কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলাকারী, হত্যাকারী সবার বিরুদ্ধে সারা দেশে ভুক্তভোগীদের মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। পাশাপাশি তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন কথা উল্লেখ করেন।
স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ বলেন, বিচারের আগে সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের কোনও সুযোগ নেই। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই। আন্দোলনে হামলাকারী, হত্যাকারী সবার বিরুদ্ধে সারা দেশে ভিক্টিমদের মামলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিচার নিশ্চিত করা হবে।
এর আগে এদিন আরেক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির পতনের সময় এসেছে।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ছাত্র রাজনীতি নয়, প্রয়োজন রাজনৈতিক সচেতনতা। ক্যাডারভিত্তিক বাহিনী বানানো, নির্যাতন-নিপীড়ন, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করেছি। ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকাতেই ফ্যাসিবাদী হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব হয়েছে। ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
আসিফ বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। পেশিশক্তির রাজনীতি, নির্যাতন-নিপীড়নের রাজনীতি, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির পতনের সময় এসেছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৩ জন উপদেষ্টা। তাদের একজন হলেন আসিফ মাহমুদ।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য উপদেষ্টা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুকী আযম।
তাদের মাঝে উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া ফারুকী আযম দেশের বাইরে থাকায় এখনও অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেননি।