আলোচিত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক পেলেন ছাত্রদলের সভাপতির পদ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রদল। এই কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে করা হয়েছে সভাপতি।
ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি হওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শাকিল হোসেন। তিনি কলম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে রয়েছেন।
শাকিল হোসেন ছাত্রলীগের পদে থাকার প্যাডের একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তার ছবি ফেসবুকে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সিংড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।
এছাড়া একই কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মুনছের আলীর শেখ মুজিবের ছবি সম্বলিত টি শার্ট পরা ছবিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পদ পাওয়া মো. শাকিল হোসেন বলেন, আমার এলাকার একজন ছাত্রলীগের নেতা ছিল, সে কমিটিতে আমার নাম দিয়েছিল। বিষয়টি আমি জানতাম না। আর বিগত সময়ে এলাকাভিত্তিক রাজনীতির কারণে ছাত্রলীগের একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম, সেখানকার একটি ছবিই এখন ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি আমি অস্বীকার করছি না।
কিন্তু আমরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা এলাকার সবাই জানে।
নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, কলম ডিগ্রী কলেজের বিষয়টি আমি আংশিক জেনেছি ফেসবুকের মাধ্যমে, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। নাটোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আলোচিত
সিলেটে সেবার নামে ৩০ কোটি টাকা লুট!

ঢাকঢোল পিটিয়ে সিলেট নগরীকে ঘোষণা করা হয়েছিল দেশের প্রথম ‘ওয়াইফাই সিটি’। এজন্য ব্যয় করা হয় ৩০ কোটি টাকা। কোন ধরণের পরিকল্পনা ছাড়াই নগরের ১২৬টি পয়েন্টে সংযোগ দেওয়া হয়েছিল ওয়াইফাই। কিন্তু পরবর্তীতে এই সেবা কিভাবে চলবে, পরিচালনা ব্যয় কে বহন করবে তার কোন নির্দেশনা ছিল না প্রকল্পে। ফলে প্রকল্পটি চালুর দেড় বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ফ্রি ওয়াইফাই সেবা কার্যক্রম। মুলত ‘ওয়াইফাই সিটি’র নামে ৩০ কোটি টাকা লুটপাট করতেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন সচেতন মহল।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটকে ‘ওয়াইফাই সিটি’ করতে নগরের ৬২টি এলাকার ১২৬টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয়। সেবা প্রাপ্তির ইউজার নেম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আর পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় ‘জয় বাংলা’। ২০১৯ সালের ২৭ জুন প্রকল্পটির উদ্বোধন হলেও ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয় ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতে বলা হয়েছিল, প্রতিটি একসেস পয়েন্টে এক সঙ্গে ৫০০ জন ব্যবহারকারী যুক্ত থাকতে পারবেন। এর মধ্যে এক সঙ্গে ২০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাবেন। একসেস পয়েন্টের চর্তুদিকে ১০০ মিটার এলাকায় ডেডিকেটেড ব্যান্ডউইথ ১০ এমবিপিএস পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেবা চালুর পর থেকে হতাশ হন নগরবাসী। অনেক পয়েন্টে ইন্টারনেট সংযোগই মিলেনি। আর যেসব পয়েন্টে সংযোগ মিলেছে সেগুলোতেও ইন্টারনেটের কাঙ্খিত গতি মিলেনি। ফলে প্রকল্পটি নিয়ে নগরবাসীকে যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, তা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্র জানায়, একসেস পয়েন্টগুলোতে প্রায় দেড় বছর ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশন কোন অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এই সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রথম এক বছর ইন্টারনেট সেবার ব্যয়ভার নির্বাহ করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিসিসি। এরপর আরও ৬ মাস সেবাটি চালু রাখে ইন্টারনেট সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান ‘আমরা নেটওয়ার্ক’।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
বিসিসি প্রকল্পটি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করলেও এর ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে বিদ্যুতের কাজসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা কার্যক্রমের সংস্কার করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফাইবার অপটিক্যাল লাইনও কাটা পড়ে। এটি মেরামত করতে প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সচল রাখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়েও মিলেনি। ফলে একপর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জয়দেব বিশ্বাস জানান, শুরু থেকেই প্রকল্পটি খুব আশা জাগাতে পারেনি। ইন্টারনেটের গতি খুব ভাল ছিল না। ইউজার একটু বেশি হলেই গতি কমে যেত। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পটি অব্যবহৃত হিসেবে পড়ে থাকায় এটি এখন সহজে চালু করাও সম্ভব নয়। প্রকল্পটি ফের চালু করতে হলে এখন কোটি টাকার দরকার। এছাড়া ইন্টারনেটের বিল ও ব্যবস্থপনার জন্য প্রতি মাসে ৭-৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। এখন আর প্রকল্পটি সচল করার পরিকল্পনা নেই সিটি করপোরেশনের।
তথ্যসূত্র: সিলেটভিউ২৪ডটকম
আলোচিত
মক্কা-মদিনায় তারাবি পড়বে কতো রাকাত? জানালো সিদ্ধান্ত

২০২৫ সালের রমজানে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে তারাবির নামাজ ১০ রাকাত পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হারামাইন শরিফাইন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুই পবিত্র মসজিদ বিষয়ক জেনারেল প্রেসিডেন্সির সভাপতি শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ইনসাইড দ্যা হারামাইন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার রমজানে ৫ সালামে ১০ রাকআত তারাবির নামাজ আদায় করা হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে করোনার কারণে তারাবির রাকাত সংখ্যা কমানো হয়েছিল। তবে ২০২৫ সালে এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকলেও এর নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। ১০ রাকআত তারাবির পর তিন রাকআত বিতির নামাজও পড়া হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে ১০ রাকআত তারাবির নামাজ চালু রাখার মূল কারণ হলো স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালে মহামারির সময় নামাজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তারাবির রাকাত সংখ্যা কমিয়ে ২০ থেকে ১০ করা হয়। এই নিয়ম পরে স্থায়ী করা হয়। কম সময়ের নামাজের ফলে মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
এছাড়াও মুসল্লিদের ক্লান্তি কমানো ও বেশি সংখ্যক মানুষকে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেয়ার জন্যও ১০ রাকআত পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে প্রতিদিন প্রচুর ওমরাহ পালনকারী আসেন। ১০ রাকআত তারাবির ফলে ওমরাহ ও নামাজ দুইটিই সহজভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয় বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। যদিও করোনা মহামারির অবস্থা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তারপরও মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে এই নিয়ম বজায় রাখা হয়েছে।
মদিনায় তায়্যিবাহর মাঝে হজরত ওমর রা. হজরত উসমান রা., হযরত আলী রা. এর শাসনামলে ২০ রাকআত তারাবি পড়া হতো। করোনার আগ পর্যন্ত ১৫০০ বছর ধরে ২০ রাকআতই পড়ে আসছে। করোনাকালীন সময়ে ১০ রাকআত করা হয় মহামারীর জন্য। বর্তমানে তারা মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়াও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদতে সমস্যা হওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তারাবির নামাজ মক্কা মদিনায় অনেক ধীরে ধীরে পড়া হয়। চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা লেগে যায়। যার কারণে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেন বহু দেশ থেকে আগত ওমরাহ পালনকারীরা অন্যান্য ইবাদ করতে পারেন। তবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের এ ধরনের সমস্যার দোহায় দিয়ে তারাবির নামাজ ২০ রাকআত থেকে কমানোর সুযোগ নেই। কারণ সাহাবায়ে কেরাম সবসময়ই ২০ রাকআত তারাবিই আদায় করেছেন। হজরত আয়শা রা. সেসময় মদিনাা মুনাওয়ারায় অবস্থান করতেন। তিনিই নবীজির এ ফরমান বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার দীনের মাঝে বেদআত বের করবে, তার কাজটি পরিত্যাজ্য। যদি ২০ রাকআত তারাবির নামাজ বিদআত ও নাজায়েজ হতো, তাহলে হজরত আয়শা রা. বছরের পর বছর এর ওপর চুপ করে বসে থাকতেন না।
আলোচিত
রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধ’র্ষ’ণের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধ’র্ষ’ণের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালে ৩য় পিটিশন ছিল পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, অনেককে এই আলেপ উদ্দিন গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। তাদের নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে এই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ হলো- এই আলেপ উদ্দিন একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে (স্বামীকে হত্যার) রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধ’র্ষ’ণ করেছেন। এমন তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা বিষয়গুলো ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি। এমন নিষ্ঠুরতম অপরাধীর অপরাধের তদন্ত করতে সময় লাগবে, কারণ প্রতিদিনই ভিকটিমরা আমাদের কাছে নতুন নতুন অনেক অভিযোগ নিয়ে আসছেন। এসব তদন্ত শেষ হলে তাদের ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া যেন শুরু করা যায় সে জন্য আমাদের তদন্ত সংস্থা দিন-রাত কাজ করছে।
আলোচিত
ইতালি যাওয়া হলো না দুই যুবককের, লিবিয়ায় হলেন হ’ত্যার শিকার

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হ’ত্যা করা হয়েছে। শুধু হ’ত্যা করেই শান্ত হয়নি দালাল চক্র। তাদের হ’ত্যার পর পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠিয়েছে খুনিরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৬) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদারের (২৫) সঙ্গে এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দালালদের পাঠানো ছবি দেখে স্বজনদের আহাজারি থামছে না। স্বজনদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ভিড় করছেন। সান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না কেউ।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দুই মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠায়।
ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। ওরা আজ আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে।
১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরো টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। সে টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
ওই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, শুধু হৃদয় নয় রাসেল নামের আরো একজনকেও লিবিয়াতে হ’ত্যা করা হয়েছে। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটানো হয়।
কখনো অত্যাচার কখনো প্রাণে মেরে ফেলে ওরা।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত
উত্তরায় প্রকাশ্যে দম্পতিকে কোপানো কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্য আটক

রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। তারা হলেন- মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা ও জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত দুই যুবক একজন ভুক্তভোগী পুরুষ ও তার সঙ্গে থাকা এক নারী পথচারীকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। এ সময় জীবন বাঁচাতে ওই নারীকে হাত জোড় করে সন্ত্রাসীদের কাছে মাফ চাইতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা।
স্থানীয়রা জানায়, এই কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা উত্তরা সেক্টরের ভেতরে উচ্চ শব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে দ্রুত গতিতে চালাচ্ছিল। এ সময় তাদের মোটরসাইকেলে একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে যাওয়া আরেকটি মোটরসাইকেলে ভুক্তভোগী দম্পতি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকজন ডেকে রামদা দিয়ে ওই দম্পতিকে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের একটি রাস্তায় ভুক্তভোগী দম্পতি একটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। একই সময় স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য অন্য একটি মোটরসাইকেল করে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে যাওয়া স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে হর্ন বাজানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরমধ্যে একটি মোটরসাইকেল গিয়ে একটি রিকশায় ধাক্কা লাগে।
আরও জানা যায়, পরে ভুক্তভোগীদের মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ওই গ্রুপের বাকি সদস্যরা এই ঘটনার খবর পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসে। ওই সময় ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী দম্পতি উপস্থিত ছিল। সর্বশেষ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভুক্তভোগী স্বামী স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে স্থানীয় জনতায় এগিয়ে এতে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার বিস্তারিত নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আমরা আটক করেছি। ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
আন্তর্জাতিক
মোদীর অনুরোধ অগ্রাহ্য, আবারও শিকলে বেঁধে ফেরত ভারতীয়দের

অবৈধ ভারতীয়দের দ্বিতীয় ব্যাচকে মার্কিন সামরিক বিমানে করে আবারও শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাঞ্জাবের অম্রিতসারের বিমানবন্দরে ১১৬ জন ভারতীয়কে বহনকারী মার্কিন সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। তাদের মধ্যে ছিলেন দলজিত সিং১১ নামে এক যুবক।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অম্রিতসারে আসার সময় তাদের হাত বাঁধা হয়েছিল এবং পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০৪ জনকে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় শিকলে তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল। এ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে প্রথম ব্যাচে যে ১০৪ জন ছিলেন তাদের সবার হাত-পা বাঁধা হলেও দ্বিতীয় ব্যাচে পাঠানো নারীদের এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাত্র কয়েকদিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। ওই সময় ‘ভারতীয়দের প্রতি মানবিক আচরণ’ করার আহ্বান জানান তিনি। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পরও আবারও ভারতীয় অভিবাসীদের শিকলে বেঁধেই ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর আগে কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এক্সে এক পোস্টে বলেন, এবার যেসব অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা। তার মত ছিল, মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিনিদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটি দেখার বিষয়। তবে ভারতীয় কূটনীতি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও দেশটির নাগরিকদের হাত-পা বেঁধেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেসের এই নেতা এক্সে আরও লিখেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান যেটি অম্রিতসার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, এটির ওপর সব নজর থাকবে। তাদের হাত ও পা কী রশি দিয়ে বাঁধা থাকবে? এটি ভারতীয় কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।
- আন্তর্জাতিক10 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস4 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- বিনোদন10 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস
- প্রবাস4 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক3 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস4 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস3 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক4 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা