বিশেষ প্রতিবেদন
‘আমার স্বামী তিন বিয়ে করেছেন, চতুর্থ বিয়েতেও আপত্তি নেই’
![‘আমার স্বামী তিন বিয়ে করেছেন, চতুর্থ বিয়েতেও আপত্তি নেই’](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1054.jpg.webp)
যেসব পুরুষের এক স্ত্রী থাকে সাধারণত তারা অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা ফারাহ ইকরার। এ ক্ষেত্রে ওই পুরুষদের স্ত্রীরাও অনুমতি দেন বলে দাবি করেন তিনি।
যেসব পুরুষের এক স্ত্রী থাকে সাধারণত তারা অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপিকা ফারাহ ইকরার। এ ক্ষেত্রে ওই পুরুষদের স্ত্রীরাও অনুমতি দেন বলে দাবি করেন তিনি।
ফারাহ ইকরার সম্প্রতি রাবি পীরজাদার পডকাস্টে অংশ নিয়ে তার স্বামী ও পুরুষের একাধিক বিয়ে নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
স্বামীর আরও দুটি বিয়ে তার বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করেন না তিনি। এমন ধারণাকে ভুল ও নেতিবাচক চিন্তা বলে মনে করেন এ সংবাদ উপস্থাপিকা।
ফারাহ ইকরার জানান, তার স্বামী বর্তমানে দুই স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বিদেশে ভ্রমণ করছেন, এতে তার কোনো সমস্যা নেই।
ফারাহ ইকরার বলেন, টিভি উপস্থাপক ইকরার-উল-হাসানকে যখন তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, তখন তার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর হয়তো খারাপ লেগেছিল।তবে স্বামীর তৃতীয় বিয়ে নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই।
তিনি জানান, এর আগেও তিনি বলেছিলেন, স্বামীর একাধিক বিয়েতে তার কোনো সমস্যা নেই।আল্লাহ যখন একজন মানুষকে একাধিক বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন, তখন কে এটিকে বাধা দিতে পারে?
তিনি এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন যে তার স্বামীর অন্য দুই স্ত্রী তার বিরুদ্ধে।
ফারাহ ইকরার আরও বলেন, তার স্বামী যদি চতুর্থ বিয়ে করতে চান, তাহলে তার কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এমন ধারণা ভুল যে যার টাকা আছে, সে পুরুষই একাধিক বিয়ে করে।একাধিক বিয়ের সঙ্গে অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই।
উপস্থাপিকার মতে, একজন পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে চায় এবং সে চায় নারীরা তার আশেপাশে থাকুক।
ফারাহ ইকরার বলেন, যেসব পুরুষের কেবল একজন স্ত্রী থাকে তাদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকে। এবং তাদের স্ত্রীরাই এ সম্পর্ক রাখার অনুমতি দেন।
তিনি বলেন, এটা বাস্তব যে অনেকের কাছেই তার এসব কথা খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু সত্য হলো যাদের এক স্ত্রী রয়েছে, তাদের অধিকাংশই সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।
ফারাহ ইকরারের মতে, স্ত্রীরা তাদের স্বামীকে বলে গার্লফ্রেন্ড রাখতে, পরকীয়া করতে কিন্তু ঘরে অন্য স্ত্রী আনতে নিষেধ করে।
উল্লেখ্য,ফারাহ ইকরারের স্বামী, টিভি উপস্থাপক ইকরার-উল-হাসান তিনটি বিয়ে করেছেন। তার এসব বিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়।
আলোচিত
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন সাংবাদিক দেব চৌধুরী
![ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন সাংবাদিক দেব চৌধুরী](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1062.jpg.webp)
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরী ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আজ জুমার নামাজের পর রাজধানীর দারুসসালাম শাহী মসজিদে তিনি শাহাদাহ পাঠের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত তার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো।
ইসলাম গ্রহণের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেব চৌধুরী বলেন, “আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় আজ ইসলাম গ্রহণ করছি। আমি আরবি পড়তে পারি না, তবে আমার ঘরে কোরআনের বাংলা অনূদিত তিনটি কপি রয়েছে।” তার এই মন্তব্যে নতুন ধর্মের প্রতি আন্তরিকতা ও বিনয় প্রকাশ পেয়েছে।
শাহাদাহ পাঠের পর মুসল্লিরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। অনেকেই তাকে আলিঙ্গন করেন এবং উপহার হিসেবে ফুল ও পোশাক দেন।
আলোচিত
বিয়ানীবাজার থেকে তরুণ নিখোঁজ, ক্ষত বিক্ষত মোটরসাইকেল উদ্ধার
![বিয়ানীবাজার থেকে তরুণ নিখোঁজ, ক্ষত বিক্ষত মোটরসাইকেল উদ্ধার](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1058.jpg.webp)
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসায়িক পার্টনার ও বিলিয়নিয়ার জেনট্রি বিচ বাংলাদেশে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে তিনি ঢাকায় অবতরণ করেন।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে বৈঠক করবেন। দুপুর ২টায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলের প্রতিনিধিদের সাথেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, জেনট্রি বিচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের বিনিয়োগ করে থাকেন। তার বাংলাদেশের এই সফরেও বড় বিনিয়োগের আশা করা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, তিনি বিনিয়োগের থলি নিয়ে এসেছেন।
সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে আজ সন্ধ্যায় আবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে জেনট্রি ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।
আলোচিত
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল
![মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় মাজেদুল](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1040.jpg.webp)
দরিদ্র পরিবারের সন্তান মাজেদুল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও ভর্তি খরচ ও পড়াশোনা এগিয়ে নিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার। মাজেদুলের বাবা আবুল হোসেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মা মর্জিনা বেগম কখনও কখনও অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ভর্তির বিষয়ে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন মেধাবী মাজেদুল ও তার পরিবার।
মাজেদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম শহরের পৌর এলাকার ভরসার মোড় সংলগ্ন করিমের খামার গ্রামে। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাজেদুল ছোট। বড় ভাই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে অনার্স পড়ছেন। মাজেদুল মাগুরা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছে। মেধা তালিকায় তার স্থান ৫০৩২।
মাজেদুল কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ২০২৪ সালে গোল্ডেন এ প্লাস নিয়ে এইচএসসি পাস করেন।
মাজেদুলের মা মর্জিনা বেগম জানান, মাজেদুল ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো। এরপর থেকে শিক্ষকরা তাকে সহযোগিতা করেছেন। এভাবেই চলছে তার পড়ালেখা।
তিনি বলেন, তার বাবা কাঠমিস্ত্রি। তিনি কাজ করে সংসার চালান। আর আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করে চলছি। অভাবের সংসারে এখন ছেলের পড়ালেখার খরচ দেওয়া খুব কষ্ট হবে। এখন কেউ যদি সহযোগিতা করে তাহলে ছেলেটা ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।
মাজেদুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। অনেক বাধা পেরিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। আমার বাবা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। আমার বড় ভাই কুড়িগ্রাম কলেজে পড়ে। সে আবার প্রাইভেট পড়িয়ে চলে।
মাজেদুল বলেন, আমি নিজে এলাকায় দুটো টিউশনি করে এতদিন নিজের খরচ চালিয়েছি। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার খরচ জুটবে কীভাবে? আমার সাথে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় আছেন।
মাজেদুলের সাফল্যে প্রতিবেশী, আলামিন ও আব্দুল জলিল বলেন, মাজেদুল ছোট থেকেই কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। সে সুযোগ পেয়েছে এজন্য আমাদের এলাকারও সুনাম হচ্ছে। আমরা চাই সে আরও ভালো করুক সামনে।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মীর্জা নাসির উদ্দিন বলেন, মাজেদুল মেধাবী শিক্ষার্থী। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে তার মেধার প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। সমাজের সামর্থবানরা এগিয়ে আসলে মাজেদুল তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। একদিন চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে।
আলোচিত
কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে
![কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1038.jpg.webp)
গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় “এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই”
হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়।
এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।
এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না।
আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল “আপু, আমাকে খাওয়াবেন?” তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল “আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।”
যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল।
অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ?
সে বলল ” না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।”
তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।
আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।
সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে।
আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, “জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে।
তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না।
সেই ছেলে বলছে, “আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।” এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।
যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে।
অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।
কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।
আলোচিত
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ৯ বছরের মুগ্ধ
![পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ৯ বছরের মুগ্ধ](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1019.jpg.webp)
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১০ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন রায়ান রাশিদ মুগ্ধ। ৯ বছর বয়সী মুগ্ধ আজ যা করেছে, তা আর দেশের গণ্ডিতে আটকে নেই। বর্তমানে সেরা দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে সে।
পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, র্যাপিড দাবায়ও পাঁচবার জিতেছেন খেতাব। আর ব্লিটজের তো আটবারের চ্যাম্পিয়ন। সর্বকালের সেরা দাবাড়ু কিনা, এ নিয়ে আলোচনা হয় নিয়মিত। জিততে জিততে এমন অবস্থা যে ২০২৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালই খেলেননি কার্লসেন।
রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র মুগ্ধ আজ শনিবার অনলাইন দাবার সবচেয়ে বিখ্যাত প্লাটফর্ম চেজ ডট কমে ঘটিয়েছে এ কাণ্ড। এই ওয়েবসাইটে নিজের কোনো প্রোফাইলও ছোট মুগ্ধর। জাতীয় দলের আরেক দাবাড়ু এবং ওর কোচ নাঈম হকের প্রোফাইল থেকে খেলায় অংশ নেওয়া মুগ্ধ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে।
কার্লসেনের সঙ্গে মুগ্ধ চেজের বুলেট ফরম্যাটে খেলেছে। এক মিনিটের মধ্যে এই ধরনের ম্যাচ শেষ করতে হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এক রাউন্ড পর এক রাউন্ড নির্ধারিত হয় কে কার সঙ্গে খেলবে। সেভাবেই ম্যাগনাস কার্লসেনের মুখোমুখি হয় মুগ্ধ।
মুগ্ধর কোচ নাঈম হক সংবাদমাধ্যম সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, ‘ও সব সময় অনলাইনে খেলতে চায়। আমি বললাম, তাহলে আমার আইডি দিয়ে খেলো। এরপর ও হঠাৎ ফোন করে বলে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে। শুনে তো আমি বিশ্বাস করিনি। ও এরপর খেলার স্ক্রিনশটসহ সব তথ্য পাঠিয়ে দেয় আমাকে।’
এর আগে গত মে মাসে ১০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন দাবাড়ু ফস্তিনো ওরো চেজ ডট কমেরই বুলেট ব্রল টুর্নামেন্টে কার্লসেনকে হারিয়েছিল। পরের মাসেই ১০ বছর ৮ মাস ১৬ দিন বয়সে অভিমন্যু মিশ্রকে (সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার) পেছনে ফেলে সবচেয়ে কম বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়ার ইতিহাস গড়েছে ওরো।
আজ ওরোর চেয়েও কম বয়সে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে মুগ্ধ, ‘আমি শুরুতে ভাবতেই পারিনি কার্লসেনকে হারিয়ে দেব। তবে এক সময় এসে উনি একটা কুইন ব্লান্ডার করেন। এরপরই আমি বুঝতে পেরেছি ম্যাচটা জিততে পারব। শেষ পর্যন্ত জিতে গেছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানোয় আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে এই ম্যাচ অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
আলোচিত
গাছ কাটা-সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো বিএসএফ
![গাছ কাটা-সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো বিএসএফ](https://beanibazarview24.com/wp-content/uploads/2025/01/1013.jpg.webp)
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আম গাছ কাটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বললো ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ঢুকে আম গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে বিজিবি এই কার্যক্রমকে রুখে দেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ওপার থেকে ছোড়া হাতবোমার বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিকেল চারটার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমাদের চৌকা এবং কিরণগঞ্জ দুটি বিজিবি ক্যাম্পের মাঝামাঝি স্থানে ১৭৭ এর ৩এস বরাবর বাংলাদেশি কিছু আমগাছ ছিল। বাংলাদেশের আমগাছ কাটাকে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই দেশের মানুষ শূন্যরেখা বরাবর দাঁড়িয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করেছি। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বিজিবি ও বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, অন্যায় হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে তারা এটা ব্যবস্থা নেবে। সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। কেউ যেন শূন্যরেখা অতিক্রম না করে, উত্তেজনাকর পরিবেশ প্রশমিত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। বিজিবির পাশাপাশি দেশপ্রেমিক জনগণ আমাদের পাশে আছে।’
এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিএসএফ ও শতাধিক ভারতীয় মিলে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে ১২ থেকে ১৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। পরে বিজিবির টহল দল মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানান। এ সময় স্থানীয়রা বিজিবিকে সহযোগিতা করতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন। বিএসএফ সদস্যরা ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় ভারতীয়রা পাথরও ছুড়ে মারে। অন্যদিকে, বিজিবি ও স্থানীয়দের প্রতিরোধে ভারতীয়রা কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। তখন চৌকা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছিল।
- আন্তর্জাতিক10 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস4 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- বিনোদন10 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস4 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক3 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস4 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস3 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক4 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা