তু বেসামরিক স্থাপনায় হামলা হয়নি। পাকিস্তানের দাবি প্রত্যাখ্যান করে ভারত বলেছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়াতেই তারা এই অভিযান শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক
ভারতের রাস্তায় প্রকাশ্যে মুসলিম নারীর হিজাব খুলে হেনস্তা

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে জোর করে এক মুসলিম নারীর হিজাব খুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা পুরুষকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নারী ও পুরুষ উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন বলে জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুরুষ জোর করে নারীর হিজাব খুলে ফেলছে। অন্যরা তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা পুরুষকে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মুজাফফরনগরের খালপাড় এলাকার একটি গলিতে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০ বছর বয়সী নারী ফারহিন ও শচীন নামে এক ব্যক্তি ঋণের কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। মায়ের নির্দেশে শচীনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন ফারহিন। পথে ৮-১০ জন পুরুষের একটি দল তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ফারহিন ও শচীনকে লাঞ্ছিত ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
পুরো ঘটনাটি একজন পথচারী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন এবং পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দুজনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিনের অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
মুজাফফরনগর সিটি সার্কেল অফিসার (সিও) রাজু কুমার সাও বলেন, গত ১২ এপ্রিল আনুমানিক ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ভবন এলাকার একজন হিন্দু পুরুষ ও খালপাড়ের একজন মুসলিম নারী ঋণের কিস্তি আদায় করে সুজদু থেকে ফিরছিলেন। দরজি ওয়ালি গলিতে স্থানীয় কিছু লোক তাদের থামিয়ে মারধর করেন।
সিও রাজু কুমার সাও বলেন, ভিডিও থেকে আরও লোককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, তারপরই গ্রেপ্তার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করল পুলিশ

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাট শহরে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের প্রশাসন।
এ নিয়ম ভঙ্গ করলে মুসলিমদের পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার হুমকি দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, শুধুমাত্র মসজিদেই ঈদের নামাজ পড়তে পারবে মুসলমানরা। যারা উন্মুক্ত মাঠে নামাজ পড়বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর মিরাটে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের নামাজ পড়ায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা সিপিসি-এর তালিকাভুক্ত করতে সুপারিশ করেছে আমেরিকার সরকারি সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ।)
সিপিসি’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে সরকার বিশেষ করে গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে সম্পৃক্ত হয় বা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহনশীল হয় সেসব দেশ কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইউএসসিআইআরএফ‘র প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষত মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি দেশটির কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষকরে মুসলিমদের ওপর একের পর একের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। আর এসব কর্মকাণ্ডে প্রকাশ্যেই পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে বিজেপি। মুসলিমদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ যেন ভারতের নিত্য দিনের ঘটনা। মুসলিম স্থাপত্য আর অবকাঠামোর ওপর বিজেপি সরকারের বুলডোজার দিয়ে ভাঙচুর মুসলিম নিপীড়নের সকল রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ প্রশংসনীয়।
- আন্তর্জাতিক1 year ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন1 year ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- বিশেষ প্রতিবেদন1 year ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট7 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- বিনোদন8 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি
- প্রবাস7 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস7 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- প্রবাস7 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…