আলোচিত
কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভবিষ্যত ‘অনিশ্চিত’

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার আসনে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ‘সেকেন্ড কামিং’ নিয়ে চর্চা হচ্ছে অনেক। কারণ, ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প এক বড়সড় ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের অবিলম্বে আমেরিকা থেকে বের করে দেবেন এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার আইনটিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ঘোষণার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী প্রবাসীরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। বিশেষভাবে, গত বছর কানাডায় ভিজিট ভিসায় গিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করা বাংলাদেশীদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশিদের মধ্যে সিংহভাগই সিলেট বিভাগের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ হলেন অভিবাসী। বিদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির এ হার গত কয়েক বছর থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার তার লাগাম টানতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। যদিও এর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।
তবুও ট্রাম্পের প্রশাসন ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন; ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে তাদের ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে পরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কানাডা থেকে ভিজিট ভিসায় এসে আমেরিকায় ঢোকা বাংলাদেশীরা, যারা বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। তারা জানেন না, তাদের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, কারণ তারা অবৈধ অবস্থায় আছেন।
আমেরিকায় এই বাংলাদেশী অভিবাসীদের একটি বড় অংশ কাজ করছেন বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, বা অন্যান্য সেক্টরে। এসব মানুষ বহু অর্থ খরচ করে, দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে, ভিজিট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন। এখন, ট্রাম্পের কঠোর নীতির ফলে, তাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বৈধভাবে বসবাস করছেন। তবে, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছেন। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।
এছাড়া, আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর অন্যতম একটি উৎস। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টানা তিন মাস ধরে রেমিট্যান্স পাঠানো দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, যদি আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভিজিট ভিসায় যাওয়া সিলেট নগরীর পীরমহল্লা এলাকার এক যুবক বলেন, অনেক টাকা খরচ করে ভিজিট ভিসায় কানাডায় এসেছিলাম। এসে দেখি কাজ নেই। এক সপ্তাহ পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছি আমেরিকায়। এর জন্য দালালকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। আসার পর কাজ পেয়েছি, ভালোই চলছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কখন গ্রেফতার হতে হয়, সেই ভয়ে দিন কাটে। শুধু তিনি একা নন, আমেরিকায় সম্প্রতি এই পথে পাড়ি জমানো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার পর তারা এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন। দিন কাটছে গ্রেফতার আতঙ্কে। এই অবৈধ অভিবাসীরা কি তাদের জীবিকার জন্য ভবিষ্যতে আইনি সুরক্ষা পাবে, নাকি তাদেরকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে? এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার উত্তর নেই, তবে ট্রাম্প প্রশাসন একেবারে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা এই ধরনের অভিবাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধরপাকড় করবে। এর ফলে, দেশটির পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যাদের কাজ হলো এসব অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
আলোচিত
রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধ’র্ষ’ণের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধ’র্ষ’ণের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালে ৩য় পিটিশন ছিল পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, অনেককে এই আলেপ উদ্দিন গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। তাদের নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে এই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ হলো- এই আলেপ উদ্দিন একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে (স্বামীকে হত্যার) রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধ’র্ষ’ণ করেছেন। এমন তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা বিষয়গুলো ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি। এমন নিষ্ঠুরতম অপরাধীর অপরাধের তদন্ত করতে সময় লাগবে, কারণ প্রতিদিনই ভিকটিমরা আমাদের কাছে নতুন নতুন অনেক অভিযোগ নিয়ে আসছেন। এসব তদন্ত শেষ হলে তাদের ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া যেন শুরু করা যায় সে জন্য আমাদের তদন্ত সংস্থা দিন-রাত কাজ করছে।
আলোচিত
ইতালি যাওয়া হলো না দুই যুবককের, লিবিয়ায় হলেন হ’ত্যার শিকার

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হ’ত্যা করা হয়েছে। শুধু হ’ত্যা করেই শান্ত হয়নি দালাল চক্র। তাদের হ’ত্যার পর পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠিয়েছে খুনিরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৬) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদারের (২৫) সঙ্গে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দালালদের পাঠানো ছবি দেখে স্বজনদের আহাজারি থামছে না। স্বজনদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ভিড় করছেন। সান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না কেউ।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দুই মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠায়।
ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ওরা আজ আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে।
১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরো টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। সে টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
ওই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, শুধু হৃদয় নয় রাসেল নামের আরো একজনকেও লিবিয়াতে হ’ত্যা করা হয়েছে। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটানো হয়।
কখনো অত্যাচার কখনো প্রাণে মেরে ফেলে ওরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত
উত্তরায় প্রকাশ্যে দম্পতিকে কোপানো কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক

রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তারা হলেন- মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা ও জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত দুই যুবক একজন ভুক্তভোগী পুরুষ ও তার সঙ্গে থাকা এক নারী পথচারীকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। এ সময় জীবন বাঁচাতে ওই নারীকে হাত জোড় করে সন্ত্রাসীদের কাছে মাফ চাইতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা।
স্থানীয়রা জানায়, এই কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা উত্তরা সেক্টরের ভেতরে উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিল। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলে একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে যাওয়া আরেকটি মোটরসাইকেলে ভুক্তভোগী দম্পতি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকজন ডেকে রামদা দিয়ে ওই দম্পতিকে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একটি রাস্তায় ভুক্তভোগী দম্পতি একটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। একই সময় স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য অন্য একটি মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে যাওয়া স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে হর্ন বাজানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরমধ্যে একটি মোটরসাইকেল গিয়ে একটি রিকশায় ধাক্কা লাগে।
আরও জানা যায়, পরে ভুক্তভোগীদের মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যরা এই ঘটনার খবর পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে। ওই সময় ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী দম্পতি উপস্থিত ছিল। সর্বশেষ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভুক্তভোগী স্বামী স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে স্থানীয় জনতায় এগিয়ে এতে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার বিস্তারিত নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আমরা আটক করেছি। ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আন্তর্জাতিক
মোদীর অনুরোধ অগ্রাহ্য, আবারও শিকলে বেঁধে ফেরত ভারতীয়দের

অবৈধ ভারতীয়দের দ্বিতীয় ব্যাচকে মার্কিন সামরিক বিমানে করে আবারও শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঞ্জাবের অম্রিতসারের বিমানবন্দরে ১১৬ জন ভারতীয়কে বহনকারী মার্কিন সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন দলজিত সিং১১ নামে এক যুবক।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অম্রিতসারে আসার সময় তাদের হাত বাঁধা হয়েছিল এবং পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জনকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় শিকলে তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। এ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে প্রথম ব্যাচে যে ১০৪ জন ছিলেন তাদের সবার হাত-পা বাঁধা হলেও দ্বিতীয় ব্যাচে পাঠানো নারীদের এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাত্র কয়েকদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। ওই সময় ‘ভারতীয়দের প্রতি মানবিক আচরণ’ করার আহ্বান জানান তিনি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পরও আবারও ভারতীয় অভিবাসীদের শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর আগে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এক্সে এক পোস্টে বলেন, এবার যেসব অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। তার মত ছিল, মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিনিদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটি দেখার বিষয়। তবে ভারতীয় কূটনীতি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও দেশটির নাগরিকদের হাত-পা বেঁধেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেসের এই নেতা এক্সে আরও লিখেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান যেটি অম্রিতসার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, এটির ওপর সব নজর থাকবে। তাদের হাত ও পা কী রশি দিয়ে বাঁধা থাকবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।
আলোচিত
রোজায় ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার

বিগত বছরের মতো এবারও ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে গরু, খাসির মাংস, দুধ, ডিম ও মাছ বিক্রি করবে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এবার রোজায় গরুর মাংস প্রতি কোজি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হবে। প্রথমে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তবে এখন সে সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।’
আলোচিত
হরিপুরে রেস্টুরেন্টে মিলল ৭০টি মৃত পাখি!

নিষিদ্ধ পরিযায়ী পাখি বিক্রি ও পাচারের দায়ে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে দু’টি রেস্টুরেন্ট মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের এই জরিমানা করা হয়।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার লাবনীর নেতৃত্বে অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বন বিভাগ সহায়তা করে।
অভিযানকালে ৭০টি মৃত বালি হাঁস, ঘুঘুসহ অংসখ্য প্রজাতির পরিযায়ী পাখি পাওয়া যায়। এছাড়া রান্না করা পাখির মাংস জব্দ করা হয়। এসময় মৃত পরিযায়ী পাখিগুলো সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। সে সময় রান্না করা মাংসগুলো স্থানীয় এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তা আমরা অভিযানটি পরিচালনা করি। এ সময় শিকার নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী (পরিযায়ী পাখি) বিক্রির যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে কাউকে গ্রেপ্তার না করে আইন অনুযায়ী ২০ হাজার করে দু’টি রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
- আন্তর্জাতিক10 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস4 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- বিনোদন10 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস4 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক3 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস4 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস3 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক4 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা