প্রবাস
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও

ক্ষমতায় আসার পর থেকে লেবার পার্টির সরকার অবৈধ মাইগ্রেশনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এবার হোম সেক্রেটারি ইভেট কুপার জানালেন, যেসব অভিবাসী ডিপোর্টেশন এড়াতে তাদের পাসপোর্ট ফেলে দেয় তাদের ব্যাপারে অন্য যে কোনো সময়ের চাইতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জোর দিয়ে জানান, হোম অফিস অ্যাসাইলাম আবেদনগুলোর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে একটি ফার্স্ট ট্র্যাক সিস্টেম তৈরি করতে চাইছে।
এ ছাড়া সরকার আরও একটি নতুন স্কিমের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। এর আওতায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যেসব অভিবাসী আসবে তাদের মাইগ্রেশন প্রসেসিং আলবেনিয়ায় সম্পন্ন করা হবে। এই ডিলের অধীনে বছরে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের অ্যাসাইলাম ক্লেইম মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
ধারণা করা হয়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসা বেশির ভাগ অভিবাসী কথিত সেফ কান্ট্রি থেকে আসে। অ্যাসাইলাম প্রসেসিংয়ে সফল হলে এসব অভিবাসীকে ইতালিতে থাকার সুযোগ থাকবে। ব্যর্থ হলে আলবেনিয়া থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। জানা গেছে, আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানা থেকে ৪৫ মাইল দূরে শিনজেন পোর্টে অভিবাসীদের রেখে তাদের এই মাইগ্রেশন প্রসেসিং করা হবে।
জানা গেছে, মিসর, বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং তিউনিসিয়াসহ আরও কিছু নিরাপদ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসে।
নিরাপদ দেশ থেকে আসায় বিপুল পরিমাণ অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ব্রিটিশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিলেও ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অভিবাসীদের আসা অব্যাহত রয়েছে। এই বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার মানুষ ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হয়েছেন। নতুন সরকার ক্রসিংয়ের সংখ্যা কমাতে নাটকীয়ভাবে পদক্ষেপ নিতে চাইছে।
হোম সেক্রেটারি মিসেস কুপার বিবিসিকে বলেন, ইতালি-আলবেনিয়ায় একটি নতুন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। ফার্স্ট ট্রাক সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যাসাইলাম আবেদন দ্রুত নিষ্পন্ন করা হবে। আবেদনে ব্যর্থ হওয়া অভিবাসীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এই সামারে মামলায় ব্যর্থ হয়ে ডিপোর্টেশনে যাওয়ার হার ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাসপোর্ট ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, মানুষকে শুধু পাসপোর্ট নয় আরও অনেক বিষয় দেখে ন্যাশনালিটি চিহ্নিত করা যায়। আমরাও এসব সিস্টেম ব্যবহার করে অভিবাসীদের শনাক্ত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাব।
আলোচিত
অবশেষে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন ‘সিলেটি শামীমা’

অবশেষে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছেন সিলেটি বংশোদ্ভূত নারী শামীমা বেগম। দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব ফেরত পাওয়ার মামলার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট শামীমা ও অন্য আবেদনকারীর পক্ষে রায় দেন। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংগঠন ইউকে হিউম্যান রাইটস ব্লগ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
শামীমার পিতার বাড়ি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের উত্তর দাওরাই গ্রামে।
এন ৩ ও জেডএ বনাম যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০২৫) ইউকেএসসি-৬ মামলায় শামীমার পক্ষে রায় দেন আদালত। এই মামলাটি ছিল মূলত—জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় এ দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল সম্পর্কিত আদেশ নিয়ে। বিবাদীপক্ষ যুক্তি দিয়েছিল যে, এই সিদ্ধান্ত (নাগরিকত্ব বাতিল) তাদের রাষ্ট্রহীন করে তুলবে না। কারণ, তাঁরা ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্বধারী।
এই মামলায় পরে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, এই আদেশ প্রত্যাহারের ফলে আপিলকারীদের পুরো সময়জুড়ে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবেই গণ্য করতে হবে। অর্থাৎ, শামীমা অতীতে ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে যখন যুক্তরাজ্য ছাড়েন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সিরিয়ায় যাওয়ার পর তিনি ইসলামিক স্টেটের ডাচ সদস্য ইয়াগো রিয়েডিকে বিয়ে করেন। সেখানে তাঁর তিনটি সন্তান হয়, যাদের সবাই মারা যায়। এরপর স্বামী রিয়েডিও এক কুর্দি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা যায়।
সেই ঘটনাপ্রবাহের পর শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। কিন্তু ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। ওই সময় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তি দিয়েছিল, শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের মূল কারণ ছিল জাতীয় নিরাপত্তা।
নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ২০২৩ সালে ২৪ বছর বয়সী শামীমার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেছিলেন। আপিল আদালতের তিনজন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধারের আবেদন খারিজ করে দেন।
২০১৯ সালে আইএস পরাজিত হওয়ার পর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আল–রোজ শিবিরে শামীমার সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন। শামীমার আইনজীবীরা বলছেন, সেই শিবিরের অবস্থা করুণ! সেখানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। রোগবালাই নিত্যকার ঘটনা। সেখানে শামীমাকে অন্য ব্রিটিশ নারী ও শিশুদের সঙ্গে নির্বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে সেখানে।
শামীমা বেগম জেনেশুনে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদানের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কাজের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত। তবে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার যুক্তরাজ্যের সুরক্ষা এবং তা বজায় রাখা। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন যেকোনো সিদ্ধান্ত রক্ষার্থে আমরা অটল থাকব।’
আলোচিত
লন্ডনে বাংলাদেশি দম্পতিকে ৯২ হাজার পাউন্ড জরিমানা

যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ত্রুটিপূর্ণ ই-বাইকের ব্যাটারি থেকে একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি সোফিনা বেগম (৫২) ও আমিনুর রহমানকে (৫৫) ৯২ হাজার পাউন্ডেরও বেশি জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৫ মার্চ ভোরে পূর্ব লন্ডনের শ্যাডওয়েল এলাকায় ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমান নামে ৪১ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
শ্যাডওয়েলের ম্যাডক্স হাউজ নামক ভবনে অবস্থিত দুই বেড রুমের এই ফ্ল্যাটে তিনজন থাকার অনুমতি থাকলেও সেখানে ২৩ জন বসবাস করতেন বলে জানা যায়। ফ্ল্যাটটিতে ১৮টি বিছানা ছিল, যেখানে কেউ কেউ বাংক বেড ভাগ করে ঘুমাতেন, আবার অনেকেই মাটিতে শুয়ে থাকতেন।
যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ত্রুটিপূর্ণ ই-বাইকের ব্যাটারি থেকে একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি
সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টে বিচারপ্রক্রিয়া শেষে এই মামলার রায় ঘোষণা রা হয়। এতে দম্পতি সোফিয়া বেগম ও আমিনুর রহমানকে পৃথক ধারায় ৯২ হাজার পাউন্ডেরও বেশি জরিমানা করা হয়েছে।
বিচারক এমা স্মিথ এই দম্পতিকে আবাসন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে বলেন, বাড়িওয়ালারা আইন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার প্রতি সম্পূর্ণ অবহেলা দেখিয়েছেন। তারা কেবল নিজেদের আর্থিক লাভের জন্য মানুষকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ত্রুটিপূর্ণ ই-বাইকের ব্যাটারি থেকে একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি
কোর্ট সেফিনা বেগমকে ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা, দুই হাজার পাউন্ড প্রসিকিউশন খরচ এবং প্রাণনাশের অপরাধের জন্য ৭৮ হাজার ৪৯ পাউন্ড বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। আমিনুর রহমান, ‘অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ অসচ্ছল’ বলে আদালতে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, তাকে দুই হাজার পাউন্ড জরিমানা এবং মাত্র ১.০১ পাউন্ড বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনা করা গেমা গিলেট আদালতে বলেন, এটি স্পষ্ট যে ফ্ল্যাটটি দীর্ঘদিন ধরেই ভয়াবহভাবে গাদাগাদি ছিল। সেখানে ২৩ জন বসবাস করছিলেন, যার মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যান।
যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ত্রুটিপূর্ণ ই-বাইকের ব্যাটারি থেকে একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে একজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি দম্পতি
টাওয়ার হ্যামলেটসের এক্সিকিউটিভ মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, কিছু বাড়িওয়ালা এখনও ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে, নিরাপত্তা নিয়ম উপেক্ষা করছে এবং মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে—এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
তিনি সরকারকে জাতীয় পর্যায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভাড়াটিয়াদের সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আলোচিত
কানাডার সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ডলির হ্যাট্রিক

কানাডার প্রাদেশিক নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান ডলি বেগম। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে স্কারবোরো সাউথ ওয়েস্টের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
নির্বাচনে জয়লাভের পর ডলি বেগম বলেন, আজকের জয় পুরো দল এবং স্কারবোরোর জন্য। আমি আপনাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ যারা পুরো নির্বাচনজুড়ে এই কঠিন লড়াই জয়ে পাশে ছিলেন।
অন্টারিও নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ডলি বেগম এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রাদেশিক আইনপ্রণেতার দায়িত্ব নিচ্ছেন। ২০১৮ সালে প্রথমবার প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। এরপর এখন পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করলেন তিনি।
ডলি বেগম মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনূমূখ ইউনিয়নের সন্তান। পরিবারের সঙ্গে শৈশবে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। তার বেড়ে ওঠা অন্টারিওর স্কারবোরোতে। পরবর্তী সময়ে টরন্টোর ডব্লিউ এ পোর্টার কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। তিনি টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন, প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
আলোচিত
ভিসা বাতিল করছে কানাডা!

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। আর এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে যেসব দেশ তার মধ্যে ভারত অন্যতম। ইতোমধ্যে কয়েকটি সামরিক বিমানে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ভারতীয় শিকলে বেঁধে ফেরত পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। ভারতে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক চর্চা।
এর মধ্যেই এবার খবর বের হয়েছে কানাডায়ও বাতিল হচ্ছে ভারতীয়দের ভিসা। সম্প্রতি কানাডা প্রশাসন ভিসাসংক্রান্ত নতুন একটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা সেদেশে ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, আমেরিকার পরে এবার কানাডার নিশানায় ভারতীয় অভিবাসীরা। ভারত-কানাডা সম্পর্কের অস্থিরতার মধ্যে কানাডা প্রশাসন নতুন একটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বহু ভিসা বাতিলের তৎপরতা শুরু হয়েছে। যা মূলত ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য নতুন সমস্যা সৃষ্টি করতে চলেছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, খালিস্তানি বিতর্কের পর এবার ভিসা বাতিলের পদক্ষেপ। ভারত ও কানাডার বিদ্বেষে আরও একটি নতুন বিন্দু তৈরি হলো। সে দেশে কর্ম এবং অধ্যয়নরত কয়েক লাখ ভারতীয় এর ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন। বর্তমানে কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার!
অন্য আরেকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতীয় অভিবাসীদের জন্য কানাডার নতুন নীতি তাদের আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে কানাডার অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে সেদেশে অবস্থানরত ভারতীয় কর্মী এবং ছাত্রদের জন্য বিপদ বাড়বে।
গত কয়েক বছরে কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমেই জটিল হয়ে উঠেছে। কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারতের সঙ্গে অনেক বিষয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত খালিস্তানি ইস্যু নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জার্মানির পর, কানাডাও তার অভিবাসন নীতিতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা ইতোমধ্যেই ৩০০-রও বেশি ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে। ব্রিটেনেও অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে এবং সম্প্রতি জার্মানিতে ক্ষমতায় এসেছেন কট্টরপন্থি নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, যিনি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, শরণার্থী আইন এবং অভিবাসীদের সামাজিক সুবিধা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে কানাডা অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে।
কানাডার গৃহীত নতুন নীতিতে ‘অস্থায়ী আবাসিক ভিসা’ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে সে দেশে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় কর্মী এবং কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ভারতীয় ছাত্ররা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই নীতির কারণে প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার ভারতীয় ছাত্র এবং অনেক কর্মীরই ভিসা বাতিল হতে পারে।
তবে, এই নতুন নীতির প্রভাব শুধু ভারতীয় অভিবাসীদের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কানাডার অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ায়, দেশটিতে বিভিন্ন দেশের অভিবাসী কমিউনিটি সমস্যায় পড়বে। বিশেষত, যারা ওয়ার্ক ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডায় আছেন, তাদের জন্য এখন নতুন করে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া সহজ হবে না।
আলোচিত
ইতালি যাওয়া হলো না দুই যুবককের, লিবিয়ায় হলেন হ’ত্যার শিকার

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হ’ত্যা করা হয়েছে। শুধু হ’ত্যা করেই শান্ত হয়নি দালাল চক্র। তাদের হ’ত্যার পর পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠিয়েছে খুনিরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৬) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদারের (২৫) সঙ্গে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দালালদের পাঠানো ছবি দেখে স্বজনদের আহাজারি থামছে না। স্বজনদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ভিড় করছেন। সান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না কেউ।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দুই মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠায়।
ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ওরা আজ আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে।
১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরো টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। সে টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
ওই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, শুধু হৃদয় নয় রাসেল নামের আরো একজনকেও লিবিয়াতে হ’ত্যা করা হয়েছে। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটানো হয়।
কখনো অত্যাচার কখনো প্রাণে মেরে ফেলে ওরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত
কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বাংলাদেশিদের ভবিষ্যত ‘অনিশ্চিত’

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার আসনে ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ‘সেকেন্ড কামিং’ নিয়ে চর্চা হচ্ছে অনেক। কারণ, ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প এক বড়সড় ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের অবিলম্বে আমেরিকা থেকে বের করে দেবেন এবং জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার আইনটিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ঘোষণার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা, বিশেষ করে বাংলাদেশী প্রবাসীরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছেন। বিশেষভাবে, গত বছর কানাডায় ভিজিট ভিসায় গিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করা বাংলাদেশীদের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলাদেশিদের মধ্যে সিংহভাগই সিলেট বিভাগের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ হলেন অভিবাসী। বিদেশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির এ হার গত কয়েক বছর থেকেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার তার লাগাম টানতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। যদিও এর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে ভয়াবহ।
তবুও ট্রাম্পের প্রশাসন ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন; ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে তাদের ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করেছে। গত মাসের শেষ দিকে পরিচালিত দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কানাডা থেকে ভিজিট ভিসায় এসে আমেরিকায় ঢোকা বাংলাদেশীরা, যারা বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। তারা জানেন না, তাদের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, কারণ তারা অবৈধ অবস্থায় আছেন।
আমেরিকায় এই বাংলাদেশী অভিবাসীদের একটি বড় অংশ কাজ করছেন বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, বা অন্যান্য সেক্টরে। এসব মানুষ বহু অর্থ খরচ করে, দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে, ভিজিট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন। এখন, ট্রাম্পের কঠোর নীতির ফলে, তাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বৈধভাবে বসবাস করছেন। তবে, একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী অবৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করছেন। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এবং অন্যান্য গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা প্রায় ২ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।
এছাড়া, আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোর অন্যতম একটি উৎস। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টানা তিন মাস ধরে রেমিট্যান্স পাঠানো দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, যদি আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানাডায় ভিজিট ভিসায় যাওয়া সিলেট নগরীর পীরমহল্লা এলাকার এক যুবক বলেন, অনেক টাকা খরচ করে ভিজিট ভিসায় কানাডায় এসেছিলাম। এসে দেখি কাজ নেই। এক সপ্তাহ পর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করেছি আমেরিকায়। এর জন্য দালালকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। আসার পর কাজ পেয়েছি, ভালোই চলছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কখন গ্রেফতার হতে হয়, সেই ভয়ে দিন কাটে। শুধু তিনি একা নন, আমেরিকায় সম্প্রতি এই পথে পাড়ি জমানো বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার পর তারা এক অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন। দিন কাটছে গ্রেফতার আতঙ্কে। এই অবৈধ অভিবাসীরা কি তাদের জীবিকার জন্য ভবিষ্যতে আইনি সুরক্ষা পাবে, নাকি তাদেরকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে? এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার উত্তর নেই, তবে ট্রাম্প প্রশাসন একেবারে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে তারা এই ধরনের অভিবাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধরপাকড় করবে। এর ফলে, দেশটির পুলিশ ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যাদের কাজ হলো এসব অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
- আন্তর্জাতিক11 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- বিনোদন11 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস5 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস5 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- বিশেষ প্রতিবেদন11 months ago
বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা
- সিলেট5 months ago
সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুন
- আন্তর্জাতিক4 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- বিনোদন6 months ago
আমি একটা ছাগল, এবার আমি মানুষ হব ইনশাআল্লাহ: মাহি